ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
রোহিণী আচার্য চিকিৎসক। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বিদেশে থিতু। কেরিয়ার ছেড়ে মূলত ঘরকন্যা সামলেছেন। লালুপ্রসাদকে কিডনি দান করে রোহিণীর শিরোনামে উঠে আসা। অনেকেই বলছেন, মেয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই নিজের পুরনো আসনে তাঁকে লড়তে পাঠালেন লালু। পরিবার রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়লেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লালু-কন্যার সরব উপস্থিতি নজর কাড়ছিল। ফলে তাঁর প্রার্থী হওয়াটা নিছক কাকতালীয় নয়। লালু পরিবারের ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখলেন রোহিণী।
সেই ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির হয়ে এখান থেকেই রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তরুণ লালুপ্রসাদ। এবার রোহিণীর কাঁধেই বাবার সেই আসন পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব। জনসভার মঞ্চ থেকে ভোজপুরীতে বলছেন, ‘রউয়া সবকে গোর লাগতানি’ (সবার চরণে আমার প্রমাণ)। গর্জে উঠছে জনতা। মঞ্চে আরজেডির দুই সবচেয়ে বড় নেতা লালুপ্রসাদ ও তেজস্বীর উপস্থিতি সত্ত্বেও রোহিণীর ভাষণে ভিড় সম্মোহিত হচ্ছে। উল্টোদিকে রুডির মতো হেভিওয়েট থাকা সত্ত্বেও তোয়াক্কা নেই লালু-কন্যার। জনসভার মঞ্চ থেকে বলছেন, ‘হমার বাবুজি রেলমন্ত্রী রহতে সারণ মে রেল পহিয়া প্লান্ট লগওয়া দেলে রহলে। বর্তমান সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রহলে। উনকা বতায়ে কে চাহি কি ও আপনা কার্যকাল মে ইয়াঁ কে যুবা খাতির কা কইলে। (আমার বাবা রেলের চাকা তৈরির কারখানা গড়েছিলেন। বর্তমান সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন যুবকদের জন্য কী করেছেন?)’ শুনে ফের গর্জন উঠছে জনতার। আর স্থানীয় বিজেপি নেতারা আবডালে মানছেন, নতুন হলেও রোহিণীকে কোনওভাবেই নবীন বলা যাবে না। স্ফূলিঙ্গ আছে। বাপ কি বেটি। লড়াই কঠিন বুঝেই বিজেপি হাই প্রোফাইল নেতাদের এনে প্রচার শুরু করেছে। রুডি মনোনয়ন পেশ করার পরই সারনে এসে সভা করেছেন রাজনাথ সিং। রাজপুত ভোট কাছে টানার লক্ষ্যে। রাজনাথ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘রুডি প্রশিক্ষিত পাইলট। বিরোধীদের উড়িয়ে দেবেন।’ কিন্তু বাস্তব অবস্থা যে সহজ নয়, গেরুয়া বাহিনী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ২০১৯ সালে রুডির জয়ের ব্যবধান ছিল ৯৫ হাজার। কিন্তু পরের বছর বিধানসভা ভোটে সারনের ছ’টির মধ্যে চারটি বিধানসভা আসনই আরজেডি দখল করে। ফলে লালুর এই পুরনো আসনে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি।