ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ২০ মে। ওইদিন ভোট নেওয়া হবে বনগাঁ, বারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগ আসনে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় তৃণমূলের সংগঠন বেশ মজবুত। গত বিধানসভা নির্বাচন ও তার পরবর্তী পঞ্চায়েত ভোটে এই তিন জেলায় বেশ ভালো ফল করেছিল জোড়াফুল। সেই অঙ্কেই চলতি নির্বাচন নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। উনিশের ভোটে বিজেপি বনগাঁ আসনটিতে জয়ী হয়। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, সেবার মতুয়া সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়েই ভোট লুটেছিল গেরুয়া শিবির। নাগরিকত্বের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। মতুয়ারা এবার বুঝে গিয়েছেন, বিজেপি তাঁদের নিয়ে স্রেফ ভোটের রাজনীতি করেছে। তৃণমূল নিশ্চিত যে, এজন্য মতুয়া ভোট এবার বিজেপি বিরুদ্ধেই পড়তে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ভোটে সিএএ ইস্যুতে বিজেপিকে যোগ্য জবাবই দেবেন বনগাঁর মতুয়া ভক্তরা।
আবার উত্তর ২৪ পরগনায় ‘শিল্পাঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত বারাকপুর। ওই আসনের একটি বড় অংশজুড়ে জুটমিল। কিন্তু চটশিল্প এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের উন্নয়নে মোদি সরকার কিছুই করেনি, বরং প্লাস্টিক লবিকেই প্রোমোট করেছে তারা। এই অভিযোগটিকেই প্রচারে তুলে ধরেছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। গতবার বারাকপুর আসনে বিজেপি জয়ী হয়। কিন্তু এবার এই অঞ্চলে তৃণমূল সাংগঠনিক দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। বারাকপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে গত বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে ছয়টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
হাওড়া ও উলুবেড়িয়া আসন দুটি ২০০৯ থেকে তৃণমূলের দখলে। উন্নয়ন এবং সাংগঠনিক শক্তির জোরে এবারও এই দুটি আসন তৃণমূল ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।
হুগলি জেলায় গতবার শ্রীরামপুর ও আরামবাগ আসন দুটি তৃণমূল জিতেছিল, শুধুমাত্র হুগলি আসনটি পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরমহলের দাবি, হুগলি আসনেও হেসেখেলে জোড়াফুল ফুটতে চলেছে এবার। উল্লেখ্য, ওই আসনের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়করা তৃণমূলের।
২৫ মে, ষষ্ঠ দফার ভোট তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও
বিষ্ণুপুর আসনে। তৃণমূল বলছে, দুই মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহল এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সুফল লোকসভার ভোটে তৃণমূল ব্যাপকভাবে পেতে চলেছে। তাছাড়া গত বিধানসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বেশ ভালো ফল করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অজিত মাইতি বলেন, এবার জঙ্গলমহল জুড়েই উড়তে চলেছে তৃণমূলের বিজয়-পতাকা।
সপ্তম বা সর্বশেষ দফার ভোট ১ জুন। ওইদিন ভোট নেওয়া হবে দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ আসনে। এই আসনগুলি তৃণমূলের খাসতালুক হিসেবেই পরিচিত। বিধানসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলে জোড়াফুল ফুটেছিল চমকপ্রদ হারে। অতএব, এসব আসনে লোকসভা ভোটের ফল এবার যে আরও ভালো হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল নেতৃত্ব।