Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। অসাধারণ সুন্দরী এই কন্যাকে ঠাকুর পরিবারের সকলেই খুব ভালোবাসতেন। লেখার হাতটিও ছিল ভারি চমৎকার।
১৯০১ সালে নিজের কন্যা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীকে লিখলেন, ‘কাল সমস্তক্ষণ বেলার শৈশবস্মৃতি আমার মনে পড়ছিল। তাকে কত যত্নে আমি নিজের হাতে মানুষ করেছিলুম। তখন সে তাকিয়াগুলোর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে কি রকম দৌরাত্ম্য করত। সমবয়সী ছোট ছেলে পেলেই কি রকম হুংকার দিয়ে তার উপর গিয়ে পড়ত, কি রকম লোভী অথচ ভালোমানুষ ছিল— আমি ওকে নিজে পার্কস্ট্রীটের বাড়িতে স্নান করিয়ে দিতুম। দারজিলিঙে রাত্রে উঠিয়ে উঠিয়ে দুধ গরম করে খাওয়াতুম।’
দিদিকে যে বাবা তাদের থেকে একটু বেশি স্নেহ করেন তা কবির অন্যান্য পুত্রকন্যারাও বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারতেন এবং তা নিয়ে তাদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ বা বেদনা ছিল না। পরবর্তীকালে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘পিতৃস্মৃতি’ গ্রন্থে লিখছেন, ‘ আর-সব ছেলেমেয়েদের চেয়ে বাবা দিদিকে বেশি ভালোবাসতেন। আমরা সেটা খুবই জানতুম, কিন্তু তার জন্য কোনোদিন ঈর্ষা বোধ করিনি, কেন না আমরাও সকলে দিদিকে অত্যন্ত ভালোবাসতুম এবং মানতুম। দিদির বুদ্ধি যে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি তা মানতে আমাদের লজ্জাবোধ হত না। তিনি অপরূপ সুন্দরী ছিলেন ছেলেবেলা থেকেই। সেইজন্য বাড়ির সকলের কাছ থেকে প্রচুর আদর পেতেন, সকলের প্রিয় ছিলেন। শিলাইদহে আমাদের যখন পড়াশুনা আরম্ভ হল, দিদি আমাদের ছাড়িয়ে অনেক এগিয়ে যেতে লাগলেন। বাবা তাঁকে নিজে পৃথক করে পড়াতে শুরু করলেন। তখন থেকেই বুঝেছিলেন দিদির লেখবার বেশ ক্ষমতা আছে। বাবা তাঁকে উৎসাহ দেওয়াতে তিনি কয়েকটা গল্পও লিখেছিলেন।’
মাধবীলতার অন্যতম লেখাগুলি হল— ‘সুরো’, ‘মামা ভাগ্নী’, ‘সৎপাত্র’, ‘দ্বীপনিবাস’, ‘অনাদৃতা’, ‘চোর’,‘ চামরুর গল্প’, ‘মাধুরীলতার গল্প’। তাঁর লেখা সবুজপত্র ছাড়াও ভারতী ও বঙ্গদর্শন (নবপর্যায়) পত্রিকাতেও প্রকাশিত হতো। ১৩২২ সালে সবুজপত্রের শ্রাবণ সংখ্যায় প্রকাশিত হল তাঁর ‘অনাদৃতা’ গল্পটি—‘দুইটি কন্যা ও তিনটি পুত্রের ভার স্বামীর হাতে সঁপিয়া দিয়া হরমণি যখন চির অবসর গ্রহণ করিল, নীলু বড় ফাঁপড়ে পড়িয়া গেল। সে বেচারা ছাপাখানায় কাজ করিত, বেতন যাহা পাইত মাসে মাসে স্ত্রীর হাতে দিয়া নিশ্চিন্ত থাকিত, সামান্য ২০ টাকায় কি করিয়া এতগুলি প্রাণীর ভরণপোষণ সম্ভব তাহা তাহাকে একদিনও ভাবিতে হয় নাই । প্রত্যহ নিয়মিত ৯ । ১০ টার সময় সে ডাক দিত, “বড় বৌ, ভাত বাড়, আমি নাইতে যাচ্ছি ।” স্নান সারিয়া যেখানে হর পাখা হাতে ভাত আগলাইয়া মাছি তাড়াইতেছে সেখানে বসিয়া গিয়া সপাসপ্ নাকে মুখে ভাত গুঁজিয়া পানটি হাতে লইয়া আপিসের দিকে চলিয়া যাইত । নীলুর খাওয়ার কোন কষ্ট ছিল না, মাছটি তরকারীটি যে সময়কার যা পাওয়া যাইত, নীলুর পাতে পড়িতই পড়িত, পরিবারের সকলেই তাহার মত রাজভোগে আছে সে বিষয়ে তাহার কোন সন্দেহ ছিল না এবং মধ্যে মধ্যে স্ত্রীলোকের যে আহার সম্বন্ধে অতিরিক্ত লোভ আছে এবং সেটা যে অত্যন্ত নিন্দনীয় সে কথা চাণক্যের শ্লোক মিশাইয়া স্ত্রীকে বুঝাইয়া দিত.......’।
তবে লেখার ব্যাপারে মাধুরীলতা দেবীর খুব একটা উৎসাহ ছিল না। আর এই কারণে রবীন্দ্রনাথ যথেষ্ট দুঃখ পেতেন। তাই প্রশান্ত মহলানবীশকে একটি চিঠিতে মাধুরীলতার রচনাশক্তি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন –‘ওর ক্ষমতা ছিল... কিন্তু লিখত না।’
কবির বড় আদরের এই প্রাণের কন্যা মাধুরীলতার সঙ্গে বিবাহ হল নতুন বৌঠানের প্রিয় কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর পুত্র মজফফরপুরের উকিল শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীর।
মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখে শান্তিনিকেতনে ফিরে রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীকে একটি পত্রে লিখলেন, ‘ভাই ছুটি, বেলাকে রেখে এলুম। তোমরা দূরে থেকে যতটা কল্পনা করছ ততটা নয়— বেলা সেখানে বেশ প্রসন্ন মনেই আছে— নতুন জীবনযাত্রা তার যে বেশ ভালোই লাগছে তার আর সন্দেহ নেই। এখন আমরা তার পক্ষে আর প্রয়োজনীয় নই। আমি ভেবে দেখলুম, বিবাহের পরে অন্তত কিছুকাল বাপমায়ের সংসর্গ থেকে দূরে থেকে সম্পূর্ণভাবে স্বামীর সঙ্গে মিলিত হবার অবাধ অবসর মেয়েদের দরকার। বাপ মা এই মিলনের মাঝখানে থাকলে তার ব্যাঘাত ঘটে।’
বিয়ের পর রবীন্দ্রনাথ তাঁর বড় জামাইকে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেতে পাঠালেন। বিলেত থেকে ফিরে আসার পর তাঁরা উঠেছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতেই। তবে এই সুখ মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হল না। শরৎচন্দ্রের সঙ্গে খটামটি শুরু হল তাঁর ছোট ভায়রাভাই নগেন্দ্রনাথের।
রবীন্দ্রনাথের এই অকর্মণ্য ছোট জামাইটির আচার আচরণ মোটেই সুবিধার ছিল না। তিনি ছিলেন উদ্ধত ও অহংকারী প্রকৃতির মানুষ। শুধু শরৎচন্দ্র নন, তাঁর ব্যবহারে কবি-বন্ধুরাও বারেবারে ব্যথা পেয়েছেন।
তবে এই অশান্তির বীজ কবি নিজের হাতেই বপন করেছিলেন তাঁর পরিবারের ভূমিতে। আবার বিদেশে যাবেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি যাত্রার পূর্বে জমিদারি, আদি ব্রাহ্মসমাজ, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ও জোড়াসাঁকো বাড়ির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়ে যান ছোটজামাই নগেন্দ্রনাথের হাতে। শরৎচন্দ্র মুখে কিছু না বললেও শ্বশুরমশাইয়ের এহেন ব্যবহারে মনে হয়তো বড়ই আঘাত পেয়েছিলেন।
সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল একদিন, ভয়ঙ্কর ভাবে। সকালের খবরের কাগজ কোন জামাতার ঘরে আগে দেওয়া হবে তাই নিয়েই শুরু হল মনোমালিন্য। ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর হাত ধরে পথে নামলেন। জোঁড়াসাঁকোর বাড়ি ছেড়ে তাঁরা গিয়ে উঠলেন ২৭/১ ডিহি শ্রীরামপুরের ভাড়া বাড়িতে।
সামান্য কাগজ নিয়ে এতবড় অশান্তি? পরবর্তী কালে কেউ কেউ হেমলতা দেবীর জবানিতে জানিয়েছেন, নগেন্দ্রনাথ খরচ কমানোর নামে ভায়রাভাই শরৎকুমারের জন্য নির্দিষ্ট স্টেটসম্যান কাগজ বন্ধ করে দেন। সংবাদপত্রের অনুরক্ত পাঠক শরৎকুমার এতে যার-পর নাই অপমানিত বোধ করেন। তারপর কলহের সংক্রমণ।
এই বিবাদ সৃষ্টি করল এক বিশ্রী পরিস্থিতির। দুই বোনের মধ্যে কথা বলা এবং মুখ দেখাদেখি ও বন্ধ হয়ে গেল। তাতেও বিন্দুমাত্র দমলেন না উদ্ধত, ক্ষমতালোভী, অহংকারী নগেন্দ্রনাথ। আর বেলা! তিনি নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিলেন পিতার বৃহৎ বৃত্ত থেকে। (ক্রমশ)
 ছবিতে রথীন্দ্রনাথ, মাধুরীলতা, মীরা ও রেণুকা।
অলংকরণ: চন্দন পাল 
15th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
 নিউ ইয়র্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী কয়েকদিন এখানে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একঝাঁক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর। ...

 বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: এখন পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে রক্ত পরীক্ষার ল্যাবরেটরি। টিসি, ডিসি, ইএসআর, লিপিড প্রোফাইল থেকে শুরু করে কী না হচ্ছে! সই থাকছে এমডি প্যাথোলজি ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের। সুতরাং সন্দেহেরও অবকাশ নেই। সত্যিই কি তাই? ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: কোথাও থিম আলো, আবার কোথাও দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। কোথাও সবুজ বাঁচানো ও জল সংরক্ষণের বার্তা, আবার কোথাও প্রতিমা নয়, নিজের মায়ের মধ্যেই দুর্গাকে দেখার আহ্বান। এগরা শহরের পুজোয় এবারও বিভিন্ন ক্লাব নানা থিমের ডালি নিয়ে হাজির। শহরে ...

বিজয় বর্মন, কুমারগ্রাম, সংবাদদাতা: কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ শহরের বুকে পারিবারিক এবং সর্বজনীন মিলে প্রায় পঁচিশটি দুর্গাপুজো আয়োজিত হয়। তবে বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো কিন্তু এই শহরে হাতেগোনা। শহরের পুজোর উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যেই মণ্ডপ বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 

23rd  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৪ টাকা ৭১.৮৪ টাকা
পাউন্ড ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৭ টাকা ৭৯.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৯০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ২৮/৩ অপঃ ৪/৪২। পুনর্বসু ১২/৩৪ দিবা ১০/৩১। সূ উ ৫/২৯/১৭, অ ৫/২৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে।
 ৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ১৫/৩৮/২২ দিবা ১১/৪৪/৩১। পুনর্বসু ৩/২৭/১৪ দিবা ৬/৫২/৪, সূ উ ৫/২৯/১০, অ ৫/৩০/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে ও ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯/২০ গতে ৮/২৯/৩০ মধ্যে, কালবেলা ১/০/০ গতে ২/৩০/১০ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/০/২০ গতে ৮/৩০/১০ মধ্যে।
২৪ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: শেয়ার বাজারে আজ কিছুটা বিনিয়োগ করতে পারেন। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

হাওড়ায় আত্মঘাতী পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া 
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শৌচাগারে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর এক ...বিশদ

08:54:53 PM

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন 

07:26:05 PM

হরিপালের নন্দকুঠিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ 
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ...বিশদ

06:28:27 PM

চোটের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রিত বুমরাহ 
অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। চিকিৎসকরা ...বিশদ

05:17:56 PM