প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
যখন পরিকল্পনা করে বিশেষ কোনও রং দিয়ে একজন মানুষ ঘর সাজানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন এর পেছনে কোনও না কোনও গল্প থাকে। ছোটবেলায় উপহার পাওয়া কোনও জামার রং হয়তো বিশেষভাবে তাঁর মনে গেঁথে আছে, অনেকেই হয়তো সেই রঙের ব্যবহার ঘরে করতে চান। আবার প্রকৃতির কোনও প্রিয় রং আপনার মনকে বরাবরই ভালো করে দেয়। সেই রঙে অনেকেই সাজিয়ে তোলেন ঘর। এই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই মানুষ এখন ঘরের রং নির্বাচন করে থাকেন।
বিশিষ্ট স্থপতি ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার র্যামন জনাথন জানিয়েছেন, ঘরে বা আসবাবে কোন রং ব্যবহার করবেন, সে বিষয় নিয়ে তাঁরা প্রথমেই ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলেন। সাধারণত সেই মানুষ কেমন পরিবেশে বড় হয়েছেন, তা জানতে চান। ছোটবেলায় বেড়ে ওঠা পরিবেশ মানুষের মনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। সেই গল্প জানতে পারলে ঘর সাজানোর কাজও অনেক সহজ হয়ে ওঠে বলে জানান এই স্থপতি। ‘যেমন আমরা দেখেছি, গ্রাহকের ছোটবেলা যদি প্রকৃতির মধ্যে কেটে থাকে, তাহলে সে সবুজ বা নীল রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আবার সম্প্রতি আমরা একটা বাড়ির অন্দরসজ্জা করেছি, যেখানে ছোটবেলা থেকেই সেই শহরে বেড়ে উঠেছে ক্লায়েন্ট। সে জন্য তার ধূসর রঙের প্রতি রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তার বাড়িজুড়েই এই রঙের প্রাধান্য রেখেছে।’ তবে স্থপতি ও অন্দরসজ্জাবিদ হিসেবে প্রাথমিকভাবে অন্দরে কিছু রং ব্যবহারের ব্যাপারে তাঁরা দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এই যেমন কমলা রঙের ব্যবহার শুধু লিভিং এরিয়ায় করা ভালো। বিশ্রামের জায়গায় সবুজ বা নীলরঙের ব্যবহার করতে পারেন। এই ঘরে হলুদ বা লাল রঙের ব্যবহার একেবারেই করা যাবে না। আসবাবের ক্ষেত্রেও একই কথা। ঘরের মূল অনুষঙ্গে এভাবেই প্রাধান্য পেতে পারে আপনার পছন্দের ও ভালো লাগার সব রং।