Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন।
শুধু ঈশ্বরই নন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাছের মানুষদের, প্রিয় পরিজনদেরও নতুন নামে ডাকতেন। তাঁর স্নেহ-প্রেম-অনুরাগে সেই নাম পেত নতুন মহিমা।
তাঁর জীবনের প্রথম বান্ধবীকেই সম্ভবত প্রথম নতুন নামে ডেকেছিলেন। তিনি মারাঠি কন্যা আনা তড়খর। নব্যতরুণ কবিকে বিলাত যাবার আগে কিছুদিন থাকতে হয়েছিল তাঁর মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিত মুম্বই (তৎকালীন বোম্বে)-এর এক মারাঠি পরিবারে। সেই পরিবারের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বিদুষী কন্যা আনা কিশোর কবিকে বিলাতি আদবকায়দা শেখাতেন। ইনিই কবির জীবনের প্রথম নায়িকা। কবির চেয়ে আনা বয়সে সামান্য বড় ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের গলায় গান শুনতে আনা খুব ভালোবাসতেন, বলতেন ‘রবি তোমার গান শুনলে আমি মরণ থেকেও জেগে উঠতে পারি’— এই কথারই রেশ ধরে রবীন্দ্রনাথ কি পরে গীত রচনা করেন—
‘‘তোমার কাছে এ বর মাগি
মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে’’
রবীন্দ্রনাথ নিজেই জানিয়েছেন আনা তাঁর কাছ থেকে একটি নতুন নাম চেয়েছিলেন। কবি তাঁর নবলব্ধা এই বান্ধবীকে ডেকেছিলেন ‘নলিনী’ নামে। এটি কবির প্রিয় নাম। শুধু তাই নয় আনাকে নিয়ে লেখা কবিতাতেও তিনি এই নামটি যুক্ত করে লেখেন—
‘শুন, নলিনী খোল গো আঁখি
ঘুম এখনো ভাঙিল না কি।
দেখ, তোমারি দুয়ার পরে
সখি, এসেছে তোমারি রবি’
রবীন্দ্রগবেষক অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য বলেছেন—‘এই ঘুম ভাঙানিয়া গানই রবীন্দ্রজীবনের প্রথম প্রেমসঙ্গীত।’
রবীন্দ্রনাথের প্রথম দিকের নানা কাব্য-নাটকে ‘নলিনী’ নামটি বারবার এসেছে। হয়তো এভাবেই কবি তাঁর প্রথম সখীকে স্মরণ করেছেন।
এরপর ইংল্যান্ডে গিয়ে কবি ছিলেন ড. স্কটের পরিবারে। তাঁর তিন মেয়ের সঙ্গে কবির পরিচয় হয়েছিল। যাঁরা প্রথমে অচেনা ভারতীয় তরুণকে এড়িয়ে গেলেও পরে বাঁধা পড়েছিলেন বন্ধুত্বের বন্ধনে। এঁদের মধ্যে লুসি স্কট ছিলেন কবি-অনুরাগিণী। তাঁদের নতুন নাম দিয়েছিলেন কি না জানা যায় না, কিন্তু সন্ধ্যাসঙ্গীতের একটি কবিতায় সেই বিদেশিনী কন্যাদের চিরজীবী করে রেখেছেন। অনুভবের গভীরতায় অনন্য সেই কবিতার নাম ‘দু’দিন’।
‘এই যে ফিরানু মুখ/ চলিনু পুরবে
আর কি রে এ জীবনে ফিরে আসা হবে।....
হু হু করে উঠিবেক সহসা এ হিয়া
সহসা এ মেঘাচ্ছন্ন স্মৃতি উজলিয়া,.... 
একটি মুখের ছবি উঠিবে জাগিয়া’
জীবনের পরিণত পর্বে কবির সঙ্গে পরিচয় হয় আর্জেন্টিনার বিদূষী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে। কবির প্রৌঢ় প্রহরের এই তরুণী বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর সখ্য আজ ইতিহাস। দীর্ঘ দু’মাস তিনি ভিক্টোরিয়ার বাড়িতে অতিথি হয়েছিলেন। ভিক্টোরিয়ার তিনি নতুন নাম দিয়েছিলেন ‘বিজয়া’। ‘ভিক্টোরিয়া’ শব্দের অনুষঙ্গেই এই নামকরণ। এসময় লেখা ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেন ভিক্টোরিয়াকে—‘বিজয়ার করকমলে’ শেষ জীবনেও কবি ভিক্টোরিয়ার সখ্যকে স্বীকার করে অন্তিমপর্বের কয়েকটি কবিতার (শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থে সংকলিত) ‘বিদেশের প্রেয়সী’ এই অভিধায় স্মরণ করেছেন তাঁর বিজয়াকে।
কবিজীবনের প্রেরণারূপিণী নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবীকে রবীন্দ্রনাথ নানা নামে স্মরণ করেছেন। কবির সাত বছর বয়সে ন’বছরের কাদম্বরী এসেছিলেন ঠাকুর পরিবারে জ্যোতিদাদার স্ত্রী নতুন বউঠান হয়ে। নানা কবিতায়, গানে নানা নামে তাঁকে ডেকেছেন কবি। একটি গ্রন্থ উৎসর্গে লিখেছেন— 
‘শ্রীমতী হে—কে’
এই ‘হে’ কার নাম এই সম্বন্ধে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কারোর মতে গ্রিকদেবী ত্রিমুণ্ডী ‘হেকেটি’-র নামে এই বিশেষণ। কাদম্বরী দেবীর জীবনে তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রভাব ছিল। বা অন্যভাবে বলা চলে তিনি প্রভাবিত করেছিলেন তিন বিখ্যাত জনকে—কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী, স্বামী জ্যোতিরিন্দ্র নাথ ও দেবর রবীন্দ্রনাথ। এছাড়া ‘অলীকবাবু’ নাটকে নায়িকা ‘হেমাঙ্গিনী’ চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। সেই নামের সংক্ষিপ্ত আকার হিসেবে ‘হে’ নামের প্রয়োগ এমন মতও প্রচলিত।
কবির শেষ জীবনের কাব্য ‘আকাশ প্রদীপ’-এর একটি অনবদ্য কবিতা—‘শ্যামা’। এই স্মৃতিজারিত কবিতার বালিকাবধূ যে শ্যামলবরণী লাবণ্যময়ী নতুন বউঠান, তা বোঝা যায়। ‘শ্যামা’ যেন নতুন বউঠানেরই কবি প্রদত্ত নতুন নাম।
জীবনের প্রেরণাদাত্রী প্রিয় সখী ছাড়া কাছের অন্য মানুষদেরও নানা নতুন নামে ডাকতেন কবি। তাঁর স্নেহধন্যা মৈত্রেয়ী দেবীকে নাম দিয়েছিলেন— ‘মাংপবী’ তাঁর মংপুর বাসভবনে থাকাকালীন এই নামকরণ। আবার অমিয় চক্রবর্তীর বিদেশিনী স্ত্রীর নতুন নাম দেন হৈমন্তী, হিমের দেশের কন্যা বলেই সম্ভবত এই নামকরণ। মধুকণ্ঠী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম ছিল অণিমা। ‘কণিকা’ নাম কবির দেওয়া। সেই সঙ্গে তাঁর ডাক নাম ‘মোহর’-কে অতিরিক্ত স্নেহাদরে ‘আকবরী মোহর’ নামে ডাকতেন।
শুধু মেয়েদেরই নয় তাঁর প্রিয় সচিব ও ভাইপোদেরও কখনও নতুন নামে আবার কখনও বা গানের বাণীতে বেঁধেছেন। সচিব সুধাকান্ত রায় চৌধুরীকে কৌতুকছলে নাম দিয়েছিলেন—সুধোড়িয়া। তাঁর অতিপ্রিয় দুই ভাইপো গগনেন্দ্রনাথ ও অবনীন্দ্রনাথকে গানের কথায় বেঁধে রাখার অপূর্ব নিদর্শন পাই। ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’— বসন্তের এই গানে কবি এঁদের দু’জনকে বন্দি করেছেন অপরূপ ছন্দে। এই গানের সঞ্চারীতে পাই—
‘হে রো হে রো অবনীর রঙ্গ
গগনের করে তপোভঙ্গ’
সম্ভবত গগনেন্দ্রনাথের অঙ্কনরত মগ্ন অবস্থায় ছোট ভাই অবনীন্দ্রনাথ কিছু চপলতা করেন তখনই রবীন্দ্রনাথের এই গীতরচনা। তাঁদের আর এক ভাই ‘সমরেন্দ্রনাথ’-কেও একই গানে বেঁধেছিলেন—
‘হাসির সমরে তার মৌন রহেনা আর 
কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।’
পরে অবশ্য ‘সমর’ শব্দটি বদলে ‘হাসির আঘাত’ শব্দ প্রয়োগ করেন।
এমন আরও অনেক নামকরণ হয়তো কবি করেছেন যা সব আমাদের গোচরে আসেনি।
নামকরণ প্রসঙ্গে সবশেষে উল্লেখ করি কবিপত্নী মৃণালিনী দেবীকে। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভবতারিণী। বিয়ের সময় সেই নাম বদলে নতুন নাম দেওয়া হয় ‘মৃণালিনী’। হয়তো রবি নামের সঙ্গে মিলিয়েই এই নামকরণ। তবে কবির বড় দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথের একটি আশীর্বচনে কবির স্ত্রীরূপে ‘স্বর্ণমৃণালিনী’ শব্দটি ছিল। সেটিও এই নামকরণের কারণ হতে পারে।
কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে—স্ত্রীকে কি রবীন্দ্রনাথ নতুন কোনও নামে ডাকেননি? ‘মহুয়া’ কাব্যগ্রন্থে ‘মহুয়া’ কবিতার শেষে কবি লিখেছিলেন—
‘কানে কানে কহি তোরে
বধূরে যেদিন পাবো, ডাকিব মহুয়া নাম ধরে’
হয়তো নিভৃতে কোনও অন্তরঙ্গ নামে ডেকেছিলেন— যা আমাদের অজানা। তবে কথোপকথনে মৃণালিনীদেবীকে কখনও ছোটবউ, কখনও ‘রথীর মা’ বলে উল্লেখ করেছেন, সেখানে মিশেছিল প্রথানুগতি। কিন্তু মৃণালিনীদেবীকে 
লেখা কবির চিঠিতে আমরা পেয়েছি অন্তরঙ্গ সম্বোধনের আভাস। ‘ছোটবউ’ থেকে ‘ছুটকি’ নামের মধ্যে এক স্নেহাসিক্ত কৌতুকাভাস মিশে আছে। এসবের বাইরে অন্য একটি নামে মৃণালিনী দেবীকে ডেকেছেন রবীন্দ্রনাথ। সেই স্নিগ্ধ মধুর নাম— ‘দুটি’। এই সম্বোধনে ধরা পড়েছে এক আন্তরিক হৃদয়বত্তা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন সব কর্মযজ্ঞের অবসানে ঘরোয়া পরিবেশে চান ক্ষণিকের অবকাশ। সেই অবসরের মুক্তি মেলে ‘ছুটি’ নামে। কর্মব্যস্ত প্রহর শেষে হয়তো কবি পত্নীর কাছে মেলে বিশ্রাম তাই তাঁর নতুন নাম ‘ছুটি’।
প্রিয়জনকে বিশেষ নামে ডাকাকে কবি অমর করে রেখেছেন ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে। নায়ক অমিত লাবণ্যকে দিয়েছে নতুন নাম ‘বন্যা’ আর লাবণ্য তার অন্তরতম অমিতকে দিয়েছে নতুন নাম ‘মিতা’। 
এই নাম দুটি অনুরাগের নিবিড়তায় আজ ‘মিথ’-এ পরিণত। নামকরণের এই অন্তরঙ্গতা বোঝাতে অমিত বলেছে— ‘এ নাম হল বীজমন্ত্রের মতো, এ শুধু আমার মুখে আর তোমার কানে’
এই অনুভবেই ধরা আছে প্রিয়জনকে নতুন নামকরণের অনুরাগ রঞ্জিত মাধুরী। কবি নিজেই বলেছেন—
‘আমরা যাহাকে ভালোবাসি তাহার একটা 
নতুন নামকরণ করিতে চাই।’
প্রিয়জনের নতুন নামকরণ তাই ভালোবাসার অনন্য উপহার।
লেখিকা বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা
08th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
একনজরে
কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বোতলে ভরে নকল মোবিল বিক্রি হচ্ছিল। এমনকী, নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বাইকের নকল যন্ত্রাংশও বিক্রি হতো। ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

ডেভেলপমেন্ট লিগ ফাইনালের আগে পারদ চড়ছে মুম্বইয়ে। আজ খেতাবি লড়াইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। বিনো জর্জের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে তৈরি শঙ্করলাল চক্রবর্তীর পাঞ্জাব। অন্যদিকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM