Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। তাঁর হাতেই ছড়িটা থাকবে। তিনি সেটা যেভাবে দোলাবেন, সেইমতো বাজবে ভায়োলিন, গিটার বা স্যাক্সোফোন। ফারাকটা হল, কোনও পাওয়ার সেন্টার শুধুই কাঠামোটাকে ধরে রাখার জন্য তৈরি হয়, আর কোনওটা সিস্টেমকে দুমড়ে-মুচড়ে নিজের মতো করে ব্যবহারের জন্য। নরেন্দ্র মোদি গত বিশ বছরে যে পাওয়ার সেন্টারটি তৈরি করেছেন, তা দ্বিতীয় শ্রেণির মধ্যে পড়ে। ২০০২ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই তিনি জানতেন, তাঁর চেয়ারটাকে ঘিরে একটা অভেদ্য বলয় তৈরি করতে হবে। গুজরাত বিজেপি তখন দু’ভাগে ভেঙে গিয়েছে। একটা অংশ কেশুভাই প্যাটেলের। আর একটা তাঁর বিরোধী। নরেন্দ্র মোদি চেয়েছিলেন, দুটো লবিকেই নিজের হাতের তালুর নীচে রাখতে। সেটা করার জন্য ক্ষুরধার একটা মস্তিষ্ক প্রয়োজন ছিল। আটের দশকে আমেদাবাদেই সঙ্ঘের কর্মসূচিতে যে ছেলেটির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, মোদি জানতেন... তখনকার সেই কলেজছাত্রটিই হতে পারে ব্রহ্মাস্ত্র—অমিত শাহ। 
রাজ্য, আর তারপর দেশ। কেউ যদি মনে করে, এই রাজত্বে নরেন্দ্র মোদির কোনও অংশীদার নেই, তাহলে সে এখনও মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। মোদিজি চিরকালই এই পাওয়ার সেন্টারের মুখ হয়ে থেকেছেন। আর প্লেব্যাক সিঙ্গারের মতো নেপথ্য কণ্ঠ দিয়ে গিয়েছেন শাহ। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই শাহকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কী কী দপ্তর দেওয়া হয়েছিল তাঁকে? স্বরাষ্ট্র, আইন, কারা, সীমান্ত সুরক্ষা, সিভিল ডিফেন্স, শুল্ক, পরিবহণ, হোম গার্ড, গ্রাম রক্ষক দল, পরিষদীয় দপ্তর। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার ছিল, পাওয়ার সেন্টার দু’জনে মিলেই চালাবেন। শুধু অমিত শাহ প্রচারের মুখ হবেন না। ইঙ্গিতপূর্ণ কথাটা বছর দশেক আগে বলেছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিং বাঘেলা—‘শাহ একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর উপর মোদি ভরসা করেছিলেন। আর তাঁরা দু’জনই একসঙ্গে ধারণ করেছেন ক্ষমতার পাত্র। কিন্তু দল হিসেবে নয়, ব্যক্তিতন্ত্রে। কারণ, গুজরাতে বিজেপিকে সাংগঠনিক ও আদর্শগত দিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছেন তাঁরা।’
প্রথমে গুজরাত। আর এখন দেশ। মঞ্চ বদলেছে, বদলায়নি পদ্ধতি, পাওয়ার সেন্টার। এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির বয়স ৭৩ বছর, আর অমিত শাহের ৫৯। মোদি জনতা পার্টির এই দুই কাণ্ডারী কোনওকালেই দলের নিয়ম-কানুনকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। লোকসমক্ষে দেখান, তাঁরা সবটাই মেনে চলছেন। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যায়, সবটাই তাঁদের প্রয়োজন মতো আকার নিয়ে ফেলেছে। এবার খানিক মুশকিল হয়েছে। কারণ, সামনে এসে গিয়েছে বিজেপির সংবিধান। ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে আর কোনও দায়িত্বের পদে থাকা যাবে না। নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৪ পূর্ণ করবেন। অর্থাৎ ৭৫’এ পা। আর ৭৫ পূর্ণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেও আগামী বছরের সেপ্টেম্বর। তারপর কী? এই প্রশ্নটা বাজারে কয়েক মাস যাবৎ আকাশে ঘোরাফেরা করলেও ভোটের ময়দানে এনে ফেলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। পরের দিন হনুমান মন্দিরে প্রণাম করেছেন। আর বেরিয়ে দেখেছেন, গোটা