প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দেশের মাটিতে তেজস লাইট-কমব্যাট এয়ারক্রফ্ট এমকে-১ তৈরীর জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকার বরাত পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিক্স (হ্যাল)। এর পরে ৯৯টি এফ-৪০৪ ইঞ্জিন আমদানির জন্য মার্কিন সংস্থা জিই’র সঙ্গে ২০২১ সালে চুক্তিবদ্ধ হয় হ্যাল। সেই অনুযায়ী গত বছরের এপ্রিল থেকে ইঞ্জিন ডেলিভারি শুরুর কথা ছিল মার্কিন সংস্থাটির। কিন্তু বারংবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও সেটি এখনও হাতে পায়নি হ্যাল।
সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্য বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও এটাও ছিল অন্যতম অ্যাজেন্ডা। রাজনাথ সিংয়ের চাপের মুখে অবশেষে জিই জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হবে জেট ইঞ্জিন সাপ্লাই।
কিন্তু এই দেরির কারণে হ্যাল যে তেজস যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে সেগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইঞ্জিন পায়নি। পুরনো মডেল দিয়েই কাজ চালাতে হয়েছে। এমনকী ভারতের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এই যদি সাপ্লাইয়ের অবস্থা হয়, তাহলে আগামী দিনে এম কিউ নাইন বি প্রিডেটর
ড্রোনের চুক্তি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ভারত আরও বলেছে, আমেরিকার ওই সংস্থা যদি সাপ্লাই না করে তাহলে প্রযুক্তি ট্র্যান্সফার করুক। সেক্ষেত্রে ভারতেই ওই ইঞ্জিন তৈরি করে নেবে। যা চুক্তিরই অন্তর্গত।
প্রশ্ন উঠছে আমেরিকা কেন এই সাপ্লাই আটকে রেখেছে? ভারত আত্মনির্ভর পদ্ধতিতে ফাইটার জেট তৈরি করুক, এটা কি তারা চাইছে না? নাকি অন্য কোনও কারণ?