Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। তিনটি বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন পেলে। কিন্তু তাঁর পাশে খেলেছিলেন ডিডি, ভাভা, মারিও জাগালো, নিলটন স্যান্টোস, জালমো স্যান্টোস এবং অবশ্যই অদ্বিতীয় গ্যারিঞ্চা। ১৯৬২ সালে চিলিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তো মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেই টুর্নামেন্ট থেকে চোটের জন্য ছিটকে যান পেলে। তাঁর আরব্ধ কাজ স্কিলের ফুলঝুরি জ্বেলে সম্পন্ন করেছিলেন অ্যামারিল্ডো ও ‘ফ্লাইং বার্ড’ গ্যারিঞ্চা। আর ১৯৭০ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দলটিকে বলা হয় শতাব্দীর সেরা একাদশ। ফুটবল সম্রাট পেলের পাশে চকিত স্কিলের বিচ্ছুরণে ঝলমলে ফুটবল মেলে ধরেছিলেন কার্লোস আলবার্তো, গার্সন, জোয়ার্জিনহো, টোস্টাও, রিভেলিনোরা। কিন্তু মেক্সিকোয় আয়োজিত ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনাকে প্রায় একক দক্ষতায় জিতিয়েছিলেন ডিয়েগো মারাদোনা। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ব্যক্তিগত গোল ও অ্যাসিস্টসহ মারাদোনার একক অবদান ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। আর্জেন্তিনার ওই দলের অধিকাংশ ফুটবলার লাতিন আমেরিকার বাইরে তখনও পর্যন্ত ফুটবল খেলতেন না। ব্যতিক্রম বলতে ছিলেন মারাদোনা (নাপোলি), বুরুচাগা (ন্যান্টে) এবং জর্জ ভালদানো (রিয়াল মাদ্রিদ)। এই অনভিজ্ঞ ও তারকাহীন দল নিয়েই মারাদোনা প্রায় একক দক্ষতায়, ঐশ্বরিক প্রতিভার অলৌকিক নিদর্শন মেলে ধরে আর্জেন্তিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে ফুটবল ইতিহাসে অমর হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে ব্যাখ্যা করতে গেলে ‘অবিশ্বাস্য’ শব্দটাই সবচেয়ে প্রথমে মনে পড়ে। 

মেক্সিকো বিশ্বকাপের আড়াই বছর আগে আর্জেন্তিনার সম্ভাব্য দল গুছিয়ে নিতে কলকাতায় নেহরু কাপে খেলতে এসেছিলেন ’৮৬-র বিশ্বকাপজয়ী কোচ  কার্লোস বিলার্দো। ইতালিয়ান লিগ খেলতে ব্যস্ত থাকায় মারাদোনা সেবার দলের সঙ্গে আসেননি। কিন্তু ইডেনে সেবার নেহরু কাপে যাঁরা নজর কেড়েছিলেন, সেই পনসে, গ্যারেকারা মেক্সিকোগামী বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি। আর এই ’৮৬-এর বিশ্বকাপই মারাদোনাকে অমরত্ব প্রদান করেছে।
মেক্সিকো বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব এবং রাউন্ড অব সিক্সটিন মিলিয়ে প্রথম চারটি ম্যাচের মধ্যে মারাদোনা গোল পেয়েছিলেন মাত্র একটি। সেটি ইতালির বিরুদ্ধে। এছাড়া এই পর্বে আর্জেন্তিনার হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছিলেন ভালদানো, অস্কার রুগেরি, বুরুচাগা, পাসকুলিরা। অতঃপর বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। মেক্সিকো সিটির অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামে ২২ জুন থ্রি লায়ন্স’রা মুখোমুখি হল মারাদোনার আর্জেন্তিনার। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য। বিরতির পর ৫১ মিনিটে ইংল্যান্ড ডিফেন্ডারের মিসকিক ভেসে এল বক্সে। পাঁচ ফিট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার মারাদোনা অবিশ্বাস্য স্পট জাম্পে চ্যালেঞ্জ জানালেন পিটার শিলটনকে। ভয়ে ক্ষণিকের জন্য চোখ বুজে ফেলল ইংল্যান্ডের গোলরক্ষকটি। আর সেই সুযোগে মারাদোনার বাঁ হাতের শিল্পকর্ম। যা ইংরেজদের চোখে দিনে-দুপুরে হাত সাফাই বা পকেটমারি। মারাদোনা যাকে বলেছেন ‘হ্যান্ড অব গড’। চার বছর আগে ইংল্যান্ডের নৌবহর ১৯৮২’র যুদ্ধে আর্জেন্তাইন বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে ফকল্যান্ড দ্বীপ দখল করেছিল। মারাদোনা সেদিন যেন সেই পরাজয়ের বদলা নিয়েছিলেন। তিউনিশিয়ান রেফারি বেন নাসের কিছুই বুঝতে পারেননি। তিনি গোলের বাঁশি বাজিয়ে দেন। কিন্তু এই কলঙ্ক চার মিনিটের মধ্যে এক অবিশ্বাস্য শিল্পকর্মে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছিলেন মারাদোনা। যাকে বিংশ শতাব্দীর সেরা গোলের সম্মান দিয়েছিল ফিফা। একমাত্র স্বপ্নেই এমন গোলের দেখা মেলা সম্ভব। সেন্টার সার্কেলের নীচে ডানদিকে বল পেয়ে শুরু হয়েছিল সেই স্বপ্নের দৌড়। মাখনের মাঝখান দিয়ে ছুরি চালানোর মসৃণতায় প্রথমে বেয়ার্ডসলে ও রিডের মধ্যে দিয়ে চকিত বডি ফেইন্টে গলে বেরলেন মারাদোনা। এরপর বুচারকে ইনসাইড ডজ দিয়ে বেরনোর মুহূর্তে তিনকাঠি দেখতে পেলেন তিনি। বাঁদিকে ‘আনমার্কড’ ভালদানো বল চাইছেন, আড়চোখে সেটা দেখেও উপেক্ষা করলেন ডিয়েগো। কারণ, ততক্ষণে ট্যাকল করতে উদ্যত ফেনউইক। অতঃপর এক স্বর্গীয় ‘ডামি ফেইন্ট’— বাঁদিক দেখিয়ে ডানদিক দিয়ে বেরিয়ে মারাদোনা দেখলেন ইংরেজ গোলরক্ষক পিটার শিলটন এগিয়ে আসছেন। তাঁকে শরীরের এক মোচড়ে ধরাশায়ী করে ফাঁকা গোলে বল পুশ করলেন মারাদোনা। প্রায় ৬০ মিটার লম্বা এই একক দৌড় বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এক  অবিস্মরণীয় স্মৃতি। বলের উপর অবিশ্বাস্য নিয়ন্ত্রণ স্কিল, গতি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের এ এক বিস্ময়কর পরিণতি। ওই বল ফিনিশ না করলে ক’জন আজ মারাদোনাকে মনে রাখতেন? তিনদিন বাদে ওই অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে একক দক্ষতায় প্রায় কাছাকাছি মানের আরও একটা গোল করেছিলেন মারাদোনা। এনজো শিফোর বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্তিনা। দুটো গোলই মারাদোনার।
২৯ জুন ফাইনাল। কার্ল হাইঞ্জ রুমেনিগে, রুডি ফোলার, উলি হোনেস, লোথার ম্যাথাউজ সমৃদ্ধ সাবেক পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে মারাদোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬’র বিশ্বকাপে জিতেছিল আর্জেন্তিনা। এখনও অনেকে ভুলতে পারেননি মারাদোনার জেম অব আ থ্রু পাসটিকে। যা থেকে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন বুরুচাগা। তার আগে হোসে লুই ব্রাউন ও ভালদানোর দেওয়া গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর রুমেনিগে ও রুডি ফোলার ৭৩ ও ৮১ মিনিটে পর পর দুটো গোল করে ম্যাচ ২-২ করে দেন। কিন্তু ফাইনালের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল মারাদোনার দুরন্ত থ্রু পাসটি।
ইতালিয়া-৯০ বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে স্রেফ মারাদোনার প্র্যাকটিস দেখার জন্যই রোম থেকে ৬০ কিমি দূরে টিগরিয়ায় আর্জেন্তিনার বেস ক্যাম্পে পাড়ি দিয়েছিলাম। তাও রোমা তার্মিনি স্টেশনে আমার পকেটমারি হওয়ায় শোক কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছিলাম মারাদোনার অত্যাশ্চর্য স্কিল প্রত্যক্ষ করে। সেদিন    ছিল ওপেন প্র্যাকটিস সেশন। গোলের নীচে আর্জেন্তিনার দু’জন গোলরক্ষক   নেরি পম্পিদু এবং গায়কোচিয়াকে দাঁড় করিয়ে প্রায় বিশ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ে একের পর এক শট নিয়ে চলেছেন।  বিস্মিত হয়ে দেখলাম, অধিকাংশ শটই দু’জন গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাঠের চারধারে গোটা ওয়ার্ল্ড মিডিয়া হামলে পড়েছে। ডিয়েগোর মুড সেদিন ভালো ছিল। ইচ্ছে মতো ভক্তদের অটোগ্রাফ বিলোলেন। আলোকচিত্রীদের ছবির জন্য নানারকম পোজ দিলেন।
এর ক’দিন বাদেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডেই মুখোমুখি হল ব্রাজিল ও আর্জেন্তিনা। দিনটা ছিল ১৯৯০ সালের ২৪ জুন। স্থান তুরিনের দেলা আলপি স্টেডিয়াম। ব্রাজিলের ক্যারেকা একাই গোলের এক গণ্ডা সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দলকে ডোবালেন। ব্রাজিলের আলেমাও এবং ক্যারেকা ছিলেন নাপোলিতে মারাদোনার সহ-খেলোয়াড়। ওই ম্যাচে পায়ে চোট নিয়ে খেলার জন্য মাঠে দীর্ঘক্ষণ মারাদোনাকে স্বমহিমায় দেখা যায়নি। ম্যাচের ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিলের একচ্ছত্র প্রাধান্য ছিল। ব্রাজিলের মুলার ও ক্যারেকা অবিশ্বাস্য সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। কিন্তু চকিতে একটা দুরন্ত কাউন্টার অ্যাটাক তুলে আনলেন মারাদোনা। কোণাকুণিভাবে  দৌড়ে ব্রাজিলের দুই ডিফেন্ডার রিকার্ডো রোচা এবং আলেমাওকে টেনে এনে বাঁদিকে ক্যানিজিয়াকে ‘জেম অব আ থ্রু’ বাড়ালেন ডিয়েগো। সেই মুহূর্তে কাছে এসে যাওয়া ব্র্যাঙ্কোকে ট্যাকলে আসার কোনও সুযোগই দেননি মারাদোনা। ফাঁকায় বল পেয়ে ক্যানিজিয়া ব্রাজিল গোলরক্ষক তাফারেলকে আউটসাইড দেখিয়ে বাঁপায়ে বল পুশ করলেন ফাঁকা গোলে।
ম্যাচের পর সাম্বা সমর্থকদের হাপুস নয়নে কান্না দেখে আমার চোখেও জল এসে গিয়েছিল। কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থে ওই ম্যাচটি দেখতে সেদিন মাঠে ছিলেন চুনী, পি কে, শৈলেন মান্না, সুকুমার সমাজপতিরা। ওঁদের মনও ছিল নিদারুণ ভারাক্রান্ত। সেবার বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে যুগোস্লাভিয়াকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হারিয়ে আর্জেন্তিনা সেমি-ফাইনালে উঠেছিল। মারাদোনা পেনাল্টি মিস করলেও দুটি স্পট কিক বাঁচিয়ে সেই ম্যাচের নায়ক বনে যান আর্জেন্তিনার গোলরক্ষক গায়কোচিয়া। অতঃপর নেপলসে নাপোলির হোমগ্রাউন্ড সান পাওলো স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ ইতালির মুখোমুখি হল আর্জেন্তিনা। সেই ম্যাচও গড়াল পেনাল্টি শ্যুট আউটে। ওই ম্যাচে স্পটকিক থেকে মারাদোনা গোল করেন। সেদিন রাতে আয়োজক দেশ ইতালি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ায় গোটা দেশে যেন অরন্ধন ও নিষ্প্রদীপ পালিত হয়েছিল।
ইতালিয়া-৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে সাবেক পশ্চিম জার্মানি ব্রেহমের দেওয়া একমাত্র গোলে আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। রোমের ওলিম্পিক স্টেডিয়ামে দেখেছিলাম, সেদিন হাতে আঘাত পাওয়া লোথার ম্যাথাউজ কার্যত মারাদোনাকে দর্শকের মতো দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। ম্যাচের শেষে রানার্স ট্রফি নেওয়ার সময় মারাদোনার চোখে জল এখনও স্পষ্ট মনে আছে।
চার বছর বাদে ইউএসএ-৯৪ বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে ডিয়েগো মারাদোনার পতন প্রত্যক্ষ করেছিলাম। বোস্টনের ববসন কলেজের গেস্ট হাউসে সেবার ঘাঁটি গেঁড়েছিল আর্জেন্তিনা দল। সেখান থেকে ফক্সবোরো স্টেডিয়াম প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। ১৯৯৪ সালের ২৮  জুন নাইজেরিয়াকে হারানোর পর হঠাৎ দেখলাম, এক বিশালবপু শ্বেতাঙ্গ মহিলা প্রায় পাঁজাকোলা করে মারাদোনাকে তুলে নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেন। আমি তারপর কলকাতায় খবর পাঠিয়ে হোটেলে ফিরে গভীর রাতে একটা চ্যানেলে দেখলাম, ফিফার মেডিক্যাল কমিশনের বিশেষ মিটিং বসছে পরদিন ডালাসের ফোর সিজনস রিসর্টে। আর্জেন্তিনার দু’জন ফুটবলার নাকি ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছেন!
পরদিন ভোরবেলা ট্যাক্সি নিয়ে ছুটলাম বোস্টন এয়ারপোর্টে। কিন্তু বোস্টন টু ডালাস— কোনও ফ্লাইটেই টিকিট নেই। আমি কলকাতা থেকে ডেলটা এয়ারলাইন্সের স্ট্যান্ড বাই কুপন কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। এই কুপন থাকলে তখন এক মাসের সময়সীমায় আমেরিকার যে কোনও শহরে দৈনিক যতবার খুশি যাতায়াত করা যেত। তাই সরাসরি ডালাসের বিমান টিকিট না পেয়ে আটলান্টা এবং সিনসিনাটি হয়ে শেষ পর্যন্ত দুপুরে ডালাস ডি ডব্লু এয়ারপোর্টে এসে ল্যান্ড করলাম। আর তারপরই ট্যাক্সি নিয়ে ছুটলাম ফোর সিজনস রিসর্ট হোটেলে। সেদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র সাংবাদিকরূপে ফিফার মেডিক্যাল কমিশনের প্রেস কনফারেন্সে হাজির ছিলাম আমি। সেখানেই সরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছিল, পাঁচরকমের নিষিদ্ধ ড্রাগ— এফিড্রিন, সিউডো-এফিড্রিন, মেডিফেডরিন, নানড্রোলন ও স্ট্যানজানল ইত্যাদি বস্তু মারাদোনার মূত্রের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে।
দিগভ্রষ্ট রাজপুত্রের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট তখন ‘বর্তমান’ পত্রিকায় লিখলেও তা অনেকে বিশ্বাস করতে চাননি। তাঁদের ভুল ধারণা ছিল, মারাদোনাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে নাপোলিতে খেলতে গিয়েই ড্রাগ মাফিয়াদের খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি। যদিও সিরি-এ’তে নীচের সারির দল নাপোলিকে টপফর্মে তিনি দু’বার ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আর সেটাও গুলিট, ফন বাস্তেন, রাইকার্ড সমৃদ্ধ এসি মিলানের সার্বিক দাপট খর্ব করে। নাপোলিকে সুপার কোপা এবং উয়েফা কাপেও জেতান মারাদোনা। নামী ফুটবলারদের মধ্যে পাশে পেয়েছিলেন ব্রাজিলের আলেমাও, ক্যারেকা, তারানতিনিদের। তার আগে ’৮৩ ও ’৮৪ সালে বার্সেলোনায় থাকাকালীন গোড়ালির চোট ও হেপাটাইটিসে ভোগায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল মারাদোনার উত্থান। তবু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা দু’টি এল ক্লাসিকোর পর আসন ছেড়ে  উঠে দাঁড়িয়ে মারাদোনাকে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ দিয়েছিলেন। এই বিরল সম্মান লিও মেসির এখনও অধরা। পেয়েছিলেন জোহান ক্রুয়েফ, রোনাল্ডিনহো এবং আন্দ্রে ইনিয়েস্তা।
