মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
হাতেখড়ি অনুষ্ঠানটা যদিও সরস্বতী পুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তবুও এই নিয়ে ম্যাজিক যে কোনও সময়ই দেখানো যায়। অনেক অভিভাবকই শিশুকে স্কুলে ভর্তির আগে হাতেখড়ি দেওয়ান। তখন আর এই অনুষ্ঠানের অমন দিনক্ষণ নির্দিষ্ট থাকে না। যাই হোক, এই সপ্তাহে হাতেখড়ি নিয়েই একটা মজার ম্যাজিক শেখালেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তাঁর হাতে একটা স্লেট। যার একদিকে লেখা অন্য দিকটি ফাঁকা। জাদুকর তোমাদের সামনে স্লেট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখালেন। তারপর খালি দিকে ‘অ আ ই ঈ...’ লিখে দিলেন। এবার স্লেটের দুই দিকেই লেখা হয়ে গেল। তারপর তিনি স্লেটটা একটা খবরের কাগজে মুড়ে ফেললেন। কাগজে মোড়া স্লেট সবার সামনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখালেন এবং তার উপর ম্যাজিক মন্ত্র পড়ে নিলেন। এরপর যেই না কাগজের মোড়ক খুললেন অমনি তোমরা অবাক হয়ে দেখলে স্লেটের একদিকে লেখা যেমন ছিল তেমনই আছে, কিন্তু অন্যদিকে লেখা মুছে গিয়ে সেখানে ‘হাতেখড়ি’ লেখা হয়ে গিয়েছে।
এই পুরো ব্যাপারটাই কিন্তু চোখের খেলা। ম্যাজিকটা শিখে নিলে দেখবে খুব সহজেই তা দেখানো সম্ভব। তার আগে জেনে নাও এই ম্যাজিকের জন্য কী কী লাগবে।
ম্যাজিকের উপকরণ: দুটো স্লেট— একটি ফ্রেম বন্দি, অন্যটা ফ্রেম থেকে খোলা। একটা চক, একটা বড় খবরের কাগজ। ম্যাজিকের পদ্ধতি: ফ্রেমওয়ালা স্লেটের একদিকে লিখে নাও। অন্য দিকে রঙিন চক দিয়ে ‘হাতেখড়ি’ লেখা থাকবে। আর ফ্রেম ছাড়া স্লেটটা খালি থাকবে। এবার এই স্লেটটা ফ্রেমের উপর এমনভাবে বসাতে হবে যাতে দুটো মিলিয়ে একটাই স্লেট মনে হয়। তারপর তা সাবধানে ধরে সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখাও। যেন মনে হয় স্লেটের একদিকে লেখা এবং অন্যদিক ফাঁকা। ফাঁকা অংশটার উপর দর্শকের সামনে অ আ... লিখে নাও। দর্শক দেখবে স্লেটের দু’দিকেই দু’রকম অক্ষর লেখা। এরপর তা কাগজে মুড়ে নাও। তারপর ম্যাজিক মন্ত্র পড়ে কাগজ খুলে এমনভাবে স্লেট বার করতে হবে যাতে তোমাদের হাতে শুধুই ফ্রেমে লাগানো স্লেট উঠে আসে। অন্য স্লেটটা কাগজের মোড়কের ভেতরেই থেকে যাবে। এবার যখন দর্শকের সামনে এই ফ্রেমওয়ালা স্লেট দেখাবে তখন তারা অবাক হয়ে দেখবে স্লেটের একদিকে যেমন লেখা ছিল, তেমনই আছে। কিন্তু অন্য দিকটায় ‘অ আ ই ঈ...’-এর বদলে ‘হাতেখড়ি’ লেখা ফুটে উঠেছে।