Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন।
তিনি এমন একজন শক্তিশালী নেতা যে, তাঁর একার তাঁবে রয়েছেন লোকসভার ৩০৩ জন সদস্য এবং বারোটি রাজ্যে এক ডজন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মুখ্যমন্ত্রীরা নিজ নিজ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিজেপির একার পক্ষে ৩৭০ এবং এনডিএ’র পক্ষে মোট ৪০০-র বেশি আসন জয়ের জন্য তাঁর লড়াইটা তো একতরফা বা ভীষণ সহজ হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক, যেহেতু বিজেপি নেতারাই ব্যক্তিগতভাবে মানছেন যে, ৩৭০ বা ৪০০+ আসন জেতা তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়, অতএব বিজেপি মোটামুটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই তাঁরা এখন খুশি।
কেন এই গিয়ার বদল?
নরেন্দ্র মোদি আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তার সঙ্গেই তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশিত হল ৫ এপ্রিল। মোদিজি তখন সেটি উপেক্ষা করেন অত্যন্ত তাচ্ছিল্য ভরে। বিজেপির ইস্তাহারটি প্রকাশ করা হল ১৪ এপ্রিল। কেন্দ্রীয় শাসক দলের ইস্তাহার দেরিতে প্রকাশিত হলেও, ‘সেলিব্রেশন’ দূর তার বক্তব্য নিয়েও জনগণের মধ্যে প্রচারের কোনও প্রচেষ্টা দেখা গেল না। ইস্তাহারটির শিরোনাম অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’। বিষয়বস্তু এড়িয়ে মোদিজি কোনও সমাবেশে তাঁদের ইস্তাহার সম্পর্কে শুধু বললেন, ‘এটা মোদির গ্যারান্টি’। মোদি এ পর্যন্ত ঠিক কত যে ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন তা গুনেগেঁথে রাখা আমার সাধ্যে কুলোয়নি। যাইহোক, আপাতত এটাই দাঁড়াচ্ছে যে মাননীয় মোদি—(১) বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান বা নতুন চাকরির ব্যবস্থা এবং (২) জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলা বা বেলাগাম মুদ্রাস্ফীতি রোখার ব্যাপারে কোনও ‘গ্যারান্টি’ দেননি। এই দুটি সমস্যাই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছাকৃতভাবে আরও কিছু কথা বলেননি, যেগুলি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনের সময় তাঁর বলা উচিত ছিল। যেমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, উন্নয়ন, কৃষির সঙ্কট, শিল্পক্ষেত্রের রুগ্নতা, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য, আর্থিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় ঋণ, পারিবারিক ঋণ, শিক্ষার মান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে চীনের দখলদারি। ওইসঙ্গে রয়েছে আরও শ’খানেক গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
প্রথম দফায় ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে ১৯ এপ্রিল। সম্ভবত, ২১ এপ্রিল কিছু একটা মালুম হয়েছিল মোদিজির। অতএব, রাজস্থানের জালোর ও বনসওয়ারার জনসভা থেকে সেদিনই কংগ্রেসের উপর চূড়ান্ত রকমের আক্রমণ শুরু করে দিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বললেন, ‘কংগ্রেস বামপন্থী এবং শহুরে নকশালদের খপ্পরে পড়ে গিয়েছে। ভোটের ইস্তাহারে কংগ্রেস যা বলেছে তা অত্যন্ত গুরুতর এবং উদ্বেগজনক বিষয়। তারা বলেছে, কংগ্রেস সরকার গঠন করলে প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পত্তির জরিপ করা হবে। আমাদের বোনেরা কত সোনাদানার মালিক এবং সরকারি কর্মচারীদের কত টাকা আছে, খতিয়ে দেখা হবে সেসবও। তারা আরও বলেছে যে, আমাদের বোনদের মালিকানাধীন সোনাদানা সমানভাবে বিতরণ করে দেওয়া হবে। আপনার সম্পত্তি সরকারের নিয়ে নেওয়ার অধিকার আছে কি?’ আমরা কেবল অনুমান করতে পারি যে, ১৯ ও ২১ এপ্রিলের মধ্যে মাননীয় মোদি এমন কিছু তথ্য (ইন্টেলিজেন্স বা গোয়েন্দা সূত্রে?) পেয়েছেন, যা তাঁকে গিয়ার পাল্টাতে বাধ্য করেছে।
কেন মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা?
উপরের অনুচ্ছেদে যতগুলি অভিযোগের উল্লেখ করা হল, তার প্রতিটিই  মিথ্যা। দিন যত গড়াচ্ছে, মিথ্যা আরও বড় এবং আপত্তিকর হয়ে উঠেছে। ‘সম্পত্তি’ থেকে ‘সোনাদানা’ থেকে ‘মঙ্গলসূত্র’ থেকে ‘স্ত্রীধন’ থেকে ‘বাড়িঘর’—নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস তাদের এসবই বাজেয়াপ্ত করবে এবং অতঃপর সেগুলি বিতরণ করে দেবে মুসলমান, অনুপ্রবেশকারী ও যাদের বেশি সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে। অন্য একটি সমাবেশে  নরেন্দ্র মোদি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ধর্মভিত্তিক কোটা এবং উত্তরাধিকার কর নিয়ে। অন্তহীন মিথ্যা বলে গিয়েছেন তিনি। এমনকী ‘মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর’ আরোপের মতো একটি অর্থনৈতিক ভাবনাও ছুড়ে দিয়েছেন মাননীয় মোদি। তিনি বলেছেন যে, যদি একজন ব্যক্তির দুটি মহিষ থাকে তবে তার থেকে একটি কেড়ে নেওয়া হবে।
তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্যটা ছিল পরিষ্কার। কী সেটি? ভারতীয় মুসলমানদের কালিমালিপ্ত করে ভোটারদের মধ্যে মেরুকরণ ঘটানো এবং  হিন্দু ভোটদাতাদের এক জায়গায় নিয়ে আসা।
প্রধানমন্ত্রী কী কী মিথ্যা বলছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে—প্রধানমন্ত্রী কেন এমন মিথ্যাচার করছেন? উল্লেখ্য, একটিমাত্র মিথ্যা নয়, এটি ছিল ‘স্ট্রিং অব লাইজ’ এবং এই মিথ্যাচার চলছেই! একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি ৩৭০ বা ৪০০+ আসন জয়ের ব্যাপারে সত্যিই আত্মবিশ্বাসী, তিনি তাঁর প্রতিপক্ষদের উপর এমন বেপরোয়াভাবে মিথ্যা দায় চাপিয়ে দেবেন না। তিনি তো তাঁর রেকর্ড সাফল্যের ভিত্তিতে বিরোধী দলগুলিকে বিতর্কে জড়াবেন। নরেন্দ্র মোদির সম্বল ও পছন্দ কিছু মিথ্যাচার, তাঁর সাফল্যের খতিয়ান নয়।
কেন আত্ম-সন্দেহ?
ধরা যাক, মাননীয় মোদি ইভিএমে বন্দি লুকনো রহস্যটা জানেন। তাহলে তাঁর উদ্বিগ্ন হওয়ার যুক্তি থাকতে পারে, কারণ বাস্তব পরিস্থিতিটা ২০১৯ সালের থেকে বেশ আলাদা। প্রথমত, মাননীয় মোদি নির্বাচনের ন্যারেটিভটা স্থির করতে পারছেন না। কোনও বিতর্কের সূচনা করছেন না তিনি, কেবল কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন, যদিও সেটা নিখাদ কাল্পনিক। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি তিনি মেলাতে এবং ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছেন না। তৃতীয়ত, বিজেপির একঘেয়ে স্লোগান দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত করে তুলছে। তবু ‘আচ্ছে দিন আনেবালে হ্যায়’ গোছের একটি নতুন আকর্ষণীয় স্লোগান মোদিজি তৈরি করতে পারছেন না। চতুর্থত, ভোট পড়ছে কম হারে। এই ঘটনা তাঁকে নার্ভাস করে থাকতে পারে। কারণ এর মধ্যে এমন একটি ইঙ্গিত তিনি পেতে পারেন যে, তাঁর বহু অনুগত বা ভক্ত ভোটদাতাও ভোট কেন্দ্রে যাননি। সবশেষে, বুথগুলিতে আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপস্থিতি এবং সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্বের নীরবতায় বিজেপি শিবিরে বিপদের ঘণ্টা বেজে উঠতে পারে।
এর থেকে এটাই অনুমান হচ্ছে যে, কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলি এবার উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে। বিরোধীদের এহেন ‘লাভ’ বিজেপির জন্য ‘নিখাদ ক্ষতি’ হয়ে উঠবে কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সম্ভবত, নরেন্দ্র মোদি আরও কঠিন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েছেন, যার মোদ্দা বিচার এটাই হতে চলেছে যে, চব্বিশের ভোটে কোনও রাজ্যেই বিজয়ী পক্ষ সবটা একা ঘরে তুলে নিয়ে যেতে পারবে না—অর্থনীতির পরিভাষায় যাকে ‘উইনার-টেক-অল’ পরিস্থিতি বলে। একমাত্র ব্যতিক্রম ঘটতে পারে গুজরাতে। মোদিজি হয়তো এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, তাঁর অধরা ‘লাভ’ নয় বরং সম্ভাব্য ‘নিখাদ ক্ষতি’রই খতিয়ান নেওয়া উচিত। এই চিন্তাই হতে পারে তাঁর উদ্বেগের কারণ। আর সেই উদ্বেগই রূপান্তরিত হচ্ছে মিথ্যাচারে।
জনগণ কী বুঝে, কাকে ভোট দেবে—সে সম্পর্কে আমি কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছি না। তবে একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে, মাননীয় মোদির মিথ্যাচার জনগণ দেখতে পাচ্ছে এবং জনগণ ভাবছে, একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন!
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
13th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...

মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বোতলে ভরে নকল মোবিল বিক্রি হচ্ছিল। এমনকী, নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বাইকের নকল যন্ত্রাংশও বিক্রি হতো। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM