Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল। 
বর্ষীয়ান বাঙালিদের পক্ষে এটা নতুন খবর নয়, এর আগেও হুট করে ইংরেজি শব্দ বাঙালির বেডরুমে ঢুকে পড়েছে। যেমন ‘এয়ার রেড’, ‘ব্ল্যাক আউট’, ‘এ আর পি’, ‘ইভাক্যুয়েশন’, ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ ইত্যাদি নিষিদ্ধ শব্দ—তারা গৃহস্থ বাঙালির অনুমতিই নেয়নি। 
বাংলা ভাষায় এই ধরনের অনধিকার প্রবেশ সেই পলাশির পরাজয় থেকেই ঘটে আসছে। কিন্তু আমরা সাবধানী এবং রক্ষণশীল জাত, মোগল পাঠানকে কোনওরকমে সামাল দিয়ে আমরা অনেকদিন বাইরের শব্দকে অন্দরমহলে ঢুকতে দিইনি। যেসব শব্দের কথা উল্লেখ করলাম, এসবই বিশ শতকের তৃতীয় দশক থেকে আমাদের জ্বালাতন করছে, আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও। আরও দুটো-তিনটে ইংরেজি শব্দ আচমকা হাজির হয়েছে —‘রায়ট’, ‘পার্টিশন’ এবং ‘রিফিউজি’। দাঙ্গা, দেশভাগ এবং আশ্রয়প্রার্থী বললে প্রকৃত অবস্থা বোধহয় ঠিক বোঝা যায় না, যেমন ‘ভোট’, যাঁরা বাক্যবাগীশ বাঙালিকে পবিত্র রাখতে চান তাঁরা দুশ্চিন্তায় থাকেন, ভয় দেখান—এতদিন তো মোগল পাঠান ইংরেজকে সামলানো গেল, সামনে কিন্তু আরও খারাপ সময় আসছে। যেমন হিন্দির আক্রমণ, শেষ পর্যন্ত হয়তো ‘বেংলিস’ এবং ‘হিংলিস’ ছাড়া বঙ্গীয় শব্দ কোষ বা ডিক্সনারিতে কিছুই থাকবে না। 
বহিরাগতদের যাঁরা এইসব বেয়াড়ি ভাবনা সমর্থন করেন, তাঁরা আত্মনির্ভর ভারতের কথা বললেও স্বনির্ভর বাংলাকে অপছন্দ করেন। আর যাঁরা ভোট বাক্সে সজীব ও স্বনির্ভরকে নিধন করতে আগ্রহী তাঁরাও দেখছি বাংলার মানুষকে বলছেন, যা পরিধান করে দূরত্ব রক্ষা করতে হবে, তার নাম ‘মাস্ক’। মুখোশ বলে একটা বাংলা শব্দ এতদিন ছিল, এখন আর নেই। যাঁরা বিরক্ত হচ্ছেন তাঁরা বলছেন, কোভিড ১৯ বিদেশ থেকে আসা ফরেন ইনভেশন। আমরা এতদিন কেবল ‘কোবিদ’ শব্দেই সন্তুষ্ট ছিলাম, ‘কলেরা’, ‘স্মল পক্স’, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা’, ‘প্লেগ’, ‘ডেঙ্গু’ এরা কোনওটাই বাঙালি নয়। 
যাঁরা শব্দের সতীত্ব পছন্দ করেন না, তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, স্মল কজেস কোর্ট এসব কি বাঙালির নিজস্ব শব্দসম্পদ? এমন দিন আসতে পারে, যেদিন ডাল, ভাত চচ্চড়ি ও চাটনি ছাড়া আমাদের শব্দপাত্রে কোনও কিছুই বাঙালি থাকবে না। যদি বলেন কেন? ইলিশ, চিংড়ি, রসগোল্লা, সন্দেশ এসব গেল কোথায়? আপনি না শোনার ভান করতে পারেন, কিন্তু নিষ্ঠুর সত্যটি হল, এসব কেনবার ক্ষমতা থাকবে কেবল তাঁদের, যাঁদের আমরা আড়ালে বহিরাগত বলি। এঁরাই আজ মহানগরী কলকাতার বেশিরভাগ সম্পত্তির মালিক, এঁদের এক্ষুনি কোটি টাকার ফ্ল্যাট বিক্রি করবার জন্য বাংলার অতিপ্রিয় তারারা টিভিতে সাদর আহ্বান জানান। 
মনে পড়ছে ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কথা, তাঁর দক্ষিণ কলকাতার ‘সুধর্মা’ নামক গৃহে বসে তিনি আমাকে বলেছিলেন, কাউকে নিজের বই উপহার দেবার সময় কখনও লিখবে না ‘শ্রীচরণেষু’। কারণ তোমার বইটা হল দেবী সরস্বতী, বড়জোর লিখবে ‘করকমলেষু’ এবং সব সময় শব্দের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাবার জন্য অভিধানের শরণ নেবে। আমাদের বড় লেখকগণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সুযোগ পেলেই অভিধান পড়তেন এবং তাঁরা বুঝতেন, শব্দের অরণ্যেই লুকিয়ে থাকে একটা গোটা জাতের উত্থানপতনের ইতিহাস। 
তাহলে যেসব বহিরাগত শব্দ চুপি চুপি কাছে এসে আমাদের অন্দরমহলে ঢুকে পড়েছে, তাদের কী হবে? 
প্রবীণ নাগরিক (থুড়ি, এর শুদ্ধ বাংলা হল সিনিয়র সিটিজেন) হিসেবে চোখের সামনে দেখছি বহিরাগতের সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ। আমি কেবল ভাষার কথাই ভাবছি। এর শুরু সেই ১৯৩৯ সালে, যখন ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ হয়ে গেল ‘সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’, চাল, ডাল উধাও হয়ে গেল ‘রেশন কার্ডে’। এই ‘রেশন’ শব্দটা বোঝে না এমন একজন বাঙালি এই পুণ্যভূমির কোথাও নেই। কিন্তু বিলেত থেকে আসা কলকাতার সাহেবরাও এর অর্থ বুঝতে পারতেন না। একজন সাহেব আমাকে সেই ১৯৬৭ সালেই জিজ্ঞেস করেছিলেন, রোমান সৈন্যবাহিনীতে এই রেশন শব্দটা চালু ছিল শুনেছি। 
আমার বক্তব্য, মহাযুদ্ধের সময়েই এইসব অনুপ্রবেশ হল, এ আর পি ছোকরা এসে ভয় দেখাল, বৈদ্যুতিক বাতিতে ঘোমটা লাগাও না হলে থানায় যেতে হবে। তখন যুদ্ধের সময়, কাজকর্মের বেজায় সুদিন, কিন্তু সেইসঙ্গে জুটল ‘ওভারটাইম’, যার শুদ্ধ বাংলা বোধ হয় সুনীতি চাটুজ্যেরও আয়ত্তের বাইরে। তারপর বাংলার কলকারখানা যখন বাইরে চলে যেতে আরম্ভ করল তখন আমাদের হল দুটো নতুন শব্দপ্রাপ্তি—‘লক আউট’ ও ‘ভিআরএস’। আমাদের ক্ষয়িষ্ণু হাওড়া শহরেও এর মানে বোঝে না, এমন একজন পুরুষ ও নারী সেদিন ছিল না। 
কিন্তু তার আগেও একটা সময় এসেছিল—১৯৪৩। গোড়ায় কিছু লোক বলত ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর’, পঞ্চাশ লাখ না কত মানুষ এই সোনার বাংলা থেকে সাফ হয়ে গেল ‘ফ্যান দাও, ফ্যান দাও’ কাঁদতে কাঁদতে। আদি ‘ফ্যান’ শব্দের অর্থ আজকের সেরা ছাত্রছাত্রীও বোঝে না, এখন  ফ্যানের অন্য অর্থ— ‘অমিতাভ বচ্চন ফ্যান’, ‘কোহলি ফ্যান’, টেবিল ফ্যান, সিলিং ফ্যান। এইসব পবিত্র শব্দ বঙ্গীয় কর্ণকুহরে নিত্য প্রবেশ করছে। 
পঞ্চাশের সর্বনাশা মন্বন্তরের পরে লর্ড ওয়াভেলের দয়ায় আমরা পেলাম আরও দুটি টাটকা বাংলা শব্দ—‘রেশন’ ও ‘ফেয়ার প্রাইস শপ’। এদেরই সহযাত্রী ‘ব্ল্যাক আউট’ এবং ‘ইভাক্যুয়েশন’। জাপানিদের হাত থেকে বাঁচবার জন্য লক্ষ লক্ষ নিরীহ লোক কলকাতা ছেড়ে পালাল, খুব ক্ষতি হল অনেকের। কিন্তু আমাদের লাভ হল এই মূল্যবান বাংলা শব্দটি—‘ইভাক্যুয়েশন’। আমার চৌধুরী বাগানের এক পড়শি বলেছিলেন, এটা নতুন ব্যাপার নয়, এর আগে ১৮৯৮ সালে প্লেগের সময় কলকাতার বারো আনা নাগরিক শহর ছেড়ে পালিয়েছিল, কিন্তু তখন কোনও অজ্ঞাত কারণে ‘ইভাক্যুয়েশন’ শব্দটি কেউ ব্যবহার করেনি, এক ‘প্লেগ’-ই তখন যথেষ্ট। 
কিন্তু সেই সময় একটা মজার ব্যাপার ঘটেছিল। কেউ কেউ ধরে নিয়েছিল, মহাযুদ্ধে মিত্রপক্ষের হার অনিবার্য। দেশটা তিনভাগে ভাগ হয়ে যাবে—একভাগ পাবেন মুসোলিনি, একভাগ হিটলার এবং এই সোনার বাংলা চলে যাবে জাপানি তোজো সাহেবের হাতে। সাহেব কোম্পানির নিম্নবিত্ত কেরানিও হাওড়ায় লুকিয়ে লুকিয়ে জাপানি শব্দের অর্থপুস্তক পড়তে লেগে গেল। আমি তখন নিতান্তই স্কুলের ছাত্র, কিন্তু আমাকেও একজন শিক্ষার্থী জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘বাংলা এয়ার রেড’ শব্দটার জবানী কি হবে রে? 
আমাদের পড়শি বাদল কাকু ছিলেন এক ইংরেজ অফিসের ক্ষিপ্র লিপিকার। তিনিও বললেন, ইংরেজি আয়ত্ত করতে জাপানিদের একশো বছর লেগে যাবে, ততদিন এই বেংলিশই চালাতে হবে, এইটাই সুভাষকে সবাই মিলে বোঝাতে হবে। 
‘গ্রেট ফেমিন’টা আমরা কেমন সহজেই ভুলে গেলাম। আমাদের সমবয়সি অমর্ত্য সেন কেবল ঠান্ডা মাথায় ওই বিষয়টা নাড়াচাড়া করে নোবেল জয়ী হলেন। আমাদের আশঙ্কা, কোনও বুদ্ধিমান বাঙালি একদিন ‘লক আউট’ এবং ‘ভিআরএস’ শব্দ দু’টি ভাঙিয়ে স্টকহোমে ছুটবেন। 
এসব তো পঞ্চাশের সত্য। তার আগেও এসেছিল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, তখন কিন্তু সঙ্কর শব্দের ধাক্কায় আমরা চিৎপটাং হইনি। পরবর্তী সময়ে শুনেছি, স্বাধীন হলে আর ‘ফেমিন’ হবে না, ‘স্টারভেশন ডেথ’ও হবে না। একেবারে নির্জলা সত্য কথা, স্বাধীন ভারতে আর ফেমিন হয়নি, তার একমাত্র কারণ কয়েকটি ইংরেজি শব্দকে আমরা যথাসময়ে ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ফেলে দিয়েছি—এখন আর এদেশে ‘ফেমিন’ হয় না, হয় ‘ড্রাউট’, ‘স্টারভেশন ডেথ’ আর হয় না। এখন যা হয় তা কেবল ‘ম্যালনিউট্রিশন’। তেমনই আমাদের হাওড়ায়, আর হয় না কলেরা, তার বদলে যা হয় তা হল ‘স্টম্যাক ট্রাবল’। 
যাহা তেতাল্লিশ তাহা ছেচল্লিশ নয়। ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ সালে আমরা বাঙালিরা পেলাম আর একটি নতুন শব্দ—‘রায়ট’। আদ্যিকালে যার অর্থ ছিল সাম্প্রদায়িক ‘দাঙ্গা’। আমরা দাঙ্গাবাজ এই বদনাম কে দেবে? কিন্তু এই কলকাতাতেই কত লোক ছুরিকাহত হল, কত নিরপরাধ মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হল, তার সঠিক হিসেব আজও কারও হাতের গোড়ায় নেই। এইখানেই শেষ নয়, আগুন ছড়াল সারা বাংলায়                    এবং নোয়াখালিতে ছুটলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী এবং তার পরের বছরে দেশভাগ অনিবার্য হয়ে উঠল। যারা একদিন বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাবের জন্য কার্জন সাহেবকে প্রবল নিন্দা করেছিল, তারাই বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাবে বিশেষ উৎসাহিত হল। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭-এর মধ্যরাতে আমরা আরও একটা শব্দ পেলাম ‘পার্টিশন’। সেই সঙ্গে আরও একটি নতুন বাংলা শব্দ— ‘রিফিউজি’। কোনও কোনও বাঙালি লিখেছিলেন, ‘নতুন ইহুদি’। কিন্তু ধোপে টিকল না, সবাই ‘রিফিউজি’ হয়েই পথে বসতে চাইল। 
তারপর আরও কত কী হল। নগর কলকাতা এবার বাঙালির হাতছাড়া, ক্যালকাটাকে ‘কলকাতা’ করেও ফলপ্রসূ কিছু হল না। দেশ ছাড়া মধ্যবিত্ত বাঙালি ততক্ষণে কাজ ছাড়া। রুজি রোজগারের সন্ধানে এবার শুরু হল মিডল ক্লাস বাঙালির সর্ববৃহৎ ‘ইমিগ্রেশন’। পণ্ডিতরা বললেন, এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি, দূরদর্শীরা কাজের সন্ধানে এখন কোথায় না ছুটেছেন, বেঁচে থাক বেঙ্গালুরু, পুনে, মুম্বই, দিল্লি ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশ্যই এই পরিবর্তনের একটা ভালো দিক আছে মা দুর্গা, মা কালী সেখানেও সম্মান পাচ্ছেন। কিন্তু কী হবে মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরের অনূঢ়া কন্যাদের? তাঁদের মা-বাবারা ধরেই নিয়েছেন, কলকাতায় তাদের পাত্র পাওয়া যাবে না। কিন্তু দুঃসংবাদ এই যে, প্রবাসী বাঙালি যেখানে কাজ সেখানেই বিবাহবন্ধন পছন্দ করছেন। বলার কিছু নেই, কলকাতার মধ্যবিত্ত এখন ‘জোরিয়াটিক সোসাইটি’ ও ‘রেমিট্র্যান্স ইকনমি’ শব্দ দু’টির প্রকৃত অর্থ বুঝতে শুরু করেছেন। 
আমার জন্মকাল বিশ শতকের এক অবিস্মরণীয় সময়ে। দেশ তখনও স্বাধীন হয়নি, কিন্তু বহুজনের চোখে তখনও আত্মনির্ভরতার স্বপ্ন। তখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে রয়েছেন। তখনও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, রাজেন মুখার্জি কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু তখনও বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কর্মব্যস্ত, বিধানচন্দ্র রায় তখনই খ্যাতির শিখরে। তারপরেও আমাদের কত কিছু হয়েছে। 
সেই সময়েও মহামারী ছিল, তবে এপিডেমিক শব্দটি বাংলা অভিধানে প্রবেশের সাহস পায়নি। এখন তো আর একটি উদ্ধত বাংলা শব্দ বাঙালির দরজায় কড়া নাড়ছে— প্যানডেমিক। সেই সঙ্গে ‘ভ্যাকসিন’, আগেকার ‘টীকা’ শব্দটি আজ আর কেউ পছন্দ করছে না। অথচ টীকার সঙ্গে বাঙালির পরিচয় কয়েক শতাব্দী ধরে। তিরিশ, চল্লিশের দশকে মানুষ তেমন দীর্ঘজীবী হতো না। লোকে আশীর্বাদ করত শতায়ু হও, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তখন ক্ষণজীবী। মৃত্যুকে সবাই অপছন্দ করত। কিন্তু ইদানীং কেউ কেউ মনে করে, মৃত্যু যতই দুঃখের হোক, এর একটা বিশেষ ‘বেনিফিট’ আছে, মৃত্যুর পরে মানুষের বয়স আর বাড়ে না—তাই বিবেকানন্দ আজও উনচল্লিশ, রামকৃষ্ণ আজও পঞ্চাশ, বঙ্কিম আজও পঞ্চান্ন। 
একটা মজার প্রশ্ন কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেন, মানুষ কবে থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ বা সিনিয়র হয়? এর ঠিক ঠিক উত্তর আমার আজও জানা নেই। এককালে পঞ্চাশ পেরতে পারলেই বাংলার বোস, ঘোষ, দত্ত সন্তুষ্ট হতেন। মেয়েদের অবস্থা ছিল আরও খারাপ, তারা তো কুড়ি পেরলেই বুড়ি! তারপর এল ষাট। অনেকেই সিনিয়র সিটিজেনের সুবিধের জন্য ছটফট করতেন, বয়োবৃদ্ধ শব্দটা কারও পছন্দ হতো না। এর এই সুযোগেই বাংলায় আর একটা ইংরেজি শব্দ সহজেই ঢুকে গেল। তারপর এল সর্বনাশা সত্তর। মনে আছে, একজন বিখ্যাত কিন্তু সহৃদয় রাজনৈতিক নেতা আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে ফোনে আমার জন্মদিনে বললেন, ‘একটা বছর আপনাকে বিশেষ একটু সাবধানে থাকতে হবে, অনেকেই আপনাকে বাহাত্তুরে বলবে। তার মানেই হচ্ছে, আপনি গুড ফর নাথিং। কিন্তু চিন্তা করে অযথা রক্তচাপ বাড়াবেন না, এই বিভ্রান্তি মাত্র এক বছরের জন্যে। বাহাত্তর পেরিয়ে তিয়াত্তরে পা দিলে আর কেউ আপনাকে ওই অপবাদ দেবে না!’ 
যখন আশি বছর এল, তখন এক পাঠক রসিকতা করে লিখল—‘আশিতে আসিও না।’ রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালের এক সন্ন্যাসী আমার দুঃখের কথা শুনে বললেন, এসব সেকেলে কথা! এখন বিরক্ত বৃদ্ধরা হসপিটালে শুয়ে শুয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কেন ঘুম তেমন হচ্ছে না আগেকার মতন। এই সন্ন্যাসীই আমাকে বলেছিলেন, মশাই, একাশি বছরে পড়ার সুবিধে অনেক। আপনি রবি ঠাকুরের সিনিয়র হয়ে যাবার দুর্লভ সুযোগ পাচ্ছেন, আপনি কবিগুরুকে ‘তুমি’ বলতে পারবেন, কারণ ওঁর বয়স আর বাড়ছে না, বঙ্গীয় সংসারে এইটাই বহুকালের সুবিধা। 
এইসব রসরসিকতা পেরিয়েও, ক্রিকেট মাঠে এইট্টি সেভেন স্কোর হলে প্রিয়জনদের উত্তেজনা বেজায় বাড়ে। যাঁরা পেনশন দেন তাঁরাও চিন্তিত হয়ে পড়েন, অথচ এইট্টি সেভেন নম্বর পরীক্ষায় পেলে আমাদের সময় যথেষ্ট হইচই পড়ে যেত! এখন নাকি নাইনটি নাইন না পেলে গার্জেনরা সন্তুষ্ট হন না, অর্থাৎ প্রত্যাশার কোনও শেষ নেই। তবু যদি ৭ ডিসেম্বর ২০২০ আসে এবং কারও বলতে ইচ্ছে হয়, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’ তাহলে ভাববেন না বুড়োদের লোভের অন্ত নেই। দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক লোকই দেহাবসানের পরও বেঁচে থাকতে চায় অনেক যুগ ধরে। এইটাই সব লোক, সব কবির চিরকালের স্বপ্ন। এইটুকু মেনে নিন না একটু দয়াপরবশ হয়ে। জুনিয়র সিনিয়র সিটিজেন, অর্ডিনারি সিনিয়র সিটিজেন এবং সিনিয়র সিনিয়র সিটিজেনরা একটু সুখের সন্ধান পাবেন, তাঁদের আর কেউ অযথা শতায়ু হবার স্বপ্ন দেখবেন না।
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
06th  December, 2020
নোবেল, পেনরোজ, 
বং কানেকশন
মৃন্ময় চন্দ

অবিশ্বাস্য, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারে বং কানেকশন! আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতাবাদের সূত্রেই হকিং-পেনরোজ ব্ল্যাকহোলের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহাবিশ্বে অজস্র গ্রহাণুর বর্ণিল ঝিকিমিকির মধ্যে মূর্তিমান বেমানান ‘ব্ল্যাকহোল’, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এমনটাই মনে করতেন আইনস্টাইন। বিশদ

17th  January, 2021
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
বিশদ

13th  December, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গ্যালারি থেকে কখনও শুনতে হয়েছে ‘ব্রাউন মাঙ্কি’, কখনও বা ‘গ্রাব’ গোছের গালমন্দ। তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মহম্মদ সিরাজ। ...

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ ব্যবসা বাড়াল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের ওই সময়ের নিরিখে এই বৃদ্ধি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাঙ্কের ঋণ ও জমা মিলিয়ে মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা। ...

কয়লাকাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিকাশ মিশ্র সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। তাঁকে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা জেরার পর ছাড়া হয়। ...

তড়িঘড়ি করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল কর্তৃপক্ষ। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থীদের ডেকেও মাত্র একদিনের মাথায় পিছিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM