ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
গল্পে চমক
‘কর্তম ভুগতম’ ছবির বিষয়টা ঠিক কেমন? শ্রেয়স বলেন, ‘সোহম পি শাহ (পরিচালক) অনেকদিন ধরেই এই বিষয়ের উপর ছবি তৈরি করতে চেয়েছিল। ওর এক আত্মীয়ের জীবনের ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই ছবির গল্প লিখেছে। অনেক চমক আছে গল্পে।’ এই ছবির গল্প জ্যোতিষশাস্ত্রকে ঘিরে বোনা হয়েছে। শ্রেয়স নিজে জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন? অভিনেতার জবাব, ‘আসলে আমরা এমন এক পেশায় আছি, যেখানে অনিশ্চয়তা আমাদের সবসময় তাড়া করে। নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা অনেক সময় জ্যোতিষের দ্বারস্থ হই। তবে আমি কখনও জ্যোতিষশাস্ত্রের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি এটা একটা বিজ্ঞান। তাই একে জীবনের গাইড হিসাবে ব্যবহার করতে চাই।’
কঠিন সময়
কিছুদিন আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শ্রেয়স। হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সুস্থ হয়ে ফের কাজে ফিরেছেন। জীবনের কঠিন সময় পাশে পেয়েছেন পরিবারকে। স্পষ্ট বললেন, ‘আমার জীবনের যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবারকে তখন পাশে পেয়েছি।’ পেশাদার জগতে প্রত্যাখ্যান গ্রহণ করাটাও তাঁর জীবনের শিক্ষা। শ্রেয়সের কথায়, ‘আমরা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ছবি তৈরি করি। সেই ছবিটি দর্শকের ভালো না লাগলে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু এই প্রত্যাখ্যানকে গ্রহণ করতে জানতে হবে। দর্শকের রুচি সময়ের সঙ্গে বদলাতে থাকে। সেটা বুঝে ছবি নির্মাণ করতে হবে।’
ভাগ্য বনাম পরিশ্রম
সাফল্য আসলে ভাগ্য এবং পরিশ্রমের যোগফল। এমনটাই মনে করেন শ্রেয়স। ‘দেখুন, পরিশ্রম না করলে কখনও সাফল্য পাওয়া যায় না। আর আমি ঝুঁকি নেওয়াতে বিশ্বাসী। পরিশ্রম তো অনেকেই করেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হলে সব পরিশ্রম তখন বৃথা হয়ে যায়’, মত তাঁর।
অনিশ্চয়তা
আদ্যন্ত অনিশ্চিত পেশায় রয়েছেন শ্রেয়স। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনিশ্চয়তার সংজ্ঞা বদলে যায়। তাঁর মতে, ‘কেরিয়ার শুরু করার সময় সকলে জনপ্রিয় হতে চায়, তখন সেই অনিশ্চয়তায় ভোগেন অনেকে। একবার নামডাক হয়ে গেলে সেটাকে টিকিয়ে রাখার অনিশ্চয়তা গ্রাস করে। আমার মতো অভিনেতাদের জন্য বলিউডে টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জিং। কারণ ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের কোনও গডফাদার নেই। আমাদের কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। প্রতিটা দিনই আমার জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ।’
বড় দায়িত্ব
আগামী দিনে একাধিক ছবিতে দেখা যাবে শ্রেয়সকে। তবে কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটিকে এগিয়ে রাখতে চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘ওই ছবিতে আমি অটল বিহারি বাজপেয়ীর মতো কিংবদন্তির চরিত্রে অভিনয় করছি। তাই ছবিটা আমার কেরিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বড় দায়িত্ব আমার কাঁধে।’