Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

সনাতন ধর্ম!
ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এই শব্দযুগল ব্যবহার করে ভোট রাজনীতিকে কতটা তীব্র মেরুকরণ করা যায়, তার রসায়নাগার হয়ে উঠেছে এই দেশ, এই বাংলা।
প্রশ্ন হল, সনাতন ধর্মের শিক্ষা কী? এর ধারক-বাহকরা সনাতন ধর্মের ‘শুদ্ধতা’ রক্ষায় কতটা সচেষ্ট। নাকি সবই লোকদেখানো। শুধুমাত্র ভোটের অস্ত্র। সেই প্রশ্ন তোলাও জরুরি। ধরুন, এই বাংলায় রামনবমী পালনের কথা। বাঙালিরা ‘সনাতন’ মানে বোঝেন— চিরন্তন, শাশ্বত। আমরা দেখেছি, কলকাতার রাস্তায় দুর্গাপুজো, কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা। চৈতন্য গৌড়ীয় মঠের শোভাযাত্রা। বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের ভক্তদের শোভাযাত্রা। দেখেছি ইস্কন পরিচালিত ‘কর্পোরাটাইজড’ রথযাত্রা। দেখেছি ‘দিগম্বর’ আর ‘শ্বেতাম্বর’ দুই পরেশনাথের রথ, গুরুনানকের জয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রা। এঁদের উপর প্রচারের আলো পড়ার দরকার পড়েনি। বাঙালি হৃদয়েও কোনওদিন আঘাত লাগেনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রামনবমী আর হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে ধর্মীয় শোভাযাত্রার নামে বিভিন্ন অঞ্চলে যে অশান্তিসৃষ্টিকারী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা বাংলা এবং বাঙালির সংস্কৃতির বিপরীতমুখী। এইসব ধর্মীয় শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা আর সংগঠক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের শাখা-প্রশাখা। আত্মপ্রচারের লাইমলাইটে এইসব শোভাযাত্রা শুধু যে আলো-ঝলমলে তাই নয়, বরং কর্ণপটাহ বিদীর্ণ করা লাউডস্পিকারও এদের অন্যতম ধারক। হাতে অস্ত্র নিয়ে নিজেদের শক্তির আস্ফালন দেখাতেও সংগঠকরা পিছুপা নন। মাথায় ফেট্টি বাঁধা, কপালে গেরুয়া তিলক— এঁদের দেখলেই বোঝা যায়, যাঁরা রামের নামে মারামারি চান, তাঁরা ভক্তির কথা শুনতে চাইবেন না। শক্তি প্রদর্শনই তাঁদের কাম্য।
যতদূর মনে পড়ে, রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রার প্রথম আয়োজনের খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছিল ২০১৬ সালে। এর উদ্যোক্তা ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। সেদিন কলকাতার রাস্তায় তরোয়াল আর ত্রিশূল নিয়ে তথাকথিক ‘হিন্দু’-দের মিছিল দেখেছিল বাংলা। যে মিছিলের নেতৃত্বে ছিল অবাঙালিরাই। আর সেই ধর্মীয় মিছিলে স্লোগান ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। সেই প্রথম, বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ না-হওয়া সত্ত্বেও রামনবমীকে বিজেপি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাফল্য পায়। ফলে এই প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায় গোটা বাংলাজুড়েই। একইসঙ্গে রামনবমী শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যায়। একসময় এসে দেখা গেল, এই মিছিলে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা একসঙ্গে নাচতে নাচতে সংখ্যালঘু-বিরোধী গান গাইছে। যার কথাগুলি এরকম: ‘যো ছোয়েগা হিন্দুওকে হস্তি কো/ মিটা দেঙ্গে উসকে হর এক বস্তি কো/ রহনা হ্যায় তো রহিম বনকে রহো/ আওরঙ্গজেব বনোগে তো কাট ডালেঙ্গে।’ আর তারপরেই দফায় দফায় উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’ আর ‘হিন্দুরাষ্ট্র’-এর স্লোগান। এটা কি সনাতন ধর্মের শিক্ষা? সমাজে আতঙ্ক তৈরি করে সনাতন ধর্মের ‘শুদ্ধতা’ কি রক্ষা করা যায়?
আসলে গত এক দশকে গেরুয়া শিবির বুঝে গিয়েছে, রাজনীতির জল ঘোলা করতে সত্যের মূল্য যৎকিঞ্চিৎ, সস্তা আবেগের দাম বহুগুণ বেশি। আর তাই রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের মতো মনীষীরা যে আধুনিকতায় দেশকে দীক্ষিত করে গিয়েছেন, তাকে উপেক্ষা করে তথাকথিত সনাতনপন্থী রাজনীতিকরা ভিন্ন মতের মানুষকে ‘বিধর্মী ও বেজাত’ আখ্যা দিয়ে বিশুদ্ধতা রক্ষায় সচেষ্ট! স্বাধীন ভারতের রূপকাররা এই সনাতন পরম্পরা সূত্রেই চেয়েছিলেন আধুনিক ভারত হবে জাতি-বর্ণ-ধর্মের ঊর্ধ্বে, এক মিলনক্ষেত্র। বহুত্বের মধ্যে একত্বই হল ভারতীয়ত্ব, বিবিধের মাঝে মিলনই হল তার সনাতন সুর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ভারততীর্থ’ কবিতায় নানা দেশ জাতি সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষের এই ভূমিতে এসে একত্রবাসের কথা বলেছেন। অথচ, আজ সনাতন ধর্মের দোহাই দিয়ে একটি সঙ্কীর্ণ ধারণাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের মর্যাদা দেওয়াটা যে সহবত, এই বোধ গত দশ বছরে ক্রমক্ষয়িষ্ণু। তাই বিভিন্ন রাজ্যে স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নিয়মিত তর্জনগর্জন শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রের শাসক দলের নৈতিক ও রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই এদের এই বাড়বাড়ন্ত। এই রাজনীতিকদের কথা এই বাংলার মানুষ অত সহজে মেনে নেবে?
‘আমার ধর্ম মহান’ কিংবা অন্য ধর্মের শাসনের পরাধীনতার স্মৃতি, আত্মত্যাগের গাথা, এক ধরনের অপমান ও জাতক্রোধ পুষে রাখা—এই সব মিলিয়ে ওই বাক্সবন্দি সমস্যা বা ছাইচাপা আগুন কোনও দিন প্রমাণিত হয়নি। যে সব জায়গায় হিন্দুত্বের গরিমা কিংবা পদদলিত গরিমার ইতিহাস উজ্জ্বল, সে সব জায়গায় ভোটারগণ যা বিশ্বাস করেন তা যত অবৈজ্ঞানিকই হোক না কেন, তাকে লালন করা আসলে গেরুয়া শিবিরের কোটি টাকার স্ট্র্যাটেজি। কোনও ভুল ভাঙানোর প্রয়োজন নেই। ভুলকে সত্যি বলার সুযোগ করে দিয়েছেন এ দেশের সঙ্ঘ পরিবার পরিচালিত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাই। ফলে আরও সঙ্ঘবদ্ধ সংখ্যাগুরু। তাঁরা বিপদে আছেন, এই বিশ্বাসটিকে যেনতেন ভাবে বাঁচিয়ে রাখা আজ গেরুয়া রাজনীতির কারবারিদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফলে যা কিছু হিন্দুত্বের আওতায় পড়ে না, তা খাঁটি ভারতীয় নয়, এই কথাটা এত প্রকাশ্যে ও সাবলীলভাবে আগে কখনও প্রচারিত হয়নি। আজ থেকে সিকি শতাব্দী আগেও কেউ ভাবতে পারত না যে, একটি হিন্দুত্ববাদী দল ভারতে এমন শক্তিশালী ও নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকবে, সাভারকরের মতবাদ এতখানি জমি পাবে। সাভারকর বলেছিলেন, ভারতের যে সকল অধিবাসী রক্তসম্পর্কের সূত্রে ভারতকেই তাঁদের পুণ্যভূমি বলে মানেন, যাঁদের তীর্থক্ষেত্র এই দেশের মধ্যে, তাঁরাই হিন্দু ও এই ভূখণ্ডের একমাত্র দাবিদার। যাঁদের পুণ্যভূমি এই দেশের বাইরে, তাঁরা নন। বৌদ্ধ, ব্রাহ্ম, শিখ, এঁদের সঙ্গে তাই সমঝোতা করা যেতে পারে। কিন্তু মুসলিম বা খ্রিস্টানদের সঙ্গে আপস নয়। এঁদের পুণ্যভূমি ভারতের বাইরে, তাই তাঁরা এ দেশে থাকতে পারেন, কিন্তু হিন্দুদের সমান অধিকার পেতে পারেন না। সাভারকরের আগে আর কেউই রাজনীতিকে ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে হিন্দুত্বের এই চেহারা হাজির করতে পারেননি। বিষবৃক্ষের বীজ তখনই বোনা হয়ে গিয়েছিল, এখন আমরা শুধু তার পল্লবিত চেহারাটি দেখতে পাচ্ছি। একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধানকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে ফেলার জন্য কত রকমের আয়োজন করা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে সুকৌশলে রাজনৈতিক এজেন্ডায় হিন্দু ধর্মের একপেশে নির্মাণ চলছে, যা একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। কেউ প্রশ্ন করার নেই, এটাই কি সনাতন ধর্মের শিক্ষা?
বিজেপি নেতারা কী জানেন, সনাতন ধর্মে ‘পাপ’ কাকে বলে? সনাতন হিন্দু ধর্মে কোন কাজগুলি ‘পাপ’, তার বিধান দেয় স্মৃতিশাস্ত্রগুলি। মূলত ‘মনুস্মৃতি’-ই এই বিষয়ে প্রধান ভূমিকা নেয়। এই বিধান অনুসারে পাপের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। প্রথমটি, কর্ম সম্পর্কিত। দ্বিতীয়টি, বাক্য সংক্রান্ত। এবং তৃতীয়টি, চিন্তা সংক্রান্ত। কর্ম সংক্রান্ত পাপের আওতায় প্রথমেই পড়ে চুরি। মজার ব্যাপার, বেশ কিছু প্রাচীন সাহিত্যে চৌর্যবৃত্তিকে ‘কলা’ বা ‘আর্ট’ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও, তাকে শেষ পর্যন্ত পাপ বলেই গণ্য করা হয়। কর্ম সংক্রান্ত দ্বিতীয় পাপটি হল হিংসাত্মক কাজে ইন্ধন দেওয়া। ধর্ষণকে কর্ম সংক্রান্ত পাপের মধ্য অন্যতম বলে ধরা হয়। এই বিধানের ব্যত্যয় ঘটেনি আজও। সনাতন ধর্মে বাক্য সংক্রান্ত পাপগুলি হল— কুবাক্য কথন, মিথ্যাভাষণ এবং অযথা কথা বলা। চিন্তা সংক্রান্ত পাপ হিসেবে সনাতন ধর্ম যেগুলিকে চিহ্নিত করে, সেগুলি এই— চুরি সংক্রান্ত চিন্তা, কারও স্ত্রী বা সম্পত্তি হরণের চিন্তা, অন্যের ক্ষতিসাধনের চিন্তা ইত্যাদি। প্রশ্ন হল, গেরুয়া শিবিরের নেতারা কী ‘পাপ’ থেকে মুক্ত?
রামচন্দ্রকে নিয়ে রাজনীতি থেকে শুরু করে গোমাতাকে নিয়ে যা চলেছে, তা পাপ কাজ নয়? উগ্র ও আগ্রাসী যুদ্ধপ্রিয়তা, ঘৃণার প্রসার, নাগরিকের মর্যাদার উপর আক্রমণ, মেরুকরণের তাস খেলা, সংখ্যালঘুর ধর্মের উপর আঘাত, নেশনতন্ত্রের কদর্য চেহারা ছড়িয়ে দেওয়া কি পুণ্যের কাজ? এ দেশে আজ অসহিষ্ণুতা এবং হিংস্রতার যে আতিশয্য প্রকট তা তো এই গেরুয়া শিবিরের স্বঘোক্ষিত ‘সনাতন ধর্মী’দের প্রশ্রয়েই। কুবাক্য কথন, মিথ্যাভাষণের শিক্ষা তো বিজেপির আইটি সেলের সৌজন্যেই পাওয়া। ‘লাভ জেহাদ’ শব্দবন্ধও এদেরই সৃষ্টি। এঁরাই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন কী ভাবে বিধর্মীর স্পর্শ ও প্রভাব থেকে স্ব-ধর্মের শুদ্ধতা রক্ষা করতে হবে, এবং সেই কাজে ভীতি-প্রদর্শন, হিংসা, রক্তপাত কোনও কিছুই অ-নৈতিক নয়। তাঁরা নিজেদের শর্তে, নিজেদের স্বার্থে তৈরি করেছেন সংজ্ঞা: ভারতীয় ও সনাতন মানে বিধর্মী ও বেজাতের থেকে দূরত্ব বজায়, বিশুদ্ধতা রক্ষা। এসব পাপ নয়? নাকি পাপের সংজ্ঞাও ঠিক করে দেবেন মোদি-অমিত শাহরা।
তথাকথিত সনাতন ধর্মের প্রবক্তারা জাতপাতকে মহিমান্বিত করে, পুরাণ-মহাকাব্যকে ইতিহাসের মর্যাদা দিয়ে, ধর্মীয় রীতিনীতিকে অপরাবিদ্যার গরিমা প্রদান করে এবং প্রতিক্রিয়াশীল পিতৃতন্ত্রের বন্দনা গেয়ে সনাতন ভারতের পুনরুজ্জীবনে আগ্রহী। কিন্তু তাঁদের কল্পনার সনাতন ভারত বাঙালি মননে শুধু যন্ত্রণাই বাড়ায়। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে।
নাগপুরে বসে তো বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার মন বোঝা যায় না— কে বোঝাবে মোদি-অমিত শাহদের!
09th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

গঙ্গার নীচ দিয়ে কীভাবে চলছে মেট্রো? বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনলোজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) গেলে তা দেখা যাবে। শনিবার বিশ্ব সংরক্ষণশালা দিবস। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM