ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
বিহারের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম এই পীঠস্থানে প্রার্থীদের জন্য ভোটপ্রার্থনা অতটা সহজ নয়। মোটের উপর এলাকার মানুষজন সাংস্কৃতিক মনস্ক। তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদ পেতে এখানে ‘ভোটার ধরা’ একটু কঠিন। মধুবনী কেন্দ্রে রয়েছে ছ’ বিধানসভা। সেগুলি হল— কেওতি, জালে, মধুবনী, বেনিপাত্তি, বিসফি ও হরলাখি। মধুবনীর খ্যাতি যেহেতু আন্তর্জাতিক, তাই ওই এলাকার মানুষজনের মধ্যে নিজেদের নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ধারণা রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে বিজেপি জিতে আসছে। বিদায়ী সাংসদ অশোককুমার যাদব এবারেও বিজেপির প্রার্থী। অন্যদিকে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আরজেডির মহম্মদ আশরফ ফাতমি। বিজেপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সুবাদে বেশ খানিকটা অতিরিক্ত অক্সিজেন পাচ্ছেন আশরফ।
‘পরিবর্তন না হলে উন্নয়ন হয় না।’— শিক্ষিত সমাজের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে বিরোধীরা। লালু-পুত্র তরুণ তুর্কি তেজস্বী যাদবের উপর ভর করে বিহারে বিজেপি-জেডিইউ জোটকে মাত দিতে উঠে পড়ে লেগেছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবির। লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেস হাত মেলানোয় ভালো ফল হবে বলে আশাবাদী বিরোধী শিবির। সেইসঙ্গে ‘জোটবদলু’ নীতীশকুমারকে ভোটের ময়দানে সবক শেখাতে চায় তারা। তাই মহম্মদ আশরফ ফাতমিকে নিয়ে আলাদা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে লালুর দলের।
অন্যদিকে, অশোককুমার যাদবই ফের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন। গতবার ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৪৩ ভোট পেয়ে বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রার্থী বদ্রীকুমার পুরবেকে তিনি বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। পুরবের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯০৩টি ভোট। তার আগে দু’বার এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন পদ্ম শিবিরের হুকুমদেব নারায়ণ যাদব। তবে এবারের চিত্রটা আলাদা। সোমবার বিজেপির লড়াই আরজেডির সঙ্গে। পাশে রয়েছে হাত শিবিরও। কাজেই তেজস্বীর জনপ্রিয়তা এই কেন্দ্রে বিজেপিকে বেশখানিকটা অস্বস্তিতেই রেখেছে।