ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দলীয় কর্মীর বাড়ি থেকে একজন সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তৃণমূলের ওই প্রধান। পুলিস ও তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাতেই তাঁর উপর হামলা হয়। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রধানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানকে উদ্ধার করে শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে রেফার করা হয় কোচবিহারে। এরপর রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে। শুক্রবারও অনিমেষবাবু ঠিকমতো কথা বলতে পারেননি।
তৃণমূলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপন গুহ বলেন, আমাদের দলের প্রধানকে গুলি করার পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। প্রধান এখনও ঠিক করে কথা বলতে পারছেন না। তিনি একটু সুস্থ হলেই আমরা তাঁর কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করব। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রাতের অন্ধকারে অনিমেষ রায়ের উপর বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে, লোকসভা ভোটে কোচবিহারে তারা এবার জিততে পারব না। তাই এখন থেকে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, বিজেপির শীতলকুচির বিধায়ক বলেন, লালবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় আমাদের সংগঠন দুর্বল। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।
মাথাভাঙা মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, লালবাজারের প্রধানের উপর গুলি চালানোর ঘটনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।-নিজস্ব চিত্র