Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। হয়তো সেই দল সরকার গঠন করলে কিংবা কোনও নির্বাচনে বেশি আসন পেলে আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত কোনও লাভক্ষতি হয় না। আমার জীবন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। আমার সব সমস্যার সমাধান আমাকেই করে নিতে হয়। আমার কোনও সমস্যা সমাধানে হয়তো রাষ্ট্র অথবা সরকারের কোনও সাহায্য পাই না। অথবা দরকার হয় না। নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপার্জন। সরকার অথবা দলের সাহায্য ছাড়াই। এই যে নিজেদের জীবনে সরকার কিংবা কোনও দলের কোনও সংযোগ নেই, তা সত্ত্বেও এরকম অসংখ্য মানুষের একটি করে প্রিয় রাজনৈতিক দল থাকে। তাদের নেতানেত্রীরা এই মানুষদের চেনে না। কিন্তু সেইসব নেতানেত্রীর জয় পরাজয়ে এই মানুষের মন ভালো হয়। মন খারাপ হয়। ওই ঩প্রিয় দলের হয়ে এই মানুষেরা চেনা ও কাছের মানুষের সঙ্গে তর্ক করে। রাগারাগি করে। সোজা কথায় কোনও ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে কিংবা ভালোমন্দ বিচার করে, এই অংশের মানুষ ভোট দেয় না। তাদের পরিচয় হল কমিটেড ভোটার। যে কোনও একটি দলের প্রতি তারা কমিটেড। সেই দল ভালো করুক, মন্দ করুক, এই অংশ তার সেই প্রিয় দলের প্রতি অনুগত।
আবার অন্য একটি শ্রেণি আছে যারা ভোট উদাসীন। রাজনীতিতে নির্লিপ্ত। সংখ্যায় এই অংশ কম। তবে আছে। এই অংশের ভোট কখন কে পাবে এবং আদৌ তারা ভোট দেবে কিনা সেটাও সর্বদা নিশ্চিত নয়। তারা বলে থাকে, আমি রাজনীতি বুঝি না। অথবা আমাকে তো বাবা সেই খেটেই খেতে হবে, কে জিতল কে হারল আমার কী যায় আসে। কিংবা এমনও বলা হয় যে, এই দল হারলে, ওই দল জিতলে কী এমন সমাজ পাল্টাবে? সব দলই সমান। দেখলাম তো এতকাল ধরে। যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় চোর।
পাশাপাশি আরও ক্ষুদ্র একটি অংশ থাকে, যাদের নিশ্চিত আনুগত্য নেই কোনও বিশেষ দলের প্রতি। তারা নিজেদের মতামত পাল্টে ফেলে।  লোকসভায় কাউকে ভোট দিল। বিধানসভায় হয়তো অন্য কাউকে। ২০২১ সালে যাকে ভোট দিয়েছে, ২০২৪ সালে হয়তো অন্য পক্ষকে দিচ্ছে। এই অংশটিকে ভোট রাজনীতির পরিভাষায় বলা হয় ফেন্স সিটার। অর্থাৎ তারা যে কোনওদিকে হেলে যেতে পারে। অনেক সময় এই অংশের কারণে ভোটের ফলাফলে সামান্য হেরফের হয়ে যায় কিছু শতাংশের ভোটপ্রদানের রকমফেরে। 
এই যে ভোটারদের নানারকম মনস্তত্ত্ব এদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, যারা নিজেদের ভালোমন্দ বিচার বিবেচনা এবং বিশ্লেষণ করে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা লক্ষ্য করে তাদের জীবন কীভাবে চলছে। এই জীবনে তাদের মধ্যে স্বস্তি আছে কিনা। আরও অন্যরকম কিছু হতে পারে কি? হলে সেটা কেমন? কোন দল কী কী কথা বলছে। কাদের কথার ধরণ কেমন। যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে, সেগুলির মধ্যে কোনগুলো কাজে আসবে। এবং সর্বোপরি কোনগুলি বিশ্বাসযোগ্য। আমাদের ভোট যারা চা‌ইছে, তাদের ভোট দিলে আমার লাভ কী হবে? এইরকম চিন্তাভাবনা করে যারা ভোট দেয়, তাদের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির বিশেষ পক্ষপাত থাকে। তাদের মন জয় করার জন্য প্রতিযোগিতা চলে। কারণ, একটাই। এই ভোটাররা কমিটেড নয়। এদের ভোটের সিদ্ধান্ত পাল্টে যেতেই পারে। সুতরাং কীভাবে এদের প্রলোভিত করা যায় কিংবা অন্য পক্ষের কাছে এতদিন ধরে থাকা এই ভোটারদের কী উপায়ে নিজেদের দিকে টেনে আনা যায়, সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে অবিরত। কারণ কী? কারণ এই ভোটাররাই হয় ফলাফলের নির্ণায়ক। 
আর যারা ফলাফলের নির্ণায়ক হয়, লক্ষ্য করা যায়, তারাই সবথেকে কম কথা বলে। তারা সারাদিন ধরে রাজনীতি নিয়ে কথা বলছে, তর্ক করছে, আলোচনা করছে, মরিয়া হয়ে নিজের মতপ্রকাশ করছে, এরকম হয় না। তারা চুপচাপ থাকে। যাকে সাইলেন্ট ভোটার হিসেবে তকমা দেওয়া হয়।  উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত যে নাগরিক শ্রেণি, তারা সর্বদাই উচ্চকিত মতামত ব্যক্ত করে। তারা নিজেদের ওপিনিয়ন মেকার মনে করে। কিন্তু ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের তেমন মূল্য নেই। কারণ, তারা ঘোষিত ভোটার। তাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট হয়ে যায় দ্রুত যে, তারা কাকে ভোট দেবে। সুতরাং রহস্য থাকে না তাদের নিয়ে। তাদের মতামতগুলিও তেমন উচ্চবিশ্লেষণাত্মক হয় না। কারণ সেগুলি হবে পক্ষপাতদুষ্ট। নিজেদের প্রিয় দলের পক্ষে, প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে। অতএব তাদের মন জানতে রাজনৈতিক দলকে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। তার অর্থ এই নয় যে, তাদের যুক্তি অথবা মতামতে শাণিত বুদ্ধি কিংবা সঠিক যুক্তি নেই। অবশ্যই আছে। তবে সেগুলির অভিমুখ জানা হয়ে যায়। অর্থাৎ যাই বলুক, পছন্দের দলের পক্ষেই থাকে। বিপক্ষের বিরোধিতা‌ করা হবে। 
ঠিক এখানেই সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে ওই নীরব অথবা শক্তিশালী ভোটারদের ভূমিকা। অতীতেও হয়েছে। এবার এই লোকসভা ভোটেও হতে চলেছে সেই প্রবণতারই পুনরাবৃত্তি। কী সেটা? এবারের ভোটেও বাংলার ৪২ আসনের ফলাফলে নির্ণায়ক শক্তি হবে তিনটি শ্রেণি। মহিলা, মুসলিম, গরিব। মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় আইডেন্টিটির বিচারে। এবং মহিলা ও গরিব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে। কেন? কারণ, এই তিনটি শ্রেণির ভোটারদের সিংহভাগই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের ব্যক্তিগত ভালোমন্দ বিচার করে। অর্থাৎ তাদের কীসে ভালো হবে, তারা কী কী চায় এবং তাদের উচ্চাশা অথবা আশা আকাঙ্ক্ষা কী সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল কী কী বলছে, কাদের কথার মধ্যে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা আছে, কারা জয়ী হলে জীবন আরও একটু উন্নত হবে অথবা জীবনের স্থিতাবস্থা, স্বস্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ধাক্কা খেতে পারে, তখন আবার জীবনটা টলোমলো হয়ে যেতে পারে, এরকম হাজারো সাতপাঁচ ভাবেন এই ভোটারশ্রেণি। 
তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম অথবা আইএসএফ মুসলিম ভোটের প্রত্যাশী। সিপিএম আশাবাদী যে, এবার এই সংখ্যালঘু ভোটের কিয়দংশ তাদের কাছে ফিরবে। যদিও প্রশ্ন হল, কেন সিপিএম এরকম বিশ্বাস করছে? যেহেতু হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়ন অথবা জনস্বার্থমূলক কাজের ইস্যুকে ছেড়ে বেশি বেশি ধর্মীয় বিভাজনের প্রসঙ্গ প্রকটভাবে প্রচার করতে শুরু করেছেন, সেই কারণে, মুসলিমদের মধ্যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত কোনও দ্বিধা থাকলেও এখন তা আর সম্ভবত নেই। তারা চাইবে বিজেপিকে রুখতে যে দল শক্তিশালী তাকেই ভোট দিতে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এই হাইভোল্টেজ প্রচার মুসলিমদের বেশ কিছুটা একজোট করে দিচ্ছে। যা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তৃণমূল, ডিএমকে ইত্যাদি দলের কাছে সুবিধাজনক। অর্থাৎ যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা প্রধান প্রতিপক্ষ, তাদেরই মুসলিম সমাজের সিংহভাগ ভোট দেবে। 
মহিলাশক্তি এবং গরিব সম্প্রদায়ের ভোট সকলেই চায়। তাই লক্ষণীয় যে, এই দুই শ্রেণিকে তুষ্ট করার জন্য প্রতিযোগিতার অন্ত নেই।  বাংলার মহিলা এবং গরিব ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বিশেষ সচেষ্ট। অসংখ্য সরকারি প্রকল্পকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কার্যত এই দুই শ্রেণি প্রধান টার্গেট অডিয়েন্স তাঁর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অথবা কন্যাশ্রী। ২০১৬ অথবা ২০২১, এই দুই অংশ তাঁকেই ভোট দিয়ে বিপুলভাবে জয়ী করেছে। ঠিক এই ভোটারদের হাইজ্যাক করতে নরেন্দ্র মোদি বিগত ৬ মাস ধরে নারীশক্তির জয়গান গাইছেন। উজ্জ্বলা গ্যাসের ভর্তুকি বাড়াচ্ছেন। বিনামূল্যে রেশনকে তাঁর সরকারের এক বিপ্লবাত্মক পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করছেন। কৃষকদের ৬ হাজার টাকা দিচ্ছেন। আয়ুষ্মান কার্ড দিতে বলছেন। বাংলায় এই প্রচারের প্রতিবন্ধকতা হল, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত এবং জনপ্রিয়। সুতরাং মহিলা এবং গরিব ভোটারকুল এবার কোনদিকে যাবে? এই দুই শ্রেণি যদি মনে করে যে, সরকারের সহায়তা এবং সামাজিক স্থিতাবস্থায় তারা বাংলায়  স্বস্তিতে আছে, তাহলে তারা এবারও আনুগত্য বদল করবে না। আবার যদি তাদের কাছে মনে হয়, পরিবর্তন করা হলে তাদের নিজেদের আরও একটু লাভ হবে, তাহলে বিজেপির লাভ। কিন্তু এই দুই শ্রেণি সাধারণত কোনও এক্সপেরিমেন্ট করতে চায় না। কারণ তাদের কাছে যেহেতু ভোট দেওয়া না দেওয়া নিছক বিলাসিতা নয়। গণতান্ত্রিক অধিকার অথবা দেশগঠনের দায়িত্ব, এরকমও উচ্চমার্গীয় দার্শনিক কিছু নয়। ভোট তাদের জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিজেদের ক্ষুণ্ণিবৃত্তি, শান্তিপূর্ণ যাপন, সামাজিক ও পারিবারিক ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। এই দুই অংশের মানুষের মধ্যে মিল কোথায়? এরা শান্তি চায়। ঝঞ্ঝাট চায় না। বেসামাল সময়কাল চায় না। কারণ সেরকম হলে সবথেকে বেশি আঘাত আসে তাদেরই উপরে! তাই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় ভেবেচিন্তে। অতএব মহিলা মুসলিম গরিব ফ্যাক্টর, এবার বাংলায় সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে। আর সেই ফ্যাক্টরে প্রবল টানাপোড়েন চললেও টেনিসের পরিভাষায়, এখনও পর্যন্ত এবারও অ্যাডভান্টেজ-মমতা! মোদি কি পারবেন এই মিথ ভাঙতে? 
17th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
ডেভেলপমেন্ট লিগ ফাইনালের আগে পারদ চড়ছে মুম্বইয়ে। আজ খেতাবি লড়াইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। বিনো জর্জের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে তৈরি শঙ্করলাল চক্রবর্তীর পাঞ্জাব। অন্যদিকে ...

মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বোতলে ভরে নকল মোবিল বিক্রি হচ্ছিল। এমনকী, নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বাইকের নকল যন্ত্রাংশও বিক্রি হতো। ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM