ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
মালদহ আবহাওয়া কেন্দ্রের আবহবিদ তপনকুমার দাস বলেন, অন্যান্য বছর মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চার-পাঁচটি কালবৈশাখীর দেখা মেলে। এবার একটিও হয়নি। বৃহস্পতিবার মাত্র ১৪-১৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে ৬.৬ মিলিমিটার। আসলে বর্ষার আগে আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেলেও মালদহে তাই হয়েছিল। দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া বা উত্তরের দার্জিলিং জেলাকে বাজপ্রবণ হিসেবে ধরা হয়। তবে মালদহের তেমন পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, আকাশে মেঘ জমলে গাছের তলায় আশ্রয় নিতে নিষেধ করা হয়। ঘটনার দিন বিকেলে অনেকেই আমবাগানে ছিলেন। ফলে বিপদের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, বজ্রপাতে একদিনে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় মালদহ জুড়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। শুক্রবার দিনভর জেলাবাসী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। শেষ কবে একদিনে এত মানুষ বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন, তা জেলার বাসিন্দারা মনে করতে পারছেন না। এদিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদের ময়নাতদন্ত হয়। তারপর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মালদহ জেলা প্রশাসনের তরফে দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া এদিন মেডিক্যালের মর্গে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করেন। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখমদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। জেলাশাসক মৃতদের পরিজনদের সমবেদনা জানান। তিনি মৃতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণের দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
জেলাশাসক বলেন, একদিনে বাজ পড়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে। ফলে তা মেনেই আমরা ক্ষতিপূরণ সহ অন্যান্য সাহায্য করেছি। পরিবারগুলিকে সমব্যথী প্রকল্পের ২০০০ টাকা করে দ্রুত দেওয়া হয়। পাশাপাশি ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়। বিডিওদের কাছে ক্ষতিপূরণের চেক এদিন সকালেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ইংলিশবাজারের একটি শোকাতুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। সেখানে চেক তুলে দিই। মর্গে গিয়েও আমি মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। বজ্রাঘাতে মৃতদের মধ্যে এক নবদম্পতিও রয়েছেন। মাত্র কয়েকমাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বর্ষার মরশুমে সকলকে সতর্ক হয়ে কাজ ও চলাফেরা করার জন্য বলা হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। বজ্রপাতের সময় আম বাগানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফাইল চিত্র