Bartaman Patrika
চারুপমা
 

সোনায় সোহাগা

স্বর্ণে বসতে লক্ষ্মী। বাঙালির মনে এই ধারণা বদ্ধমূল। তাই তো গয়না থেকে সম্পত্তি, সবক্ষেত্রেই কনক-কদর।  লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
 
ভারতে সোনার গয়নার প্রচলন অন্তত ছ’হাজার বছরের পুরনো। ইতিহাস বলে, সেই সময় নাগাদই সোনার সাজ ধনীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভারত ছাড়াও সোনা দিয়ে গয়না ও অন্যান্য শখের জিনিসপত্র বানানোর চল দেখা গিয়েছিল চীন, মেসোপটেমিয়া, গ্রিস, রোম  ও মিশরে।  এরপর আবার একটা  সময় আসে  যখন সোনা অলঙ্কার রূপে মূলত রাজা ও রানিদের অঙ্গে শোভা পেত। গ্রিসে নাকি রাজারা বর্ম বানানোর জন্যও সোনার পাত ব্যবহার করতেন। আর রানিদের মাথায় সোনার মুকুট, সেও তো বহু পুরনো রীতি।

ইতিহাস অনুযায়ী দেখা যায়, প্রথম দিকে সোনার গয়নায় দামি পাথর বসানোর চল খুব একটা ছিল না। তখন সোনার বর্ম বা মুকুটে তেমন কারুকাজও দেখা যেত না। বরং পাতের মতো করে সোনার প্লেট বানানো হতো এবং সেই প্লেটই বিভিন্ন গয়নায় রূপান্তরিত হতো। তবে বর্ম বা মুকুট যাই হোক না কেন তাতে সামান্য খাদ মেশানোর চল সেই আদি যুগেও ছিল। নাহলে  গয়নার সোনাকে মজবুত করে বানানো যেত না।
এবার একটু দেশের গয়না ও তার নকশার দিকে চোখ ফেরানো যাক। ভারতে সোনার বর্ম থেকে গয়না সবেতেই কারুকাজ শুরু হয় মোগল সাম্রাজ্যের কয়েক দশক আগে থেকে। মুসলমান কারিগররা প্রথম জাফরির কাজ ও জালের কাজ শুরু করেন। তবে এই ধরনের কারুকাজ মূলত মহিলাদের গয়নাতেই দেখা যেত। এর কিছু সময় পর বাংলায় সোনার গয়নায় গোলাপ ফুল নকশা, জুঁই ফুল নকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। 
আবারও একটু গয়নার ইতিহাস কথায় ফেরা যাক। মোটামুটি তিন হাজার বছর আগে মেসোপোটেমিয়ায় চওড়া নেকলেস রাজপরিবারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই নেকলেসের মাঝে চুনী, পান্না এবং হীরে বসানো শুরু হয় তার বেশ কয়েক দশক পরে। নেকলেসের নকশায় ভারতীয় ছাপ পড়তে শুরু করেছিল বাবুয়ানার সময় থেকে। তখন নেকলেসের নকশায় একটু জালি কাজ দেখা যেতে শুরু করেছিল।    
ক্রমশ সোনার গয়না রাজপরিবার ছেড়ে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল। সেই সময় মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষ মহলেও সোনার টুকটাক গয়না পরার রেওয়াজ দেখা যাচ্ছিল।  বাংলায় যখন ‘বাবু’-দের বেশ রমরমা, সেই সময় গলায় সোনা বাঁধানোর মুক্তর হার, কানে সোনার মোটা মাকড়ি ইত্যাদি পরতেন বাড়ির পুরুষরাও। অনেকে আবার সলিড সোনার চওড়া হারও পরতেন। কেউ বা হাতেও রুলি নকশার বালা পরতেন। 
মহিলাদের পরনে উঠত পাটি হার, কান বালা, কান পাশা, চওড়া চূড়, মোটা বালা ইত্যাদি। একটু চওড়া গলা ভরা গয়না গড়াতেন বনেদি বাড়ির মহিলারা। সোনার গয়নায় চেনের নকশা কিন্তু সম্পূর্ণই বিদেশি। রোমান সাম্রাজ্য যখন প্রায় শেষের দিকে, মোটা চওড়া সোনার পাত দিয়ে গয়না গড়ানোর আর ক্ষমতা নেই রাজাদের, সেই সময়ই মুক্তো ও চেনের প্রচলন শুরু হয়েছিল রোম দেশে। পরে তা-ই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।  
রাজারাজরা বা বাবু-বিবিদের ছেড়ে যদি মধ্যবিত্ত পরিবারের  দিকে চোখ ফেরানো যায় তাহলে দেখা যাবে যে, সেখানে সোনার গয়না গড়ানো কিন্তু চিরকালই ‘ইনভেস্টমেন্ট’। একটা সময় ছিল যখন  মহিলারা সে অর্থে রোজগেরে হয়ে ওঠেননি, মেয়ের বিয়ের সময় সাধ্যমতো গয়না দিতেন বাবা মা। সেই গয়নাই ছিল নববধূর ‘স্ত্রীধন’। বিপদেআপদে সেই স্ত্রীধনের উপরেই ভরসা করত মধ্যবিত্ত গৃহিণী। শ্বশুরবাড়িতে নতুন বউটির জোর ফলানোর মূল ছিল ওই ‘স্ত্রীধন’,বিষয়টা এভাবে দেখার চলও ছিল। 
বাড়ির গিন্নিরা ক্রমশ অনেকাংশে রোজগেরে হয়েছেন ঠিকই, তবু আজও সোনাকে মধ্যবিত্ত পরিবারে ইনভেস্টমেন্ট হিসেবেই ধরা হয়, জানালেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। তাঁর কথায়, ‘উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মূলত তিন ক্ষেত্রে লগ্নি করে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লগ্নি হয় সোনায়। অন্য দু’টির এক হল স্টক মার্কেট, আর দুই ডলার। সাধারণত দেখা যায় স্টক মার্কেট যখন অতিরিক্ত ওঠানামা করে তখন সোনায় বিনিয়োগ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, বিগত কয়েক দশকে সোনার দাম খুব একটা বেশি কমেনি। মাঝেমধ্যে একটু আধটু পড়লেও সোনার দামের ট্রেন্ড মূলত ঊর্ধ্বমুখী। সেই কারণেই মধ্যবিত্তর কাছে সোনা হল ‘সেফ ইনভেস্টমেন্ট’ বা নিরাপদ লগ্নির উপায়।’ 
তিনি আরও বলেন, সোনার এই যে নিরাপদ লগ্নির উপায় হওয়া, এর ভালো ও খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। ভালো দিক হল, এর দাম মোটামুটি ঊর্ধ্বমুখী, ফলে এতে লগ্নি করলে ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশি। একইসঙ্গে সেই লাভের হার স্টক মার্কেটের তুলনায় কম। অর্থাৎ স্টক মার্কেট যখন ঊর্ধ্বমুখী থাকে তখন তাতে লগ্নির বিনিময়ে লাভের হার যতটা হয়, সেটা সোনার ক্ষেত্রে কখনওই ততটা হয় না। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার যে, স্টক মার্কেট হঠাৎ পড়ে গেলে যতটা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সোনার দাম কখনও সেই হারে পড়ে না। এছাড়া সোনাকে মধ্যবিত্ত পরিবারে সম্পত্তি হিসেবেও ধরা হয়। ফলে সোনায় ইনভেস্ট করার সেটাও একটা কারণ। আর একটা কারণও রয়েছে সোনায় লগ্নি করার, তা হল এর রিসেল ভ্যালু বা বিক্রয়মূল্য। অন্যান্য সব ধরনের গয়নার তুলনায় সোনার বিক্রয়মূল্য যেহেতেু বেশি, মধ্যবিত্ত বিপদকালের ভরসা হিসেবে সোনা কেনে। 
এখন প্রশ্ন হল, গয়নার সোনার রিসেল ভ্যালু কতটা? গয়নায় যেহেতু সামান্য খাদ মেশানো হয় তাই তার বিক্রিয় মূল্য সামান্য হলেও সোনার বাটের তুলনায় কম হবে। অভিরূপবাবু বললেন, ‘এক্ষেত্রে যেটা দেখার তা হল, গয়নার সোনার ক্যারেট। সাধারণভাবে সোনার বাট হলে তা ২৪ ক্যারেটের হয়। গয়নার ক্ষেত্রে যদি খাদ মেশানোর পরেও ২২ ক্যারেট সোনা থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিক্রয়মূল্য বেশি হবে। ক্যারেট যত কমবে রিসেল ভ্যালুও ততই কমবে।’ 
এছাড়াও মধ্যবিত্ত আর এক উপায়েও সোনায় লগ্নি করতে পারে, তা হল গোল্ড বন্ড কিনে। এই বন্ডের মূল্য সোনার দামের উপর নির্ধারিত হয়। এতে সোনা কেনার প্রবণতা খানিকটা হলেও কমে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে এই বন্ড কেনা ও তার মূল্য নির্ধারণের নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয় যা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছয়। 
‘স্ত্রীধন’ মারফত সোনার উপর মধ্যবিত্ত গৃহবধূর যে ভরসার সূত্রপাত হয়েছিল সেই ভরসাই আজও তাদের মনে অটুট রয়েছে। বিয়ে হোক বা অন্য যে কোনও শুভ অনুষ্ঠান, সোনার ছোঁয়ায় তা সম্পূর্ণ রূপ পায়। তাই তো আজও সোনাই নারীর সোহাগ, সোনাই সম্বৃদ্ধি।

গো ল্ড  ব ন্ড

যাঁরা সরাসরি সোনা কিনতে চান না, সোনায় লগ্নিতে তাঁদের দু’টি অন্যতম মাধ্যম গোল্ড বন্ড এবং গোল্ড ইটিএফ। এর মধ্যে গোল্ড বন্ড বিক্রি হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে। তারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর গোল্ড বন্ড বাজারে আনে। ইন্ডিয়ান বুলিয়ান অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া সোনার দাম অনুযায়ী ওই বন্ডের দর ঠিক হয়। বন্ড কেনার আগের শেষ তিনটি কাজের দিনে সোনার যে দাম থাকে, তার গড় করেই সাধারণত দর ঘোষিত হয়। এক গ্রাম সোনার যে দাম হয়, ন্যূনতম সেই অঙ্কের বন্ড কেনা যায়। যাঁরা ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে সেই বন্ড কেনেন, তাঁরা সেই দামের উপর আরও ৫০ টাকা ছাড় পান। যে কোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকে গোল্ড বন্ড কেনা যেতে পারে। তবে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্টস ব্যাঙ্ক থেকে তা কেনা যায় না। নির্দিষ্ট কয়েকটি পোস্ট অফিস থেকেও তা কেনার সুযোগ মেলে। এছাড়া স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকেও কেনা যায় বন্ড। সেবি স্বীকৃত স্টক এক্সচেঞ্জ, যেমন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে গোল্ড বন্ড কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই বন্ড কিনতে প্যান কার্ড থাকা আবশ্যক। লগ্নির উপর বাৎসরিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। আট বছর পর মেয়াদ শেষে বন্ড ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া যায়। সেই সময় সোনার যে বাজারদর থাকবে, বন্ডের মেয়াদ শেষের শেষ তিনটি কাজের দিনে সেই দামের গড় করে, টাকা ফেরত দেওয়া হয় গ্রাহককে। গোল্ড বন্ডের ক্ষেত্রে যে বাৎসরিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়, তা আয়করযোগ্য। কিন্তু মেয়াদ শেষে সোনার দাম বাবদ যে থোক টাকা পাওয়া যায়, তা আয়কর আইনে ছাড়যোগ্য। অন্যদিকে যেভাবে শেয়ার বাজার থেকে সাধারণ মানুষ শেয়ার কেনেন, সেভাবেই কেনা যায় গোল্ড ইটিএফ বা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। তার জন্য দরকার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। এক গ্রাম সোনার দরেই কেনা যায় ইটিএফের ইউনিট। তার থেকে পাওয়া থোক টাকা আয়করযোগ্য এবং মূলধনী লাভ হিসেবে কর দিতে হয় গ্রাহককে। যেভাবে বিভিন্ন পণ্যের অনলাইন ট্রেডিং হয়, এখানেও একই পদ্ধতিতে তা হয়। ব্রোকারের সাহায্যে গ্রাহক তাঁর পছন্দমতো ইটিএফে লগ্নি করতে পারেন।  
 বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী 
04th  November, 2023
শীতের রূপচর্চা

 শত ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নিজের যত্ন নেন? কথা বললেন অন্বেষা দত্ত-র সঙ্গে। বিশদ

02nd  December, 2023
স্মার্ট ক্লাচ ব্যাগ

বিয়েবাড়ি হোক বা পার্টি, হাতে চাই এই অ্যাক্সেসরি। বিশদ

02nd  December, 2023
ভরসা থাকুক আই মাস্কে

অনিদ্রা, ক্লান্তির ছাপ সবচেয়ে আগে বোঝা যায় চোখে। আই মাস্কের জাদুতে কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই সমস্যা। কীভাবে? এখানে রইল তার হদিশ। বিশদ

02nd  December, 2023
রূপের ম্যাজিক

আবীর চট্টোপাধ্যায় যতটা স্বচ্ছন্দ ব্যোমকেশ বক্সী থেকে হালের পঙ্কজ সিনহার ভূমিকায়, ততটাই সচেতন তাঁর শরীরচর্চা ও স্টাইলিং নিয়ে। সাজসজ্জা থেকে ফিটনেস, কথা বললেন সবকিছু নিয়েই। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

25th  November, 2023
শীত সাজে মানানসই গয়না

শীতে যখন সোয়েটার বা জ্যাকেটে মোড়া থাকেন তখন কি গয়না পরতে মানা? কেমন গয়না বাছবেন এই মরশুমে? জানালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

25th  November, 2023
মেকআপের দিনবদল

এসে গেল বিয়ের মরশুম। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কতটা বদলে গিয়েছে ব্রাইডাল মেকআপ? লিখেছেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

18th  November, 2023
বিয়ের আগে গ্রুমিং

বিয়ের দিনটিতে নিজেকে নিখুঁত দেখতে কে না চায়? তার জন্য দরকার ব্রাইডাল গ্রুমিং। লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

18th  November, 2023
সেলেবদের দীপাবলি

আলোর উৎসবে শামিল অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন এবং দিতিপ্রিয়া রায়। কীভাবে কাটবে ওঁদের দীপাবলি? শুনলেন অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

11th  November, 2023
আলোর  উৎসবে

লাইটওয়েট টিস্যু শাড়িতে পেটাওয়ার্ক ও সুতোর কাজ। তার সঙ্গে পশমিনা সিল্ক ব্লাউজ। শাড়িতে সম্পূর্ণ পার্টিওয়্যার লুক। বাংলার ঢাকাই কাজের নকশায় পেটাওয়ার্ক করা হয়েছে। যে কোনও অনুষ্ঠানেই এই শাড়ি অনবদ্য।  বিশদ

11th  November, 2023
শ্বাস নিক ত্বক

পুজোর অনিয়মের পর ত্বক ও চুলকে সার্বিকভাবে ভালো রাখার উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞ। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
বিশদ

28th  October, 2023
আলপনার গল্প

আলপনার নকশার গায়ে লেগে রয়েছে পুজো পুজো গন্ধ। আবার সনাতনী শিল্প হিসেবেও এর কদর করা হয়। আলপনার নানারকম নিয়ে আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

28th  October, 2023
শারদ সজ্জা

ঢাকে পড়ল কাঠি। পুজো এসে গেল, চারূপমার শ্যুটে সাজগোজও হল জমিয়ে। মহাসপ্তমীর শুভ লগ্নে কথায় কথায় পুজোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। 
বিশদ

21st  October, 2023
প্রাণ ঢালা উৎসবে

মহোৎসবের সাজগোজটি হতে হবে জমকালো। শেষবেলায় চেক লিস্ট মিলিয়ে নিন একবার। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
বিশদ

21st  October, 2023
মহালয়ায় জন্মে আমিই যেন দেবী 

মহালয়া এমন একটা মুহূর্ত যখন রেডিও শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি, আবার জেগেও যাই। ছোটবেলায় মা ঘুম থেকে জোর করে তুলে দিত। আগের রাত থেকে একরকম ভয় দেখিয়ে রাখত যে ভোররাতে উঠে মহালয়া শুনতে হবে। আগের দিন থেকে ব্যাটারি চেক করে রাখা। বিশদ

14th  October, 2023
একনজরে
আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM