Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বারোয়ারি পুজো সবে সাবালক হতে শুরু করেছে। সেই প্রথম থিমের প্রতিমার স্বাদ পেল শহর কলকাতা।
১৯৪৬ থেকে যাত্রা শুরু হয় আজকের সঙ্ঘশ্রীর। প্রথমে রাধা স্টুডিও থেকে সিনেমার সেট ভাড়া করে, আর পটের ঠাকুর এনে। পরে প্রতিমার পিছনে বিভিন্ন দৃশ্য এঁকে মণ্ডপ সাজাতেন কিংবদন্তি শিল্পী কালিদাস দাস। প্রতিমায় রূপদান করতেন মৃত্শিল্পী জিতেন পাল। পাঁচের দশক থিমপুজোর ইতিহাসে প্রথম মাইলস্টোন। ১৯৫৬ সালে কালীঘাট মুক্তদলে লোহার ফ্রেম দিয়ে মণ্ডপ ও আলোর খেলা দেখান শিবপুর বি ই কলেজের ছাত্র হীরেন চৌধুরী। ১৯৫৯ সালে উত্তর কলকাতার জগত্ মুখার্জি পার্কে সেই প্রথম ‘আর্টের ঠাকুর’ গড়লেন অবিনাশ কবিরাজ বাড়ির ছেলে অশোক গুপ্ত। দেবী দুর্গার ফর্ম ভেঙে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু থামেননি। অস্ত্রবিহীন দুর্গা, নানা রঙের ব্যবহার—একবার তো থার্মোকলের প্রতিমাও বানিয়েছিলেন রাজবল্লভ পাড়ায়। ১৯৭৫ সালে বিখ্যাত চিত্রকর নীরদ মজুমদারের হাতের ছোঁয়ায় ভবানীপুর বকুলবাগানে প্রাণ পেল আর্টের ঠাকুর। থিমের প্রতিমার সঙ্গে সেই থেকে জড়িয়ে গেল শিল্পীদের নাম।
আমার কিন্তু আর্টের প্রথাগত কোনও শিক্ষাই নেই। এত কিছু জানতাম না। কিন্তু ওই প্রাণের আনন্দ কোথাও লুকিয়ে ছিলই। ছয়ের দশক থেকে কলকাতায় প্রতিমা শিল্পীদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন শিল্পী রমেশচন্দ্র পাল। ঘটনাচক্রে আমার দেখা প্রথম প্রতিমা তাঁরই হাতে গড়া। তখন পুজো মানে সাবেকি ব্যাপার। আমার জন্ম পার্ক সার্কাসে। বাবা পার্ক সার্কাস ময়দানের বিখ্যাত দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখানে প্রতিমা গড়তেন রমেশ পাল। ছোটবেলায় এত বুঝতাম না। কিন্তু এটুকু দেখেছি, রমেশ পালের তৈরি মা দুগ্গার মুখ আর পাঁচটা প্রতিমার মতো নয়। মোহনবাঁশি রুদ্র পাল এর বেশ খানিকটা পরে কাজ শুরু করলেন। কিন্তু দু’জনের প্রতিমায় রঙের বিষয়টি মুগ্ধ করত। তবে সাবেকি ধরনের। আমাকে বেশি টানত অলোক সেনের প্রতিমা। ওঁর ঠাকুরটা যেন একটু অন্য ধরনের। ভাবনার ছাপ থাকতো। মহম্মদ আলি পার্কের প্রতিমা গড়তেন তিনি। কলেজ স্ট্রিটে আমার মেজদির বাড়ি। ওই টানেই চলে যেতাম। মেজদির বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। কিন্তু আমার ওখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল, দুপুরে ফাঁকায় ফাঁকায় গিয়ে মহম্মদ আলি পার্কের ঠাকুরটা দেখব। মোহনবাঁশির কাজও সুন্দর। সাবেকি। কী সুন্দর প্যাঁচা। কিন্তু আমার দেখার বেশি আগ্রহ কিন্তু অলোক সেনের ঠাকুর।
১৯৮০ সালে আমরা পিকনিক গার্ডেনে চলে আসি। সুনীলনগর তখন কলোনি। তখন পুজো হতো দুর্গামণ্ডপে। পাশেই রাধাগোবিন্দর মন্দির। বাজার বসত। ছোটবেলায় বড়দাকে দেখে দেখে আঁকা, মণ্ডপ বানানো, ঠাকুর গড়ায় ঝোঁক ছিল। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই তাগিদও বাড়ে। আমি সুনীলনগর সর্বজনীনের কাজ শুরু করি ১৯৮৮ সালে। টানা ন’বছর। তখন একটা অ্যাড এজেন্সিতে ট্রেনি হিসেবে কাজ করতাম। ততদিনে এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান দেওয়া শুরু হয়েছে। আদি বালিগঞ্জ তখন কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো। শিল্পী রণবীর ধর করতেন। ম্যাডক্স স্কোয়ার, কলেজ স্কোয়ার তো বিখ্যাতই। ১৯৯২ সালে এশিয়ান পেন্টস পেয়েছিলাম পাটের বিনুনি দিয়ে জলসাঘরের মতো মণ্ডপ করে। ১৯৯৫ সালে শারদসম্মান পেলাম গ্রামবাংলার পটচিত্র বানিয়ে। আড়াই মাস ধরে পটুয়াদের রেখে পুরো মণ্ডপজুড়ে কাজ। তখন পুরো মণ্ডপে পটের ব্যবহার খুবই কম। থিমপুজোর বাজার ক্রমশ তৈরি হচ্ছে। ১৯৯৬ পর্যন্ত আমি সুনীলনগরে কাজ করেছি। পরে ২০০৫ সালেও করি। একই সময়ে কাজ করছে মণ্ডপশিল্পী সুতনু মাইতি। আহিরীটোলা, কুমারটুলি পার্কের পুজো ওই করত। ১৯৯৭’তে সুতনুর চালতাবাগান, আহিরীটোলা পুরস্কার পায়। তারও পরে শিল্পী অমর সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আসে ভবতোষ সুতার।
১৯৯৮ সালে বোসপুকুর শীতলামন্দিরে আমার থিম ছিল ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’। তারপর ২০০০ সালে ওখানেই করলাম তাসের ঘর। তার আগে থিম যাই হোক, চট, প্লাই বা কাপড়ের প্যান্ডেল হতো। তার উপরে কিছু জায়গায় কারুকাজ থাকত। তাসের ঘরের আগে শুধু একটি মেটেরিয়াল দিয়ে শুরু থেকে শেষ পুরোটা কেউই করেনি। মণ্ডপের পুরোটাই শুধু তাস। একই প্রয়োগ ছিল পরের বছরেও। ভাঁড়ের মণ্ডপ!
আজও মানুষ যা ভোলেনি। মাটি দিয়ে পুরোটা করতে চেয়েছিলাম। থিম পরে এল। চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে দেখছিলাম, ঝুড়িতে মালার মতো সাজিয়ে ভাঁড় আসছিল। দেখে খুব ভালো লাগল। বুঝলাম, এই ভাঁড়টাকে যত ছোট করব, মালাটাও তত ছোট হতে থাকবে। সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় কাজ। প্রথমে থিম ব্যাপারটা ছিল না। পরবর্তীতে থিম করেছিলাম, চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির। উমা শান্তির দূত। পুরোটা মাটি বলে মণ্ডপজুড়ে গৈরিক রং। ভাঁড়ে রং ছিল না। সেবার ঠাকুর করেছিল সনাতন রুদ্র পাল। চালচিত্রেও ভাঁড়ের ব্যবহার ছিল। সাজেও একই এফেক্ট এনেছিলাম। বাকিটা ইতিহাস!
তখন অমরদা অজেয় সংহতিতে মাটির কাজ করেছিল। প্রচার ছিল না। তা সত্ত্বেও মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। প্রত্যেকের কাজই ভালো লাগত। কাজ তো শেখার। পূর্ণেন্দু দে শিবমন্দিরে করেছিল, আশ্রমের মতো। প্রতিযোগিতা সব আমলেই ছিল। আমাদের সময় আমরা প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতাম। আমার সবথেকে বেশি থিমের ঠাকুর গড়েছে শিল্পী পরিমল পাল। এখন তো মেটেরিয়াল থিমের কাজ কমেছে। কিন্তু গৌরাঙ্গ কুইল্যা এই ব্যাপারে এখনও সচেতন। ভবতোষ লেকটাউন প্রদীপ সঙ্ঘে শব্দের উপরে কাজ করেছিল। ঢুকে বেরতে ইচ্ছা করছিল না। সনাতন দিন্দাও তো আমাদের সময়েই কাজ শুরু করেছিল।
তখন এত উন্মাদনা, কভারেজ ছিল না। কত কাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের তো প্রথমে প্যান্ডেলওয়ালা বলত। সেখান থেকে থিমপুজো। ২০১৭ সালে বড়িশা সর্বজনীনে ‘শূন্যতে শুরু, শূন্যতে শেষ’ করেছিলাম। মন থেকে ভালো লেগেছিল। পরের তিন বছর কাজ নেই। তাই আক্ষেপ তো আছেই। ফিরে আসার মঞ্চ পেলে প্রমাণ করব, বন্দন রাহা এখনও ফুরোয়নি।
11th  October, 2020
নোবেল, পেনরোজ, 
বং কানেকশন
মৃন্ময় চন্দ

অবিশ্বাস্য, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারে বং কানেকশন! আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতাবাদের সূত্রেই হকিং-পেনরোজ ব্ল্যাকহোলের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহাবিশ্বে অজস্র গ্রহাণুর বর্ণিল ঝিকিমিকির মধ্যে মূর্তিমান বেমানান ‘ব্ল্যাকহোল’, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এমনটাই মনে করতেন আইনস্টাইন। বিশদ

17th  January, 2021
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
বিশদ

13th  December, 2020
সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল।  বিশদ

06th  December, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
একনজরে
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ২৮ জন। জখম ৭৩ জন। বৃহস্পতিবার বাগদাদের ব্যস্ততম তায়ারান স্কোয়ারে পুরনো জামাকাপড়ের বাজারে পরপর এই হামলা চালানো ...

শনিবার অসমে জমির পাট্টা বিলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক লক্ষের বেশি ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন বহু মানুষ। ...

কয়লাকাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিকাশ মিশ্র সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। তাঁকে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা জেরার পর ছাড়া হয়। ...

ভোট ঘোষণা না হলেও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোট প্রচারের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে আগে থেকেই দেওয়াল দখল শুরু করেছে তৃণমূল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM