Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বুধনি হল শিবরাজ সিং চৌহানের নির্বাচনী কেন্দ্র। একদিকে ভোপাল। আর অন্যদিকে হোশঙ্গাবাদ। মাঝখানে বয়ে চলেছে নর্মদা নদী। সিহোড়ের বাসিন্দা বাসযাত্রী বলেছিলেন, আমি সন্তানদের নিয়ে বাংলায় বেড়াতে গিয়েছি জানেন তো। দুটো কারণে। দার্জিলিং দেখব। আর শান্তিনিকেতন। সেখান থেকে ফিরে আমার আর আমার মেয়েদের অন্যতম প্রিয় গান হয়ে গিয়েছে, ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’। আমরা মাঝেমধ্যেই ছুটির দিনে ওই গান গাই। আমাদের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের সম্পর্ক নেই। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ, আর গান বাজনা শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছে বড় মেয়ে। সে বায়না ধরেছে ওখানে পড়বে। বাংলা জানে না, বাঙালি কালচার জানে না। কীভাবে মানিয়ে নেবে বলুন তো! তাঁকে বলেছিলাম, জওহরলাল নেহরু তাঁর কন্যাকে শান্তিনিকেতনে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। অসুবিধা হবে না। এদেশি বিদেশি বহু ছাত্রছাত্রী পড়ে। সেই সরকারি কর্মী বাঙালির সাহিত্য, সংস্কৃতি, বইমেলা ইত্যাদি নিয়ে প্রবল মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন।
২০২৪ সালের মে মাসে এই কিছুদিন আগে চম্বলের বানমোড় থেকে মুরেনা যাওয়ার পথে বাসের সহযাত্রী লোকেন্দ্র টোমার জানতে চাইলেন, কলকাতা তো শ্মশান হয়ে গিয়েছে! এখনও ওখানে শিক্ষিত বাঙালি থাকে? নাকি সব পালাচ্ছে? লোকেন্দ্র টোমার থাকে অম্বার মঈ গ্রামে। গোয়ালিয়র থেকে ফিরছে। জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। প্রশ্ন করেছিলাম কেন? সবাই পালাবে কেন? লোকেন্দ্র বললেন, এই যা মোবাইলে, আর নিউজে দেখি। তাছাড়া গোয়ালিয়রে তো প্রচারেও বিজেপি বলছিল বাঙ্গালে মেয়েদের কোনও সম্মান নেই। ওখানে নাকি অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব চলে। তিন চারটে জেলা বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে। ওখানে ভারতের টাকাও চলে না। বাংলাদেশের টাকা। আর পরীক্ষা টরীক্ষা সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আর বাংলায় কোনও আগের মতো টিচার, ডাক্তার, উকিল পাওয়া যায় না। সব ঘোটালা করে পাশ করে। সবাই দু নম্বরী। ভোটও তো নাকি হয় না। সব ভোট ছিনতাই করে নেয় টিএমসি। মানুষ ভোটই দিতে পারে না।  বাংলার এই অবস্থা ভাবা যায়? এরকম একটা রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেল? কিছুই বিকাশ হল না। 
এসব ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করে লাভ হয় না। কারণ, বাংলার অবস্থা অতীতের চম্বলের মতো হয়ে গিয়েছে, এরকম যদি এখানে মানুষজন বিশ্বাস করে, তাহলে সেই ভাবনার বদল ঘটানো যাবে না। আর তখনই স্পষ্ট হল, যে অপপ্রচার এবং অসত্য প্রোপাগান্ডার শক্তি ঠিক কতটা শিকড়ে প্রোথিত হয়ে যায়। সন্দেশখালি অথবা অন্য যে কোনও ঘটনার সত্যাসত্য বিচার না করে আগেভাগেই দেশজুড়ে প্রবলভাবে প্রচারমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। চম্বলের রাস্তায় যেতে যেতে বোঝা যাচ্ছিল, যে বাংলার বদনাম করাই আসল উদ্দেশ্য এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে গোটা রাজ্য এবং গোটা বাঙালি জাতি সম্পর্কে অপবাদ দেওয়ার একটি পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে। 
প্রশ্ন জাগছে, এই যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সামগ্রিকভাবে বাংলা একটি অবাসযোগ্য স্থান, এখানে শিক্ষিত মানুষ থাকে না, এখানে নারীদের সামান্যতম সুরক্ষা নেই, এখানে আইনের শাসন নেই, এখানে একটি ধ্বংসের রাজত্ব চলছে, এটাই প্রতিষ্ঠা করার প্রাণপণ চেষ্টা করছে, তার আসল লক্ষ্য কী? আর বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে ধরে যেভাবে বাংলাকে কলঙ্কিত করা হয়েছে, সেই ধ্বংস হওয়া ইমেজের ক্ষতিপূরণ দুঃসাধ্য। 
সন্দেশখালিতে এখন যে মহিলারা বলছেন, সবটাই মিথ্যা, তাদের জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়েছিল, টাকা দেওয়া হয়েছিল, এটা বহু মানুষ বিশ্বাস করছে না। কিন্তু এই একই মহিলারা যখন ওই অভিযোগুলি করেছিলেন, তখন কিন্তু আজকের অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করেছে। তখন মনে হয়েছিল এই নারীরা ঠিক বলছেন। কিন্তু সেই একই মানুষ যখন বিপরীত কথা বলছেন, তখন তাঁকে অবিশ্বাস করা হচ্ছে! কারণ কী? 
ভোটের আগে বলা হয় মানুষ ভোট দিতে পারে না, রিগিং হয়। বাংলার একটা বড় অংশের মানুষ ভিখারি। সরকারি অনুদান পেয়ে ভোট দেয়। আবার এই মানুষ যেখানে যেখানে শাসক দলকে হারিয়ে দেয়, তখন বলা হয়, এই তো, মানুষ শিক্ষা দিল! তাহলে আগে যে বলা হয়েছিল যে, মানুষ ভিখারি এবং নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না? কোনটা ঠিক? 
সন্দেশখালির ঘটনা, এসএসসির ঘটনা অথবা অন্য যে কোনও অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্যি হতেই পারে। আবার সম্পূর্ণ মিথ্যাও হতে পারে। রাজনৈতিক এবং আইনি পন্থা রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলছেও। সর্বোচ্চ আদালত সবটাই অবলোকন করছে এবং সেইমতো নির্দেশিকা দিচ্ছে। কিন্তু আমার পছন্দের রায় অথবা নির্দেশিকা হলে, সুপ্রিম কোর্ট খুব ভালো। আর অপছন্দের নির্দেশিকা হলে সুপ্রিম কোর্ট খারাপ, এই মনোভাবেব মতো চরম নির্বুদ্ধিতা আর আছে নাকি? আমরা সাধারণ মানুষ কেন অলক্ষ্যে কোনও না কোনও পক্ষ হয়ে যাচ্ছি? 
এসবের বাইরে সবথেকে বড় ক্ষতিকর যা হচ্ছে,সেটি হল বাংলার বদনাম। বাঙালি জাতির চরম অপবাদ। সন্দেশখালিতে যেটা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেটাই নাকি বাংলার কালচার। অর্থাৎ বাংলাজুড়ে সারা বছর ধরে নাকি এরকমই হয়। এটাই সর্বভারতীয় স্তরে লাগাতার প্রচার হচ্ছে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ চিরন্তন সত্য। বহুকাল ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলায় কোনও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হলে সেটাকে সন্ত্রাসবাদী ঘটনা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে আসে জঙ্গি যোগের সন্ধান করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বলা হয়, বাংলা একটি অগ্নিস্তূপের উপর বসে আছে। জেলায় জেলায় শহরে শহরে নাকি বারুদের কারখানা। বিস্ফোরকের রমরমা। জঙ্গিরাজ্য। 
আমাদের প্রশ্ন হল, তৃণমূল শাসক দল। তার বিরুদ্ধে  আক্রমণ, অভিযোগ, তাকে সরকার থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা, এসব বিরোধী দল করবেই। করুক না। রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নির্মাণ ও বিনির্মাণে যে দল জয়ী হবে, যার প্রচার বেশি গ্রহণযোগ্য হবে, যার জনপ্রিয়তা বেশি, সে ভোটে জয়ী হবে। অন্যপক্ষ বহু চেষ্টা করেও পরাস্ত হবে। সব রাজ্যে এসব চলে। কিন্তু তার সঙ্গে বাংলার বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচারের কারণ কী? বাংলাকে বদনাম করার এই প্রয়াস কি নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতা দখলের জন্য? নাকি জাতি এবং রাজ্য হিসেবে বাঙালি ও বাংলাকে ক্রমেই কোণঠাসা করে দেশবাসীর চোখে হেয় প্রতিপন্ন করার একটি সূক্ষ্ম প্ল্যান কাজ করছে? 
অন্য রাজ্যেও অনেক ঘটনা হয়। কিন্তু সেইসব রাজ্য সম্পর্কে লাগাতার নেতিবাচক প্রচার, সেই সব রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত, সেইসব রা঩জ্যের শিক্ষা সংস্কৃতি সব ভুলুণ্ঠিত হয়ে গিয়েছে, ওইসব রাজ্যে ভুলেও যেন কেউ পা না বাড়ায়, এরকম পরিকল্পিত প্রচার আমরা কি দেখতে পাই? পাই না। গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলার অবস্থা সবথেকে খারাপ, বাঙালি এখন বিচ্ছিন্ন এক অন্ধকার দ্বীপে বাস করছে, এরকম একটি ভাবমূর্তি নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি রাজ্যে কিছুই ভালো নয়, সব খারাপ, এরকম হতে পারে? তৃণমূলকে খারাপ বলুন। তাদের হারানোর চেষ্টা করুন। না পারলে স্বীকার করবেন যে পারিনি। কিন্তু বঙ্গবাসীকে অন্য রাজ্যে গিয়ে, বিদেশে গিয়ে চরম লজ্জায় যাতে পড়তে হয়, সেই লক্ষ্যপূরণে অপবাদ দেওয়ার প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে কেন? 
আমরা যাকে ইচ্ছে ভোট দিতেই পারি। যাকে মনে করব আমাদের নিজেদের জন্য এবং রাজ্যের জন্য ভালো হবে, তাকেই গদিতে বসানো যেতেই পারে। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু লাগাতার রাজ্যের বদনাম সর্বভারতীয় স্তরে হলে আমাদের ভালো লাগছে? প্রচারের সময় আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে না? আমরা কি দেখবো না, প্রথমত কারা বাংলা এবং বাঙালির বিরুদ্ধে সামগ্রিক একটা নেগেটিভ ক্যাম্পেন চালাচ্ছে কয়েকটি ঘটনাকে সামনে নিয়ে। যেগুলো আবার পরে দেখা যায় মিথ্যা। আর দ্বিতীয়ত, কারা বাংলার এই বদনামে খুব খুশি হচ্ছে? দক্ষিণ ভারত কিংবা ওড়িশা। বিহার অথবা গুজরাত। মারাঠা কিংবা অসমিয়া। এমন কোনও রাজ্য অথবা জাতি আছে, যারা নিজেদের ভূমি এবং জাতিসত্ত্বার এই চরম ধারাবাহিক অপপ্রচার ও অসম্মান মেনে নেবে? এদের কারও সম্পর্কে কিন্তু এই স্তরের বদনাম করাও হয় না। কারণ বিপুল প্রত্যাঘ্যাত ও প্রতিবাদ হবে। হয়ও। অথচ আমাদের রা঩জ্যে এসে এসে এবং অন্য রাজ্যেও গিয়ে গিয়ে বাংলার বদনাম চলছে। আমাদের মাটি কি নরম? আমরা কেন নীরবে এই জাতি ও রাজ্যের অপপ্রচার সহ্য করে চলেছি? অবশ্যই রাজ্যে অনেক উদ্বেগজনক, লজ্জাজনক, বিপজ্জনক ঘটনা ঘটছে। যার প্রতিবাদ সঙ্গত। হচ্ছেও। কিন্তু গোটা বাংলা এবং বাঙালিই খারাপ হয়ে গিয়েছে? এই প্রচারও মেনে নিতে হবে? বাংলার ভাবমূর্তি যতটা খারাপ করে দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে? 
10th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বোতলে ভরে নকল মোবিল বিক্রি হচ্ছিল। এমনকী, নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বাইকের নকল যন্ত্রাংশও বিক্রি হতো। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM