Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? নাকি অধিকাংশ আসনেই বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে আবারও, বিশেষ করে হঠাৎ গা ঝাড়া দেওয়া বামেদের। আর গেরুয়া শক্তির তীরে এসে তরী ডুববে। যেমন হয়েছে উনিশে, একুশে এবং গত ৪ জুনের লোকসভা ভোটের ফলে। সাড়ে পাঁচ মাস পরও এই আবহে যদি বঙ্গবাসী মমতার জোড়া ফুলের পক্ষেই জনসমর্থন উজাড় করে দেয়, তাহলে বলতেই হবে এবারও বাংলার বদনাম করার ষড়যন্ত্র হার মানল রাজ্যবাসীর সম্মিলিত দৃঢ়তা ও সাহসের কাছে। জানি এরপরও কুৎসা চলবে। নানা ছুতোয় রাজ্যকে অশান্ত করতে চক্রান্তের জাল বোনা বন্ধ হবে না। এক্সিট পোল নানা আজগুবি ইঙ্গিত দেবে দেড় বছর দূরে থাকা বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের সন্ধ্যায়। কিন্তু যেমন ফুটন্ত হাঁড়িতে একটি ভাত টিপেই বলে দেওয়া যায় সিদ্ধ হয়েছে কি না, তেমনই ৬ আসনের উপ নির্বাচনের ফলই বলে দেবে বাংলার ক্ষমতার অক্ষরেখার বিশেষ কোনও পরিবর্তনের পরিস্থিতি আদৌ কতটা তৈরি!
অভয়ার বিচারের দাবি কানাগলিতে হারিয়ে গিয়েছে সেই কবেই। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে গত দু’সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ দেখলে বেশ বোঝা যাচ্ছে, নির্যাতিতার বিচারকে ছাপিয়ে গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের দশ দফা দাবি। তার অনেকটাই কিন্তু মেনে নিয়েছে কিংবা কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস, ওষুধ ও ডায়াগ্নোস্টিক কোম্পানির সঙ্গে সিন্ডিকেট বন্ধের কোনও দাবি সেখানে নেই কেন? জনমানসে প্রশ্ন একটাই, কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ কি ২৪, ৪৮ কিংবা ৭২ ঘণ্টায় সম্ভব? কেন্দ্রীয় স্তরে রেফারাল ব্যবস্থা চালু করা, বেড খালির খতিয়ান, টানা ডিউটিতে ক্লান্ত ডাক্তারদের জন্য রেস্টরুম নির্মাণ, নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যামেরা বাড়ানো, ডাক্তারদের জন্য আলাদা টয়লেট, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কাজের পরিবেশের উন্নয়ন সারাবছরই চলতে থাকে। এসবই ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা যথারীতি আজও চলছে। ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে কিন্তু আজকের সিনিয়র ডাক্তারদের সবিনয়ে প্রশ্ন করি, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, এর এক ফোঁটাও কি ছিল না বাম আমলে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের জমানায়? বিনা দ্বিধায় বলতে পারি, শুধু ছিলই না আরও কদর্যভাবে খুল্লামখুল্লা ছিল। এবং আজ যাঁরা প্রতিবাদে মুখর তাঁদের অনেকেই সেদিন ছিলেন ভয় দেখানো, হেনস্তা ও মারধরের প্রধান মুখ। আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে পারত না। যুগে যুগে এসবই ক্ষমতার বিষময় ফল। আবার কোনও উচ্চপদে আসীন ব্যক্তির দুর্নীতি ও অপরাধের দায় ষোলোআনা সরকারের উপর চাপানোও অনুচিত। কোনও একটা বিন্দুতে কিংবা সময় বেঁধে তাতে লাইন টেনে দেওয়াও সম্ভব নয়। স্বভাবতই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে লাটে তুলে রাজপথে টানা অনশন কতটা যুক্তিসঙ্গত? মানতেই হবে ঘটনার ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তভার ন্যস্ত হয়েছে সিবিআইয়ের কাঁধে। সেই থেকে অভয়ার খুন ও ধর্ষণের তদন্ত ও বিচার রাজ্যের হাতে নেই। সিবিআই ও সুপ্রিম কোর্টের হাতে। একাধিক কর্তা, সিনিয়র আমলাকে বদলি করা হয়েছে। একমাত্র স্বাস্থ্যসচিব বাদে। কাকে কোন দায়িত্বে রাখা হবে, তা একটা নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে বিচারের কতটুকু সম্পর্ক। যদি না বাইরে থেকে কোনও উস্কানি থাকে, বৃহৎ কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা কাজ করে থাকে তাহলে চিকিৎসকদের জীবন বাজি রেখে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা। সর্বনাশ হচ্ছে গরিবের। আর ফুলে ফেঁপে উঠছে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম। তাদের গত দু’মাসের ব্যবসা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। রোজগার বেড়েছে অনেক নামী চিকিৎসকের। মুখে না বললেও তাঁরা চাইছেন, এই অরাজকতা চলুক। কে না চায় এই মওকায় দৈনিক আয় দেড় থেকে দ্বিগুণ হোক, অকাল বসন্ত দীর্ঘায়িত হোক! আর নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণকে স্বতঃস্ফূর্ত আখ্যা দিয়ে ফসিল হয়ে যাওয়া বামেরা নতুন করে জেগে উঠতে চাইছে। কিন্তু স্বপ্ন দেখলেও বিশেষ ভরসা রাখতে পারছে না। পাছে লাল ঝান্ডা বের করলেই জমায়েত নিমেষে খালি হয়ে যায়!
সরকার বিরোধী কুৎসা পিছু ছাড়েনি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতেও। পুজোর রাতে মণ্ডপে ভিড় বেশি না ধর্মতলার অনশন মঞ্চে, তা নিয়েও চলেছে বিস্তর আলোচনা। বলা হয়েছে, মা দুর্গাকে দেখতে হলে ধর্মতলা যান। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, আন্দোলনকারীরা বিচার চাইছেন না ক্ষমতা বদল। ক্ষমতা বদল ভারতের মতো কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের এক অঙ্গরাজ্যে এভাবে হয় না। এটা বাংলাদেশ নয়। পাকিস্তানও নয়। সম্ভবত এই কথাটা তাঁরা হয় ভুলে গিয়েছেন কিংবা ইচ্ছে করে ভুলতে এবং ভোলাতে চাইছেন। সব জেনেও স্বার্থান্বেষী কোনও চক্র তাঁদের বিপথে চালিত করছে। আন্দোলনকারীদের মাথায় ঘুরছে হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার মাটিতে সংগঠিত ‘দ্রোহ’ পর্বের পুনরাবৃত্তির অবাঞ্ছিত নেশা। সেই কারণেই সিবিআই তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া, সর্বোচ্চ আদালতের উপর আস্থা না রেখে রাজপথে দ্রোহের কার্নিভালের অবতারণা। রেড রোডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা কার্নিভালের আসল ওজন বোঝা যাবে ভোটের ফলে, নাগরিক পদচারণায় নয়! ‘রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে সদর্পে হুঙ্কার দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। কিন্তু গণতন্ত্রে পথই কি বিচার আদায় করে নেওয়ার আদর্শ মঞ্চ? বোধহয় নয়। তাই এবার অপেক্ষা ভোটের কার্নিভালের, নির্বাচনী মহোৎসবের। অভিশপ্ত ৯ আগস্টের পর তিন মাস পেরিয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচন। গুরুত্বপূর্ণ মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের ১৫টি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনের অপেক্ষা। সবিনয়ে প্রশ্ন করি, এতকিছুর পরও রাজ্যের ৬টি আসনের মধ্যে ক’টায় লড়াই দেওয়ার মতো জায়গায় বিরোধীরা? নাকি তাঁরা ভেবে বসে আছেন ডাক্তারদের অনশন মঞ্চেই বুথ হবে, সেখানেই নিষ্পত্তি হবে কার জনসমর্থন বেশি।
কলকাতার লাগোয়া নৈহাটি ও হাড়োয়া। মেদিনীপুর, তালডাংরা। এবং উত্তরবঙ্গের সিতাই ও মাদারিহাট। আপাতত এই ৬ কেন্দ্রই পাখির চোখ। এক্সিট পোলের বিস্তর কেরামতি বাংলার মানুষ দেখেছে গত জুন মাসে। প্রায় অধিকাংশ সমীক্ষক দলই বুথ ফেরত সমীক্ষায় শাসক দলকে হারিয়ে দিয়েছিল সিংহভাগ আসনে। কিন্তু তার বিন্দুমাত্র কোনও প্রভাব দেখা যায়নি আসল ফলাফলে। বেশিদিন আগের কথা নয়। ৪ জুন বেরিয়েছিল লোকসভার ফল। ৪২-এর মধ্যে ২৮টিতে জিতে শুধু বিরোধীদেরই নিশ্চিহ্ন করেনি শাসক তৃণমূল, ভোট পণ্ডিতদেরও মাথা হেঁট করে দিয়েছে। এক্সিট পোল পণ্ডিতদের মাথা অবশ্য হেঁট হয়েছে সাম্প্রতিক হরিয়ানার ফলেও। একটি নয়, একাধিকও নয় প্রায় সবকটি এক্সিট পোলই সেখানে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। হলফ করে বলতে পারি, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেও সমীক্ষকদের পূর্বাভাস মিলবে না। তিন সপ্তাহের সামান্য বেশি ব্যবধানে ৬টি কেন্দ্রে ভোট। একুশের ফল অনুযায়ী ছয় আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল পাঁচটিতে। একটি মাত্র আসন আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে বিজেপি জেতে। এত আন্দোলন, দ্রোহ কার্নিভাল, পথে প্রান্তরে বিচার ছিনিয়ে নেওয়ার আকুতির পর কি সেই ফলের কোনও হেরফের হবে? নাকি ৫-১ বদলে এবার শাসকদলের পক্ষে ৬-০ ফল হবে। ভোটটা কিন্তু নাগরিক সমাজ লড়বে না। লড়তে হবে রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলকে ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে। সন্দেশখালি নিয়ে লাগাতার প্রচারের পরও বসিরহাট লোকসভায় ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল। একদা নিরাপদ আসন বলে পরিচিত কোচবিহার লোকসভা আসনটাও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তাই সিতাইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও বাস্তবায়িত হওয়া কঠিন। মেদিনীপুর, তালডাংরা এবং নৈহাটিতে অঘটনের আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। তার উপর গত আড়াই মাসের আন্দোলনে তৃণমূল বিরোধী ভোট আরও একটু বেশিই কাটাকুটি হবে, আশঙ্কা এমনই। অভয়া আন্দোলন বিজেপির সিলেবাসের বাইরে। এটা মূলত বাম আর অতি বাম নকশালদের কিসসা। সঙ্গে দু’আনা এসইউসি। এই বিচিত্র ভোট কাটাকুটিতে শাসক দলেরই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা। বলা বাহুল্য, বিরোধীদের বুথ সংগঠন জেলায় জেলায় এখনও অত্যন্ত দুর্বল। তাই যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড, গড়িয়া, বাগুইআটি, ধর্মতলায় বিচারের দাবিতে ভিড় হলেও তার প্রভাব দূর জেলার ভোটযন্ত্রে কতটা পড়ল, তা জানার জন্য ২৩ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে আমাদের।
একটা ধারণা আছে, সাধারণত উপ নির্বাচনে শাসকদলই জেতে। কারণ, এই ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার বদলের সুযোগ থাকে না। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেও ওই ৬টি আসনের ফলাফলে ক্ষমতার হাত বদলের কোনও শঙ্কা কিংবা সম্ভাবনা নেই। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বের পরে রাজ্যে তিনটি বিধানসভার উপ  নির্বাচনে সিপিএম তথা বামেদের পরাস্ত করে জিতেছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দেড় দশক আগে ২০০৯ সালে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে জিতেছিলেন খগেশ্বর রায়। ওই বছরই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর পশ্চিম আসন (পুনর্বিন্যাসের পরে ওই কেন্দ্রটি এখন আর নেই) থেকে জিতেছিলেন মদন মিত্র। সিপিএম নেতা তথা তৎকালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী প্রয়াত হন ২০০৯ সালের আগস্টে। তাঁর কেন্দ্র পূর্ব বেলগাছিয়া (পুনর্বিন্যাসের পরে এই কেন্দ্রটিও এখন আর নেই) সিপিএম প্রার্থী করেছিল সুভাষ-পত্নী রমলা চক্রবর্তীকে। তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে রমলাকে পরাস্ত করেছিলেন সুজিত বসু। সুজিতবাবু এখন বিধাননগর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের দাপুটে দমকল মন্ত্রী। সেরকম কোনও আশার আলো কি এই মুহূর্তে বাম কিংবা গেরুয়া শক্তি দেখতে পাচ্ছে? যদি সত্যি পেত, তাহলে নাগরিক আন্দোলনের আড়ালে মুখ ঢেকে টানা তিন মাস অক্সিজেন খুঁজত না। মুখোমুখি সামনে এসে দাঁড়াত পতাকা হাতে। সেই হিম্মত কিংবা মুরোদ নেই বলেই লাজুক লাজুক মুখ করে তারা স্রেফ সুযোগের সন্ধানে। ভগবান কিন্তু ডরপোক নয়, সর্বদা সাহসীদের সঙ্গেই থাকে। ২৩ নভেম্বর তা আবারও প্রমাণ হবে। বাংলার মানুষ কিন্তু চক্রান্তের জাল কেটে ভোটযন্ত্রে ‘বিচার’ পেতে মরিয়া।
20th  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
একনজরে
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...

সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...

চমকে ভরা আইপিএলের রিটেনশন তালিকা। গত মরশুমের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে রাখল না দিল্লি ক্যাপিটালস। চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও ছেড়ে দিল অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নিলামেই ভাগ্য ঠিক হবে লোকেশ রাহুলের। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM