ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
এই ভিডিওটি নিয়ে অবশ্য কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মালিওয়াল। আপ সুপ্রিমোর নাম না করে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে তাঁর কটাক্ষ, ‘প্রতিবারের মতো... এই রাজনৈতিক হিটম্যান নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য তিনি নিজের লোকদের দিয়ে টুইট করাচ্ছেন, ভিডিও পোস্ট করছেন।’ তাঁর দাবি, ‘সেদিনের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’ প্রসঙ্গত, সোমবার কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন স্বাতী মালিওয়াল। নির্দিষ্ট ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ে হঠাৎ বৈভব কুমার সেই ঘরে ঢুকে তাঁর উপর চড়াও হন। গালিগালাজের পাশাপাশি তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। মুখে, বুকে, পেটে এবং দেহের সংবেদনশীল অংশে তিনি গুরুতর আঘাত পান। বিধ্বস্ত অবস্থায় মালিওয়াল কোনওরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে ফোন করে পুলিসে খবর দেন। সারা শরীরে ব্যথা নিয়েই পুলিস না আসা পর্যন্ত তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হয়। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে দিল্লি পুলিস মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মালিওয়ালকে এইমসের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, বৈভব কুমারকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও স্পেশাল সেলের দল। কিন্তু, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বৈভবকে নোটিস দেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বৈভবের স্ত্রী সেই নোটিস নেননি। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে বৈভবকে এদিন সকাল এগারোটার মধ্যে হাজিরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি হাজিরা দেননি। শনিবারও হাজিরা না দিলে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।