দিল্লি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ, ওই স্পট থেকেই শুরু হচ্ছে কেজরিওয়ালের রোড শো। গলায় উত্তরীয় ঝোলানো ‘আয়োজিত’ ভিড় নয়, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে তাঁর প্রচারে যোগ দিতে। আর সেই প্রচারমঞ্চ থেকে কেজরিওয়াল তোপ দাগছেন, ‘আপনারা আসলে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিচ্ছেন না। আপনাদের সমর্থন যাচ্ছে অমিত শাহের দিকে। এক বছর নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। বাকি চার বছর শাহ। এবার ভেবে নিন, কাকে ভোট দেবেন।’
মানুষের মনে নাড়া দেওয়ার মতো সমীকরণ বটে। কেজরিওয়াল শিক্ষিত, বুদ্ধিমান রাজনীতিক। কোমরের নীচে ঠিক কোথায় মারলে ব্যথাটা মোক্ষম হবে, সেটা ভীষণভাবে জানেন। আর সেটাই করেছেন। তিনি জানেন, মোদি হাওয়া যতটুকু আছে, সেটাই বিজেপির সম্বল। গোটা দেশে মোদির গ্যারান্টির ভ্যারেন্ডা ভেজে ভোটভিক্ষা চলছে। উন্নয়নের দিশা না পেয়ে ধর্মের সেফ হাউসে ঢুকে পড়েছেন গেরুয়া কর্তারা। তাই ‘মোদিকে দেখে ভোট’—এই মিথটা ভাঙতে পারলে সত্যিই বিজেপি ২০০’র নীচে নেমে আসবে। সেটাই করেছেন তিনি। আর ঢিলটা যে সঠিক চাকে লেগেছে, তার প্রমাণ বিজেপির ত্রাহি রব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বয়ং অমিত শাহকে আসরে নামতে হয়েছে। তিনি সাফাই দিয়েছেন, এসব ভুল কথা। মোদিজিই আমাদের নেতা। তাহলে কি জিতে এলে পাঁচ বছর তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকছেন? এই গ্যারান্টি কেউ দিচ্ছে না। আর এখানেই মুচকি হাসছেন কেজরিওয়াল। ভোটপর্বের মাঝে তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানোর পাল্টা দিতে ময়দানে নেমেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যেমন প্রমাণ না হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ আছে, ঠিক তেমনই আছে পরিষেবা। মানুষের জন্য করেছেন, এমন পাঁচটা কাজ তিনি অবলীলায় বলতে পারবেন। বিদ্যুৎ বিলে ছাড়, পানীয় জল, দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোড়-বিজোড় নীতি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুকরণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার... আরও অনেক কিছু। কেজরিওয়াল বলেই থাকেন, বাকি বহু দপ্তর আমার হাতে নেই। কেন্দ্রের অধীনে। থাকলে ওখানেও করে দেখাতাম। মানে চ্যালেঞ্জটা পরিষ্কার—লড়তে এসো পরিষেবায়। ভোট ওই অঙ্কেই হোক। দেখি কীভাবে সামাল দিতে পারো। 
সামলানো যে কঠিন, সেটা বিজেপিও জানে। কিন্তু তা বলে ভোটের মাঝে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার? শুধু তো তিনি নন, হেমন্ত সোরেনও। বিরোধীদের ঝেঁটিয়ে খাঁচায় পোরার ট্রেন্ডটা যেভাবে শুরু হয়েছিল, তা কেজরিওয়ালে এসে থামতে পারে... এটা সম্ভবত ভয়ানক ভক্তও ভাবেননি। কিন্তু এখানে আরও যে গুরুতর প্রশ্নটা সামনে আসছে তা হল, বুদ্ধিটা কার? অমিত শাহ কি জানতেন না, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলবন্দি করার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে পারে? এটা তো হতে পারে না। দেড় বছর ধরে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তাহলে এতদিন পরে গ্রেপ্তার কেন? তাও ভোট চলাকালীন! বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাটা নিশ্চিতভাবে বিজেপির ড্যামেজ করেছে। আর অমিত শাহকে এতটা অবিবেচক মনে হয় না, যে তিনি ভোটের মাঝে এতটুকুও ঝুঁকি নেবেন। তাহলে নেপথ্যে কে? স্বয়ং মোদি? নাকি ড্যামেজ করার মনোবাসনা নিয়ে পাওয়ার সেন্টারের মধ্যেই কেউ বসে আছেন! 
মোদ্দা কথাটা হল, এজেন্সির অতিসক্রিয়তা, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, আম জনতাকে ভিতরে ভিতরে খেপিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে ড্যামেজটা কোনও দল বা সংগঠনের হচ্ছে না। ধাক্কা খাচ্ছেন একজন—নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি যদি চব্বিশের মহারণ উতরে যায়, তাহলে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যেমন তাঁর হবে, ধরাশায়ী হলেও তার দায় অন্য কারও হবে না। অমিত শাহেরও না। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারলে হার হবে নরেন্দ্র মোদির। আর জিতলে বছর দেড়েক পর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটা অপেক্ষায় থাকবে অমিত শাহের। সমীকরণ পরিষ্কার। নরেন্দ্র মোদি নিজেও সেটা জানেন। তাই আজ তিনি মরিয়া। ৩৭০, মহিলা সংরক্ষণ, জি-২০ সম্মেলন... কোনওটাই আর তাঁর ভাষণে নেই। আছে শুধু ধর্ম, এসসি-এসটি, মেরুকরণ। মহাজোট ক্ষমতায় এলে সবার থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নাকি মুসলিমদের দিয়ে দেবে। এটাও কি হতে পারে? দেশে সংবিধান নেই? সুপ্রিম কোর্ট নেই? নাকি সংসদ নেই? তাও মোদি বলছেন। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হিন্দু ভোটটাকে এক ছাতার তলায় আনার। আর সেই দাবির পক্ষ সমর্থনে প্রকাশ করছেন রিপোর্ট... বলছেন, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের সময়সীমা পর্যন্ত হিন্দু জনসংখ্যা নাকি কমে গিয়েছে। বেড়েছে মুসলিমরা। কেন, কোন পরিস্থিতিতে, সেইসব ব্যাখ্যা পিএমও থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে নেই। যদি এটাই সত্যি হয়, এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি সেন্সাস করাতে দিলেন না কেন? ২০২১ সালে না হয় কোভিডের দাঁত-নখ বেরিয়ে ছিল। তারপরও তো তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেইসব না করে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করলেন। তাও ভোটের মাঝে। এবেলা আদর্শ আচরণবিধি ভাঙল না? আসলে তাঁর সরকার বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে চলা ভুলে গিয়েছে। বা আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ওই গলিতে পা দিতে চায় না। তাহলেই যে ব্যর্থতার হাড়-কঙ্কাল বেরিয়ে পড়বে! তাই মোদিজি রামমন্দিরের কথা বলেন, আর বর্তমানকে এড়িয়ে ’৪৭ সালের পরিকল্পনা দেন। এর সঙ্গেও বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। ২০০৮ সালের একটি অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ছে। মঞ্চে উপস্থিত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দর্শকের আসনে রাহুল গান্ধী, প্রকাশ জাভড়েকর, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো রাজনীতিক। আর বক্তা? শাহরুখ খান। রাহুল গান্ধী দর্শকাসন থেকে শাহরুখকে বলেন, ‘রাজনীতিকদের যদি একটা পরামর্শ দিতে হয়, কী বলবেন?’ শাহরুখ হেসে ফেলেন, খানিক ইতস্তত করেন, আর তারপর বলেন, ‘খুব সহজ প্রশ্ন। সোজাসাপ্টা প্রশ্ন।’ একটু থেমে শাহরুখের মন্তব্য, ‘একটা পরামর্শ, যা রাজনীতিকরা মেনে চলবেন... আমাদের দেশ বিশ্বসেরা হবে...। দেখুন কাকে আপনারা প্রশ্নটা করলেন। যার পেশাটাই হল কিছু মিথ্যা, কিছু স্বপ্নকে পর্দায় তুলে ধরা। আমি একজন অভিনেতা। কিন্তু আপনারা নন। আপনারা যাঁরা দেশ পরিচালনা করেন, তাঁদের প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। নাগরিক হিসেবে আপনাদের একটাই কথা বলতে পারি... টেবিলের নীচে হাত পেতে টাকা নেবেন না। যতটা সম্ভব সৎ থাকবেন, আর অবশ্যই বাস্তবের মাটিতে পা রাখবেন। তাহলে আমাদের দেশ বিশ্বসেরা হবেই।’
আজ নরেন্দ্র মোদির জমানায় আমরা বড়পর্দার বাইরে অভিনেতা দেখছি। তাঁরা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে পা রাখছেন না। আর সেই শাহরুখ খান বড়পর্দায় জনগণের উদ্দেশে বলছেন, ‘একটা পেন কিনতে গেলেও পাঁচবার কাগজে ঘষে দেখেন ঠিকমতো কালি পড়ছে কি না... চাল, ডাল, আটা, তেল কেনার সময় কত প্রশ্ন করেন আপনারা। শুধু নিজের দেশের সরকার নিয়ে একটা প্রশ্নও করেন না। কেন? পাঁচ ঘণ্টা চলে, এমন মশার কয়েল নিয়ে একগাদা প্রশ্ন করেন, কিন্তু পাঁচ বছর যে সরকার ক্ষমতায় বসে থাকে, তাদের নিয়ে? ভোট দেওয়ার আগে প্রশ্ন করুন, কী করেছ দেশের জন্য? কী করেছ আগামী প্রজন্মের জন্য? আমার জন্য? আগে উত্তর দাও। তারপর ভোট।’ এই প্রশ্নগুলো কি ১০ বছর রাজত্ব করা শাসককে করা যায় না? আলবাৎ যায়। এটা আমাদের অধিকার। গত কয়েক দশকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছিল বাজপেয়ি জমানায়—৬০ লক্ষ। পরিকাঠামো উন্নয়নও হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তাঘাট, সামাজিক প্রকল্প...। তারপরও ধসে গিয়েছিল তাঁর সরকার। আগের ভোটের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ ভোট কম পড়েছিল। সেটাই বদলে দিয়েছিল রাজনীতির সমীকরণ। কেন? মধ্যবিত্ত কিছুই পায়নি ওই জমানায়। চাকরি হয়েছে, কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি কমেনি, আয়করের স্ল্যাবেও মেলেনি ছাড়। প্রতিদিন ধুঁকতে হয়েছে আম জনতাকে। তার ফল ভোটে পড়েছে। এবার কিন্তু চার দফাতেই প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ করে ভোট কম পড়েছে। ইস্যুও ফিরে এসেছে... মূল্যবৃদ্ধি, আয়কর, বঞ্চিত মধ্যবিত্ত। আর সঙ্গে জুড়েছে বেকারত্ব।
মোদি হাওয়া থাকলেও সেটা ভোটযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে তো?
14th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
ডেভেলপমেন্ট লিগ ফাইনালের আগে পারদ চড়ছে মুম্বইয়ে। আজ খেতাবি লড়াইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। বিনো জর্জের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে তৈরি শঙ্করলাল চক্রবর্তীর পাঞ্জাব। অন্যদিকে ...

মথুয়ার কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ঈদগাহ মামলায় নয়া মোড়। হিন্দুপক্ষের দাবি, বিতর্কিত সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত কোন নথি মসজিদ কমিটি কিংবা ওয়াকফ বোর্ড জমা দেয়নি। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM