কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
বাংলা: বাংলা ভাষায় মোট বর্ণের সংখ্যা ৫০টি। যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ (‘৯’ বর্তমানে বাদ গিয়েছে) এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ২৮ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন।
ইংরেজি: বিশ্বের অন্যতম যোগাযোগ রক্ষাকারী এই ভাষায় বর্ণের সংখ্যা ২৬। এর মধ্যে ‘এ’, ‘ই’, ‘আই, ‘ও’, ‘ইউ’— এই পাঁচটি স্বরবর্ণ (Vowel) এবং বাকিগুলি ব্যঞ্জনবর্ণ (Consonant)।
তামিল: তামিল ভাষায় মূল বর্ণ রয়েছে ৩১টি। তবে যুক্তাক্ষর ধরলে সেখানে আরও ২১৬টি বর্ণ যুক্ত হয়। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২৪৭। বিশ্বের যে কোনও ভাষার থেকে সবচেয়ে বেশি বর্ণ রয়েছে দক্ষিণ ভারতের এই ভাষায়।
খামের: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন দেশগুলির মধ্যে অন্যতম কম্বোডিয়া। খামের সংস্কৃতি যেমন শতাব্দী প্রাচীন, তাদের ভাষাও খুব সমৃদ্ধ। খামের ভাষায় ৭৪টি বর্ণ আছে। যার মধ্যে ৩৫টি ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১৪টি স্বরবর্ণ। বাকি বর্ণগুলি যুক্তবর্ণ। তবে ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে ৩৩টি এখন ব্যবহৃত হয়। দু’টি বর্ণের কোনও ব্যবহার নেই।
থাই: থাইল্যান্ডের ভাষার নাম থাই। থাই ভাষায় সব মিলিয়ে ৭০টি বর্ণ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১৫টি স্বরবর্ণ। এই দুই বর্ণ মিলিয়ে বেশ কিছু যুক্তাক্ষরও তৈরি হয়।
মালয়ালম: দক্ষিণ ভারতের কেরলে মালয়ালম ভাষার প্রচলন রয়েছে। এই ভাষায় মোট ৫৮টি বর্ণ, যার মধ্যে ১৩টি স্বরবর্ণ এবং ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ। আর ন’টি অন্ত্যচিহ্ন আছে। ওই অঞ্চলের ছোট ছোট বেশ কয়েকটি ভাষাও মালয়ালম অক্ষরেই লেখা হয়।
তেলুগু: অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মুখ্য ভাষা তেলুগু। কন্নড় ভাষার সঙ্গে তেলুগু লিপির বহু মিল আছে। কারণ, দু’টি ভাষারই সৃষ্টি একই জায়গা থেকে। সব মিলিয়ে ৫৬টি বর্ণ আছে এই ভাষায়।
সিংহলি: শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রভাষার নাম সিংহলি। অসামান্য সুন্দর এই ভাষার অক্ষর বিন্যাস। সব মিলিয়ে বর্ণের সংখ্যা ৫৪। এই ভাষাতেও সংযুক্ত বর্ণের প্রচলন আছে।
কন্নড়: দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি ভাষার মধ্যে একটি কন্নড়। কর্ণাটকের মানুষ মূলত এই ভাষায় কথা বলেন। কন্নড় ভাষায় ১৩টি স্বরবর্ণ আছে। কন্নড়ে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ৩৬। তবে তার মধ্যে অনুস্বর ও বিসর্গ নেই।
হিন্দি: হিন্দি ভাষাতে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৩টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। হিন্দি লিপির উৎপত্তি দেবনাগরী থেকে। ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের ভাষা হওয়ায় হিন্দি ভাষায় সংস্কৃতের প্রভাব বেশি দেখা যায়।
হাঙ্গেরিয়ান: লাতিন বর্ণমালা থেকেই হাঙ্গেরিয়ান বর্ণমালার উৎপত্তি। রোমান বর্ণমালার এ থেকে জেড ছাড়াও এই বর্ণমালায় আরও বেশ কিছু অক্ষর দেখতে পাওয়া যায়। এই ভাষায় মোট বর্ণ সংখ্যা ৪৪।
ম্যান্ডারিন: পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলেন ম্যান্ডারিনে। এটি চীন দেশের ভাষা। প্রথাগতভাবে ম্যান্ডারিনে কোনও বর্ণমালা নেই। তবে, এখানে পিনয়িন নামক লাতিন বর্ণমালার পরিবর্তিত সংস্করণ রয়েছে। যেখানে রয়েছে ২৬টি বর্ণ।
জাপানি: এই ভাষায় দু’ধরনের বর্ণমালা রয়েছে— হিরাগানা ও কাতাকানা। দু’টি বর্ণমালাতেই ৪৬টি বেসিক ক্যারেক্টার আছে। এছাড়াও এই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রচলিত রয়েছে কাঞ্জি বর্ণমালা।