ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
আসন্ন ‘বড়া বাই বড়া’ ছবিটি জ্ঞানেন্দ্রর কেরিয়ারে খানিক আলাদা। চিত্রনাট্য অনুযায়ী বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে মৃতব্যক্তির ছবি তোলে সূর্য (জ্ঞানেন্দ্র অভিনীত চরিত্র)। শেষ স্মৃতি হিসেবে ওই ছবি থেকে যায় প্রিয়জনের কাছে। তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রাচুর্যে ও মোবাইলের বহুল ব্যবহারে ধীরে ধীরে কমতে থাকে গ্রাহকের সংখ্যা। ছবির প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘এটা প্রচলিত ধারণা ভাঙার গল্প। আসলে আমরা কোনও জিনিস যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত, তার বাইরে কিছু ঘটলেই সেটা মেনে নিতে পারি না। সূর্যের জীবনেও এমন নানা ঘটনা ঘটবে।’
ভোপালে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা চলাকালীন জ্ঞানেন্দ্র অনুভব করেন, তিনি মন থেকে পড়াশোনা করছেন না। সমাজের চাপে তাঁকে চিরাচরিত পড়াশোনা করতে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘থিয়েটার করে আনন্দ পেতাম। আমাদের পরিবার স্বচ্ছল ছিল না। নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেকে চালাতে হতো। সেজন্য টিউশন করতাম। থিয়েটার করার সময় পেতাম না। এক সময় ভাবলাম অভিনয় নিয়েই বাঁচব। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুনে চলে গিয়েছিলাম। বিপিও সেক্টরে কাজ শুরু করি। কিছু টাকা জমিয়ে একটি অভিনয় সংস্থায় ঢুকি। ওখান থেকে বেরিয়ে মুম্বই।’ তারপর? ‘বহিরাগতদের সুযোগ পেতে সময় লাগে। মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকতে হয়। একের পর এক প্রত্যাখ্যান পরিণত হতে সাহায্য করে’ স্ট্রাগলের কাহিনি বলছিলেন জ্ঞানেন্দ্র।
‘হাফ সিএ’, ‘চুনা’র মতো সিরিজের সৌজন্যে জ্ঞানেন্দ্র জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এখন দর্শকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া মেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেমন লাগে? ‘কাজ বুঝে কেউ সমালোচনা করলে খুবই ভালো লাগে। শিখতে পারি। তবে অনেকে ব্যক্তি আক্রমণও করেন। কাজটা উপলব্ধি না করেই, খারাপ মন্তব্য করেন। সেগুলি কষ্ট দেয়’, স্পষ্ট জবাব তাঁর। অভিনেতা হিসেবে ওটিটি নাকি থিয়েটার, কোনটি বাছবেন? ‘দুটো আলাদা মাধ্যম। দুটোই আমার প্রিয়’, বলছিলেন অভিনেতা। পরের কাজ কী? জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘তিনটি ওয়েব সিরিজের কাজ চলছে। রিমা কাগতির পরিচালনায় ‘সুপারম্যান অব মালেগাঁও’তে অভিনয় করছি।’
শান্তনু দত্ত