Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। আমরা মেধাবী। আমরা নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে একজন নারী আইপিএস অফিসারকে যথেচ্ছভাবে অপমান করেছি দফায় দফায়। কারণ, আমরা নিশ্চিত যে. আইপিএস পরীক্ষায় পাশ করতে মেধা দরকার হয় না। সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় আইপিএস পদের সংখ্যা ২০০। অর্থাৎ গোটা ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেবে। উত্তীর্ণ হবে ২০০। আমরা কিন্তু ভাবছি মেধা একমাত্র আমাদের। যে নিম্নবর্গ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে, তারা মেধাহীন। কতটা জমিতে কতটা সার দিলে সোনার ফসল স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদিত হতে পারে, সেটা যাঁরা জানেন, তাঁরাও মেধাহীন। যাঁরা অসামান্য নৈপুণ্যে মোয়া, নাড়ু, নিমকি, চানাচুর এক চিলতে ঘরের বাইরের অংশে তৈরি করে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে স্বামীর হাতে তুলে দেন দোকানে সাপ্লাইয়ের জন্য অথবা বিক্রির জন্য, তাঁরা মেধাহীন। মফস্‌স঩লের যে মেয়েরা আমাদের ঘরের নারী সদস্যদের ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকার শাড়ির ফলস, পিকো লাগিয়ে দেন নিখুঁতভাবে ঘরে বসে এবং শাড়িপিছু ৬০ থেকে ১০০ টাকা রোজগার করে সংসারের কাজে লাগান, তাঁরা মেধাহীন। 
আমি শহরে থাকি এবং বাবুসমাজের অঙ্গ, তাই আমি মনে করছি আমাদের সহমত ছাড়া সবাই বুদ্ধিহীন। সবাই অশিক্ষিত। সকলেই রাজ্য সরকার অথবা শাসক দলের অনুগত। অথচ আমরা তিন মাস ধরে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে প্রমাণ করে দিয়েছি বেশি বেশি কথা বলে যে, আমরা জুডিশিয়াল ব্যবস্থা কীভাবে চলে সেটা জানি না। ভারতের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের প্রক্রিয়াটি ঠিক কী সেটা জানি না। যে কোনও ফৌজদারি মামলার তদন্ত কীভাবে অগ্রসর হয়, সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কাকে বলে আইন? কাকে বলে রুলস? কাকে বলে নোটিফিকেশন? কাকে বলে চার্জশিট? আমরা জানি না। আমরা বলেছিলাম, জাস্টিস চাই। কিন্তু কীসের জাস্টিস? ১৪ আগস্ট প্রথম রাস্তায় নেমেছিল মহানগরের একাংশ। প্রথমে বলা হয়েছিল নির্যাতিতার বিচার। ঠিক ২ মাস পর জানা গেল,  কোথায় রেস্ট রুম হবে, কোন কমিটিতে কে থাকবে, কেন ইউনিয়নের নির্বাচন হয় না, কত দ্রুত সিসিটিভি লাগাতে হবে, মোট ওয়াশ রুমের সংখ্যা কত এটা নিয়ে সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সন্তুষ্ট হওয়া গিয়েছে। নাগরিকরা জেনে গেলেন এটাই হল জাস্টিস! 
জুনিয়র ডাক্তার এবং নাগরিকদের একাংশের সবথেকে বড়  দুর্বলতা হল  এই ঔদ্ধত্য। এই যে 
উপরে যা যা লেখা হল, ঠিক এই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বিগত আড়াই মাসে। তাঁরা প্রথম থেকেই 
ধরে নিয়েছেন যে তাঁদের অভিমতের বিরুদ্ধপক্ষ 
হওয়া মানেই সে খারাপ, একমাত্র তাঁরা ভালো। 
সবাই অশিক্ষিত। একমাত্র তাঁরাই শিক্ষিত। কেউ কিছু জানে না। একমাত্র তাঁরাই সব কিছু জানেন। 
তাঁরাই ঠিক। সবাই ভুল। তাঁরা ভেবেছেন যে 
একমাত্র তাঁরাই নির্যাতিতার হয়ে বিচার ও 
দোষীর সাজা চান। অন্যরা চান না। এই বিস্ময়কর নির্বুদ্ধিতার কারণ জানা গেল না। 
আমি ঠিক এটা কে ঠিক করল? আপনি ঠিক এটাই বা কে ঠিক করল? আমি এবং আপনারা জীবনে তো বহু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি বা নিয়েছেন। অনুতাপ করি যে, অনেক ভুল হয়ে গিয়েছে। তাহলে সেই আমরা যখন কোনও একটি ইস্যুতে কোনও অবস্থান নিয়ে থাকি, তখন মনে রাখি না কেন যে, আমি কিন্তু আবার ভুলও করতে পারি? অতএব নিজেকে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের করব না! অর্থাৎ আমি যা বলি, যা ভাবি, যা বুঝি, সেটাই ঠিক। বাকিরা ভুল!— এরকম মনোভাবের মতো বৃহৎ অশিক্ষা তো আর হয় না। 
হাইকোর্ট চারদিনের মধ্যেই তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। সিবিআই দু মাস পর হুবহু কলকাতা পুলিসের মতোই মতপ্রকাশ করে চার্জশিট দিয়েছে। এখন মনে হতেই পারে যে সিবিআই এই চার্জশিটে প্রকৃত দোষীদের কথা বলেনি। যা আপনারা প্রবলভাবে বাইরে বলেছেন। ডেপুটেশন দিয়েছেন রাজ্যপালকে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার! যেখানে বলার দরকার ছিল, সেখানে বলেননি। সুপ্রিম কোর্টে ডাক্তারদের আইনজীবী এই নিয়ে একটিও বাক্য উচ্চারণ করলেন না! কেন? তদন্ত মনিটর করছে তো সুপ্রিম কোর্ট। এটা তো বিরাট বড় এক সুবিধা সুবিচার পাওয়ার। সেখানে বিগত একটিও শুনানিতে কি দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার জাস্টিস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কতদিনের মধ্যে সব সিসিটিভি লাগানো হবে, কতদিনের মধ্যে রেস্ট রুম হয়ে যাবে, কতদিনের মধ্যে ঘোষিত ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণ সমাপ্ত হবে, এসবই এসেছে সওয়াল জবাবে। 
অবস্থান মঞ্চে, মিছিলে এবং সেমিনারে চিৎকার করে বলছেন যে, একা সঞ্জয় রায় ওরকম নারকীয় ঘটনার দোষী হতেই পারে না। নিশ্চিত একাধিক কেউ ছিল। এই কথাটা আপনাদের আ‌ইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বললেন না কেন? কারণ কী? 
এই আন্দোলনকারীদের এবার আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। এতদিন আপনারা ভেবে এসেছেন আপনারা শক্তিশালী। অবশ্যই শক্তিশালী। কিন্তু এবার ভাবুন যে সেইসব শক্তির মধ্যে আপনাদের দুর্বলতাগুলি কী কী ছিল! কেন এভাবে ক্রমেই একটি নাগরিক আন্দোলন নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পরিণত হল? তারপর কেন স্পষ্ট হল, তথাকথিত অরাজনৈতিক আন্দোলন আসলে রাজনীতির মাথারাই পরিচালনা করছে? এটা আসলে রাজনৈতিক আন্দোলন, এই ধারণা জনমনে প্রতীয়মান হল কেন? 
আপনাদের খুঁজে দেখতে হবে কারা ১৪ আগস্ট আপনাদের সঙ্গে ছিল মিছিলে, পদযাত্রায়, রাত দখলে। এবং তিন মাসের মাথায় সেই নাগরিকদেরই কতজন কেন আর নেই? কারা সরে গেল? কেন সরে গেল? কী কারণে বিরক্ত হল তারা? কেন ক্ষুব্ধ হল? যে ভিড় ছিল সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনের ধর্নামঞ্চে, সেই একই ভিড়, একই আবেগ, একই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা আবেগ কেন দেখা গেল না ধর্মতলায়? কারণ কী? 
সরকার এবং শাসক দল ব্যাকফুটে হয়ে গিয়েছিল। আপনারা প্রতিটি বৈঠকের পর একটি করে সিদ্ধান্তকে আপনাদের সপক্ষে আসতে দেখে উল্লসিত হয়েছেন। জয়ের আনন্দে আরও চাপ বাড়িয়েছেন। এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা, মাত্র দু মাস আগে ২৯ আসনে জেতা, মাত্র একমাস আগে চারটি উপ নির্বাচনে জেতা এবং দুর্বল বিরোধী দল থাকা সত্ত্বেও কেন সরকার এবং শাসক দল এরকম প্রায় সব কিছুই অনায়াসে মেনে নিয়েছে? নত হওয়ার একটা বার্তা দিচ্ছে! কারণ কী? স্নায়ুর লড়াইয়ে কেন সরকারপক্ষ লাগাতার সব মেনে নেওয়ার একটি বার্তা দিয়ে চলল? কেন ছিল সেই স্ট্র্যাটেজি? সেই কৌশলে অবশেষে লাভ হল? নাকি ক্ষতি হল? কার লাভ হল? কার ক্ষতি হল? 
অরাজনৈতিক অথবা রাজনৈতিক। কোনও যুদ্ধেই নিছক আবেগ, রাগ, টার্গেট ফিক্সড করা কিংবা অন্ধ যুক্তি নিয়ে অগ্রসর হলে পরাজয় অনিবার্য। তাই প্রতিপক্ষকে দুর্বল না ভেবে শক্তিশালী ভাবুন। নিজেদের অতিরিক্ত শক্তিশালী ভাবার বদলে দুর্বলতাকে চিহ্নিত করুন। আগাগোড়া থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া আন্দোলন লাগাতার ব্ল্যাকমেলের আন্দোলনে পরিণত হয়ে দিশাহীনতায় প্রবেশ করল কেন? ৪৮ ঘন্টা সময় দিলাম, নয়তো এই হবে। ঘড়ি টাঙানো হল। সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য ধর্মঘট করব। এই যে গণইস্তফা দিলাম কিন্তু! এসবে কী লাভ হয়েছে? আন্দোলনের সাফল্যের দিকেই নজর রাখা উচিত ছিল। হঠাৎ জাতির অভিভাবক হতে গেলেন কেন তাঁরা? 
এবার সময় এসেছে জুনিয়র ডাক্তারদের চিন্তা করার যে, তাঁদের বুদ্ধিদাতা কারা? কারা তাঁদের আন্দোলনের পরামর্শদাতা ছিলেন? সেই পরামর্শদাতাদের নিজেদের সাফল্য কতটা? যদি দেখা যায় কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে (যা প্রমাণিত), তাহলে আপনাদের তাদের কথায় ভেসে যাওয়ার আগে ভাবা দরকার ছিল যে, এরা তো নিজেরাই বারংবার ব্যর্থ! এরা আজ পর্যন্ত একটিও গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে তাদের। তাহলে ব্যর্থদের থেকে পরামর্শ নেওয়া এবং তাদের ফাঁদে পা দিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা নির্মাণ করা কতটা বুদ্ধিমত্তা? 
জুনিয়র ডাক্তারদের সম্পর্কে একটি কথা ভুল বলা হয়। সেটি হল, তাঁদের রাজনৈতিক দাবাখেলার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আদৌ কি কথাটি সত্যি? কারণ এই ডাক্তাররা বাচ্চা ছেলেমেয়ে নাকি? তাঁরা জানে না যে, কারা তাঁদের প্ররোচনা দিচ্ছে. কারা ব্যবহার করছে, কারা তাঁদের মাধ্যমে রাজনীতির খেলা খেলছে? এটা সম্ভব যে তাঁরা না জেনেশুনেই এই আন্দোলনে প্রবেশ করেছেন? সম্ভব নয়। তাঁরাও সমানভাবে যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে যুক্ত। কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারে না। করেওনি। 
আন্দোলনের অন্যতম দুর্বলতাই হল বিরুদ্ধ মতকে তাচ্ছিল্য করা, অপমান করা, অসম্মান করা। এবং নিম্নবর্গকে সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দেওয়া। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া। যে দাবিগুলি নিয়ে এত দড়ি টানাটানি সেখানে গ্রামের প্রাইমারি হেলথ সেন্টার কিংবা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়মিত আউটডোর, পরিপূর্ণ চিকিৎসা থেকে অপারেশনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি তোলা হল না কেন? কারণ এলিট বাবুসমাজের হাততালিতে ভেসে যাওয়া এই আন্দোলন নিম্নবর্গের কথা ভাবেইনি কখনও। কেন? কারণ তাদের তারা চেনেই না। তাই তাদের কখনও ভিক্ষুক বলা হয়। কখনও অশিক্ষিত বলা হয়। কখনও চাষা বলা হয়। কখনও বোকা ভাবা হয়। 
আন্দোলনকারীদের প্রধান ভুল কী? আরবান এলিট এবং আপার মিডল ক্লাসের একাংশের মরশুমি প্রতিবাদকে বিপ্লব ভাবা!  কৃষক, শ্রমিক, মজুর এবং দৈনিক শ্রম দৈনিক আয়ের মতো ওয়ার্কিং ক্লাস ছাড়া কোনও বিপ্লব অথবা পরিবর্তন সংঘটিত হয় না! সেদিন নবান্নে যে দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা এবং একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হল, সেটা থেকে সাড়ে ১০ কোটি সাধারণ মানুষের কী কী উপকার হল? গ্রামীণ, প্রান্তিক, ওয়ার্কিং ক্লাসের কী লাভ হল? আড়াই মাসে মিছিলে হেঁটে নাগরিকরা কী পেলেন? এই কি জাস্টিস?
25th  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো করবে তৃণমূল। বিজেপির শাসনকালে সংবিধানের উপর বারবার আঘাত আসছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই খবর মিলেছে জোড়াফুল শিবির থেকে। ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...

সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM