Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে আমরা আলোর সাধনা করে চলেছি। কার্তিক মাস পড়লেই এখনও আমরা আকাশপ্রদীপ জ্বালি। দূরের তারার পানে চেয়ে সে সারারাত মিটমিট করে জ্বলে। বেদোত্তর যুগে এই আকাশপ্রদীপের উল্লেখ পাই। সেখানে বলা হয়েছে, আকাশপ্রদীপ জ্বালিয়ে আমরা পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। এই আলোক-তর্পণের মধ্য দিয়ে তাঁদের আবাহন করা হয়। তাঁরা ওই আলোর সরণি বেয়ে মর্ত্যে নেমে এসে আমাদের আশীর্বাদ করে যান। এছাড়া কার্তিক মাসের অমাবস্যায় আমরা দীপান্বিতা উৎসব পালন করি, কালীপুজো করি। 
আমরা আজ যে কালীমূর্তির পুজো করি, তা এসেছে অনেক পরে। তার আগে থেকে অবশ্য দেশের মানুষ দীপান্বিতা উৎসবই পালন করতেন। কোথাও একে বলে দীপাবলি, কোথাও দেওয়ালি, আবার কোথাও একে সুখরাত্রি বা যক্ষরাত্রি বলে। প্রথম শতাব্দীতে প্রাকৃত ভাষায় লেখা ‘গাথা সপ্তশতী’তে আমরা দীপান্বিতার উল্লেখ পাই। আসলে অমাবস্যার আগে ত্রয়োদশী থেকেই যেন শুরু হয়ে যায় আলোর উৎসব। এই ত্রয়োদশীকে বলা হয় ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরস। এই দিনে মূলত দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়। দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে যখন সমুদ্রমন্থন হয়েছিল, তখন ধনত্রয়োদশীর দিন দেবী লক্ষ্মী ক্ষীরসাগর থেকে উঠে এসেছিলেন। আমাদের হিন্দু শাস্ত্রে যে সাতটি মহাসাগরের উল্লেখ আছে, ক্ষীরসাগর তার মধ্যে একটি। চতুর্দশী দিনটি পালিত হয় ভূত 
চতুর্দশী হিসাবে। বলা হয় এই দিনে দৈত্যরাজ বলি ভূত, প্রেত, যোগিনী সহ পৃথিবীতে আসেন। পুরাণ কাহিনি বলছে, বিষ্ণু বামন অবতার হয়ে বলিরাজকে পায়ের চাপে পাতালে প্রবেশ করিয়েছিলেন। এই দিনে আরও একটি ঘটনার উল্লেখ পুরাণে পাই। প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা নরকাসুর ১৬ হাজার গোপিনীকে বন্দি করেছিলেন। তাঁদের ওপর তিনি নির্যাতন চালাতেন। কৃষ্ণ সত্যভামাকে নিয়ে সেখানে যান এবং নরকাসুরকে বধ করে সেই ১৬ হাজার গোপিনীকে উদ্ধার করেন। তাই এই দিনটিকে নরক চতুর্দশীও বলা হয়। এছাড়া বলা হয় ভূত চতুর্দশীর দিনে দেবী চামুণ্ডা তাঁর ১৪ জন প্রেতসঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে আসেন। পৃথিবীর যাবতীয় অশুভ শক্তির বিনাশ করেন তিনি। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গোয়া সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই ভূতচতুর্দশীকে কেন্দ্র করে নানা রীতি প্রচলিত আছে। বাঙালিদের মধ্যেও এদিন ১৪ শাক খাওয়ার রীতি চালু আছে। অবশ্য পুরাণের পাশাপাশি অন্য ব্যাখ্যাও আছে। সেটা হল সিজন বদলের সময় আমাদের ওপর নানা ধরনের মরশুমি রোগের আক্রমণ ঘটতে পারে। তাকে ঠেকাতে এই ১৪ শাক খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে। আমরা এখন বাজার থেকে যে ১৪ শাক কিনে এনে খাই, তা কিন্তু শাস্ত্রে লেখা নেই।  এই ১৪ শাক হল ওল, কেঁউ, বেতো, কালকাসুন্দে, সরষে নিম, জয়ন্তী, শালিঞ্চে, গুলঞ্চ, পলতা, শেলুকা, হেলেঞ্চা, ঘেঁটু, শুষনি। স্মৃতিশাস্ত্র রচয়িতা রঘুনন্দন ভট্টাচার্যের ‘কৃত্যতত্ত্ব’ বইতে আমরা এর উল্লেখ পাই। তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে অন্য কয়েকটি শাকের কথাও বলা হয়েছে।
তারপরই অমাবস্যায় হয় কালীপুজো। কালী আসলে আমাদের জীবনে এক প্রতীক দেবী। তাঁর মূর্তি কল্পনার মধ্যেই রয়েছে নানা ব্যঞ্জনা।  কালী সাধনার মধ্য দিয়ে আমরা যেন শক্তির সাধনাই করি। বাঙালি মূলত দক্ষিণা কালীর পুজো করে। এই কালীর রূপ ও সাধনার প্রবর্তন করেছিলেন নবদ্বীপের কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। ষোড়শ শতাব্দীতে তিনি ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থে কালীর রূপ বর্ণনা করলেন। কালী করাল বদনা, মুক্তকেশী, চতুর্ভুজা, মুণ্ডমালিনী এবং দিগম্বরী। তাঁর উপরের বামহস্তে আছে খড়্গ, নীচের বামহস্তে ছিন্ন নরমুণ্ড। দক্ষিণহস্তে তিনি বর এবং অভয় দান করছেন। তাঁর পদতলে শায়িত শিব। 
দেবীর এই কালীমূর্তি নিয়ে আমাদের অনেকেরই নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। কেন মায়ের রং কালো, কেন তিনি জিভ বের করে আছেন, কেন তাঁর গলায় মুণ্ডমালা ইত্যাদি। আসলে এই রূপের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে শক্তিতত্ত্বের এক ব্যঞ্জনা। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে তন্ত্রের। 
বলা হয় ‘কালং কলয়তি ইতি কালী’। অর্থাৎ যিনি এই বিশ্বের অনন্ত কালকে কলন করেন বা গ্রাস করেন, তিনিই কালী। মহাকালকে তিনি জয় করে কালী হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি নিজেই শক্তির এক আধার। তিনি নিজে কালো হলেও তাঁর পায়ের নীচে অলৌকিক আলোর উদ্ভাস। 
কালীর চার হাতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, এই চার হাত হল চারটি বেদের প্রতীক। কেউ বলেছেন এই চার হাত হল, জীবনের চারটি পর্যায়। ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ। কালী উপরের ডানহস্ত ধর্মের প্রতীক, নীচের ডানহাতটি অর্থের প্রতীক। তাঁর বামদিকের নীচের হস্তটি কামের প্রতীক এবং উপরের বামহাতটি মোক্ষের প্রতীক। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, কালীর পদতলে শিব কেন? তিনি তো তাঁর স্বামী! আসলে জীব যখন তাঁর অহংকে বিসর্জন দিয়ে মায়ের পদতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন, তখন তিনি আর জীব থাকেন না, তিনি শিবে রূপান্তরিত হয়ে যান। এ এক সাধনার মধ্য দিয়ে উত্তরণ। সাধক রামপ্রসাদের গানে পাই, ‘শিব নয় মায়ের পদতলে / ওটা মিথ্যে লোকে বলে। / দৈত্য বেটা ভূমে পড়ে / মা দাঁড়িয়ে তার উপরে। / মায়ের স্পর্শে দানব দেহ / শিবরূপ হয় রণস্থলে।’ অর্থাৎ মায়ের চরণস্পর্শে আমাদের দানব সত্তা বা আমাদের সব কামনা, বাসনা, ঈর্ষা, জিঘাংসাবৃত্তি লুপ্ত হয়ে তা শিবে রূপান্তরিত হয়। শিব অর্থাৎ শান্ত। দেখা যায় শিবের গাত্রবর্ণ সাদা। এর তাৎপর্য হল, সমস্ত অন্ধকার দূর হয়েছে, অজ্ঞানতাও দূর হয়েছে। সেই ব্যক্তি তখন জ্ঞানমার্গে উন্নীত। সেই জ্ঞানের প্রতীকই হলেন শ্বেতশুভ্র শিব। 
মানুষ আসলে অজ্ঞানতার পঙ্কে ডুবে আছে। তার জীবনযাপনে জড়িয়ে আছে নানা লোভ 
হিংসা, কামনা, প্রবঞ্চনা, স্বার্থপরতার বিষাক্ত শ্বাস। সেই অজ্ঞানতার মধ্যে, মোহের আবরণে সে কীট হয়ে বাস করে। সেখান থেকে তাঁকে খুঁজে নিতে হবে জ্ঞানের আলো। তাই সাধক কবি মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে উঠতে বলেছেন। তার মধ্যেই আনন্দ এবং মুক্তিকে অনুভব করা যায়। কালী সাধকরাও সেই মায়ের পায়ের নীচের আলোটুকু হৃদয় দিয়ে 
প্রত্যক্ষ করার জন্য সারাজীবন তাঁরই অনুধ্যানে ডুবে থাকেন। কমলাকান্ত বললেন, ‘কালোরূপে দিগম্বরী হৃদিপদ্ম করে আলো’। 
এভাবেই শ্যামাসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সাধক যেমন মায়ের সন্ধান করেন, তেমনই গৃহী বাঙালি শ্যামাসঙ্গীতের সুধারসে নিজেকে ডুবিয়ে মাতৃনামের আনন্দ অনুভব করেন। রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত থেকে শুরু করে ঈশ্বর গুপ্ত, গিরিশ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ সকলেই শ্যামাসঙ্গীত লিখেছেন। পাশাপাশি বহু মুসলিম কবিও শ্যামার নামে গান বেঁধে অমর হয়ে আছেন শাক্ত পদাবলীর ইতিহাসে। নজরুল ইসলাম সাধকের মতোই কালীর নামে অসংখ্য গান বেঁধেছেন। এছাড়া গান লিখেছেন আকবর আলি, মির্জা হুসেন আলি, নওয়াজিস খান, হাসন রাজা সহ আরও অনেকে। ‘কালিকমঙ্গল’ লিখেছিলেন শাহ বারিদ খাঁ। মুনসি বেলায়েত হোসেন উৎকৃষ্ট শ্যামাসঙ্গীত রচনার জন্য ‘কালীপ্রসন্ন’ উপাধি পান।  ধর্মের সংকীর্ণ বেড়াজাল ভেঙে তাঁরাও কালীর বন্দনা করেছেন।  
বাংলা শাক্ত পদাবলীর গানে পান্নালাল ভট্টাচার্যের মতো এত জনপ্রিয়তা আর কেউ পাননি। ‘মা আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল সকলি পুরায়ে যায় মা।’ মানব জীবনের কী করুণ আর্তনাদ এই সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে ধ্বনিত হয়েছে। এই যে আমাদের এত লোভ, এত তৃষ্ণা, তা কি সত্যিই কোনওদিন নিবারিত হতে পারে? আকণ্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে মানুষ ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। আর যখন একটু একটু করে আলো নিভে আসে, যখন জীবনের সব সঞ্চয় একটু একটু করে ক্ষয়ে যায়, তখন জীবন প্রদীপের সেই ম্রিয়মান আলোয় আমাদের ক্রন্দনধ্বনি বোধ হয় এভাবেই প্রকাশিত হয়ে ওঠে। মাগো, বাসনার পিছনে ছুটতে ছুটতে সময় তো অতিক্রান্ত, তোমাকে ডাকার সময় পেলাম কই! শ্যামাসঙ্গীত যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের সেই কথোপকথন। সেই কথার মধ্যে সন্তানের অনুযোগই বেশি। ‘মা আমায় ঘুরাবি কত, কলুর বলদের মতো’। ‘যে ভালো করেছো কালী আর ভালোতে কাজ নাই, / ভালোয় ভালোয় বিদায় দে মা আলোয় আলোয় চলে যাই।’ ‘কোন অবিচারে আমার পরে / করলে দুঃখের ডিক্রিজারি?’
তাই এখানে ভগবানের সঙ্গে ভক্তের সম্পর্ক হল আসলে মা ও ছেলের। সব কিছু সাঙ্গ হলে পড়ে থাকে মায়ের চরণ। ভক্ত তখন আকুল স্বরে বলে ওঠেন, ‘আমি কর্মদোষে রইনু বসে পাপের বোঝা শিরে ধরি… /  নে মা কোলে তুলে অভাগারে, দে মা তোর ঐ চরণতরী।’  
30th  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...

মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো করবে তৃণমূল। বিজেপির শাসনকালে সংবিধানের উপর বারবার আঘাত আসছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই খবর মিলেছে জোড়াফুল শিবির থেকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM