Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আরামবাগ আসনটি ছিনিয়ে নিতে গেরুয়া শিবির কতটা মরিয়া। বিজেপি যখন আরামবাগকে ‘পাখির চোখ’ করেছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা যে থালায় খাচ্ছেন সেই থালা ফুটো করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তৃণমূলের কিছু ‘কালিদাস’ মার্কা নেতার জন্যই আরামবাগ দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।
একটা সময় আরামবাগের নাম উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠত বোমা-গুলির লড়াইয়ের ভয়াবহ ছবি। বোমাবাজির শব্দে গ্রামের মানুষ দু’চোখের পাতা এক করতে পারত না। সকাল হতে না হতেই বোমার ব্যাগ, বন্দুক, লাঠি নিয়ে ছুটত ছেলে ছোকরার দল। উদ্দেশ্য, গ্রাম দখল। এইটা করতে পারলেই দেদার লুটপাট। গ্রামে ঢোকার মুখে থাকত চেকপোস্ট। বাঁশ দিয়ে আটকানো রাস্তা। বাঁশের এক প্রান্তে মাটির বস্তা, অন্য প্রান্তটা দড়ি দিয়ে বাঁধা। সেই দড়ির নিয়ন্ত্রণ থাকত গ্রামের ডাকাবুকোদের হাতে। অচেনা কেউ এলেই জেরা। উত্তর সন্তোষজনক হলে মিলত গ্রামে ঢোকার অনুমতি। এসব এখন গল্পকথা মনে হলেও, এটাই ছিল বাস্তব।
বাম আমলে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাটের বুকে একের পর এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে নৃশংসতায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিল যুধিষ্ঠির দোলুইয়ের খুন। সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আজও খানাকুলের মানুষ ভুলতে পারেনি। কী অপরাধ করেছিলেন যুধিষ্ঠির? গরিব হয়েও সিপিএমের বদলে করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি। তারই জন্য তাঁকে সবক শেখাতে মিছিল করে যুধিষ্ঠিরের বাড়ি ঘিরেছিল সিপিএম। বাঁচার জন্য ঘরে ঢুকে খিল এঁটে দিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির। দরজা ভাঙতে না পেরে পেট্রল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল ওরা। ঘর যখন জ্বলছে, বাঁচার জন্য টালি খুলে বেরিয়ে এসেছিলেন যুধিষ্ঠির। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। মা ও স্ত্রীর চোখের সামনে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল সিপিএমের হার্মাদরা। 
অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক খুনোখুনির। শান্তি ফিরেছে আরামবাগে। শুধু শান্তিই নয়, ফিরেছে গণতন্ত্রও। বাম আমলে এই আরামবাগে ভোটের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে দ্বিমত থাকত না। মনোনয়ন জমা দেওয়া মাত্রই নিশ্চিত হয়ে যেত সিপিএমের জয়। হিসেব-নিকেশ যা কিছু, সবটাই হতো ব্যবধান নিয়ে। আর সেটা লাখে। এক লক্ষ, দু’লক্ষ, তিন লক্ষ, এই করতে করতে ২০০৪ সালে তা পৌঁছে গিয়েছিল ৫লক্ষ ৯২ হাজার ৫০২তে। প্রায় ছ’লক্ষ! সিপিএমের সৌজন্যে অনিল বসুর এই রেকর্ড বাংলায় অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবে। যারা সেদিন অনিল বসুর জয়ের আনন্দে আরামবাগের রাস্তা আবিরে লাল করে দিয়েছিল, এখন তারাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের কথা বলে বড়গলা করে।
গণতন্ত্র ফিরেছে বলেই আরামবাগে কে জিতবে, তা নিয়ে এত চর্চা। গণতন্ত্র আছে বলেই পুরশুড়ার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের তোতন মহন্ত বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন, ‘আমি ভরপুর বিজেপি।’ তবে, লোকসভা নির্বাচনের পর কি মানুষ এভাবেই তাদের মতামত জানাতে পারবে? নাকি আরামবাগে ফিরবে বাম আমলের সেই আতঙ্ক? নির্বাচন এগিয়ে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। 
পুরশুড়ার চিলাডাঙি বাসস্ট্যান্ডে জগন্নাথ দাসের স্টেশনারি দোকান। জমজমাট এলাকা। চেষ্টা চলছে ভোটের হাওয়া কোনদিকে, তা বোঝার। এক একজন এক একটি দলের হয়ে কথা বলছেন। তারই মধ্যে গোবিন্দ জানা নামে একজন বলে উঠলেন, ‘কে আবাস যোজনার টাকা পেয়েছে, কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছে, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথাটা হল, শান্তি। এখন গ্রামের মানুষ শান্তিতে আছে। মারামারি, বোমাবাজি, চাষ বন্ধ, এই সব আর নেই।’ গোবিন্দবাবুর কথায় ঘাড় নাড়লেন সবাই। বললেন, এখানে আর অশান্তি নেই। যে যাকে ইচ্ছা ভোট দিতে পারে। গোবিন্দবাবু বলেন, ‘চাওয়া পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু মানুষ শান্তিতে আছে। এখানে শান্তিই শেষ কথা।’ 
শান্তি যে আরামবাগের ভোটে একটা ইস্যু, সেটা টের পাওয়া গেল খানাকুলে তৃণমূলের পথসভাতেও। ভাষণ দিচ্ছিলেন রাধাবল্লভপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সৌরভ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘বহু রক্তের বিনিময়ে খানাকুল, আরামবাগ, গোঘাটে শান্তি ফিরেছে। সিপিএম নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে। রাজ্যজুড়ে গণহত্যা চালিয়েছে। এখন তারাই জার্সি বদলে বিজেপি হয়েছে। আরামবাগে বিজেপি জিতলে ফের ফিরবে সেই অশান্তির দিন।’
বিজেপি জিতলে খানাকুল যে বাম আমলের অবস্থায় ফিরবে, তা টের পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মিতালি বাগ। বিজেপি শাসিত খানাকুল-২ ব্লকের মোস্তাফাপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে  ‘প্রাক্তন কমরেড’রা বুঝিয়ে দিয়েছে, জার্সি বদলালেও বদলায়নি তাদের স্বরূপ। শুধু পলাশপাই অঞ্চলেই নয়, খানাকুলের চিংড়া, ধান্যগোড়ি সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকাকে মুক্তাঞ্চল বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। উদ্দেশ্য, ভোটের দিন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে না দেওয়া। একটা সময় সিপিএম যে কায়দায় ভোট করত, এবার সেভাবেই ভোট করাতে চাইছে বিজেপি।
আরামবাগকে রেলওয়ে মানচিত্রে যুক্ত করার কৃতিত্ব কার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আরামবাগের মতো মহকুমা শহরকে মেডিক্যাল কলেজ দিয়েছেন কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও আরামবাগ মহকুমার চারটি আসনেই হেরেছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে খানাকুল ও পুরশুড়ায় রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। এজন্য দায়ী ঠিকাদারিরাজ। পুরশুড়া এবং খানাকুলের কিছু ‘ঠিকাদার’ নেতা ফুলেফেঁপে ওঠায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, তৃণমূল কর্মীরাও ক্ষুব্ধ। তারই প্রভাব পড়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির এখন বিজেপির দখলে। 
এছাড়াও ইকবাল আহমেদ একটা ফ্যাক্টর। তিনি যতদিন ছিলেন, খানাকুল ও পুরশুড়া এলাকাকে তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রয়াণের পর তাঁরই হাতে তৈরি লোকজন এলাকায় ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন। সেই সব নেতার খবরদারির জন্যই প্রশস্ত হয় বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির রাস্তা। বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সংশোধনের রাস্তায় হাঁটা শুরু করেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে শাসক দলের প্রতি আস্থা ফিরছে। সঙ্গে জুড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুফল। কিন্তু সাইড লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া নেতারা এখন দলকেই ‘শিক্ষা’ দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। 
খানাকুলের এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার কথায়, ‘দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এমন কয়েকজন ভাবছে, দল খারাপ ফল করলে নেতৃত্ব তাদের ফের গুরুত্ব দেবে। সেই অঙ্কে তারা কালিদাস হয়ে যে ডালে বসে আছে, সেই ডালটাই কাটতে চাইছে। কিন্তু তারা একবারও ভাবছে না, তৃণমূল হারলে তাদেরই পিঠের চামড়া আগে উঠবে। কারণ তৃণমূলকে ভাঙিয়ে সম্পত্তি করায় মানুষ তাদের উপরেই সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ। তাদের উপর ঝাল মেটানোর আশায় ১২ বছর ঘাপটি মেরে বসে থাকা কমরেডরা এখন জার্সি বদলে হয়েছে বিজেপি।’
আরামবাগ লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা। বাকি ছ’টি হুগলি জেলার। গেরুয়া শিবিরকে আরামবাগ আসনটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখাচ্ছে খানাকুল ও পুরশুড়া। সেই কারণেই আরামবাগের পর ফের পুরশুড়াতে নির্বাচনী সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই দু’টি আসন থেকেই জয়ের মূলধন ঘরে তুলতে চাইছে বিজেপি। কারণ, আরামবাগ ও গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। চন্দ্রকোণা ও তারকেশ্বরে এখনও লিড নেওয়ার জায়গায় নেই গেরুয়া শিবির। আর বাকি রইল হরিপাল। এই হরিপালই বদলে দিতে পারে আরামবাগ লোকসভার ভাগ্য। তাই জেতার জন্য হরিপালকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল।
৪৮ ঘণ্টা পর পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচন। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার সাতটি আসনের ভোট নেওয়া হবে। ঠাকুরবাড়ির প্রতি মতুয়া আবেগ অটুট আছে কি না, বনগাঁয় হবে তারই অ্যাসিড টেস্ট। দল বড় নাকি ব্যক্তি, বারাকপুরে তার পরীক্ষা। আর আরামবাগে? শান্তি থাকবে, নাকি ফিরবে সেই আতঙ্কের দিন, পরীক্ষা সামনেই। তবে, তৃণমূল আত্মঘাতী গোল না করলে মোদির আরামবাগ দখলের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
ডেভেলপমেন্ট লিগ ফাইনালের আগে পারদ চড়ছে মুম্বইয়ে। আজ খেতাবি লড়াইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। বিনো জর্জের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে তৈরি শঙ্করলাল চক্রবর্তীর পাঞ্জাব। অন্যদিকে ...

মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বোতলে ভরে নকল মোবিল বিক্রি হচ্ছিল। এমনকী, নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বাইকের নকল যন্ত্রাংশও বিক্রি হতো। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM