প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সংবিধানের ৭৫ বছরকে এবার যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগামী ২৬ নভেম্বর বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব আনা হবে। তার উপর আলোচনা হবে। আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৬ নভেম্বর কার্যকর হয় সংবিধান। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে সংবিধানের ৭৫ বছর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই বছরে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের দেখানো পথকে অনুসরণের পাশাপাশি সংবিধানের কথাগুলিকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে চায় রাজ্যের সরকার। সূত্রের খবর, নবান্নে প্রশাসনিকস্তরে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিধানসভার সচিবালয়ের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। আগামী ২৫ নভেম্বর বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন বসতে চলেছে। সেই অধিবেশন দিন দশেক চলবে। এই সূত্রে ২৬ নভেম্বর বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনার কথাবার্তা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়করাই এই প্রস্তাব আনবেন। তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, সংবিধানের ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে কেন্দ্র সংসদের যৌথ অধিবেশনের আয়োজন করতে চলেছে। এ নিয়ে বর্ষব্যাপী কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে বলে বিজেপি একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। এর সব থেকে বড় উদাহরণ হল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দিতে চাইছে তারা। তার সঙ্গেই রয়েছে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। বাংলার দিকে নজর নেই কেন্দ্রের। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীশূন্য সংসদে বিল পাস করিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ১০০ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিরোধীদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সংবিধানের উপর আঘাত হানছে কেন্দ্র। এর আগেও তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছে, দেশবাসীর স্বার্থে কেন্দ্রের উচিত রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যকে না জানিয়েই একের পর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র। যা সংবিধান সম্মত নয়।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন প্রণয়ন, রাজ্যের সীমানায় বিএসএফের নজরদারি বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়নি বলে তৃণমূলের অভিযোগ। সংবিধানের উপর আলোচনায় এই বিষয়গুলিকেই সামগ্রিকভাবে তুলে ধরবে তৃণমূল।