পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
মন্দিরা বেদি ও রাজ কৌশল
বিয়ে তো বটেই, তাও আবার একটা নয়, দু’দুটো। আজ্ঞে হ্যাঁ, ১৯৯৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে মন্দিরা বেদি আর রাজ কৌশল দুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। একই দিনে দু’বার বিয়ে! ভাবছেন তাও আবার হয় নাকি। হয়, আর তা করে দেখিয়েছিলেন মন্দিরা ও রাজ। প্রথমবার হিন্দু মতে, আর দ্বিতীয়বার শিখ মতে। মন্দিরা আর রাজের বিবাহিত জীবনের দুই দশক পূর্ণ হবে এবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি। তাঁদের একটিই পুত্র। নাম বীর। রাজকে এই দু’বার বিয়ে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তাঁরা একে অপরের আচার বিচারকে গুরুত্ব দেন এবং সম্মান করেন। তাই দুটি ধর্মকে সমান গুরুত্ব দিতেই দু’বার দুইভাবে বিবাহ পদ্ধতি পালন করেছেন। এতে এত আশ্চর্যেরই বা কি আছে?
ইমরান হাসমি ও পারভিন
অন স্ক্রিন যতই ক্যাসানোভা টাইপের ইমেজ থাকুন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে ইমরান হাসমি কিন্তু স্ত্রী অন্ত প্রাণ। বিয়ের আগে ইমরান আর পারভিনের প্রেমপর্ব ছিল রীতিমতো রোম্যান্টিকতায় ভরা। পারভিনকে বিবাহ প্রস্তাব দেওয়ার আগেও প্রচুর জল্পনা কল্পনা করেছিলেন ইমরান। কীভাবে প্রেয়সীকে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেবেন সেই নিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রেমের দিবসে প্রেম নিবেদনের কথা ভাবলেন। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ, ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইমরান প্রেমের অঙ্গিকার করলেন পারভিনের কাছে। পারভিন তাতে সম্মত হলে সেই বছরই ডিসেম্বরে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েন। ইমরান বলেছেন তাঁর জীবনের সেরা রোম্যান্টিকতা ওই প্রেম নিবেদনের মুহূর্তটি। তিনি বলেছেন ভালোবাসার দিনে পারভিনকে প্রোপোজ করার পর পারভিনের চোখে মুখে খুশির ঝলকই নাকি তাঁর জীবনের সেরা রোম্যান্টিক মুহূর্ত।
আরশাদ ওয়ারসি ও মারিয়া
আবার একই দিনে দুটি বিয়ে। সেই ১৯৯৯, সেই ১৪ ফেব্রুয়ারি। তবে পাত্র পাত্রী ভিন্ন। এবার আরশাদ ওয়ারসি ও মারিয়া। একজন মুসলিম, অন্যজন খ্রিস্টান। তাই একই বিবাহ অনুষ্ঠানে দুটি ধর্মকে সম্মান জানানো অসম্ভব। অতএব দুটি অনুষ্ঠান। দু’রকম আচার, দু’টি বিবাহ। আর পাত্র পাত্রী তাতেই বেজায় খুশি। আট বছরের প্রেমের পর আরশাদ ওয়ারসি শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রেয়সীকে বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাই দু’বার বিয়ে এমন আর আহামরি কি? মারিয়ার ধর্ম অনুযায়ী প্রথম বিয়েটা তাঁরা চার্চে সারেন সকালবেলা। তারপর সন্ধেবেলা আবারও সাজগোজ বদলে নিকা করেন মুসলিম মতে। বিয়ের দু’দশক কেটে গিয়েছে। আরশাদ আর মারিয়ার এখন দুই সন্তানের গর্বিত বাবা-মা।
সঞ্জয় দত্ত ও রিয়া পিল্লাই
নাঃ, বিয়েটা টেকেনি। তাই বলে কি ভালোবাসা মিথ্যে হয়ে গিয়েছে? মোটেও না। অন্তত সঞ্জয় দত্ত তো তেমন মনে করেন না। তাঁর বক্তব্য, এই রসঘন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই তাঁর ভীষণ প্রিয়। প্রতিটি মুহূর্ত শতকরা ১০০ভাগ সত্যও বটে। ফলে রিচা শর্মা থেকে শুরু করে মান্যতা দত্ত সবাই ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। সঞ্জয় দত্তর রঙিন জীবনের অন্যতম নাম রিয়া পিল্লাই। ১৯৯৮ সালে তাঁদের প্রণয় পরিণয়ে বদলায়। সেই দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। পৃথিবীতে যখন ভালোবাসার জোয়ার, ঠিক তখনই রিয়াকে নিজের করে নিলেন সঞ্জয় দত্ত। মুম্বইয়ের এক মন্দিরে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়েটি ভেঙে যায় ২০০৫ সালে। তারপর সঞ্জয় বিয়ে করেন মান্যতা দত্তকে। আর রিয়ার বিয়ে হয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে।
হৃতিক রোশন ও সুজান খান
বছর খানেক প্রেম পর্বের পর হৃতিক রোশন সুজান খানের কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখেন। সেই দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসার দিনে প্রেমিকার সঙ্গে জুহু বিচে ডেটে গিয়েছিলেন হৃতিক। হঠাৎই বিচের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন তিনি। সুজান তো ততক্ষণে বুঝেই গিয়েছেন ঘটনা কোন দিকে এগোচ্ছে। বিয়ের প্রস্তাবটা হৃতিক হঠাৎই দিয়েছিলেন। তার জন্য আংটি নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। তবু প্রস্তাবে সুজান সম্মত হলে হীরের আংটি কিনে সুজানের কফির কাপে তা লুকিয়ে রেখেছিলেন নায়ক। কফির শেষ চুমুকেই চমক লাগল সুজানের। এহেন রোম্যান্টিক জুটিও টিঁকল না। দীর্ঘ বিবাহিত জীবন কাটানোর পরেও তাঁরা এখন বিচ্ছিন্ন। তাই বলে হৃদয়ের বন্ধনে ভাটা পড়েছে বলে তো মনে হয় না। এখনও বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যায়।