Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

২৭
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা! তাই তিনি আজ বড়ই ব্যস্ত। সমস্ত কর্ম শেষ করতে হবে খুব শীঘ্রই। হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরই শেষ হবে এপারের সমস্ত খেলা।
সাল ১৮৯৯, ৮ সেপ্টেম্বর। উইল করলেন মহর্ষি। ওড়িশার সম্পত্তি পেলেন তৃতীয় পুত্র হেমেন্দ্রনাথ। দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ— তিনজনে মিলে পেলেন নদীয়ার বিরাহিমপুর ও রাজশাহীর কালীগ্রাম। কনিষ্ঠভ্রাতা নগেন্দ্রনাথের স্ত্রী ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিঃসন্তান, তাই মাসিক বারোশো পঞ্চাশ টাকা তাঁর জন্য ধার্য হল। সব মিলিয়ে ঠাকুর পরিবারের তহবিল থেকে এর জন্য খরচ নির্ধারিত হয়েছিল বাহান্ন হাজার চারশো টাকা।
সাল ১৯০৫। ঠাকুর পরিবারে আবার এক আঘাত নেমে এল। পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর সেই মৃত্যুর হাত ধরেই পরিবারে প্রবেশ করল বিচ্ছেদ-বেদনা। জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের বিখ্যাত সন্তানরা ছড়িয়ে পড়লেন নানা দিকে। পিতার উইল অনুসারে জমিদারির মালিক হলেন তিনজন— দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর উইল অনুসারে মাসে পেতেন মাত্র বারোশো পঞ্চাশ টাকা।
পিতার মৃত্যুর ঠিক তিন বছর বাদে ১৯০৮ সালে স্বেচ্ছা নির্বাসনকেই বরণ করে নিলেন ঠাকুর পরিবারের অন্যতম আর এক কৃতী, সুদর্শন সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি একদিনে ছিঁড়ে ফেললেন সমস্ত মায়ার বন্ধন! কেন এই অহেতুক অভিমান! তিনিও কী তাঁর বারো বছরের ছোট প্রাণাধিক প্রিয় ভাইকে নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করতেন! না! এ ব্যাপারে দুপক্ষের কেউই কিছু লিখে রেখে যাননি। ফলে পুরোটাই রয়ে গেল অন্ধকারে, কালের খাতায় চিরতরে বন্দি হয়ে!
বারোশো পঞ্চাশ টাকা— এই সামান্য অর্থ সম্বল করে পিতার মৃত্যুর তিনবছর পর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকো থেকে চিরবিদায় নিলেন। তিনি চলে গেলেন রাঁচিতে। মোরাবাদী পাহাড়ে নবনির্মিত শান্তিধামেই তিনি কাটাবেন তাঁর জীবনের বাকি দিনগুলি।
ভেঙে গেল হাট! কলকোলাহল মুখর জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ি থেকে একে একে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। রবীন্দ্রনাথ গেলেন জমিদারি পরিদর্শনে। কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে অনুসরণ করলেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ। সত্যেন্দ্রনাথ নতুন বাড়ি তৈরি করে জোড়াসাঁকো থেকে বেরিয়ে গেলেন। ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন মহর্ষির তৃতীয় পুত্র হেমেন্দ্রনাথ। চতুর্থ ও সপ্তম পুত্র বীরেন্দ্রনাথ ও সোমেন্দ্রনাথ আক্রান্ত হলেন মানসিক ব্যাধিতে।
শিলাইদহ থেকে রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন শান্তিনিকেতনে। ১৯০৮ সাল, সেই শেষবার। তারপর আর দুজনের কখনও দেখা হয়নি। কবির অত্যন্ত প্রিয় জ্যোতিদাদাও কখনও শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কথা ভাবেননি এবং রবীন্দ্রনাথও চেষ্টা করেননি কখনও রাঁচিতে যাওয়ার। দুই ভাই নিজেদের মধ্যে কী কারণে কেন যে এক অদৃশ্য প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন তা আমরা আজও জানি না।
ছোটভাই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরেও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিশ্চুপ হয়ে বসেছিলেন, ভাইকে চিঠি লিখে অভিনন্দন পর্যন্ত জানাননি। অথচ একসময় এই বারো বছরের ছোটভাইকে তিনি কত না প্রশ্রয় দিয়েছেন। সরোজিনী নাটকের প্রুফ পড়া হচ্ছে। ঘরে আছেন কিশোর রবীন্দ্রনাথ। তিনি তখন তাঁর নতুন দাদার ছায়াসঙ্গী। সরোজিনী পুরোটা শোনার পর রবীন্দ্রনাথ নতুনদাদাকে বললেন, উপসংহারে একটা গান থাকলে ভালো হতো। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সম্মতি জানিয়ে পিয়ানোতে বসে সুর তুললেন, আর রবীন্দ্রনাথ সেই সুরে বসালেন বাণী—‘জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ, পরান সঁপিবে বিধবাবালা।’ কনিষ্ঠ ভ্রাতার পারদর্শিতায় মুগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘ সরোজিনী প্রকাশের পর হইতেই আমরা রবিকে প্রমোশন দিয়া আমাদের সমশ্রেণীতে উঠাইয়া লইলাম। এখন হইতে সংগীত ও সাহিত্য চর্চাতে আমরা হইলাম তিনজন— অক্ষয় চৌধুরী, রবি ও আমি।’
সেই অসম্ভব মধুর দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে বলেছিলেন, ‘এইবার ছুটল আমার গানের ফোয়ারা। জ্যোতিদাদা পিয়ানোর ওপর হাত চালিয়ে নতুন নতুন ভঙ্গীতে ঝমাঝম সুর তৈরি করে যেতেন, আমাকে রাখতেন পাশে। তখনি তখনি ছুটে চলা সুরে কথা বসিয়ে বেঁধে রাখবার কাজ ছিল আমার।’
কোথায় হারিয়ে গেল সেইসব সুখের দিন। দুই ভাই সরে গেলেন দুদিকে দুপ্রান্তে। তবে শেষ বেলায়, ১৯২৫ সালে ছোটভাইকে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। তিনি একবার রাঁচিতে আসবার জন্য ভাইকে চিঠিও লেখেন। খুব সম্ভবত সেই চিঠি রবীন্দ্রনাথের হাতে পৌঁছয়নি। ফলে এই পৃথিবীর বুকে আর কোনওদিন দেখা হয়নি দুই ভাইয়ের।
অত্যন্ত প্রিয় নতুন দাদার মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ বারে বারে প্ল্যানচেটে তাঁকে ডেকেছেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথও এসেছেন, নানা উপদেশ দিয়েছেন প্রিয় ভাইকে।
সাল ১৯২৯। চার বছর আগে রাঁচির শান্তিধামে মারা গেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। চার বছর পরে নতুন দাদা দ্বিতীয়বার এলেন ভাইয়ের আহ্বানে, মিডিয়ামের মাধ্যমে।
রবীন্দ্রনাথ জানতে চাইলেন— ‘কে?
— পাঠিয়ে দিলেন তোমার নতুন বৌঠান।
জ্যোতিদাদা। সেদিন আপনার কথা শুনে আমার খুব উপকার হয়েছে— মনকে শান্ত করতে পেরেছি।
— তুমি পারবে আমি জানি।
মৃত্যুর পরমুহূর্তে পরলোকের সঙ্গে সম্বন্ধ কী উপায়ে হয়?
— সে একটা আছন্ন ভাবের ভিতর দিয়ে আসি। ঠিক যেন ঘুম থেকে জাগি। সমস্ত জীবনটাই গত রাত্রের স্বপ্ন বলে মনে হয়।
আমাকে এইমাত্র শমী বলল, একটা পৃথিবী তৈরি করেছে। খুব মজা লাগছে তার। সেটা কী?
— করেছে বটে, কিন্তু ও বলতে নিষেধ করেছে।
আমাকে বলেছে ‘শমীর পৃথিবী’ বলে কিছু একটা রচনা করতে।
— বেশ তো, লিখে দাও না। ওর মনে সত্যই অনেক কিছু খেলছে। ও যেন নতুন আলোক দেখতে পেয়েছে। আমাদের বুড়ো চোখে তা ধরা পড়ে না।...’
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ দুবার এসেছিলেন ভাইয়ের পরলোক চর্চার আসরে। প্রথমবার আসেন ৫ নভেম্বর, দ্বিতীয়বার ২৮ নভেম্বর।
 ছবিতে জ্ঞানদানন্দিনী দেবী, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাদম্বরী দেবী ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : চন্দন পাল
08th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মশার আঁতুড়ঘর হিসেবে সল্টলেকে নয়া আতঙ্ক থানাগুলি। সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে সল্টলেক পূর্ব থানায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। তাতেই ধরা পড়েছে, থানার বিল্ডিং এবং ক্যাম্পাসের চারপাশে একাধিক জায়গায় জমা জল রয়েছে। ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেল। স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলেন, ক্রীড়াসূচি তৈরি হওয়ার পর তিনটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ। তিনটি ক্লাবকে তারজন্য শোকজও করা হয়েছে।  ...

 জম্মু, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি ও আরএসএস নেতা খুনে অভিযুক্ত তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। নাসির আহমেদ শেখ, নিশাদ আহমেদ এবং আজাদ ...

 নিউ ইয়র্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী কয়েকদিন এখানে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একঝাঁক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 

23rd  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৪ টাকা ৭১.৮৪ টাকা
পাউন্ড ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৭ টাকা ৭৯.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৯০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ২৮/৩ অপঃ ৪/৪২। পুনর্বসু ১২/৩৪ দিবা ১০/৩১। সূ উ ৫/২৯/১৭, অ ৫/২৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে।
 ৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ১৫/৩৮/২২ দিবা ১১/৪৪/৩১। পুনর্বসু ৩/২৭/১৪ দিবা ৬/৫২/৪, সূ উ ৫/২৯/১০, অ ৫/৩০/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে ও ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯/২০ গতে ৮/২৯/৩০ মধ্যে, কালবেলা ১/০/০ গতে ২/৩০/১০ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/০/২০ গতে ৮/৩০/১০ মধ্যে।
২৪ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: শেয়ার বাজারে আজ কিছুটা বিনিয়োগ করতে পারেন। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

হাওড়ায় আত্মঘাতী পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া 
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শৌচাগারে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর এক ...বিশদ

08:54:53 PM

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন 

07:26:05 PM

হরিপালের নন্দকুঠিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ 
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ...বিশদ

06:28:27 PM

চোটের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রিত বুমরাহ 
অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। চিকিৎসকরা ...বিশদ

05:17:56 PM