বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
ম্যাজিক ১
একটা বড় বেলুন। তার গায়ে গোটা গোটা হরফে লেখা ইকনমিক্স। আর তার পাশে সার দিয়ে রাখা রয়েছে সাত খানা আলপিন। সেগুলোর সঙ্গে স্টিকার লাগানো। এক-একটিতে একেক রকম স্টিকার। কোনওটায় লেখা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, কোথাও বা শেয়ার, কোথাও লেখা গভর্নমেন্ট রিলিফ বন্ড, কোনও পিনের গায়ে লেখা ফিক্সড ডিপজিট, কোথাও বা আরবিআই বন্ড, কোনটায় আবার লেখা মান্থলি ইনকাম স্কিম, কোথাও লেখা ফোরেক্স ট্রেডিং। এবার তোমাদের ম্যাজিকের বিষয়টা বুঝিয়ে দিলেন ম্যাজিশিয়ান। বললেন, আমাদের অর্থনীতি হল এই বেলুন। তা এতই পোক্ত যে, বিভিন্ন ধরনের ‘অর্থনৈতিক ছাতা’ খোলা যায় সেখান থেকে। তিনি আরও বললেন, এই বেলুনটা হল অর্থনীতির প্রতীক। আর আলপিনগুলো সেই অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা ছাতা। কিন্তু পোক্ত অর্থনীতি বলেই আলপিন গাঁথলে, তা ছাতার মতো খুলে যায়, কিন্তু বেলুন ফাটে না। তোমরা তো মনে মনে হাসছ। ভাবছ তাও আবার হয় নাকি! ম্যাজিশিয়ান কিন্তু হাতেকলমে দেখিয়ে দিলেন ম্যাজিকটা। পর পর সাত-সাতটা আলপিন গোঁজার পরেও ফাটল না বেলুনখানা। তোমরা অবাক চোখে দেখলে ম্যাজিকের মহিমা।
পদ্ধতি: ম্যাজিকটা কিন্তু শুধুই চোখের খেলা। আর তা করাও ভীষণ সহজ। এর জন্য লাগবে একটা বড় বেলুন, একটা সেলোটেপ আর স্টিকার লাগানো সাতটা আলপিন। এবার বেলুনটা ফুলিয়ে নিতে হবে সবার অলক্ষে। তারপর তার মাঝ বরাবর আড়াআড়িভাবে তার গায়ে চওড়া করে সেলোটেপ লাগিয়ে দিতে হবে। এবার ওই সেলোটেপের ওপর এক ধাক্কায় পিনগুলো একে একে বিঁধিয়ে দিতে পারলে দেখবে বেলুন ফাটবে না, অথচ আলপিন বেলুনের গায়ে গেঁথে যাবে। কিন্তু সাবধান বারবার একই পিন বেঁধাতে গেলে কিন্তু গণ্ডগোল অবধারিত।
ম্যাজিক ২
এটা অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের থিওরি অব এইটথ ওয়ান্ডারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আইনস্টাইন বলেছিলেন, একটা পাঁচ টাকার কয়েক যদি লগ্নি করা যায় তাহলে ৩০ বছরে চক্রবৃদ্ধি সুদে তা বেড়ে ১ লক্ষ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দেখালেন, তিন মিনিটে ৫ টাকার কয়েন ম্যাজিক মারফত তিন গুণ হয়ে ১৫ টাকায় দাঁড়াল। অবাক লাগছে তো? তাহলে কৌশলটা বলেই দিই।
পদ্ধতি: এই ম্যাজিকটা করতে গেলে প্রথমেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের থিওরিটা ভালো করে পড় নাও। কারণ তা গল্পের মতো বলতে শিখতে হবে। তাছাড়া লাগবে একটা পিগি ব্যাঙ্ক, তিনটে পাঁচ টাকার কয়েন আর দু’টুকরো বোথ সাইড টেপ। পিগি ব্যাঙ্কের নীচে সমান করে দু’টো বোথ সাইড টেপ লাগিয়ে নাও। তারপর সেই টেপের সঙ্গে দুটো পাঁচ টাকার কয়েন লাগিয়ে দাও। এবার অন্য পাঁচ টাকার কয়েনটা এক হাতে নাও আর পিগি ব্যাঙ্কটা ধরো অন্য হাতে। খেয়াল রেখো, দর্শক যেন নীচে লাগানো কয়েনগুলো দেখতে না পায়। এরপর হাতের পাঁচ টাকার কয়েনটা পিগি ব্যাঙ্কে ফেলে দাও। তারপর হাত নেড়ে আইনস্টাইনের থিওরির গল্পটা রসিয়ে রসিয়ে বলতে শুরু করো আর একইসঙ্গে পিগি ব্যাঙ্কের নীচে লাগানো কয়েনগুলো সবার অলক্ষে খুলে তা পিগি ব্যাঙ্কের ভেতর ফেলে দাও। হাত সাফাইয়ের কাজটা শেষ হলে দর্শক আসন থেকে একজনকে ডেকে পিগি ব্যাঙ্কটা খুলতে বলো। সে খুলেই অবাক হয়ে দেখবে একটা কয়েন বেড়ে তিনটে হয়ে গিয়েছে!