Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা কী প্রার্থনা করিব, তাহাই অহরহ পরখ করিতেছি। আজ বলিতেছি খেলা, কাল বলিতেছি ধন, পরদিন বলিতেছি মান— এমনি করিয়া সংসারকে অবিশ্রাম মন্থন করিতেছি— আলোড়ন করিতেছি। কিসের জন্য?— ধর্ম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। তাই দিকে দিকে এখনও রবি ঠাকুরকেই উদ্ধৃত করাটা ফ্যাশন। ছেলেবেলায় পরীক্ষায় রচনা লেখার সময় ওঁকেই কোট করতাম। এখনও তার অন্যথা হচ্ছে না। কে যেন ওই সময় শিখিয়েছিল, রবি ঠাকুরকে কোট করতে পারলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। এখনও আমরা সবাই তাঁকেই অবিকল ছেপে চলেছি। সুবিধাও আছে। কারণ, হেন কোনও বিষয় নেই, যে ব্যাপারে তিনি লিখে যাননি। কিন্তু আজও তিনি একইভাবে সমসাময়িক হয়ে থেকে গেলেন কীভাবে? কারণ একটাই—সমাজ তখন ছিল পেঁয়াজের মতো। আজও তাই। খোলা ছাড়ালেই নতুন দৃশ্য। আর সেই সঙ্গে ঝাঁঝ। তাই বলতেই পারি, রবি ঠাকুরের সময়ের তুলনায় আজ সমাজের ভাঁজ এবং ডিসপ্লে শুধু বদলেছে। চাহিদা বা আদায়ের ঢঙ মোটেও বদলায়নি। প্রথম দিনের সিসি ক্যামেরার দাবি দ্বিতীয় দিনে বদলে হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা, তো তৃতীয় দিনে সচিবকে সরানোর আব্দার। এই দাবিদাওয়া মেটাবে কে? কেন? সরকার মেটাবে! মুখ্যমন্ত্রী মেটাবেন! এই সব চাহিদা তিনি মেটাতে বাধ্য। প্রশাসনের মাথায় বসে আছেন। তাঁর একটা দায়িত্ব নেই? কী এমন কাজ করেন তিনি? বন্যা হলে প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে যান? ধস নামলে কি পাহাড়ে ছুটে গিয়ে সব সামলে আসেন? নাকি ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র আটকে দিলে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান? কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার... এসব তো উৎকোচ! এই যে একটা রাজ্য চলছে... তার বিভিন্ন দপ্তর, ঘরে ঘরে জল, বিদ্যুৎ, আইন-শৃঙ্খলা, নানাবিধ পরিষেবা... এইসব তো এমনিই চলে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী? তাই তাঁর উচিত খবর পাওয়া মাত্র অবস্থান মঞ্চে এসে বসা। সর্বক্ষণ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি শোনা এবং যা তাঁরা বলছেন, তক্ষুণি মেনে নিয়ে অফিসারদের তাড়িয়ে দেওয়া। এমনটা না করলেই তিনি মানব বিরোধী। আর যাঁরা এইসব দাবির দেওয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাটাকে লাটে তুলে দিয়েছেন? তাঁরা সংস্কারক। কর্তব্য পালন করছেন তাঁরা। কীভাবে? বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে রোগী দেখে! ‘ওটি’ করে! 
গুপ্তবাবু যেমন করেছেন। তাঁকে যদি প্রশ্ন করি, ৯ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে ক’টা কাঁটাছেঁড়া করেছেন? গুনে শেষ করতে পারবেন তো? নার্সিংহোমের সংখ্যা তো কমপক্ষে ১২টা। ইনকাম তাহলে কত হয়েছে? আপনারই রেজিস্ট্রেশন নম্বর তো ‘জি’ দিয়ে শেষ হচ্ছে তাই না? তাহলে খুব ভুল করছি না। আর যেমন ডাক্তারিটা মন দিয়ে করেন মালাকার মশাই। তিনি তো শুনছি এই সময়ে শুধু স্বাস্থ্যসাথীতেই ১৬টা কেস করেছেন। যতদূর জানা যাচ্ছে, তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর শুরু হচ্ছে ‘সি’ দিয়ে। আর বলতে পারি শেখ সাহেবের কথা। তিনি আবার কলকাতার নন। দক্ষিণবঙ্গের একটু দূরের জেলার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার (রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাঝে ৫৪ নম্বরটি আছে)। ৫০টিরও বেশি কেস এই দু’মাসে হ্যান্ডল করেছেন তিনি। আয়ের অঙ্কটা? না হয় গোপনই থাক। এঁদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মিল একটা বিষয়ে—এঁরা সবাই হাতিয়ার করেছেন রাজ্যের সাধারণ, গরিব মানুষকে। স্বাস্থ্যক্ষেত্র এমন একটা জায়গা, যার উপর আঘাত এলে কোনও সরকারই চোখ ঘুরিয়ে থাকতে পারবে না। খেটে খাওয়া, গরিব মানুষগুলো প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে সরকারি হাসপাতালের দরজায় হত্যে দেবে। তারপরও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অপারেশনের ডেট পড়লে তা বাতিলও হবে। বলা হবে, ‘সব নর্মাল হলে আসবেন।’ কবে হবে নর্মাল? সেই উত্তর কি দিতে পারবেন? ততদিন ওই গরিব মানুষটার রোগ অপেক্ষা করবে তো? তার প্রাণটুকু থাকবে তো শরীরে? আপনার বাড়ির কেউ মরণাপন্ন হলেও কি একই কথা বলবেন? ‘মা, আর একটু অপেক্ষা করো। সব নর্মাল হলে হাসপাতালে নিয়ে যাব।’ না বলবেন না। তাঁকে আপনি নিয়ে যাবেন বেসরকারি হাসপাতালেই। কারণ, সেখানে কর্মবিরতি নেই। আপনি বা আপনার কোনও সহকর্মী সেই হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত। যে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে হয়, সেটাই ওই নার্সিংহোমে বিল হবে বিশ হাজার টাকার। যে অস্ত্রোপচার পিজি বা মেডিক্যাল কলেজে রাজ্যের প্রথম সারির ডাক্তাররা নিখরচায় করেন, তার জন্য ওই বেসরকারি হাসপাতালে গুনতে হবে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাহলে খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলোকে সত্যিই কি দাবি আদায়ের হাতিয়ার বলা যায়? না শব্দটা আরও নির্দিষ্ট—তাঁরা আজ ‘পণবন্দি’। দাবি মানুন, না হলে স্বাস্থ্য ধর্মঘট। এটা কোনও সুনাগরিকের বক্তব্য হতে পারে? এটা কি থ্রেট কালচার নয়? বাম জমানায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কী আচরণ করা হতো, তা জানার জন্য ইতিহাসবিদ হতে হয় না। একটু খোঁজখবর করলেই জানা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরাধ, তিনি এই আন্দোলনের প্রতি নমনীয়। অভয়া কাণ্ডের বিচার সিবিআই করছে। তাও সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। আর জি করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তভারও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। তাহলে রাজ্য সরকার কোন দাবি পূরণ করবে? মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নির্বাচন? তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী চার মাস সময় চেয়েছেন। আন্দোলনকারীরা তাতেও খুশি নন। এছাড়া তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যসচিবকে সরাতে হবে। কেন? তিনি নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ? সন্দেহ আছে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁর মতো একজন আইএএস অফিসারকে রাজ্য সরকার সরিয়ে দেবে? কাদের কথায়? যাঁরা একদিকে আন্দোলন চালাবেন, আর অন্যদিকে ‘পণবন্দি’ গরিব রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করবেন? 
বাম জমানার শেষের দিকেও কখনও সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছেন? আর ইদানীং? ফারাক কি কিছু চোখে পড়েছে? রোগীর চাপ তখনও ছিল। এখনও আছে। কিন্তু পরিকাঠামো, চিকিৎসা ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি... বদল এসেছে। সেটা দেখার জন্য কোনও পার্টির চাদর গায়ে জড়াতে হয় না। বরং নিরপেক্ষ চোখ লাগে। আর দালালরাজ। সেটা সব জমানাতেই ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে। তার জন্য দায়ী আমরাই। মুর্শিদাবাদ বা পুরুলিয়া থেকে প্রথমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এসে রোগীর পরিজন মাঝসমুদ্রে পড়েন। কোথায় যাবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন, ভর্তির জন্য কী করতে হবে... কূল পান না তাঁরা। ওই রোগীর বাড়ির লোকজনই তখন খুঁজে বের করেন দালাল। দুটো পয়সা নিক, কিন্তু কাজটা হয়ে যাবে। সেই দালাল কিন্তু বোড়ে মাত্র। ওই চেইনটা পাড়ি দেয় উপরতলা পর্যন্ত। কর্তৃপক্ষ হতে পারে, রোগী কল্যাণ সমিতি, বা ইউনিয়ন। নির্বাচিত ইউনিয়ন বা রোগী কল্যাণ সমিতিতে প্রতিনিধিত্ব থাকলে এই সবই থাকবে হাতের মুঠোয়। সবচেয়ে বড় কথা, তা যদি শাসক দলের না হয়, তাহলে তো পোয়া বারো। সরকার অপছন্দের কোনও নির্দেশিকা জারি করলে তার বিরোধিতা করা যাবে সরকারিভাবেই। দাবি না মানলে? ‘পণবন্দি’ গরিব রোগীগুলো তো আছেই! আর সঙ্গে আছে নাগরিক সমাজ নামে তথাকথিত এলিট ক্লাসের একটা অংশ। তারা কোনওদিন সরকারি হাসপাতালে যাবে না, টিকিট কেটে ওপিডির লাইন দেবে না, অপারেশনের ডেট পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষাও করবে না। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি অস্ত্রে শান দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করবে। তারা এটাও ভাববে না, ফেবু করে বাংলায় অন্তত ভোট প্রভাবিত করা যায় না। জনমতও তৈরি হয় না। কারণ, সমাজের খেটে খাওয়া যে শ্রেণির ভরসায় আমরা ফুটানি মারি, তারা কিন্তু এই আন্দোলনকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারাই। সরাসরি। আর ‘পণবন্দি’ ওই শ্রেণিটাকে সামনে রেখে সরকার-মন্থন চলছে। অমৃত যা মিলবে, তাদের। আর বিষ? সেটা কে পান করবে? অমৃত বেরলে তো বিষ আসবেই। এটাই নিয়ম। এটাই ভবিতব্য। সংসারের ব্যালান্স। সেই বিষও কিন্তু সমাজকেই পান করতে হবে। যাঁরা আজ অনশন করছেন, আন্দোলনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন, তাঁদের অধিকাংশই সৎ। নিজেদের দায়িত্বের এবং কর্তব্যের প্রতি তাঁদের আস্থা আছে। সমাজে একটা ইতিবাচক দাগ রেখে যাওয়ার চেষ্টাও হয়তো করছেন তাঁরা। কিন্তু বুকে হাত রেখে বলুন তো, সাধারণ মানুষকে ‘পণবন্দি’ বানিয়ে এই আন্দোলনের সুফল ভোগ করা যাবে তো? আপনারা কিন্তু গুটিকয়। ওই বোড়ের মতোই। আসল নেপথ্যচারীরা আপনাদের সামনে রেখেই স্বার্থসিদ্ধি করছেন এবং করবেন। কেউ কাইন্ডে। আবার কেউ ক্যাশে। কেউ আবার ভবিষ্যতে রাজনীতির মূলস্রোতে যাবেন। তারই ভিত মজবুত করা চলছে। অভয়ার দোষীদের শাস্তি হোক। দুর্নীতি থাকলে তদন্ত হোক। ব্যবস্থা নিক সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের যন্ত্রণার বিনিময়ে নয়। আন্দোলন আপনাদের। পথ আপনারাই বের করবেন। সেই পথে সততা থাকলে, সেই পথ ক্ষতিকর না হলে মানুষও আপনাদের পাশে থাকবে। তার জন্য কোনও রাজনীতির ঝান্ডা লাগবে না। সরকার হাত জোড় করবে। কিন্তু জোড়হাত হতে হবে আমাদেরও। প্রত্যেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারলে সিংহাসনে জোর খাটে না... ‘রাজারও না, প্রজারও না।’ এই শিক্ষাটাও তো ‘মুক্তধারা’য় রবি ঠাকুরই দিয়ে গিয়েছেন। রাজাকে। প্রজাকেও।
22nd  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
চমকে ভরা আইপিএলের রিটেনশন তালিকা। গত মরশুমের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে রাখল না দিল্লি ক্যাপিটালস। চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও ছেড়ে দিল অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নিলামেই ভাগ্য ঠিক হবে লোকেশ রাহুলের। ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...

ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় তিন রেলকর্মীকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি আদিত্যকুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ। ...

মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM