Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নানা রঙের দোল

সৌম্য নিয়োগী: বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বৃন্দাবনের ছোট্ট জনপদ বারসানা। শ্রীরাধিকার বাসভূমি। দিল্লি থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূর। উত্তরপ্রদেশের গ্রামটি দেশের হোলি মানচিত্রের সবথেকে বিখ্যাত জায়গা। যদিও হোলির সাতদিন আগে থেকে এখানে ভিড় জমতে শুরু করে দেয়। কেন? এ যে শাশ্বত প্রেমের উৎসব! কোনও এক বসন্তে  কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চম দিনে এখানেই রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের স্বর্গীয় ভালোবাসা রচিত হয়েছিল। তারই স্মৃতি হিসেবে ফিরে ফিরে আসে রং পঞ্চমী।
বাঙালিরা অবশ্য এসব থেকে শতহস্ত দূরে, এমনটা নয়! বাঁদুরে রং খেলতে তারা ভালোই বাসে। তবু সংস্কৃতিবান বাঙালির মনে রং মানেই দোলপূর্ণিমা আর বসন্তোৎসব। শীত অস্তাচলে যেতেই যখন আগুন লেগে যায় শিমুল-পলাশের গায়ে, হাল্কা সবুজ কচি পাতা, ফুলে ভার হয়ে আসে শুকনো গাছেরা; ঠিক সেই মুহূর্তে বাঙালি মননে জেগে ওঠেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ আর ‘খোল দ্বার খোল’ গাইতে গাইতে গোটা শহর ভিড় করে শান্তিনিকেতন, সোনাঝুরিতে। তারপর লাল ফুলেদের ছায়ায় ছোট্ট ধূলিধূসরিত পথে শুরু হয় নাচ-গান, আবির-রঙের মহোৎসব।
বাঙালির দোল আর অবাঙালির হোলি—এক মনে হলেও সংস্কৃতির দিক থেকে পার্থক্য কম নয়। পুরাণ অনুসারে, যৌবনে নিজের শ্যাম বর্ণ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণ। ভয় পেতেন, রাধা ও গোপিনীরা একারণে তাঁকে পছন্দ করবে না, কাছে ঘেঁষবে না। এই অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন মা যশোদা। গায়ে আবির ছুঁইয়ে। বললেন, এবার এই আবির রাধার মুখে-গায়ে ছোঁয়াও। তাহলে তো কৃষ্ণ আর রাধাতে কোনও তফাত থাকবে না। মায়ের আজ্ঞা পালন করেন যশোদা-নন্দন। আর তারই উদযাপন আমরা দেখি হোলিতে। সেটুকুর সঙ্গে কবেই মিশে গিয়েছে বিষ্ণু, হিরণ্যকশিপু, ভক্ত প্রহ্লাদের পৌরাণিক গাথা। যদিও আরও একটি কাহিনি আছে। একদিন বৃন্দাবনে রাখা ও তাঁর সখীদের সঙ্গে খেলা করছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এমন সময় এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন শ্রীরাধিকা। সখীদের সামনে তাঁর লজ্জা নিবারণে নন্দলাল শুরু করেন আবির খেলা। বৈষ্ণবদের কাছে এটাই দোল উৎসবের আসল কারণ।
ফাল্গুনের এই পূর্ণিমা তিথিতে চৈতন্যদেবেরও জন্ম।
‘ফাল্গুনপূর্ণিমা তিথি নক্ষত্র ফাল্গুনী।
জনম লভিল গোরা গৌর গুণমণি।।’
তাই দোল ‘গৌর পূর্ণিমা’ও। তাই রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগরকীর্তনে বেরিয়ে পড়েন বৈষ্ণবরা। পণ্ডিতদের মতে, বিগ্রহের দোলায় গমন করা থেকেই ‘দোল’ কথাটির উৎপত্তি। দেশের অন্যান্য প্রান্তে আরও নাম, আরও অনুষঙ্গ আছে এই রঙের উৎসবের। স্থানভেদে বদলেছে রং খেলার রীতিনীতিও।

লাঠমার হোলি
শুরুতেই যে কথা লিখেছি, বারসনা (নাকি বর্ষণা) এখন পৃথিবী বিখ্যাত। সেটা এই হোলির কারণেই। রং খেলা চলে এখানে সপ্তাহভর। তাও আবার রীতিমতো লাঠিসোঁটা নিয়ে। সেই থেকেই এমন ‘লাঠমার’ নামকরণ। তবে এর পিছনেও আছে রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়আখ্যান। বৃন্দাবন শহর থেকে একটা অটোতেই পৌঁছে ধরলেই যাওয়া যায় সেই গ্রামে। তারপর সরু গলির মতো রাস্তা ধরে সোজা পৌঁছে যেতে হয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু রাধারানি মন্দিরে। পুরাণমতে, এই ফাল্গুন পূর্ণিমার দিনে নন্দগাঁও থেকে শ্রীরাধিকার পিছু নিয়ে এই গ্রামে এসে পৌঁছেছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। প্রবল উত্ত্যক্ত করেছিলেন রাধা ও তাঁর সখীদের। ফলে সখীরা রেগে গিয়ে নন্দলালকে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। সেই প্রথা আজও চলে আসছে বারসানায়। নন্দগাঁও থেকে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে কৃষ্ণের বেশে পুরুষেরা দলে বেধে আসেন রাধিকার গ্রামে। আর শক্ত লম্বা লাঠি হাতে তাদের স্বাগত জানায় ঘাগরা-চোলি পরিহিত নারীরা। সেই লাঠির ঘা পড়ে পুরুষদের গায়ে, মাথায়—সে এক মজাদার দৃশ্য।
চামড়ার গোল ঢাল দিয়ে সেই আঘাত থেকে নিজেদের রক্ষা করেন কৃষ্ণবেশীরা। কিন্তু দৈবাৎ সেকাজে ব্যর্থ হলে, পেতে হয় কঠিন শাস্তি। শরীরে লাঠির ঘা লাগামাত্র সেই ব্যক্তিকে ধরে শাড়ি পরিয়ে দেন মহিলারা। তারপর জনসমক্ষে সেই পুরুষকে নেচে দেখাতে হয়। উৎসবের দিনগুলিতে এ গ্রামের প্রতিটি পুরুষই কৃষ্ণ এবং নারীরা সকলেই রাধা। হোলি খেলা শেষ হলে বসে ‘সমাজ’। পড়ন্ত বিকেলের সেই আসরে সুর মিলিয়ে চলে গান... কৃষ্ণ-রাধার প্রেমের। নন্দগাঁও-ও কম যায় না। লাঠমার হোলির পরদিন বারসানার পুরুষরা কৃষ্ণ সেজে যান সেখানে। লাঠির মারের প্রতিশোধ নিতে নন্দগাঁওয়ের পুরুষেরা রংভর্তি বালতি নিয়ে স্বাগত জানায় তাদের। 

ফুলের হোলি ও বিধবাদের দোল
বৃন্দাবনের প্রতিটি মন্দিরেই হোলিতে চলে আবির খেলা। তবে সেসবের মধ্যে আলাদা আকর্ষণ বাঁকেবিহারী মন্দিরের উদযাপন। হোলির আগে একাদশীর দিন সেখানে ভেঙে পড়ে দেশি-বিদেশি জনতার ভিড়। হবে না-ই বা কেন, একমাত্র এখানেই দেখা যায় এক বিশেষ অনুষ্ঠান—ফুলের হোলি। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই এটি ভীষণ জনপ্রিয়। কোনও আবির বা রং, এমনকী রংগোলা জলও থাকে না এই হোলিতে। থাকে শুধু ফুল আর পাপড়ি। তা দিয়েই চলে আবির খেলা হয় বৃন্দাবনের এই মন্দির প্রাঙ্গণে।
বৃন্দাবনের চারশো বছর পুরনো গোপীনাথজির মন্দির আবার হোলিতে সাক্ষী থাকে আর এক বিরল দৃশ্যের। সাদা থান পরিহিত বিধবাদের রং খেলার। শতাব্দীপ্রাচীন কুসংস্কার ভেঙে গত কয়েক বছর ধরে তারা এই উত্সবে শামিল। বছরভর পরে থাকা বিবর্ণ সাদা থানে এই একদিনের জন্য লাগে আনন্দের রং। হাসি ফোটে পরিবার হারানো বৃদ্ধাদের মুখে।

হোল্লা মহল্লা
হোলি থেকে দূরে থাকেন না শিখরা। হবে না কেন, স্বয়ং দশম শিখগুরু, গুরু গোবিন্দ সিং যে বলে গিয়েছেন। সূচনা করে গিয়েছেন হোল্লা মহল্লা পরবের। তিন দিন ধরে চলে সেই অনুষ্ঠান। হোলির দিন থেকে সেই উদযাপন শুরু করেন পাঞ্জাবের নিহঙ্গ শিখরা। এই অনুষ্ঠানের আসল উদ্দেশ্য অবশ্য রং নয়, শরীরচর্চার দক্ষতা বাড়ানো। তাই হোল্লা মহল্লাকে ডাকা হয় যোদ্ধাদের হোলি নামেও। এই দিন কুস্তি, মার্শাল আর্ট, তরোয়াল খেলা সহ শক্তি প্রদর্শনের নানা খেলায় অংশ নেন নিহঙ্গ শিখরা। তাদের কৌশলগুলি তাক লাগিয়ে দেয়।
তবে রং খেলা যে একেবারে হয় না, তা নয়। গত উনিশ শতক থেকে ঐতিহ্য হিসেবে বসন্তের এই উৎসব পালন করে আসছে শিখেরা। এই আনন্দপুর সাহিবে প্রথম একটি নকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ঘোড়দৌড়, শরীরচর্চা, তীর চালানো ও সামরিক-চর্চায় মেতে উঠেছিল তারা। তারপর থেকে এই প্রথা সর্বত্র প্রচলিত হয়।
মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের সময় শিখ সাম্রাজ্যে হোলি খেলার প্রমাণ মেলে। শিখ দরবারের একটি নথিতে নাকি লেখা রয়েছে, ১৮৩৭ সালে লাহোরে রঞ্জিত সিং ও তার কর্মচারীরা ৩০০ পাউন্ড রং ব্যবহার করেছিলেন। বিলাবল বাগানে সেই হোলির উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি স্যার হেনরি ফেন। রঞ্জিত সিংয়ের উদ্যোগে লাহোর দুর্গে শ্রীকৃষ্ণ ও গোপীদের সঙ্গে হোলি খেলার একটি দেয়াল চিত্র তৈরি হয়েছিল। মহারাজার মৃত্যুর পর, তাঁর উত্তরসূরিরাও হোলি আড়ম্বর চালিয়ে গিয়েছেন।

রং পঞ্চমী
মহারাষ্ট্রের হোলিকে বলা হয় ‘রং পঞ্চমী’। রং খেলা ছাড়াও সেদিন গোটা রাজ্যে পালিত হয় আর এক অনুষ্ঠান, হোলিকা দাহ। শুক্লা পঞ্চমীর শেষ দিন সূর্যাস্তের পর খড় দিয়ে হোলিকার পুতুল গড়ে তাতে আগুন ধরান মহারাষ্ট্রের মানুষ। অনেকটা আমাদের ন্যাড়াপোড়া বা বুড়ির ঘর পোড়ানোর মতো। হোলিকা দাহর অর্থ, অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করে শুভ শক্তির জয়লাভ। হোলিকা দাহের পরদিন পালিত হয় রং পঞ্চমী। একে অপরের গায়ে রং, আবির মাখিয়ে আনন্দ মেতে ওঠে মারাঠা-ভূমি। ঘরে ঘরে তৈরি হয় মিষ্টি রুটি ‘পুরান পোলি’, যার স্বাদ একবার খেলে ভোলা যাবে না।

শিগমো়
গোয়ার হোলি আবার আরও অন্যরকম। এর পোশাকি নামটাও বাকিদের থেকে আলাদা... শিগমো। এটাই গোয়াবাসীদের বসন্ত উৎসব। বসন্ত ঋতু উদযাপনে রাস্তার মধ্যেই ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের আয়োজন করা হয় একদা পর্তুগিজ অধিকৃত এই রাজ্যে। শিগমোর সময় আঞ্চলিক সাজে নিজেদের নৌকা সাজিয়ে তোলেন গোয়ার মৎস্যজীবীরা। শিগমোর আবার দু’টি ভাগ, ধাকতো শিগমো এবং ভাদলো শিগমো। এই দু’টি শব্দের অর্থ ছোট এবং বড়। গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে শ্রমিক এবং কৃষকরা পালন করেন ধাকতো শিগমো। আর ভাদলো শিগমো উদযাপিত হয় উচ্চ-মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণি নির্বিশেষে।

মঞ্জুল কুলি
উত্তর ভারতে যতটা উদ্দীপনার সঙ্গে হোলি উদযাপিত হয়, দক্ষিণে ততটা আবেগ দেখা যায় না। তবে এখন তো সবাই এক ‘বিশ্বগ্রাম’-এর বাসিন্দা। তাই রং খেলায় সেখানেও উৎসাহ বর্তমানে নেহাত মন্দ নয়। তবে কেরল সেই উৎসাহ যথেষ্ট বেশি। তাদের হোলি ‘মঞ্জুল কুলি’ নামে পরিচিত। গোসরিপুরম থিরুমার কোঙ্কনি মন্দিরে দু’দিন ধরে তা পালিত হয়। প্রথম দিনে ভক্তরা মন্দির পরিদর্শন করেন।আর দ্বিতীয় দিনে একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে দেন হলুদগোলা জল। ঐতিহ্যবাহী লোকগীতি এবং নাচে মেতে ওঠে ছেলে-বুড়ো সক্কলে।

ইয়োসাং
এখন বিধ্বস্ত মণিপুরে কতটা হোলি পালন হবে জানা নেই। তবে এখানকার রঙের উৎসব বেশ বিখ্যাত। হবে না কেন এখানে যে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের বহু মানুষের বসবাস। চিত্রাঙ্গদার দেশে হোলিকে বলা হয় ইয়োসাং বা ইয়াওল শাং। দেবতা ‘পাখংবা’কে শ্রদ্ধা জানাতে পাঁচ দিন ধরে পালিত হয় এই রঙিন উৎসব। ইয়োসাঙের প্রথম দিন সূর্যাস্তের পর পালন করা হয় পাতার কুঁড়ে ঘর পোড়ানোর অনুষ্ঠান। এর নাম, ‘ইয়াওসাং মে থাবা’। এরপর পালিত হয় ‘নাকাথেং’। সেই উপলক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলতে যায় ছোটরা। দ্বিতীয় দিনে মূলত মন্দিরে সঙ্গীত আসর বসে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে দান সংগ্রহে বের হন মহিলারা। শেষ দুই দিন লোকেরা একে অপরের গায়ে জল ও রং ছিটিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী রীতি উদযাপন করেন।

খাড়ি হোলি
উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন এলাকায় হোলিতে রং খেলা গৌণ। মুখ্য হল গান। গোটা অনুষ্ঠানটি খাড়ি হোলি নামেই খ্যাত। তবে সেটাও মূলত খাড়ি গানের কারণেই। হোলি খেলার পাশাপাশিই বসে গানের আসর। স্থানীয় পোশাকে সকলে জড়ো হন সেই উৎসব উদযাপনে। পথেঘাটে ঘুরে ঘুরে চলে খাড়ি গান। আর সুরে সুরেই উদযাপন হয় খাড়ি হোলির। 
ফাগুয়া
ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের প্রবল জনপ্রিয় নাচের নাম ফাগুয়া। সেই নাচের তালে তালেই সেখানে উদযাপন হয় হোলির। ভোজপুরি ভাষায় ফাগুয়া শব্দের অর্থ হোলি। ঝাড়খণ্ড এবং তার সংকট সংলগ্ন বিহার এলাকায় এই নামেই চলে রং খেলা। তার আগে হোলিকা দহনের রীতি প্রচলিত রয়েছে সেখানেও।

ফাকুয়াহ
নামে মিল হলেও জায়গাটা একেবারে আলাদা। কোথায় ঝাড়খণ্ড বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চল, কোথায় অসম। হ্যাঁ, অসমে হোলির উৎসবের নাম ফাকুয়াহ। নামে আলাদা হলেও বাংলার দোলযাত্রার সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে এই আবির উৎসবের। পশ্চিমবঙ্গের মতোই দু’দিন ধরে দোল উদযাপন করা হয় অসমে। প্রথম দিন হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া। পরদিন তুমুল রং খেলা।

ধুলন্দি
মরুরাজ্য রাজস্থানে আবার হোলির নাম একেবারেই আলাদা... ধুলন্দি। মূলত জয়পুর ও তার আশপাশের এলাকায় হোলির দিনে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। এক্ষেেত্র খুব বেশি পার্থক্যও নেই অন্যান্যদের সঙ্গে। এখানে হোলিকা দহনের পরদিন হোলি উৎসব হয়। তবে ধুলন্দির আসল খেলা দ্বিতীয় দিনেই। হোলি খেলা হয়ে গেলে কাঠ জ্বালিয়ে চারপাশে গোল হয়ে বসে সন্ধ্যা কাটে রাজস্থানবাসীর। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন স্থানীয়দের মুখে মুখে ছোটি হোলি বা হোলিকা দীপক নামেই পরিচিত।

রয়্যাল হোলি
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই হোলি রাজ পরিবারের। আর এমন রাজ পরিবার তো দেশের মধ্যে একটি রাজ্যেই সর্বাধিক, রাজস্থান। উদয়পুরে হোলির উৎসবই বিখ্যাত। অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও রং খেলার আগরে দিন কাঠে আগুন জ্বালিয়ে হোলিকা দহন পালন করা হয়। পরদিন চিরাচরিত উৎসব। তবে রাজপরিবারের হোলি বলে কথা, বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় উদয়পুরে। আয়োজনের দায়িত্বে থাকে মেবারের রাজপুতানা পরিবার। তাদের এই আয়োজন ঘিরে প্রতি বছরই সমান উন্মাদনা থাকে গোটা রাজস্থানেই।

বসন্তোৎসব
অন্য সব রাজ্যের কথা লিখলে বাংলাই বা বাদ থাকে কেন! সেই জোব চার্নকের আমল থেকেই বাংলায় দোল খেলার প্রমাণ পাওয়া যায়। এখনকার শান্তিনিকেতনী আবির খেলা নয়, কিংবা শহুরে নাচগান নয়, দোলে কলকাতা শুনেছে গওহরজানের সুরেলা কণ্ঠ। সেই অনুষ্ঠানকেই বসন্তোৎসবের রূপ দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গোটা বাংলার থেকে যা একেবারে আলাদা। কারণ, রং নয়, শুধু আবির দিয়েই হয় এই উৎসবের উদযাপন। বড় ভূমিকা থাকে প্রকৃতিরও। রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে বসন্তোৎসবের সূচনা হয় বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। গোটা পরিকল্পনার মূলেও ছিলেন কবিগুরু। আজও সেই ঐতিহ্য অমলিন। তবে করোনাকাল থেকে বসন্তোৎসব চলে গিয়েছে লোকচক্ষুর অন্তরালে।
এ তো গেল আনন্দের রং খেলার কাহিনি। এর পাশাপাশি গা শিরশির করার মতো হোলি খেলাও দেখা যায় আমাদের দেশেই। দোল পূর্ণিমার আগের একাদশী তিথিতে বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে শ্মশানের চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলেন অঘোরী তান্ত্রিকরা... মশান হোলি। শোনা যায় সেই হোলির সাক্ষী থাকতে গিয়ে বুক কেঁপে যায় অতি সাহসীদেরও।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
24th  March, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
বইমেলার কড়চা

 ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা।
বিশদ

28th  January, 2024
একনজরে
গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে বিষ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই এমন অভিযোগ করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপরই তাঁকে বাসভবন থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বুশরা। ...

 ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তিন প্রধানকে ঘিরে সমর্থকদের অফুরান আবেগ ময়দানের ইউএসপি। ফুটবলের মতো মেট্রো রেলও বঙ্গ সংস্কৃতির ...

বাজারে ‘নিও ভারত ল্যাটেক্স’ নামে নতুন রং নিয়ে এল এশিয়ান পেন্টস। তাদের দাবি, এই রংয়ে উন্নত ও বিশেষ পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রংয়ের ...

পুরী থেকে নন্দকুমার আসার পথে ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

09:50:47 PM