ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘কোহিনুরের বিরুদ্ধে একাধিক কিশোরী-তরুণীকে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি মামলা থেকে সে খালাস পেয়েছে। কিন্তু এই মামলায় আইনের ফাঁক গলে পালাতে পারেনি সে। তার বিরুদ্ধে এমন আরও দু’টি মামলা ঝুলে রয়েছে।’
আদালত সূত্রের খবর, দেহ ব্যবসার দালাল এই মক্ষীরানিকে নিয়ে মাথাব্যথা ছিল পুলিসের। অভিযোগ, কিছু মানুষের আশীর্বাদ তার মাথার উপর থাকায় তাকে ধরতে পাচ্ছিল না পুলিস। পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে বারবার নাম, ঠিকানা বদল করছিল সে। তবে বেশিদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি। ওই বছরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ধরা পড়ে কোহিনুর। তারপর থেকে সে জেল হেফাজতেই ছিল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাজারের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২০১৪ সালে সোনাগাছির একটি ঘর থেকে ওই বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে বিচারকের কাছে ‘গোপন জবানবন্দি’ দেন ওই তরুণী। কিন্তু নির্যাতিতা বাংলাদেশি তরুণীর দিদির এখনও কোনও হদিশ মেলেনি। মামলার তদন্তকারী অফিসার সাধনকুমার ঘোষ বলেন, পরবর্তীকালে যদি ওই তরুণীর দিদি ধরা পড়ে, তখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যেতে পারে। যেহেতু সে ধরা পড়েনি, তাই শুধু কোহিনুরের বিরুদ্ধেই এই মামলা চলে। সরকারি আইনজীবী বলেন, খুলনার ওই তরুণীর সাক্ষ্যপর্ব শেষ হলে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। কোহিনুর এদিন আদালতে বার বার দাবি করে, তাকে পুলিস মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।