শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
বাংলার তাঁত শিল্পের উন্নতি, বাংলার মানুষের গৌরব তথা বাংলার ঐতিহ্যের সারা বিশ্বে ব্যাপক ও আন্তর্জাতিক করে তোলার জন্য ও ছেয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তর সল্টলেকের করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্কে আয়োজন করেছে ‘বাংলার তাঁতের হাট ২০১৯’। ঐতিহ্যমণ্ডিত বাংলার তাঁত শিল্পীদের সৃষ্টির সম্ভার নিয়ে একেবারে জমজমাট মেলা প্রাঙ্গণ। আধুনিক ফ্যাশনের সঙ্গে ও জীবনশৈলীর প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাঁর শিল্পকে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছেন মেলায় আসা দক্ষ শিল্পীরা। এ বছর ১৩তম বর্ষে পদার্পণ করল এই মেলা। রয়েছে প্রায় ৩০০টির মতো স্টল। ১০৪টি প্রাথমিক তন্তুবায় সমবায় সমিতি, ৩০টি খাদি সমৃদ্ধ সমিতি, ৪১টি হস্ততাঁত মহল্লা, ৩২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ অধিকারের ৬০ জন কারুশিল্পী। ৫৮ জন ব্যক্তি—তাঁতশিল্পী, আনন্দধারা থেকে ২০ জন, তন্তুজ, বঙ্গশ্রী পশ্চিমবঙ্গ শিল্পী সমবায় মহাসংঘ লিমিটেড এবং মঞ্জুষা সকলের মিলিত অংশগ্রহণে স্টল ভর্তি হয়ে উঠেছে নানারকমের শাড়ির সম্ভারে। এছাড়াও থাকছে বস্ত্র অধিকার (হস্ততাঁত)-এর থিম প্যাভিলিয়ন, পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রমীণ শিল্প পর্ষদ এবং ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের অধীনস্থ তন্তুবায় সেবা কেন্দ্র। এ বছর মেলায় সিল্কের কালেকশন পাবেন অনেক। বিশেষত এই সিল্কের উপর শাড়িগুলি নজর কাড়বে সবার।
এছাড়া তো থাকছে মালবেরি সিল্ক, কেটিয়া সিল্ক, মুগা সিল্ক, বেঙ্গালোর সিল্ক, মুর্শিদাবাদ সিল্কের শাড়ি। বর্ধমান, শান্তিপুরের স্টলে তাঁতের শাড়ি, হ্যান্ডলুম শাড়ি, হাজারি বুটি শাড়ি, তাঁত বেনারসি, চওড়া পাড়, তাঁত ঘিচা, ফ্যান্সি তাঁত, তাঁত কোটা সবই পাবেন। হবিবপুর থেকে আসা এক শিল্পীভাইয়ের স্টলে চোখ ধাঁধানো মসলিন শাড়ি যেমন অসাধারণ সব রং তেমনি অপূর্ব কাজের ছোঁয়া। এছাড়া আমাদের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি গরদ, বালুচরি, জামদানি, টাঙ্গাইল, বেগমপুরী, টাঙ্গাইল জামদানি, শান্তিপুরি, ধনিয়াখালি আরও কত কী। জামদানি শাড়িগুলো যেন প্রতিবার ফিরে আসছে নতুন রূপে শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায়। তাই যতই আলমারি ভর্তি জামদানি থাকুক না কেন একবার যদি চোখে পড়ে না কিনে পারবেন না। গরদের শাড়িগুলোও ভোল পাল্টে সেজে উঠেছে নতুন ভাবে। তাই গরদ মানেই এখন মা, মাসিমা, ঠাকুমার ধারণা একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন মেলায় এলে। এছাড়া থাকছে কটনের গামছা, কটন, সিল্কের ড্রেস মেটেরিয়াল, কার্পেট, বেডকভার। পুজোর তো আর মাত্র ক’টা দিন তাই মেলা থেকেই কিনে নিন পরিবারের সকলের জন্য শাড়ি কারণ মাত্র ২০০ টাকা থেকেও পেয়ে যাবেন শাড়ি। শাড়ির সঙ্গে থাকছে মানানসই হ্যান্ডমেড জুয়েলারি। পুজোর কোনওদিন কোন শাড়ির সঙ্গে কোন গয়না মানাবে দেkখে একেবারে কিনে নিয়ে যান বাড়ি। মেলার অন্যতম কর্ণধার আশিসবাবু জানিয়েছেন এই কদিনে আমার শিল্পীভাইরা তাদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছে তাই আগামী দিনগুলোতেও তিনি ভীষণভাবে আশাবাদী। প্রতিবছরের মতো এবছরও এই মেলার সফলতায় বিশ্বাসী তিনি। এই মেলা চলবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের প্রবেশ অবাধ। মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি থাকছে ফুড কর্ণার ও বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।