প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
তুলসী পাতার ক্বাথ: তুলসী পাতা প্রাকৃতিক অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সমৃদ্ধ। ৮টি, ১০টি বা ১৫ টি তুলসী পাতা দুই কাপ জলে সেদ্ধ করে অর্ধেক করে ক্বাথ বানিয়ে নিতে হবে। এমন, ক্বাথ সারা দিনে ২-৩ বার পান করলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
আদা ও মধু: আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে। আদার রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ বার সেবন করলে জ্বর ও ঠান্ডার উপসর্গের উপশম হয়।
গোলমরিচ ও হলুদ দুধ: গোলমরিচ এবং হলুদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিভাইরাল গুণাবলি থাকে। এক চিমটি গোলমরিচ এবং হালকা এক গ্লাস গরম দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত আরোগ্য প্রাপ্তিতে সহায়ক।
জিরে: জ্বরে অরুচি ফেরাতে সামান্য সঠিক পরিমাণে জিরে ও সৈন্ধব লবন ফোটানো জল পান বিশেষ উপকারী।
ধনে গুঁড়ো: ধনিয়া ফোটানো জলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
বাসক ও রামবাসক: বাসকের বা রামবাসকের পাতার রস অথবা পাতা সেদ্ধ জল ভাইরাল জ্বরের চিকিৎসায় ভীষণ উপাদেয়।
গুলঞ্চ: গুলঞ্চ কাণ্ডের রস, কাণ্ড সেদ্ধ জল (ক্বাথ ) বয়স অনুযায়ী খেলে জ্বরের প্রভাব থেকে দ্রুত মুক্তি ঘটে।
পটল: পটল গাছের কাণ্ড সেদ্ধ জল বা ক্বাথ সেবন জ্বর কে দ্রুত নিরাময় ঘটায়।
পথ্যের প্রয়োগ: জ্বরের শুরুতেই উপবাস অন্তত ১২ঘন্টায়, শুধুমাত্র সামান্য হালকা গরম জল পান করা উচিত, ক্রমে ক্রমে মুগডালের স্যুপ, খই, পটলের স্যুপ ইত্যাদি লঘু পথ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের স্মরণে রাখা প্রয়োজন, আমাদের শরীরে প্রতিটি ঋতু অনুযায়ী নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে। আমাদের প্রত্যেকের সুস্থ থাকতে গেলে ওই নির্দিষ্ট ঋতুর উপচার, অর্থাৎ ঋতুর উপযুক্ত খাদ্য, পানীয় গ্রহণ ও অন্যান্য নিয়ম সঠিক ভাবেই পালন করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গ্রীষ্মকাল ছাড়া অন্যান্য ঋতুতে দুপুরে ঘুম নিষিদ্ধ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে নিয়মগুলি যথাযথ পালন করলে তবেই একজন ব্যক্তি সুস্থ থাকতে পারবেন।
মনে রাখবেন: এই ঘরোয়া সমাধানগুলো সাধারণত ভাইরাল জ্বরের উপশমে সহায়ক, তবে যদি জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হয় বা উপসর্গগুলো গুরুতর হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।