প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এক গাঁট হলুদ কথাটি একটি বিভ্রান্তিকর। সেক্ষেত্রে আমরা ২ থেকে ৩ গ্রাম হলুদ খাওয়ার কথা বলতে পারি। হলুদ তা সে কাঁচাই হোক বা রান্নায় ব্যবহৃত গুঁড়ো হলুদ— দুইভাবেই হলুদ একজন ব্যক্তির সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
খালি পেট নাকি ভর্তি পেট?
যেভাবেই হলুদ খান তা উপকারে আসবে। এমন কোনও বজ্রকঠিন বিধিনিষেধ নেই যে একেবারে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে হলুদ খেতে হবে। নানা সময়েই দেখা গিয়েছে খালি পেটে হলুদ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। অতএব সকালে ব্রেকফাস্টের পরেও হলুদ খেতে পারেন।
হলুদ কীভাবে শরীরের উপকার করে
হলুদ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। এছাড়া হলুদে রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি। ফলে খাদ্যের মাধ্যমে নিয়মিত হলুদ খেলে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ দূরে থাকে।
আমরা কথায় কথায় নিম হলুদ মাখার কথা বলি। আসলে নিম এবং হলুদ উভয়ের মধ্যেই রয়েছে অত্যন্ত জরুরি জীবাণুনাশক গুণ।
গুড় হলুদের কেরামতি
শুধু হলুদ খাওয়া অনেকের পক্ষেই যন্ত্রণাদায়ক। হলুদের স্বাদ অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে হলুদের সঙ্গে একটু গুড় মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। হলুদ আমাদের লিভারকে রক্ষা করে। মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়।
মাংসের মধ্যে অনেকখানি মাত্রায় ফ্যাট থাকে। নিয়মিত মাংস খেলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে হলুদ মেশানো হলে শরীরে কোলেস্টেরল মিশে যাওয়ার মাত্রা কমে।
হলুদে আছে সক্রিয় কারকিউমিন। কারকিউমিন ফ্যাট সলিউবল। অর্থাত্ রান্নার তেলে খুব সহজেই মিশে যায়। তাই পুষ্টিগুণ নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন নেই। যেভাবেই খান না কেন উপকার হবেই।
ত্বকে হলুদ
চন্দন, হলুদ, মধু, সামান্য তুলসী পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখা যায়। এই পেস্ট ব্রণ, কালো ছোপ, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি অ্যালার্জিক হলুদ
ঋতু পরিবর্তনের বেলা এখন। এছাড়া সামনেই শীতকাল। ফলে অ্যালার্জি জনিত হাঁচি, কাশি, সর্দি অনেকের শুরু হবে। এছাড়া অনেকের ধুলোতেও থাকে অ্যালার্জি। নিয়মিত হলুদ খেলে সেই অ্যালার্জির প্রকোপও কমতে থাকে।
দুধ-হলুদ
বহু যুগ ধরে দুধ হলুদ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে সহজ হয় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও উজ্জীবিত হয়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি পায়।
সুগার রোগীর জন্য
সমান পরিমাণে কাঁচা হলুদ ও আমলকী নিয়ে খান। প্রতিদিন খেতে পারলে ভালো। না হলে একদিন অন্তর খান। সুগার কমবে। কমবে ওবেবিটি। এই দাওয়াই অ্যালার্জি কমাতেও কাজে আসবে।