Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে। 
‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’-এর স্রষ্টা জর্জ অরওয়েল লিখেছেন, ‘প্রথমে হিটলার ছিলেন মানুষের কাছে এক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। হিটলার জার্মান শ্রমিক আন্দোলনকে একদম নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ায় সম্পত্তিবান ধনী শ্রেণি খুব খুশি ছিল। ...এ কথা আমি অন রেকর্ড স্বীকার করতে চাই, হিটলার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথমে তাঁকে অপছন্দ করার কোনও কারণই আমি খুঁজে পাইনি। ওঁর মধ্যে একটা প্রচণ্ড আবেদন আছে। তাই কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষও খুঁজে পাইনি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মনে হতে লাগল, খুব কাছাকাছি পেলে আমি ওঁকে মেরেই ফেলব।’ অরওয়েল লিখেছেন, ‘আই অফার ইউ স্ট্রাগল, ডেঞ্জার অ্যান্ড ডেথ’— বলেছিলেন হিটলার। আর এই কথায় গোটা জাতি ওর পায়ে পড়ে গিয়েছিল, দেশের জন্য কষ্ট করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজকের দিনে ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে অরওয়েলের ব্যাখ্যার কোনও সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন? নোট-বাতিল? সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? জিএসটি? সেই ভাষ্য: কষ্ট করুন এক নতুন ভব্য ভারত গঠনের জন্য...। 
এভাবেই তো জার্মানির মাটিতে চোদ্দো বছর ধরে সলতে পাকানো চলেছিল। ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবুও বিরোধী এবং সহযোগী রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে বড় বড় পণ্ডিত, রাজনীতিবিশারদরা চোদ্দো বছর ধরে বলে গিয়েছেন— দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। গণতন্ত্র আছে। নির্বাচন আছে। সংবিধান আছে। সেই সংবিধানসম্মত নির্বাচনী গণতন্ত্রের কাঠামো মেনেই তো হিটলারকে কাজ করতে হবে, ভয় কীসের? 
১৯৩২ সালের ভোট। অনেকেই মনে করেছিল সে বার নাৎসি পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। বরং কমিউনিস্টদের শক্তি খানিক বেড়েছিল। কিন্তু নাৎসি দল কিছু শরিক জোগাড় করে সরকার তৈরি করল। ৩০ জানুয়ারি ১৯৩৩ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিলেন। কিন্তু সেদিনও ‘সংবিধান’ মেনে যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা হিটলারের হাতে বা নাৎসিদের হাতে ছিল না। হিটলার আবার নির্বাচনের দাবি করলেন। ঠিক হল, ৫ মার্চ ১৯৩৩ আবার নির্বাচন হবে। ঠিক তার আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় খবর এল, রাইখস্ট্যাগে আগুন লেগেছে। রাইখস্ট্যাগ জার্মানির সংসদ ভবন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির চ্যান্সেলর হিটলার, প্রচার সচিব গোয়েবলস। রাত ১১.৫০ নাগাদ আগুন নিভল। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই। ২০টা পোড়া মৃতদেহ বের হল।
জার্মানির সংসদভবনে সেদিন আগুন কে লাগিয়েছিল, তার নিশ্চিত উত্তর আজও মেলেনি। কিন্তু সেই রাত্রেই ওই বহ্নিমান রাইখস্ট্যাগের একটি ব্যালকনিতে দাঁড়ানো, এক মাস আগে চান্সেলরের আসনে বসা হিটলারের ঘোষণা শোনা গেল, ‘আর কোনও দয়া দেখানো হবে না... প্রতিটি কমিউনিস্ট নেতাকে যেখানে দেখা যাবে গুলি করে মারা হবে। কমিউনিস্ট ডেপুটিদের আজ রাত্রেই ফাঁসিকাঠে ঝোলানো চাই।’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সর্বাধিনায়কের এই ইচ্ছে নথিভুক্ত হল সরকারি বিবৃতিতে। হিটলারের ডান হাত, জার্মানির বৃহত্তম প্রদেশ প্রুসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারমান গোয়রিং-এর বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ল: এই অগ্নিকাণ্ড ‘জার্মানির ইতিহাসে জঘন্যতম বলশেভিক সন্ত্রাস’, এ হল ‘এক রক্তাক্ত বিদ্রোহ ও গৃহযুদ্ধের সঙ্কেত’। ততক্ষণে অবশ্য এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক তারবার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, আগুনটা নিঃসন্দেহে হিটলারের লোকেরাই লাগিয়েছে, এবং তারা সম্ভবত রাইখস্ট্যাগের স্পিকারের আবাসন থেকে একটি টানেল দিয়ে অকুস্থলে পৌঁছেছিল।
পরের দিন, ২৮ ফেব্রুয়ারি, বেলা এগারোটায় হিটলারের ক্যাবিনেট বিশেষ বৈঠকে বসে। ‘জনসাধারণ এবং রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য’ ডিক্রি জারি হয়। তার মোদ্দা কথা, রাষ্ট্রের হাতে আপৎকালীন ক্ষমতা চাই। অতএব সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিক অধিকারগুলিকে খর্ব করা হবে। সরকার যাকে রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক মনে করবে তাকে বিনা বিচারে বন্দি করা যাবে। পুলিস কোনও পরওয়ানা ছাড়াই যেকোনও জায়গায় তল্লাশি চালাতে পারবে। বাক্‌স্বাধীনতা ছাঁটাই হবে। বাতিল হবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে এই সবই দরকার, খুব দরকার। আর রাষ্ট্র সুরক্ষিত না থাকলে দেশের সুরক্ষা বজায় থাকবে কী করে? জার্মানির মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হল, হিটলারের হাতে গিয়ে জমা হল সব ক্ষমতা। ৫ মার্চের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতল নাৎসিরা। প্রথমে কমিউনিস্টদের ধরপাকড় শুরু হল, তারপর ইহুদিদের। যেকোনও সামান্য বিরোধিতায় দরজায় কড়া নাড়া। এল গেস্টাপো, এসএস, নাৎসি বাহিনী। এবং জার্মানিতে গণতন্ত্রের পরিসমাপ্তি। একনায়ক হয়ে উঠলেন হিটলার! এই ক্রোনোলজি কি আপনাদের চেনা চেনা লাগছে?
নাৎসিদের ইহুদি নিধনের ইতিহাসের মতোই আরএসএস-হিন্দু মহাসভা, জনসঙ্ঘ, বিজেপি— তাদের পথচলার শুরুতেই আছে এই ঘৃণা। সেও লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, একেবারে প্রকাশ্যে। এ দেশ হিন্দুদের, মুসলিমদের দেশ পাকিস্তান। হিন্দুরাষ্ট্র না মানলে দেশ থেকে বিদেয় হও। এ দেশ যাদের পুণ্যভূমি নয়, তারা এদেশের নাগরিক নয়। এসব কথা ভাষণে, লিফলেটে, সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা বলেই চলেছে। আর তার রেশ এসে পড়ছে জাতপাতের অন্ধকারে ডুবে থাকা বিশাল সংখ্যক কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ, বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির চাপে নুয়ে পড়া হতাশ মানুষের উপর। যাদের প্রতিদিন ভাবানো হচ্ছে, মুসলিমরা জনসংখ্যায় নাকি এতটা বেড়েছে যে আর ক’দিন পরে তারাই দেশের মাথায় চড়ে বসবে। সেদিন আমাদের মা বোনেদের ইজ্জত থাকবে না। তাদের আসল দেশ পাকিস্তান, তারা এখানে আছে কেন? প্রত্যেক মুসলিম টেররিস্ট। অতএব, হিন্দুদের বাঁচতে হলে অস্ত্র ধরতে হবে। দেশের সব সম্পদ তুলে দেওয়া হবে মুসলিমদের হাতে। কারা ছড়াচ্ছে এসব প্রোপাগান্ডা? তাদের নাম কাজল হিন্দুস্তানি হতে পারে, নূপুর শর্মা হতে পারে, শ্রীকান্ত নিরালা ওরফে মুস্তাক আলি, বিকাশ কুমার ওরফে রাশিদ খান, পুনিত মেরহল্লি, সঞ্জয় জাঠ হতে পারে কিংবা বিজেপির শীর্ষনেতারাও হতে পারেন। আসলে আজকের ‘পোস্ট ট্রুথ’ যুগে স্বৈরতন্ত্র আসে গণতন্ত্রের হাত ধরে, বজ্রনির্ঘোষে। আর এখন তো চারদিকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গোয়েবলস জন্ম নিয়েছে। একে বলা হচ্ছে ‘দ্য রাইজ অব দ্য মিস-ইনফর্মেশন ইন্ডাস্ট্রি’। গোটা পৃথিবী জুড়েই এখন ‘পোস্ট ট্রুথ’-এর জয়জয়কার। হিটলারের দর্শন, ভয় (হরর) তবুও ভালো। কারণ, তারও শেষ আছে। অন্তহীন ভয়ের চেয়ে পাকাপাকি ভয়মুক্ত হওয়ার জন্য কিছুদিনের জন্য ভয়কে সহ্য করা ভালো। এর সাক্ষী মার্কিন ইতিহাসবিদ বেঞ্জামিন কার্টার হেট-এর লেখা বই: দ্য ডেথ অব ডেমোক্র্যাসি, হিটলার’স রাইজ টু পাওয়ার!
নরেন্দ্র মোদির শাসনে গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে ভারতের দ্রুত অবনমন নিয়ে এই মুহূর্তে বহু দেশে গভীর উদ্বেগ। গত দশ বছরে তৈরি হয়েছে পর্বতপ্রমাণ গুরুতর অভিযোগ। সেই তালিকাটা বেশ লম্বা। নাগরিকের স্বাধীনতা হরণ। সরকারের সমালোচনাকে দেশদ্রোহ বলে কঠোর শাস্তিপ্রয়োগ। বিচারবিভাগের উপর কর্তৃত্বপ্রসারের প্রচেষ্টা। সংখ্যাগুরুবাদ প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর বৈষম্য ও নির্যাতন। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মাধ্যমে সেই বৈষম্য জোরদার করার পদ্ধতি। নোটবন্দির মাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রপ্রসার। এবং বৃহদাকার আর্থিক জাল বিছিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার প্রয়াস। হয়তো তাই সুইডেনের এক গণতন্ত্র-নজরদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালের রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারত এখন বিশ্বের সঙ্কটময় একনায়কতন্ত্র। ‘বিজেপি বনাম গণতন্ত্র’: ব্রিটেনের শীর্ষ সংবাদপত্রের এখন সংবাদ শিরোনাম। কেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সর্ষের ভিতরে আছে অন্য বিদ্বেষের ভূত। আজকের ভারতে ধর্মপরিচয় মোক্ষম বিভেদাস্ত্র, বিশেষত শাসক ও তাঁর অনুগামী ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের হাতে। তার জোরে যে কোনও ব্যক্তিস্বরকেই দমিয়ে বা চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। ঘরে গোমাংস রাখার মনগড়া অভিযোগে এ দেশে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়। ব্যক্তির ধর্মপরিচয় বা ধর্মনিরপেক্ষতা, দুই-ই আজকের ভারতে আক্রান্ত, তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে ধর্মের রঙে রাঙিয়ে নিজ স্বার্থসিদ্ধিই এই বিভেদপন্থী রাজনীতির কাজ। এখানেই শেষ নয়...। মোদি জমানায় সরকারের সমালোচক বা স্বাধীনচেতা সাংবাদিকমাত্রেরই হেনস্তা হওয়া প্রায় স্বাভাবিকতায় পর্যবসিত হয়েছে। মোদির ভারতে ‘ডিসটোপিয়া’ শব্দটিও যেন তার অভিঘাত হারিয়েছে— এই দেশ তার প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত যাপন করে সেই ভয়াবহতায়। যে কল্পনাটি নাগপুর প্রকৃত ‘ভারত’ বলে চালাতে চায়, সেটা অসত্য— ভারত নামে দেশটি কখনও এমন একশৈলিক, অসহিষ্ণু ছিল না। সেই বৃহৎ অসত্যের পাশাপাশি— সেই অসত্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই— ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছোট-বড় অজস্র মিথ্যার বিষ। যার প্রতিটিরই অভীষ্ট ভারতের বহুত্বকে আক্রমণ করা, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার মাত্রা বৃদ্ধি। আসলে একনায়কতন্ত্র এ ভাবেই নিজের অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে!
ভারতীয় রাজনীতির এই দৃশ্যপটের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়, হিটলার অতীত নয়। তিনি যেন ফিরে এসেছেন এই ভারত-ভূমিতে!
16th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
মথুয়ার কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ঈদগাহ মামলায় নয়া মোড়। হিন্দুপক্ষের দাবি, বিতর্কিত সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত কোন নথি মসজিদ কমিটি কিংবা ওয়াকফ বোর্ড জমা দেয়নি। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM