Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি।
‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’
‘কেন এলি? জানিস না তোর আসা বারণ?’ গলা নামিয়ে বলল ছবি মাসি, ‘আর এমন দিনে এলি যে, দিদিমা বাড়িতে নেই?’
‘দিদুন বাড়ি নেই? যাহ। তাহলে কি হবে? দিদুন থাকলে মামি যতই রাগ করুক ঢুকতে দিতে হতোই।’
ছবি মাসি রান্নাঘরে ঢুকে গেল। দরজা খুলে রেখেই গিয়েছে । মুখের ওপর বন্ধ করে দেয়নি। হয়তো মায়া হয়েছে। বাবলার জন্মের পর এই ছবিমাসিই নাকি তেল মালিশ করত রোজ। বাড়ি বলতে তো এটাই। জন্ম থেকে নিজের বাবার বাড়ি তো দেখেনি বাবলা। মায়ের পেটের মধ্যে ছিল, যখন বাবা পথ দুর্ঘটনায় আকাশের তারা হয়ে গিয়েছিল। ছোটবেলায় রনিদাদা-পিকুদিদি মামার কোলে চড়ে ঘুরত, স্কুটারে চড়ে বেড়াতে যেত, বাবলা জিজ্ঞেস করত, ‘আমার বাবা কোথায় মা?’
দিদুন বলেছিল, ‘তোর বাবা আকাশের তারা হয়ে গেছে।’
পিকুদিদি বলেছিল,‘বাবা না থাকলে খুব কষ্ট রে বাবলা। কেন যে তোর বাবা এত তাড়াতাড়ি মরে গেল!’
মরে যাওয়া বাবার জন্যে তেমন কষ্ট হয়নি বাবলার। সে মানুষটা কেমন ছিল, জানতেও ইচ্ছে হয়নি। মায়ের জন্যে কষ্ট হয়েছে। যতই গলার শির ফুলিয়ে মামির সঙ্গে ঝগড়া করুক মা, একলা ঘরে কতবার যে কাঁদতে দেখেছে মাকে। তাই তো মাকে একটুও কষ্ট দিতে চায় না বাবলা। এই যে আজ সকালে মা বলল, ‘স্কুল থেকে তুই আজ আর এবাড়িতে আসিস না বাবলা। দিদুনকে বলিস, আমি দু’-তিন দিন পরে গিয়ে তোকে নিয়ে আসব।’ মায়ের চোখ মুখ ফোলা ফোলা, গলার স্বর বসে গিয়েছে, তার মানে মা কান্নাকাটি করছিল। ওবাড়ির বুড়ো ঠাকুমা ডাকছিল তখন, ‘ঋজুর টিফিন গুছিয়ে দাওনি এখনও?’
আর কথা না বলে মা তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিল। বাবলা আর না দাঁড়িয়ে বেরিয়ে এসেছিল স্কুল-ব্যাগ নিয়ে। ব্যাগের মধ্যেই একটা প্লাস্টিকের ব্যাগে বাবলার দুটো গেঞ্জি আর প্যান্ট ঢুকিয়ে দিয়েছিল মা। 
‘কী রে? এখনও দাঁড়িয়ে আছিস? আচ্ছা জ্বালাতন...’ বলতে বলতে হাতে ফোন নিয়েছে মামি। 
‘আবার পাঠিয়ে দিয়েছ ওকে? তিনমাসের মধ্যে এই সাতবার হল। প্রতি সপ্তাহেই যদি...’
মা কিছু বলল ওদিক থেকে, মামি খুব রেগে উঠল,‘কতবার বলব আমি আর দায় নেব না। এত খরচ করে, এত কাণ্ড করে সংসার গড়ে দিলাম, তবু ঘাড় থেকে নামছ না? আমি আজ ওকে কিছুতেই ঢুকতে দেব না।’
আরও অনেক কথা বলছে মামি। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে পা ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। খিদে পাচ্ছে, তেষ্টা পাচ্ছে । দিদুন থাকলে এতক্ষণে ঠিক ঘরে ঢুকিয়ে নিত। তবে একটা বাঁচোয়া, মামা বাড়িতে নেই। মামা থাকলে মাথায় পিঠে মার পড়ত। ‘মানিয়ে থাকতে পারিস না বদ ছেলে? আরও একটা ছেলে আছে, তার সঙ্গে ভাব করে নিলেই তো ঝামেলা মিটে যায়। নতুন বাবার পায়ে পড়ে থাকতে পারিস না?’ বলতে বলতে মেরেছিল মামা। দিদুনের ওপরও রাগ করছিল, ‘এই শর্তেই তো বিয়ে হয়েছিল। এককাঁড়ি টাকা দিয়েছি, ছেলেকে এখানে রেখে যাবার কথা তো হয়নি। তোমার মেয়েটাই আসল বজ্জাত মা, কোথাও মানিয়ে থাকতে পারে না।’
‘অপয়া একটা মেয়ে, কবে তাড়িয়ে দেয় দেখ। ওই ভয়েই তো ছেলেটাকে বারবার পাঠিয়ে দিচ্ছে,’ মামি বলেছিল। 
‘ঠিক আছে, আমি কথা বলব ওদের সঙ্গে। ছেলের দায়িত্ব নেবে, এই কথা তো হয়েছিল। আর সন্ধ্যা তো ওদের ছেলেকে দেখছে। তাহলে বাবলাকে কেন... ’ বলতে বলতে দিদুন হাত ধরে টেনে ঘরে ঢুকিয়ে নিয়েছিল। 
‘হ্যাঁ রে, নতুন বাবা তোর সঙ্গে কথা টথা বলে? আর সন্ধ্যার শাশুড়ি? কী বলে ডাকিস ওঁদের? নতুন ভাইটা খেলা করে তো তোর সঙ্গে?’ একলা ঘরে দিদুন জিজ্ঞেস করেছিল। 
কী যে বলে বাবলা! প্রথমদিন তো ওবাড়িতে শোবার জায়গাই হয়নি। মা যে কোথায় চলে গেল! মাথায় সিঁদুর, কপালে বড় লাল টিপ, ঝলমলে শাড়ি। কী সুন্দর দেখতে লাগছিল মাকে । কিন্তু মায়ের কাছে যাবার সুযোগই হল না। ঋজু নামের ছোট ভাইটা খুব কাঁদছিল, সবাই ওকে মায়ের কোলে দিয়ে দিল। মা কোলে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিল, তখন সবাই বলছিল, ‘নতুন বউ খুব ভালো হয়েছে।’ মায়ের মুখের হাসিটা দেখে খুব ভালো লাগছিল তখন। 
রাতে বাইরের লোকজন সব চলে গেল, নতুন ভাই ওর ঠাকুমার সঙ্গে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। মা বলল, ‘তুইও কোথাও একটা শুয়ে পড় বাবলা।’
বসার ঘরের সোফায় শুয়ে পড়েছিল বাবলা। এমনই কপাল, সেই রাতেই বিছানা ভিজিয়ে ফেলল । ঘুমোতে যাবার আগে দিদুন যে নিয়ম করে কলঘরে যেতে বলত, তা তো মা মনে করিয়ে দেয়নি। 
কী লজ্জা! মা জোরে কান মুলে দিয়েছিল, ‘তোর জন্যে কি একদিনের জন্যেও শান্তি পাব না?’
গম্ভীর লোকটা, যাকে সবাই বাবা ডাকতে বলেছিল, রাগী চোখে তাকিয়েছিল। 
তারপর বাবলার জন্যে একটা ফোল্ডিং-খাট এসেছে। রাতে সবাই ঘরে ঢুকে শুয়ে পড়লে বসার ঘরে খাট খুলে নেয় বাবলা। সকালে আবার খাট গুটিয়ে বারান্দায় রাখতে হয়। এত কথা দিদুনকে বলেনি বাবলা। তবে একটা কথা মনে হয়েছিল, আর সেটাই বলেছিল। ‘আমার বাবার বাড়ি কোথায় দিদুন?’
‘মানে?’ খুব অবাক হয়েছিল দিদুন। ‘বাবার বাড়ি? ওই যে বাড়িতে আছিস, ওটাই তো তোর নতুন বাবার বাড়ি।’
‘ওটা তো ঋজুর বাবার বাড়ি। আমার বাবা মরে গেছে, আমি জানি। কিন্তু বাবার বাড়ি, আমার ঠাকুমা কোথায়?’
‘সে কপাল থাকলে কি আর এত কষ্ট হয় তোদের?’ দিদুন শ্বাস ফেলে বলেছে, ‘তোর মাকে কুলক্ষণা অপয়া বলে তাড়িয়ে দিয়েছিল ওরা। ওদের ছেলে মরেছে তোর মায়ের কপালের দোষে, এমন বলেছিল। জন্মের পর তোকে দেখতেও আসেনি। একটা দুধের শিশু, একটু মায়া করেনি রে।’
পিকুদিদি বলেছিল, ‘ওকে এসব বলছ কেন? এখন ওরা মা-ছেলে ভালো থাকুক। তুই মনখারাপ করবি না বাবলা।’
দিদুন বলেছিল, ‘হ্যাঁ রে, একটু মানিয়ে থাকতে বলিস তোর মাকে। অনেক খরচ করে বিয়ে দিয়েছে মামা। মা যেন গুছিয়ে সংসার করে। তুইও মানিয়ে নিস ওখানে। হাতে হাতে সব করে দিবি, যাতে ওরা খুশি থাকে।’
‘কেন? ও কি ওদের কাজের লোক? ও হাতে হাতে কাজ করবে কেন?’ পিকুদিদি রাগ করেছিল খুব, ‘ও পড়াশোনা করবে, খুশি থাকবে, সেইজন্যেই তো এমন বিয়ে দিয়েছ তোমরা।’
সেই কথাটাই মামি এখন মাকে বলছে, ‘তুমি কী ওদের বাড়ির কাজের লোক হয়ে গেছ? তোমার অধিকারেই তোমার ছেলে ওখানে থাকবে। সব জেনেশুনে সব স্বীকার করেই তো বিয়ে দিয়েছে ওরা। ওর ছেলেকে দেখছ না তুমি? শুধু নিজের ছেলেটাকে আমাদের ঘাড়ে গছিয়ে দিচ্ছ? তুমি ওর ছেলের মা হয়েছ, আর ওকে নিজের ছেলের বাবা করে উঠতে পারছ না?’
অদেখা অচেনা বাবার জন্যে খুব মনখারাপ করতে লাগল বাবলার। বাবার বাড়িতে যদি থাকত আজ, এমন দরজার বাইরে থাকতে হতো? ঘর ঝাঁট দিয়ে আবর্জনা ফেলতে বাইরে এসেছে ছবিমাসি, চুপিচুপি জিজ্ঞেস করল, ‘পিকুদিদি বাড়িতে নেই? রনিদাদা স্কুল থেকে ফেরেনি?’
‘পিকুদিদি তো তোর দিদিমার সঙ্গেই গেছে। আদ্যাপীঠে পুজো দিতে।’ একটু গলা নামিয়ে বলল তারপর, ‘হাঁদার মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? নিজের ঘরে চলে যেতে পারছিস না?’
নিজের ঘর। বাবলার নিজের ঘর কোনটা? দিদুনের ঘরের লাগোয়া ছোট ঘরটায় থাকত মা। বাবলার বই খাতা ক্রিকেট-ব্যাট বল, পড়ার টেবিল ছিল সেখানে। ছোট ঘরটা এখন রনিদাদার ঘর। বাবলার সব জিনিস নতুন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো কোথায় আছে কে জানে। মা বলেছিল, ‘কিছুদিন মানিয়ে থাক, সব গুছিয়ে দেব।’
তাই তো থাকে বাবলা। তবুও কেন....
‘না না, ও ছেলে বাড়িতে ঢোকা মানেই অশান্তি। আমাকে দেবলীনাদি বলেছেন, বাড়ির ভেতর বাবলা গাছ ঢোকা মানেই অশান্তি।’ মামি বোধহয় মামার সঙ্গে কথা বলছে এখন। 
চোখে জল এসে গেল বাবলার। দিদুন আদর করে বলত, বাবলা খুব গুণের গাছ? ঔষধি গাছ? ব্যথা হলে, কাশি হলে, পেটের অসুখ হলে কাজে লাগে। বাবলা গাছের মতো সবার কাজে লাগবি।
পিকুদিদি ছবি দেখিয়েছিল, কী সুন্দর ফুল বাবলাগাছের। গন্ধ নাকি খুব মিষ্টি, গোলাকার, রং উজ্জ্বল হলুদ। মায়ের ওই নতুন বাড়ির ঠাকুমাও বলেছিল, ‘খুব মিষ্টি ছেলে বাবলা।’
সেই শুনে ওবাড়ির পিসি বলেছিল, ‘বাবলা গাছে কিন্তু খুব কাঁটা। তোমার নাতিকে সাবধানে রেখো।’
বড়দের কথাগুলো ঠিক বোঝা যায় না। এই যে মামি কীসব বলল এখন! দেবলীনাদি মানে তো টিকলুদাদার মা। ওই বাস্তুশাস্ত্র-ফেংশুই কী সব শেখায়। বাবলা মামার বাড়িতে ঢুকবে কি না সেটার সঙ্গে টিকলুদাদার মায়ের সম্পর্ক কী?
তবে ওবাড়িতে মায়ের অশান্তি যে বাবলাকে নিয়েই, তা বেশ বোঝা যায়। মা হাসিমুখে সব কাজ করে, রান্না করে, নতুন বাবার সঙ্গে বেড়াতে যায়, নতুন ভাইকে নিয়ে বসে টিভি দেখে। কিন্তু বাবলাকে ডাকে না। ঠাকুমা একদিন বলল, ‘তোমার ছেলের বোধহয় এখানে মন বসছে না। ওইটুকু ছেলে হাসে না, কথা বলে না।’
মা বলল, ‘ও ওইরকমই। মানিয়ে নিতে পারে না।’
নতুন বাবাটা তখন বলল, ‘নতুন সেশন আসুক, বোর্ডিং-স্কুলে যাবে তো, মানিয়ে থাকা শিখে যাবে।’
এই কথাটা শুনে খুব ভয় করছে বাবলার। বোর্ডিং-স্কুলে চলে গেলে তো আর এবাড়ির কারও সঙ্গে দেখাই হবে না। এমনিই সবাইকে ছেড়ে থাকা, তবু তো মাঝেমাঝে আসা হচ্ছে।
ফোনে কথা বলতে বলতে মামি ভেতরে চলে গেছে। পায়ে পায়ে বসার ঘরের সোফায় এসে বসল বাবলা। কী হবে এখন? মামা কি দিদুন আসার আগেই চলে যেতে বলবে? তিনমাস আগেও এইরকম সময় স্কুল থেকে ফিরে খেয়ে টিভিতে কার্টুন দেখত বাবলা। কেন যে মায়ের বিয়েটা হল! সব অন্যরকম হয়ে গেল। রনিদাদা এখনও স্কুল থেকে এল না। রনিদাদা-পিকুদিদি এলে একটু ভরসা।
‘এই, এদিকে আয়।’
মামির গলা শুনে চমকে উঠল। কখন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে খেয়ালই হয়নি। বকবে এবার? 
না। মামি টেবিলে ভাতের থালা রেখে ডাকছে । নিজের চোখকে বিশ্বাস হল না বাবলার । 
‘আয়, খেয়ে নে।’ মামি এসে মুখোমুখি বসেছে। ‘টিফিন দেয়নি তোর মা?’
এইটুকু কথায় চোখে জল এসে গেল। 
‘আমাকে সত্যি করে বল তো, তোকে নিয়ে ওবাড়িতে ঝগড়া হয়? তোর মাকে কথা শুনতে হয়?’
আস্তে ঘাড় নাড়াল বাবলা। মামি এত ভালো করে অনেকদিন কথা বলেনি। 
‘শোন বাবলা, তোর মায়ের জন্যেই কিন্তু তোকে ওখানে থাকতে হবে। ওরা কথা শোনালে তোকেই মায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে। তুই এখানে থাকলে মাকে কে দেখবে? বুঝতে পারছিস? তোর আর তোর মায়ের ভালোর জন্যেই তো এই বিয়েটা হয়েছে। এখন ওরা চাইছে না তুই ওখানে থাকিস। তা বললে হবে? ওবাড়িতে তোর মায়ের থাকার অধিকার আছে। সেই জোরেই তোরও অধিকার। নিজের অধিকার ছাড়বি কেন?’
‘একদম ঠিক । তোর জায়গাটা একদম ছাড়বি না বাবলা,’ বলল পিকুদিদি! 
‘আমিও তো তাই বোঝাচ্ছি ওকে।’ মামি হেসে হেসে বলল,‘ওকে বোকা পেয়ে বারবার বাড়ি থেকে বার করে দিচ্ছে। দায়িত্ব নেব না বললেই হল?’
‘তাই তো । দায়িত্ব নেব না বললেই হল?’ পিকুদিদি হাসছে। 
‘তোর ঠাম্মিকে এই কথাগুলো ভালো করে বলিস তো পিকু। উনি তো আবার বাবলাকে দেখলেই ...’ গলা নামিয়ে বলল মামি, ‘আজই ফেরত পাঠিয়ে দিবি। ওর মা নিজে সুখে থাকবে বলে, ওখানে নিজের জায়গাটা শক্ত করবে বলে ছেলেটার দিকে মন দিচ্ছে না। আমাকে কী বলল জানিস? আপাতত আমাকে গুছিয়ে নিতে দাও, তারপর বাবলাকে নিয়ে আসব।’
ভাতের থালায় হাত রেখে বসে আছে বাবলা। আর খিদে নেই। এবাড়ি থেকে চলে যেতেই হবে। কোনটা যে বাবলার নিজের বাড়ি! জন্ম হয়ে থেকে এ বাড়িটাই নিজের বাড়ি বলে জেনেছে। তারপর সবাই বলল বাবলার একটা নতুন বাড়ি হয়েছে। আর এখন দেখা যাচ্ছে দুই বাড়ির কোনওটাই বাবলার বাড়ি নয়। তাহলে কী অন্যের বাড়ির চৌকাঠ পর্যন্তই বাবলার অবস্থান? বাবলা গাছের মতো? বাড়ির ভেতর ঢুকবে না যে গাছ?
‘খাচ্ছিস না কেন বাবলু?’ পিকুদিদির গলাটা নরম নরম, ‘ভয় পাচ্ছিস? কীসের ভয়? বললাম না, নিজের জায়গাটা একদম ছাড়বি না?’
‘ভালো করে ওকে কথাটা বুঝিয়ে দে। নিজের বাড়িতে নিজের জায়গায় চলে যাক। ঠাম্মিকেও বুঝিয়ে বলবি পিকু। এই অশান্তি আমি বাড়িতে ঢোকাব না। বাবলা গাছ কেউ ভেতরে ঢোকায়?’
‘ওর বাবলা নামটা আমার দেওয়া। নামের জন্যে ও কেন দায়ী হবে? আর বাড়ির ভেতর ঢোকানো-না ঢোকানো সব মানুষের তৈরি নিয়ম। প্রকৃতির রাজ্যে সবাই সমান। বাবলা গাছ প্রকৃতির প্রিয় সন্তান। গাছের ছাল থেকে বীজ, সবই উপকারী,’ বলতে বলতে ঢুকে এসেছে দিদুন, ‘কখন এলি? একা এসেছিস, নাকি মা-ও এসেছে?’
‘ওর মা আসবে কেন? ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছে, দায় নেবার ইচ্ছে নেই। খেতে দিয়েছি, খেয়ে চলে যাবে। সেই কথাই বোঝাচ্ছিলাম ওকে,’ মামি বলল। 
‘না, যাবে না।’ পিকুদিদি বলল, ‘দায় নেবার ইচ্ছে নেই যখন, বাবলু এখানেই থাকবে।’
‘মানে? কী বলছিস? এখানে থাকবে? আমাদের কীসের দায়? ওর মা বেঁচে থাকতে আমরা দায় নেব কেন?’
‘তুমিই তো বললে একটু আগে। দায় আর দায়িত্ব। দুটো আলাদা শব্দ। তোমাকে দেখেই তো শিখেছি মা। যে দায়িত্ববোধে পিসেমশাই চলে যাবার পর ওরা তাড়িয়ে দিলেও পিসিকে এনে রেখেছিলে, যে দায়িত্ববোধে পিসির জীবনটা আবার সাজিয়ে দিয়েছ, সেই বোধ। বাবলা তো আমাদেরই বাড়ির ছেলে। এই বাড়িতে হামা দিয়ে হাঁটতে শিখেছে। আমরা তিন ভাইবোন একসঙ্গে বড় হয়েছি। কী ঠাম্মি, ঠিক বলছি তো?’
দিদুন কেমন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে পিকুদিদির দিকে। মামিও। আস্তে আস্তে মামির মুখের রেখাগুলো নরম, দিদুনের চোখ ছলছল।
কেমন ঝলমল করছে পিকুদিদির মুখটা, ঠিক দেবীপ্রতিমার মুখের মতো। এই বুঝি মানুষ হয়ে ওঠার মন্ত্র। নিজে ‘মানুষ’, সেই বোধ। আর ‘মানুষ’ বলেই আরেকজন মানুষকে ভালোবেসে গ্রহণ করার সহজ সত্য মন্ত্র। এক জীবনেই বুঝি সব শেখা হয়!
কে জানে মামা এসে কী বলবে। আবার মামি অধিকার নিয়ে সচেতন হয়ে মাকে দায়িত্বজ্ঞান শেখানোর জন্যে তত্‍পর হয়ে উঠবে কি না, আবার ও বাড়িতে ফিরিয়ে দেবার চাপ উঠবে কি না, চৌকাঠ পেরিয়ে ঘরে ঢোকার রাস্তা সত্যিই সহজ হল কি না। তবে এতদিন পরে আজ বাবলার মনে হচ্ছে, এমন মানুষও আছে যাদের বুকের মধ্যে এমন মায়া। বাবলার জন্যেও আশ্রয় আছে এই দুনিয়ায়। একটা ঠিকানা আছে। ভালোবাসার ঠিকানা। একটা নিজের বাড়ি। যে বাড়িতে পিকুদিদি থাকে। পিকুদিদির মতো ‘মানুষ’ থাকে।
26th  February, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। বিশদ

19th  February, 2023
নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। বিশদ

12th  February, 2023
প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’ বিশদ

05th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি।
বিশদ

29th  January, 2023
বর্ণাশ্রম
ভগীরথ মিশ্র

নিজে পুরোপুরি নিরক্ষর হলেও মানুষটি মনেপ্রাণে চেয়েছে, নয়ন পড়েশুনে মহা-দিগগজ হোক। সম্ভবত সেই কারণেই, একেবারে শিশুকাল থেকেই, সুযোগটি পাওয়ামাত্র, ঠিক বাচ্চাকে মোয়ার লোভ দেখানোর ভঙ্গিতে  বলত, ‘তুয়াকে কিন্তু মন দিয়ে লিখাপড়া কইরতে হব্যেক বাপ। বিশদ

22nd  January, 2023
পৌষের পিঠেপুলি
হারাধন চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ পিঠেপুলি ভীষণ ভালোবাসতেন। তাই শান্তিনিকেতনের অনেকেই নানারকম পিঠে বানিয়ে কবির কাছে পাঠাতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেপালচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। ঠান্ডার আমেজ আসামাত্র কবিই জিজ্ঞেস করতেন নেপালবাবুকে, ‘পৌষপার্বণের আর কত দেরি?’
বিশদ

15th  January, 2023
বস্তির ছেলে
কাবেরী রায়চৌধুরী

অর্পিতার মেজাজ যে খারাপ করে দিয়েছে সে বুঝেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ডাকল, অপু! শুনছ? অপুউউ...!
অপ্রসন্ন মুখ অর্পিতার, বলল, ‘বল, কী?’  বিশদ

08th  January, 2023
অন্তরের আলো জ্বালাতেই
কল্পতরু উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

১ জানুয়ারি। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি বাঙালির কাছে ইংরেজি নববর্ষের এই দিনটিও বেশ আনন্দের। সেই আনন্দের স্বাদ পেতে বাঙালি সেদিন বেরিয়ে পড়েন পথে। কারও গন্তব্য পার্ক স্ট্রিট, কারও চিড়িয়াখানা, কারও ইকো পার্ক, আবার কেউবা কোনও বিনোদনস্থল বা পর্যটনকেন্দ্রে চলে যান। বিশদ

01st  January, 2023
অমূল্য রতন
প্রদীপ আচার্য

একেবারে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে বইটাকে তুলে নিলেন প্রমদাকান্ত। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। এই বইটা তিনি এভাবে ফুটপাতে পাবেন কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু, তিনি এই মুহূর্তে যা দেখছেন, তা কোনও ভোজবাজি বা স্বপ্ন নয়। কোনও দৃষ্টিভ্রমও নয়। বিশদ

01st  January, 2023
দেশ-বিদেশের আলোর উৎসব
তরুণ চক্রবর্তী

আমাদের মনের আলো, আমাদের চেতনার আলো জ্বালিয়ে দিতে চেয়েই আজকের দিনটিতে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব যিশু খ্রিস্ট। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণাক্ত হতে হতে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ঘাতকদেরও ক্ষমা করে। আজ আলোই বুঝি তাঁকে প্রণামের সর্বোত্তম উপাদান। বিশদ

25th  December, 2022
অঙ্গুরীমাল
সঞ্জয় রায়

বাবার পাশে বসে বিনোদ দেখত পুকুর ধারে ভেজা মাটি খুঁড়তেই কিলবিল করতে থাকা ক্ষুদ্র কীটগুলো উঠে আসছে। বাবা বলত, ‘এগুলো মাছের খাবার।’ তারপর কিলবিল করতে থাকা সরু লম্বা লম্বা কীটগুলোকে বাবা একটা ভাঁড়ে মাটির ভিতর জমিয়ে রাখত। বিশদ

11th  December, 2022
ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বিশদ

04th  December, 2022
একনজরে
স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করে খুন হতে হল স্ত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে তুফানগঞ্জের নাককাটিগছ পঞ্চায়েতে। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স ৪১ বছর। ...

২০১৫ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের জন্য আইপিএলে খেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের উপর। যার ফলে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তারা অংশ নিতে পারেনি কোটিপতি লিগে। ...

শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার কালদীঘি এলাকার একটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি হয়। তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, ওই বাড়িতে থাকেন ওয়ারেশ মিঞা।  ...

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই জোর ধাক্কা খেলেন ব্লক ইনকর্পোরেটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি। বৃহস্পতিবারই ডর্সির সম্পত্তি কমেছে ৫২ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৫৭০: পোপ পঞ্চম পায়াম কর্তৃক ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ ধর্মচ্যুত হন
১৫৮৬: সম্রাট আকবরের সভাসদ বীরবলের মৃত্যু
১৭৫৪: ইংরেজ কবি উইলিয়াম হ্যামিলটনের মৃত্যু
১৮৪৩: টেমস নদীর বিখ্যাত সুড়ঙ্গ খোলা হয়
১৮৬২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু হয়
১৮৯৬: আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ার প্রথম স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়
১৮৯৮: স্বামী বিবেকানন্দ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে দীক্ষান্তে নিবেদিতা নামকরণ করেন
১৯২৭: হকি খেলোয়াড় লেসলি ক্লডিয়াসের জন্ম
১৯৪৮: অভিনেতা ফারুক শেখের জন্ম
১৯৮৪: ক্রিকেটার অশোক দিন্দার জন্ম
২০১০: ভারতীয় বাঙালি আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৪৮ টাকা ৮৩.২২ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৩৬ টাকা ১০২.৮০ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৯ টাকা ৯০.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৭,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী ২৬/৪৮ অপরাহ্ন ৪/২৪। ভরণী নক্ষত্র ১৯/৬ দিবা ১/১৯। সূর্যোদয় ৫/৪০/২৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪১ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ পুনঃ ১২/৬ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৪/৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১১ গতে উদয়াবধি। 
১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী রাত্রি ৭/৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৩/৫৯। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১২ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৫ মধ্যে ও ৪/১২ গতে ৫/৪১ মধ্যে। 
২ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মল্লারপুরে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির মশলা, ধৃত ১
বীরভূমের মল্লারপুর থানার জুবুনি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে ...বিশদ

03:05:16 PM

সিভিক ভলান্টিয়ারদের এক্তিয়ার নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা
রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব কী! প্রশাসনিক ও আইনগত দিক দিয়ে ...বিশদ

02:37:00 PM

প্রশ্ন করা থামাব না, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন রাহুল
গতকাল সাংসদ পদ খারিজের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস ...বিশদ

01:29:00 PM

আদালতে ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত বিধায়ক-সাংসদদের সদস্যপদ খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
কোনও অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দু’বছর বা তার ...বিশদ

12:56:34 PM

দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন সিউড়ির ইনস্পেক্টর মহম্মদ আলি

12:48:16 PM

আজ সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী
সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি ...বিশদ

12:10:06 PM