Bartaman Patrika
চারুপমা
 

আলপনার গল্প

আলপনার নকশার গায়ে লেগে রয়েছে পুজো পুজো গন্ধ। আবার সনাতনী শিল্প হিসেবেও এর কদর করা হয়। আলপনার নানারকম নিয়ে আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।

‘শ্রীহরির বাক্য শুনি আনন্দিত মনে।
মর্তে চলিলেন লক্ষ্মী ব্রত প্রচারণে।’
মর্তে মা লক্ষ্মীর আগমনের সঙ্গে গৃহস্থের ঘরে আলপনা আঁকা যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সেই পুরনো কলকাতার লাল মেঝেতে ভরাট করে আঁকা মা লক্ষ্মীর পা, পাশে ধানের ছরা আর পদ্মফুল। খড়িমাটির টানে বাড়ির গিন্নি যখন প্রতিটি ঘরের দোরগোড়ায় এমন আলপনার নকশা আঁকেন, তখনই লক্ষ্মীদেবীর মন্ত্র আওড়ান মনে মনে। সনাতন হিন্দু গৃহস্থ বাড়িতে এই আলপনার টানই বয়ে আনে মা লক্ষ্মীর আগমন বার্তা। কোজাগরী পূর্ণিমার জ্যোৎস্না ঝরনো রাতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাণী শোনার জন্য কান পেতে থাকেন গৃহলক্ষ্মীরা। 
তবে আলপনার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখি তা কেবলই লক্ষ্মীর আরাধনায় সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামাঞ্চলে বাঙালি হিন্দু বাড়ির মহিলাদের হাতেই এই নকশার উদ্ভাবন হয়। তখন ব্রত পালন ছিল বঙ্গনারীর দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। স্বামী, সন্তান ও সংসারের কল্যাণে বিভিন্ন সময় নানারকম ব্রত পালন করতেন তাঁরা। সেইসব ব্রতকথার এক একটা গান থাকত।  গ্রাম্য বধূরা সেই গান গাইতে গাইতে ব্রতর ছবি আঁকতেন ঘরের মেঝের উপর। মাটির মেঝে বা উঠোন নিকিয়ে নিয়ে তাতেও আলপনার টান দেওয়া হতো। সেই থেকেই বাড়িতে নকশা আঁকার প্রচলন শুরু হয়। 
আলপনা আসলে পুজোর বিভিন্ন উপচারের অন্যতম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়ানোর জন্য মুনি-ঋষিরা যেসব পুজো বা যজ্ঞের আয়োজন করতেন তাতেও আলপনা আঁকার প্রচলন ছিল। যখন প্রচণ্ড অনাবৃষ্টিতে ওষ্ঠাগত প্রাণ, তখন বৃষ্টি নামানোর জন্য যে যজ্ঞের আয়োজন হতো, সেখানে ঋষিপত্নী বা ঋষিকন্যারা মেঘ, বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির ছবি আঁকতেন। আবার প্রচুর শস্য ফলনের পর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে যে পুজোর উদ্যোগ নেওয়া হতো তাতে ধানের শিষ আঁকা হতো ঘরের দেওয়ালে। এইভাবেই আলপনা একটি শিল্পে উত্তীর্ণ হয়েছিল গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে।
সেই শিল্প যে গোটা দেশজুড়ে কতটা উন্নত মাত্রা পেয়েছে তারই পরিচয় পেয়েছিলাম ওড়িশার রঘুরাজপুর গ্রামে গিয়ে। সেখানে গিয়ে দেখেছিলাম আলপনার মাধ্যমে বাড়ির দেওয়াল থেকে কাপড়ের ক্যানভাসে উঠে আসছে দেশীয় পুরাণ ও ইতিহাসের গাথা। সেও সনাতন আলপনার আর একটি রূপ। এই গ্রামের লোকেদের কাছে আলপনাই জীবন ও জীবিকা। তাঁদের কাছেই শুনেছিলাম মহামারীতে পৃথিবী যখন জীর্ণ তখন এই শিল্পই তাঁদের বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়েছিল। ভারতের পুরাণকথায় শান্তির আশ্রয় খুঁজেছিলেন তাঁরা। বাড়ির প্রতিটি দেওয়াল রং করে নতুন উদ্যমে তাতে আলপনা আঁকতে শুরু করেন রঘুরাজপুর গ্রামের বাসিন্দারা। একে অপরের সাহারা হয়ে মহামারীর অশান্ত সময়ে মনের শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা এই আলপনার নকশার মাধ্যমেই। এখানে প্রকৃতি যেমন স্থান পেয়েছে তেমনই ঈশ্বরের আরাধনা, পুরাণের গল্প সবই উঠে এসেছে।  
তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবকিছুর মধ্যেই একটা পরিবর্তন আসে। আলপনার নকশাও এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। আধুনিকতার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলপনায় বিস্তর বদল ঘটেছে। পৃথিবী যখন থেকে ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ হয়ে উঠেছে তবে থেকেই বঙ্গনারীর আলপনার টানে অবাঙালি ছাপ মিশেছে। খড়িমাটির বদলে এসেছে পোস্টার কালার, অনামিকায় তুলো জড়ানোর বদলে হাতে উঠেছে মোটা তুলি বা পেন্ট ব্রাশ। আলপনা এখন আর লাল মেঝের উপর সাদা বা ঘিয়ে রঙে সীমাবদ্ধ নেই। বরং নানা রঙে রঙিন। লক্ষ্মীপুজো বা ব্রত ছাড়াও যে কোনও উৎসবে অনুষ্ঠানেই তার স্থান। 
দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই তো হাওড়া ব্রিজের উপর আলপনা আঁকতে বসেছিলেন একদল তরুণ শিল্পী। উৎসবের আমেজ শহরময় ছড়িয়ে দিতেই তাঁদের এই রঙিন উদ্যোগ। রোজকার কেজো রাস্তার উপর আলপনার টানের খুশির ঝিলিক লেগেছিল। পিচের রাস্তা নিমেষে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল লাল, হলুদ, নীল, সবুজের নকশায়। ফুলের নকশায় উৎসবের আমেজ ধরা পড়ে বাঙালি হৃদয়ে।  
আবারও একটু সনাতনী আলপনার কথায় ফেরা যাক। এই শিল্প রচনার সরঞ্জামে যে খড়িমাটির ব্যবহার করা হয় তার সূত্রপাত নাকি শান্তিনিকেতনের শিল্প বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের হাত ধরে। তার আগে আতপ চাল ভিজিয়ে তা বেটে একটা লেই তৈরি করতেন বাড়ির বউরা। রং আনতে তাতে কখনও অল্প দুধ ও আলতার মিশ্রণ দেওয়া হতো। কখনও বা সামান্য সিঁদুর ব্যবহার করা হতো। এবং এই যে মিশ্রণ তা বেশ মোটা করে তৈরি করা হতো। তারপর সেই ঘন তরল মিশ্রণে আঙুল ডুবিয়ে তা দিয়ে বাড়ির দেওয়ালে, মেঝেতে নকশা তোলা হতো। এই নকশায় মূলত ফুলের কলকাই বেশি দেখা যেত। আজও কিন্তু সেই কলকারই প্রচলন আলপনার ডিজাইনে চোখে পড়ে।
আলপনার  নকশায় সাঁওতালি বা অন্য লোকশিল্পের প্রচলন ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শান্তিনিকেতনের শিল্প বিভাগের ছাত্রদের তিনি ফোক আর্ট আঁকার পদ্ধতি শিখিয়ে নানা অনুষ্ঠানে সেই নকশায় আলপনা আঁকতে বলেন। সেই থেকেই শান্তিনিকেতনের গৃহস্থ ঘরেও ফোক আর্টের নকশায় আলপনা আঁকার প্রচলন দেখা যায়। ক্রমশ শান্তিনিকেতনী আলপনা একটা ভিন্ন ধারা হয়ে দাঁড়ায়। তাতে ফুলের কলকা বা ব্রত-পুরাণ কথার বদলে প্রাকৃতিক ছোঁয়া লক্ষ করা যায়। কদম ফুল, পাখির রঙিন পুচ্ছ, জুঁই বা কামিনীর তোড়া ইত্যাদি দেখা যায় আলপনায়। পরবর্তীকালে কলাভবন প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথ সেখানে আলপনার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এবং তার জন্য বিভিন্ন বিশিষ্ট শিল্পীকে নিযুক্ত করেছিলেন। আলপনার মাধ্যমে বিমূর্ত নকশা আঁকার প্রচলন শুরু হয়েছিল কলাভবনেই। অধ্যাপিকা সুকুমারী দেবী (তিনি নন্দলাল বসুর ছাত্রী ছিলেন) এই অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টফর্মটি আলপনার আঁকার ক্ষেত্রে চালু করেন। পরবর্তীতে এই নকশাই আবার শান্তিনিকেতনী বাটিক শিল্পে কাজে লাগানো হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য অ্যাবস্ট্রাক্টের সঙ্গে ফোকের মিশেলও ঘটতে দেখা গিয়েছিল। বৃত্ত, ত্রিভুজ বা লাইনের সাহায্যে ফিগার আঁকার চল সেই সময় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। 
জ্যামিতিক প্যাটার্নের টানে মানুষের ছবি আঁকা বা নকশা তৈরি করা একটা ‘আর্ট ফর্ম’-এ পরিণত হয়েছিল ভোপাল, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে। সেখানকার মহিলারা  চালের গুঁড়ো জলে ভিজিয়ে এই ধরনের আলপনা আঁকতেন ঘরের দেওয়ালে। এই আলপনার জন্য অবশ্য কোনও পুজো বা পার্বণের প্রয়োজন হতো না। বরং দৈনন্দিন জীবনেই এই আলপনার স্থান ছিল। ঘরের মাটির দেওয়ালগুলো একটু সুন্দর ও সুশ্রী করে তোলার জন্যই গ্রাম্যবধূদের এই প্রয়াস। অনুষ্ঠানে আবার এই আলপনাতেই বৈচিত্র্য আনতেন তাঁরা। সিঁদুর বা কুমকুমের টান পড়ত সাদা চালের আলপনার মাঝে মাঝে। তাতেই নকশায় রঙের ছোঁয়া লাগত। ঘরের সাদামাঠা দেওয়ালে ঔজ্জ্বল্যের চমক আসত।  
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার আলপনা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন যে, আলপনার নকশার ধরনগুলো অনেকটাই পারিবারিক একটা ধারায় আবদ্ধ। অর্থাৎ বিশেষ কোনও একটি  পরিবারে হয়তো একধরনের নকশায় আলপনার আঁকার প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং বংশপরম্পরায় সেই ধারাই আলপনার নকশায় বজায় থেকেছে।  
অনেক ক্ষেত্রে আবার আলপনার নকশা থেকেই অঞ্চলেরও পরিচয় পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আলপনার নকশার ধারা আরও বিস্তৃত। অর্থাৎ একটা গোটা গ্রাম বা গ্রামের একটা বড় অংশ একই ধারায় আলপনার নকশা তুলতে অভ্যস্ত। অবন ঠাকুর বলেছেন, একটা সময় ছিল প্রাচীন বাংলায়, যখন চণ্ডীমণ্ডপে আলপনা আঁকা হতো। পুজো বা ব্রতপাঠের সময় ঘরে ঘরে যেমন আলপনা দেওয়া হতো তেমনই পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপেও দেওয়া হতো। সেই আলপনার নকশায় যাতে একটা সামঞ্জস্য বজায় থাকে সেই কারণেই তার ধরনটা একই রাখা হতো। তাতে সৌন্দর্যও যে বৃদ্ধি হতো তা বলাই বাহুল্য। ক্রমশ এই নকশার একটা প্যাটার্ন হল। একই রকম নকশা দেখলেই বোঝা যেত সেটা কোন গ্রাম বা কোন অঞ্চলের। 
আবারও একটু আধুনিক যুগের কথায় ফিরি। হালফিল আলপনা আঁকতে খড়িমাটি বা চালের লেইয়ের প্রচলন যে কমেছে তা তো আগেই বললাম। কিন্তু সব সময় পোস্টার কালারও আলপনার জন্য প্রয়োজন হয় না। ব্যস্ত জীবনে শিল্পের ছোঁয়া আনতে অনেকেই হাতে না এঁকে স্টিকার আলপনার উপর ভরসা করেন। সেই স্টিকার আলপনায় আবার সাদার পাশাপাশি রঙিনেরও ছোঁয়া পাবেন। সাদা আর লাল এই দু’টি রঙের মধ্যেই পুজোর গন্ধ রয়েছে। তাই লক্ষ্মীপুজোর স্টিকার আলপনার মধ্যে এই দু’টি রং বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়।
অনেকক্ষেত্রে আবার ফুলের পাপড়ি, ভেষজ রঙের গুঁড়ো ইত্যাদি দিয়েও আলপনা আঁকা হয়। আবিরও আলপনার সামগ্রী হিসেবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখনকার সময়ে উৎসব অনুযায়ী আলপনা নিজেকে বিভিন্ন রূপে সাজিয়ে নিয়েছে। বসন্ত উৎসবের আলপনার নকশায় যেমন আবিরের প্রাচুর্য লক্ষণীয়। আবার রবীন্দ্রজয়ন্তী বা বৈশাখের কোনও উৎসবমুখর সন্ধ্যায় সাদা জুঁইয়ের সঙ্গে মাধবীলতা, গোলাপ বা গাঁদা ফুলের পাপড়ি ব্যবহৃত হয় আলপনার নকশায়। এইভাবেই নানা নকশায় নানা রূপে আলপনা আমাদের জীবনে বয়ে আনে উৎসবের আমেজ। হৃদকমলে লাগে আনন্দের ছোঁয়া। 
28th  October, 2023
শীতের রূপচর্চা

 শত ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নিজের যত্ন নেন? কথা বললেন অন্বেষা দত্ত-র সঙ্গে। বিশদ

02nd  December, 2023
স্মার্ট ক্লাচ ব্যাগ

বিয়েবাড়ি হোক বা পার্টি, হাতে চাই এই অ্যাক্সেসরি। বিশদ

02nd  December, 2023
ভরসা থাকুক আই মাস্কে

অনিদ্রা, ক্লান্তির ছাপ সবচেয়ে আগে বোঝা যায় চোখে। আই মাস্কের জাদুতে কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই সমস্যা। কীভাবে? এখানে রইল তার হদিশ। বিশদ

02nd  December, 2023
রূপের ম্যাজিক

আবীর চট্টোপাধ্যায় যতটা স্বচ্ছন্দ ব্যোমকেশ বক্সী থেকে হালের পঙ্কজ সিনহার ভূমিকায়, ততটাই সচেতন তাঁর শরীরচর্চা ও স্টাইলিং নিয়ে। সাজসজ্জা থেকে ফিটনেস, কথা বললেন সবকিছু নিয়েই। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

25th  November, 2023
শীত সাজে মানানসই গয়না

শীতে যখন সোয়েটার বা জ্যাকেটে মোড়া থাকেন তখন কি গয়না পরতে মানা? কেমন গয়না বাছবেন এই মরশুমে? জানালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

25th  November, 2023
মেকআপের দিনবদল

এসে গেল বিয়ের মরশুম। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কতটা বদলে গিয়েছে ব্রাইডাল মেকআপ? লিখেছেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

18th  November, 2023
বিয়ের আগে গ্রুমিং

বিয়ের দিনটিতে নিজেকে নিখুঁত দেখতে কে না চায়? তার জন্য দরকার ব্রাইডাল গ্রুমিং। লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

18th  November, 2023
সেলেবদের দীপাবলি

আলোর উৎসবে শামিল অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন এবং দিতিপ্রিয়া রায়। কীভাবে কাটবে ওঁদের দীপাবলি? শুনলেন অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

11th  November, 2023
আলোর  উৎসবে

লাইটওয়েট টিস্যু শাড়িতে পেটাওয়ার্ক ও সুতোর কাজ। তার সঙ্গে পশমিনা সিল্ক ব্লাউজ। শাড়িতে সম্পূর্ণ পার্টিওয়্যার লুক। বাংলার ঢাকাই কাজের নকশায় পেটাওয়ার্ক করা হয়েছে। যে কোনও অনুষ্ঠানেই এই শাড়ি অনবদ্য।  বিশদ

11th  November, 2023
সোনায় সোহাগা

স্বর্ণে বসতে লক্ষ্মী। বাঙালির মনে এই ধারণা বদ্ধমূল। তাই তো গয়না থেকে সম্পত্তি, সবক্ষেত্রেই কনক-কদর।  লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

04th  November, 2023
শ্বাস নিক ত্বক

পুজোর অনিয়মের পর ত্বক ও চুলকে সার্বিকভাবে ভালো রাখার উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞ। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
বিশদ

28th  October, 2023
শারদ সজ্জা

ঢাকে পড়ল কাঠি। পুজো এসে গেল, চারূপমার শ্যুটে সাজগোজও হল জমিয়ে। মহাসপ্তমীর শুভ লগ্নে কথায় কথায় পুজোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। 
বিশদ

21st  October, 2023
প্রাণ ঢালা উৎসবে

মহোৎসবের সাজগোজটি হতে হবে জমকালো। শেষবেলায় চেক লিস্ট মিলিয়ে নিন একবার। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
বিশদ

21st  October, 2023
মহালয়ায় জন্মে আমিই যেন দেবী 

মহালয়া এমন একটা মুহূর্ত যখন রেডিও শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি, আবার জেগেও যাই। ছোটবেলায় মা ঘুম থেকে জোর করে তুলে দিত। আগের রাত থেকে একরকম ভয় দেখিয়ে রাখত যে ভোররাতে উঠে মহালয়া শুনতে হবে। আগের দিন থেকে ব্যাটারি চেক করে রাখা। বিশদ

14th  October, 2023
একনজরে
জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM