পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান অপ্সরা ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি গান ও নাচ শিখেছেন। যদিও তাঁর পরিবারে পড়াশোনাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হতো।
সেন্ট জন ডায়াসেশন গার্লস স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং সাউথ সিটি কলেজ থেকে মার্কেটিংয়ে অনার্স নিয়ে বি কম পাশ করেন অপ্সরা গুহঠাকুরতা। যেহেতু তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত, অপ্সরারও প্রথম পছন্দ ছিল শিক্ষকতা। সেইমতো গ্র্যাজুয়েশনের পর গার্ডেন হাই স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যোগও দেন তিনি। এরপর দশ বছর এই স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত ছিলেন। এখনও গেস্ট শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেন অপ্সরা। তবে তাছাড়াও অপ্সরা ডান্স অ্যাকাডেমি বলে তাঁর একটা নাচের স্কুলও আছে এবং একটি নেল স্টুডিও। নাম জাজ নেলস।
ছোটবেলা থেকে ফ্যাশন জিনিসটা প্রচণ্ড আকর্ষণ করত অপ্সরাকে। কিন্তু বাবার অনুশাসনের মধ্যে মানুষ হওয়া অপ্সরার পড়াশোনার বাইরে সেসব নিয়ে ভাবার অবকাশ ছিল না। গতানুগতিক ভাবেই জীবনটা এগিয়ে চলছিল। হঠাৎ করেই গত জুলাই মাসে ফেসবুকে ‘মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের একটা রেজিস্ট্রেশন তাঁর চোখে পড়ে। তখন অপ্সরা সেখানে নাম নথিভুক্ত করেন। এবং অডিশনের জন্য ডাকও পান। সেই মতো কলকাতায় প্রথম অডিশন হয়। সেখান থেকেই তিনি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য নির্বাচিত হন।
স্বামী, আর পরিবারের ভালোবাসা সঙ্গে করে অপ্সরা পুনেতে যান। সেখানে গ্রুমিং, সাব ইভেন্টে সবকিছু হয় এবং ২৬ অক্টোবর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই তিনি ছিনিয়ে নেন মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব। এছাড়াও মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ফ্যাশন আইকন এবং আইকনিক আই এই দুটো সাবটাইটেলও তিনি জয় করেন।
এতগুলো ইভেন্ট জয় করার পরও অপ্সরা ছেলের বায়নায় বার্গার, স্যান্ডউইচ কিংবা বরের জন্য চিকেনের বিভিন্ন পদ নিজের হাতে রান্না করতে খুব ভালোবাসেন। তাই সময় পেলেই রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন তিনি।
বর্তমানে নানাবিধ সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অপ্সরা। সামাজিক কাজের সঙ্গে অপ্সরার পরবর্তী লক্ষ্য একটি ইন্টারন্যাশন্যাল পেজেন্ট। সেই মতো তিনি নিজেকে ৈতরিও করে চলেছেন, যাতে ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কারের মুকুটও মাথায় তুলতে পারেন একদিন। সাক্ষাৎকার:
কাকলি পাল বিশ্বাস