Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। তবে, সিপিএমের সেই নীতিহীন, সুবিধাবাদী জোটকে রাজ্যবাসীই প্রত্যাখ্যান করে শূন্যে নামিয়ে দিয়েছিল। এবার সিপিআই(এমএল)-এর হাত ধরেছে। তাতেই স্পষ্ট হল, গদিতে বসার ছটফটানি বিন্দুমাত্র কমেনি, উল্টে আরও তীব্র হয়েছে। 
অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলায় তৈরি হয়েছিল গণআন্দোলন। তা থেকে বিজেপি যাতে ফায়দা তুলতে না পারে, তারজন্য গোড়া থেকেই সতর্ক ছিল চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা গেরুয়া শিবিরকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেননি। কিন্তু বামেদের প্রতি তাঁদের দুর্বলতাও চাপা থাকেনি। আর জি কর কাণ্ডে সিপিএম বুঝিয়ে দিয়েছে, ভিত্তিহীন বিষয়কে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলায় বিজেপির চেয়েও তারা অনেক এগিয়ে। 
২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর যে হতাশা বাম শিবিরকে গ্রাস করেছিল আর জি কর কাণ্ড সিপিএমকে তা থেকে কিছুটা বের করে এনেছে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে প্রশাসনকে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা বঙ্গ বিজেপির চেয়ে সিপিএমের যে বেশি, সেটাও প্রমাণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন হতে চলেছে। 
ফলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি হল কি না, তা যাচাইয়ের একটা সুযোগ বামেদের সামনে এসেছিল। কিন্তু সিপিএম চ্যালেঞ্জটা নিল না। উল্টে সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলল। 
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোট কমে ২৩ শতাংশ, আর বামেদের বেড়ে ১৩.২ শতাংশ হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আবার বামেরা ছিল বিজেপির থেকে অনেকটা এগিয়ে। ভোট বৃদ্ধিতে খুশি সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী দলীয় মুখপত্রে লিখেছিলেন, ‘দম ধরে রাখতে হবে, খেলা ঘুরছে।’ খেলা ঘোরানোর একটাই ফর্মুলা, রামে যাওয়া ভোট বামে ফেরানো। তারজন্য দরকার ছিল বিজেপি বিরোধী আক্রমণ তীব্র করা। কিন্তু সিপিএম সে রাস্তায় না হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ করে বিজেপিরই সুবিধে করে দিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপি বুঝেছে, সিপিএমের ভোট আরও টানতে না পারলে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া অসম্ভব। আর রামের ভোট বামে ফিরলে তো সর্বনাশ। তাই আর জি কর ইস্যুতে বামেদের মিছিলে ভিড় বাড়তেই সিপিএমকে আক্রমণ তীব্র করেছে বিজেপি। সিপিএমের হিন্দু ভোটকেই তারা টার্গেট করেছে। 
২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বামফ্রন্টকে উৎখাত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই ২০১৬ সালে জোট করেছিল সিপিএম। সেটা বামপন্থায় বিশ্বাসী শিক্ষিত লোকজন মানতে পারেননি। পরবর্তীতে কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে কর্মসূচি নেওয়ায় জোটের ভিত মজবুত হতে থাকে। উভয় দলের কর্মীদের মধ্যে বোঝাপড়াও তৈরি হয়। ঠিক তখনই ফাটল ধরল বাম-কংগ্রেস জোটে। উপ নির্বাচনে কংগ্রেসকে ছেড়ে নকশালদের হাত ধরল সিপিএম। তাতে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে জন্ম হল এক নতুন সমীকরণের।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শুভঙ্কর সরকারকে প্রদেশ সভাপতি করাতেই কি সিপিএম বুঝে গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকে তারা আর পাশে পাবে না! তাই কি তারা ‘ঠেকনা’ পাওয়ার আশায় নৈহাটির আসনটি নকশালদের ছেড়ে দিল? নাকি এর পিছনে আছে অন্য অঙ্ক?
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সিপিএম নানাভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারজন্য নীতি বিসর্জন দিয়ে কখনও কংগ্রেসের, কখনও আইএসএফের হাত ধরতে কুণ্ঠা করেনি। তবে, তাতে কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু আর জি কর ইস্যুতে এই প্রথম তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুটা হলেও বেগ দিতে সক্ষম হল। আর সেটা হয়েছে অতিবামেরা তাদের পাশে থাকায়। অতিবামেরা পাশে ছিল বলেই উৎসবের মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ও ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করার আগুনে ফুঁ দেওয়ার বল পেয়েছে। 
ইতিহাস বলছে, সিপিএম যখনই কোণঠাসা হয়েছে, তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যাকে প্রয়োজন মনে করেছে, তার সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে। নীতিনৈতিকতার ধার ধারেনি। ১৯৯৮ সালে ‘গণরোষে’র জেরে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতারা গ্রামছাড়া হয়েছিলেন। পুলিস অনেক চেষ্টা করেও গ্রামের দখল ফিরিয়ে দিতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ২০০০ সালে মাওবাদী ও পুলিসের যৌথ প্রচেষ্টায় গ্রামের দখল নিয়েছিল সিপিএম। শর্ত ছিল, গড়বেতার সন্ধিপুর অঞ্চলে নকশালদের সংগঠন করতে দেবে সিপিএম। যদিও সেই শর্ত পরে সিপিএম মানেনি। তারজন্য উভয়ের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। পরবর্তীতে জঙ্গলমহল অশান্ত হওয়ার কারণ নাকি সেটাই বলে অনেকে মনে করেন।
এই উপ নির্বাচনের ফলের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে না। তবে, এই উপ নির্বাচন ছাব্বিশে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের জল্পনা উস্কে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছে, সিপিএমের হাত ছেড়ে দেওয়ায় ছাব্বিশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আর বাধা রইল না। তবে, এরপরেও 
সিপিএম ফের কংগ্রেসের হাত ধরে ছাব্বিশে শূন্যের গেরো কাটাতে চাইলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার অবশিষ্টটুকুও থাকবে না।
তৃণমূল এ রাজ্যের ক্ষমতায় টানা প্রায় ১৩ বছর রয়েছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি রয়েছে প্রায় সাড়ে দশ বছর। ক্ষমতায় থাকলে নানা কারণে শাসক দলের বিরুদ্ধেই অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর কাজ করে। এ রাজ্যে বহু মানুষেরই উভয় দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা শাসক হিসেবে কোনও দলকেই হয়তো চান না। কিন্তু তাঁদের সামনে বিকল্প নেই। তাঁরা মনে করেন, বামেদের ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা। তাই বিজেপির উপর যাঁরা বিরক্ত তাঁরা বাধ্য হয়ে তৃণমূলকে ভোট দেন। আবার তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধরা বিজেপিকে ভোট দিতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে সিপিআই(এমএল) কি আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে পারবে? পারলে বাংলার রাজনীতির চাকা হয়তো অন্যভাবে ঘুরবে।
সিপিএমের মতো সিপিআই(এমএল)-এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে ছুঁতমার্গ নেই। সিপিআই(এমএল)-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নানা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএম সবসময় তৃণমূলকে বাইরে রাখার পক্ষে। কিন্তু দীপঙ্করবাবু বারবার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণের অভিমুখ ঘোরানো হোক ‘বড় বিপদ’ বিজেপির দিকে। কিন্তু সিপিএম সব সময় তাঁর এই লাইনের বিরোধিতা করেছে। 
সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘কেউ যদি বলেন, বিজেপিকে পরাস্ত করতে গেলে তৃণমূল সহ সকলকে নিয়ে চলতে হবে, সেটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’ এ হেন সিপিএম উপ নির্বাচনে আসন সমঝোতা করল সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা তো দূরের কথা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে গেলেও তাদের ‘ঠেকনা’ লাগে। কংগ্রেস সরে যাওয়ায় সিপিআই(এমএল)কে ‘ঠেকনা’ বানাতে চাইছে সিপিএম।
তবে, নকশাল শব্দটি বাংলার আম জনতা খুব একটা পছন্দ করে না। কারণ এখনও অনেকে মনে করেন, নকশাল মানেই খুনোখুনি। বিশৃঙ্খলা, হটকারিতা... আরও অনেক কিছু। তবে, তা সবটাই শোনা ও বইয়ে পড়া। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এই প্রজন্মের নেই। ফলে নাক সিঁটকানো থাকলেও সক্রিয় বিরোধিতার জায়গাটা তৈরি হয়নি। উল্টে অতিবামের প্রতি যুবসমাজের একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। তার উপর রাজ্যপাট না চালানোয় ক্ষমতায় থাকার ‘কাদা’ তাদের গায়ে নেই। সেটা জনসমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে সিপিআই(এমএল)-এর একটা বাড়তি সুবিধা।
সিপিএম নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই বাংলায় বিজেপি আজ প্রধান বিরোধী দল। তা সত্ত্বেও রাজ্যের বহু শিক্ষিত ও গরিব মানুষ বামপন্থায় বিশ্বাসী। কিন্তু তাঁরা দিশেহারা। নেতৃত্ব প্রদানে যোগ্যতার প্রমাণ দিলে তাঁদের সমর্থন যাবে সেদিকেই। তাতে বদলাতে পারে পরিস্থিতি। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিআই(এমএল)। বাংলাতেও কি তারা সেই লক্ষ্যেই এগতে চাইছে? উদ্দেশ্য সেটা হলে বলতেই হবে, মমতা ব঩ন্দ্যোপাধ্যায়কে টাইট দিতে গিয়ে সিপিএম নিজেদের সর্বনাশের রাস্তাটা নিজেরাই তৈরি করে দিল।
26th  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো করবে তৃণমূল। বিজেপির শাসনকালে সংবিধানের উপর বারবার আঘাত আসছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই খবর মিলেছে জোড়াফুল শিবির থেকে। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...

চমকে ভরা আইপিএলের রিটেনশন তালিকা। গত মরশুমের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে রাখল না দিল্লি ক্যাপিটালস। চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও ছেড়ে দিল অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নিলামেই ভাগ্য ঠিক হবে লোকেশ রাহুলের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM

দিল্লির রঘুবারপুরায় একটি আবাসনে আগুন, অকুস্থলে দমকল

09:32:00 PM