ব্যক্তিগত জীবনে শুকনো ও তরল নেশার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি মাত্র ৬০ বছর বয়সেই কেড়ে নিল মারাদোনার জীবন। ২০০৪ সালের এপ্রিলে মৃত্যুকে হার মানাতে সক্ষম হয়েছিলেন ডিয়েগো। ফিদেল কাস্ত্রো হাভানার হাসপাতালে রেখে দীর্ঘ সুচিকিৎসার পর তাঁকে সুস্থ করে তুলেছিলেন। কিন্তু তারপরেও নেশামুক্ত হতে পারেননি তিনি। আর হয়তো সেই কারণেই ফুটবলার মারাদোনা যতটা ক্ষণজন্মা, কোচ হিসেবে ডিয়েগো ততটাই ব্যর্থ। এর কারণ তাঁর হামবড়াই মনোভাব ও পুওর ম্যান ম্যানেজমেন্ট। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার কোচ হয়ে তিনি চরম ব্যর্থ হন। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ইন্তার মিলানের স্তম্ভ জেভিয়ার জানেত্তিকে কোনও কারণ ছাড়াই বাদ দেন কোচ মারাদোনা। প্রশিক্ষক জীবনে রেসিং ক্লাব, মধ্যপ্রাচ্যে আল ওয়াসল, ফুজাইরা, মেক্সিকোয় ডোরাডোস ও জিমনাসিয়া— সর্বত্রই কোচ হিসেবে ব্যর্থ মারাদোনা। তবু এটা ঘটনা, মহম্মদ আলির পর মারাদোনাই গোটা দুনিয়াকে আলোড়িত করা সবচেয়ে উজ্জ্বল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।
................................................
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
29th  November, 2020
নোবেল, পেনরোজ, 
বং কানেকশন
মৃন্ময় চন্দ

অবিশ্বাস্য, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারে বং কানেকশন! আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতাবাদের সূত্রেই হকিং-পেনরোজ ব্ল্যাকহোলের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহাবিশ্বে অজস্র গ্রহাণুর বর্ণিল ঝিকিমিকির মধ্যে মূর্তিমান বেমানান ‘ব্ল্যাকহোল’, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এমনটাই মনে করতেন আইনস্টাইন। বিশদ

17th  January, 2021
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
বিশদ

13th  December, 2020
সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল।  বিশদ

06th  December, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
ভোট ঘোষণা না হলেও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোট প্রচারের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে আগে থেকেই দেওয়াল দখল শুরু করেছে তৃণমূল। ...

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গ্যালারি থেকে কখনও শুনতে হয়েছে ‘ব্রাউন মাঙ্কি’, কখনও বা ‘গ্রাব’ গোছের গালমন্দ। তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মহম্মদ সিরাজ। ...

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ২৮ জন। জখম ৭৩ জন। বৃহস্পতিবার বাগদাদের ব্যস্ততম তায়ারান স্কোয়ারে পুরনো জামাকাপড়ের বাজারে পরপর এই হামলা চালানো ...

কয়লাকাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিকাশ মিশ্র সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। তাঁকে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা জেরার পর ছাড়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM