ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমার বহু যুবক সোনার কাজে ভিন্ন রাজ্যে থাকেন। তাঁদের বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমি একবার মুম্বইয়ে গিয়ে দেখেছিলাম একটি ছোট ঘরে ২০-২২ জন যুবক বসে বসে সোনার কাজ করছেন। কাজের শেষে ওই ছোট্ট ঘরের মধ্যেই খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমান। বিষয়টি আমার খুব মনে দাগ কাটে। তাই শুধু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নয়, দাসপুরে আমি একটি গোল্ড হাব তৈরির পরিকল্পনা নিই। সেই হাব তৈরির কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। হাবটি শেষ হলে বহু যুবক ওই অত্যাধুনিক গোল্ডহাবে কাজের সুযোগ পাবেন।
তিনি পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান এলাকার উন্নয়নের জন্য বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের তাগিদের কারণও ব্যাখ্যা করেন। ডেবরার ব্রিজের কাজও তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে আমি যা ভাবি তা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করি। আর যেটা কথা দিই, তা ১০০ ভাগ রূপায়ণ করি। বিজেপি মানুষকে ঠকানোর জন্য নানারকম বুলি আউড়ায়। যা কখনও বাস্তবায়িত করে না।
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, আসলে ওদের দলে সবাই চোর। সেজন্যই ওরা বলছে ১০০ দিনের টাকা, আবাসনের টাকা চুরি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য মুখে যা আসে তাই বলে। এদিন মঞ্চে নেত্রী দেবের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দেব একজন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা। মুম্বইয়ে ওর সুনাম রয়েছে। দেব নানা কারণে ঘাটালে নিয়মিত আসে। করোনার সময় ও নিজের উদ্যোগে বহু পরিবারকে রান্না করা খাবার বিতরণ করার ব্যবস্থা করেছে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও দেব ঘাটালের কথা ভাবে। তাই দেবের মতো ছেলেকে জেতানো উচিত।
এদিনের সভায় দেব বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিগত ১০ বছরে গরিবদের জন্য কোনও প্রকল্পই নেয়নি। মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য বলেছিল প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা ঢুকবে, দেশে দু’কোটি যুবক চাকরি পাবে। কোনওটাই হয়নি। বরং এই মুর্হূতে দেশে যা বেকার, স্বাধীনতার পর থেকে এত হারে বেকারি কখনও বাড়েনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল ৩টে ৪০মিনিট নাগাদ জগন্নাথপুরে আসেন। কিন্তু তাঁকে দেখার জন্য তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে দুপুর ১টা থেকেই মহিলারা হাতে পাখা আর জলের বোতল নিয়ে সভাস্থলে পৌঁছে যান। নেত্রী হেলিপ্যাডে নামার পরই মহিলারা দর্শকের আসন থেকেই শঙ্খধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, প্রচণ্ড গরমে মোহিত হয়ে শুনছিলেন। দিদি জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে বিদায় জানান তাঁরা।