Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বাঁচার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশের বেশি নয়। আর চিকিৎসার জন্য সময় মেরেকেটে তিনদিন। বেথকে বাঁচানো যায়নি। শুধু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন স্বামী মিচ এমহফ। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছে বেথের। অজানা জ্বরে। যার কোনও চিকিৎসা নেই। এই ঘটনাক্রম আসলে একটি চিত্রনাট্য। হলিউডি ছবি ‘কন্টাজিয়ন’-এর। যা মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালে। আর বেথ এমহফ ছিলেন বাদুড় থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়া মহামারীর প্রথম আক্রান্ত। পেশেন্ট জিরো।
উয়েই গুইজিয়ান। ১০ ডিসেম্বর তাঁর প্রথম কাশি শুরু হয়। ঠান্ডা লাগা। তারপর জ্বর। ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়ার চিংড়ির দোকান... হুয়ানান মার্কেটে। চীনের উহানে। তারিখটা ছিল ১০ ডিসেম্বর। সাধারণ ফ্লু ভেবেছিলেন গুইজিয়ান। ডাক্তারখানায় গেলে সেখানে ডাক্তার তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেন। কাজ দেয়নি তাতে। প্রতি মুহূর্তে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন তিনি। বাধ্য হয়ে ইলেভেন্থ হসপিটাল। আর তারপর উহান ইউনিয়ন হাসপাতাল। সেখানেই গুইজিয়ান জানতে পারেন, হুয়ানান মার্কেটে দোকান রয়েছে বা সেখানে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন এমন অনেকেই আসছেন এই হাসপাতালে। উপসর্গ সবার এক এবং প্রাণঘাতী। মুশকিল একটাই, রোগটা অজানা। তারিখটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯। আর উয়েই গুইজিয়ান করোনা ভাইরাসের পেশেন্ট জিরো।
সংখ্যাটা বাড়ছে। ঠিক যেভাবে ‘কন্টাজিয়ন’-এ দেখানো হয়েছিল... সেভাবেই। স্পর্শ থেকে, হাঁচি-কাশি থেকে, ব্যবহৃত বাসন থেকে। করোনা ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই। প্রথাগত ফর্মুলায় চিকিৎসা চলছে। কেউ বাঁচছেন। কেউ না। আক্রান্ত হলে হাতে আর বেশি সময় থাকছে না। উপায় তাই একটাই। বাড়িতে থাকতে হবে। গৃহবন্দি হয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব চলছে, মারাত্মক ইগো এই ভাইরাসের। ডেকে না আনলে কিছুতেই ঘরে আসবে না। তাই গৃহবন্দিত্ব। পোশাকি বা সরকারি নাম ‘লকডাউন’। গত ২৪ মার্চ থেকে যা চালু হয়েছে দেশজুড়ে। আর পশ্চিমবঙ্গে ঠিক তার আগের দিন থেকে। লক্ষ্য, ভাইরাসের চেনটাকে ভেঙে দেওয়া। একটা থিওরি এক্ষেত্রে রয়েছে... সাতদিনে চেন ভাঙবে, আর এর মধ্যে যাঁরা আক্রান্ত হবেন, তাঁদের সেরে উঠতে সময় লাগবে ১৪ দিন। মানে, সব মিলিয়ে ২১ দিন। লকডাউনের হিসেবটাও সেভাবেই করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। কিন্তু তাতেও কি লাভের লাভ কিছু হচ্ছে? এর মধ্যেও লোকজন বাজার করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, চায়ের দোকানে ‘একটাকে দুটো’ করার অর্ডার দিচ্ছেন...। রোগও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। প্রথম দিনের রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে পরের দিন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিত্যনতুন ভাবনায় চেষ্টা করছেন দেশকে ‘একসূত্রে বাঁধার’। লকডাউনের আগেও একটা ড্রেস রিহার্সাল দিয়েছিলেন ‘জনতা কার্ফু’র মাধ্যমে। মানুষ কিন্তু সাড়াও দিয়েছিল সেদিন। কিন্তু মাঝে বিকেল ৫টায় সবাইকে দরজায় বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে থালা বাজাতে বলে গোটা দিনের যাবতীয় ‘পুণ্য সঞ্চয়ে’ জল ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। লকডাউনের উদ্দেশ্য যেখানে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সেখানে ওই ২২ মার্চ বিকেল ৫টায় উৎসবের মেজাজে ঢাকঢোল পেটাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন মানুষ। জনতা কার্ফুর উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল তো?
একসূত্রে বাঁধার উদ্যোগ। সলিডারিটি। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য এটাই। গৃহবন্দি ভারতীয়দের বোঝাতে চাইছেন, বাড়িতে আছেন... তবে নিজেকে একলা ভেবে নেবেন না! ১৩০ কোটি ভারতীয় একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই লাইট নিভিয়ে ফেলুন। মোমবাতি, টর্চের লাইট যা খুশি জ্বালিয়ে অন্ধকার বারান্দায় দাঁড়িয়ে পড়ুন। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘দীপ জ্বেলে যাই’ ভাবনা প্রসঙ্গে অবশ্য মারাত্মক সব তত্ত্ব বাজারে ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ বলছিলেন, ১৩০ কোটি ভারতীয় একসঙ্গে একটি করে মোমবাতি জ্বালালে পরিবেশের তাপমাত্রা নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। তাতে করোনা ভাইরাসের মৃত্যু হবে। আবার অনেকে খোঁচা দিচ্ছেন, লকডাউনের মধ্যে তো আর ৬ এপ্রিল ধুমধাম করে বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা যাবে না... তাই জনসাধারণকে দিয়েই ঠিক আগের দিন রাত ন’টায় পালন করিয়ে দেওয়া গেল। আর মানুষ তো শুধু দীপ জ্বেলেই থেমে থাকলেন না! দেদার ফাটল শব্দবাজি, উড়ল ফানুস। লোকজন রাস্তায় নেমে এলেন। একে অপরের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আলো জ্বাললেন। অর্থাৎ সামাজিক দূরত্বের ‘আলোক সমাধি’ ঘটল আর কী! লকডাউন সফল হল তো?
নিন্দুকে বলে, তাঁর নাকি চওড়া কপাল। যখনই সরকার সঙ্কটে পড়ে, কোনও না কোনও উপায়ে তিনি নজরটা অন্যত্র ঘুরিয়ে দিতে পারেন। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোটা দেশ যখন ফুঁসছে, তখনই উরি হামলা এবং তারপর সার্জিকাল স্ট্রাইক। জিএসটি এবং সরকারের আরও মিসঅ্যাডভেঞ্চারের চাকায় ভর করে যখন মোদি সরকার লোকসভা ভোটের দিকে দৌড়চ্ছে, ঠিক তখনই বালাকোট। আর এখন? গত এক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির মধ্যেই করোনা দেখা দিল মহামারী রূপে। ভেঙে পড়া বাজার অর্থনীতি, উৎপাদনে ঘাটতি, আর্থিক বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনকভাবে নেমে আসা... আজ কি এর কোনও একটা বিষয় নিয়ে আর আলোচনা হয়? না, হয় না। এখন চর্চার বিষয়বস্তু মানেই নতুন রোগ... নতুন আতঙ্ক। এদেশে করোনার প্রবেশ ঘটেছে গত ৩০ জানুয়ারি। দু’মাসের উপর হতে চলল, অথচ এমন জনঘনত্বের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সেই অর্থে হুড়মুড়িয়ে বাড়েনি! ‘ভারত’ সরকার তাই আবার মহান। ইতালি, স্পেনের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর নিরিখে পাঁচ অঙ্ক ছুঁতে চলেছে আমেরিকা। সেখানে দু’মাস পরও সংক্রমণ ৪ হাজারে ঠেকিয়ে রাখা সত্যিই তারিফ করার মতো ব্যাপার। প্রশংসায় অবশ্য ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদি ভাসছেন। আন্তর্জাতিক মহল, এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও ভারতের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। যার যা ভালো, তা তো স্বীকার করতেই হয়। হতেই পারে, এখনও ভারতে সেই অর্থে করোনার র‌্যান্ডাম টেস্ট করা হয়নি। অর্থাৎ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে গাইডলাইন দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী (প্রথমত, বাড়িতে থাকা এবং দ্বিতীয়ত, লাগাতার টেস্ট করে যাওয়া) সবকিছু মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বেশি করে পরীক্ষা হলে করোনার সংখ্যাতত্ত্বে পরিবর্তন আসত কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে এই এতদিনে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সংক্রমণের ক্লাস্টার বা সোজা ভাষায় বলতে গেলে যেখানে সংক্রমণ বেশি, সেই সব জায়গায় লাগাতার নমুনা পরীক্ষা হবে। সেটাও ১০০ শতাংশ সাফল্যের সঙ্গে সম্ভব হবে তো?
এই সেদিনও রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা ছিল লোকারণ্য। লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। এঁরা প্রত্যেকেই অসংগঠিত সেক্টরের সদস্য। তাঁদের অনেকেই চাষের মরশুমে ধানজমিতে কাজ করেন, আবার মরশুম ফুরিয়ে গেলে চলে আসেন কোনও শহরে... নির্মাণকাজে জোগানদারের কাজ করতে। কেউ আবার রান্নায় পারদর্শী। যাঁর হাতের তন্দুরি চিকেন খেলে পাঁচতারা হোটেলের স্বাদ মনে পড়ে... আবার লকডাউনের সময় মালিক হোটেলছাড়া করলে ভিড়ে আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, তাঁর হয়তো না আছে আধার, না ভোটার কার্ড। ২১ দিনের লকডাউন পিরিয়ড অসংগঠিত এই ক্ষেত্রটিকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কি এঁদের নিয়ে আলাদা করে কিছু ভেবেছে? হাততালি দিয়ে, বা প্রদীপ জ্বালিয়ে এই শ্রেণীর মানুষের পেট ভরবে না। আর দু’বেলা খেতে না পাওয়া ভারতীয়ের সংখ্যাই কিন্তু বেশি।
সংগঠিত ক্ষেত্রই কি খুব নিশ্চিন্তে রয়েছে? জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্পোরেট এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির কাছে প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছিলেন, এই সঙ্কটে দয়া করে কর্মীদের বেতন কাটবেন না। কিন্তু সেই আবেদন বহু সংস্থাই রাখেনি। রাখা সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদন না হলে, বিক্রির সুযোগ না থাকলে কোনও কোম্পানিই কর্মীদের বসিয়ে খাওয়াবে না। এটাই ব্যবসার দস্তুর। প্রথমে বেতনে কাটছাঁট হবে। তারপর চাকরি যাবে। বিশ্বের সর্বত্র এই এক নিয়ম। কেউ দানছত্র খুলে বসেনি। এমন পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই দেশের সরকারের দায়িত্ব। কর্তব্য। আপাতত তেমন সুনির্দিষ্ট কিছুও সরকারের পক্ষ থেকে নজরে আসছে না। দক্ষিণ কলকাতার এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কথায় কথায় বলছিলেন, করোনায় না মরলে মানুষ এবার না খেতে পেয়ে মরবে। কোনও দেশের পক্ষে, সমাজের পক্ষে এটা ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারে না। এই মুহূর্তে দেশ তথা বিশ্ব অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে ঘুরে দাঁড়াতে ঠিক কত সময় লাগবে, তা কেউ জানে না। দু’মাস লাগতে পারে, ছ’মাস বা এক বছর। আর লকডাউনের মেয়াদ যদি বাড়ে? অন্ধকারে হাতড়ানো ছাড়া উপায়ন্তর থাকবে না।
গত ২৮ জানুয়ারি কেরলে ফিরেছিলেন তরুণী। চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ৩০ জানুয়ারি তাঁর দেহে মিলেছিল করোনার অস্তিত্ব। তিনিই ভারতে করোনার ‘পেশেন্ট জিরো’। ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। চাকা ঘুরছে। ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে। ধীরে হলেও। আজ না হয় কাল পৃথিবী শান্ত হবেই। মেয়াদ ফুরোবে গ্যালারি শোয়েরও। তখন প্রশ্ন থাকবে একটাই... পেটের জ্বালা মিটবে কীভাবে?
07th  April, 2020
মহামারীর কাছে আমরা কেন এত অসহায়?
মৃণালকান্তি দাস

 কেমন যেন স্লো মোশনের একটা সিনেমার দৃশ্যের ভিতরে ঢুকে পড়েছি আমরা! গোটা দুনিয়াটাই হঠাৎ করে যেন আটকে গিয়েছে এক জায়গায়। মানুষের থেকে অনেক ক্ষমতাবান কিছু একটা যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে সবকিছু। চীন, ইতালি, স্পেন ছাড়িয়ে মার্কিন মুলুকেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই ক্ষমতাবান অদৃশ্য শত্রু।
বিশদ

নাগরিক সমাজকেও প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 করোনার ভয়াবহ বিপর্যয় কতদিন ধরে চলবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আজ সারা পৃথিবীটাই করোনায় আক্রান্ত। শুধু ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
বিশদ

করোনাকালেও অব্যাহত পাকিস্তানের নষ্টামি
হারাধন চৌধুরী

 গত ১৬ মার্চ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিস তার সদস্য ও অনুগামীদের ইউরোপ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে বলেছিল—‘‘দি ল্যান্ড অফ দি এপিডেমিক!’’ লন্ডন থেকে তাদের ‘অ্যাডভাইজারি’ ছিল যে: বিশ্ব মহামারীর এই নতুন কেন্দ্রে তাদের কেউ যেন আপাতত পা না-রাখে এবং ইউরোপে অবস্থানকালে কেউ যদি ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রামিত হয়ে গিয়ে থাকে তবে সে/তারা যেন কোনওভাবেই সংগঠনে এসে ভিড়ে না-যায়।
বিশদ

09th  April, 2020
ড্রেনের জল পরীক্ষা করেই গোষ্ঠী সংক্রমণের আগাম হদিশ মিলতে পারে
মৃন্ময় চন্দ

 নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সারা বিশ্ব প্রকম্পিত। রোগটির চালচলন বিজ্ঞানী বা চিকিৎসক মহলে মোটেই পরিচিত নয়। শুধু চীন কেন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ইরান—সর্বত্রই বয়স্কদের উপর বেশি আঘাত হানতে শুরু করেছিল এই মারণ ভাইরাস।
বিশদ

09th  April, 2020
করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’
বিশদ

08th  April, 2020
জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে।
বিশদ

08th  April, 2020
যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

 সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
একনজরে
 সৌম্যজিৎ সাহা, কলকাতা: রাজ্যের কয়েকশো সংস্কৃত টোল অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবশেষে জট কাটল। শুধু তাই নয়, ভারতীয় শিক্ষার প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী এই টোলগুলিতে এক দশকের বেশি ...

  ওয়াশিংটন, ৯ এপ্রিল (পিটিআই): শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সরে দাঁড়ানোয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে রইলেন দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবছর দেশজুড়ে সোনার চাহিদা ৩০ শতাংশ কমবে বলে মনে করছে স্বর্ণশিল্প মহল। তাদের বক্তব্য, এদেশের সোনার মূল চাহিদা তৈরি হয় বিয়েকে ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনার প্রভাবে গৃহবন্দি প্রত্যেকেই। সাধারণ কিংবা অসাধারণ, রেহাই নেই কারও। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তিরা অবশ্য কর্মব্যস্ত। কোভিড-১৯’এর চ্যালেঞ্জ টপকে কর্তব্যরত তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯০১: কবি ও সাহিত্যিক অমিয় চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩১ - বিশিষ্ট লেখক নিমাই ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৬৪: বিশিষ্ট শেফ সঞ্জিব কাপুরের জন্ম
১৯৭৩: ব্রাজিলের ফুটবলার রবার্তো কার্লোসের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়ার জন্ম
১৯৯৫: চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের মৃত্যু
২০১৫: অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রিচি বেনোর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.৫৪ টাকা ৭৭.২৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৯৫ টাকা ৯৬.২৭ টাকা
ইউরো ৮১.৪৭ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, (চৈত্র কৃষ্ণপক্ষ) তৃতীয়া ৪০/১৯ রাত্রি ৯/৩২। বিশাখা ৪১/১৫ রাত্রি ৯/৫৫। সূ উ ৫/২৪/৪০, অ ৫/৫১/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৬ গতে ৩/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১০ মধ্যে।
২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, তৃতীয়া ৫১/১২/২৪ রাত্রি ১/৫৪/৫৪। বিশাখা ৫১/৫৩/২৭ রাত্রি ২/১১/১৯। সূ উ ৫/২৫/৫৬, অ ৫/৫২/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২/২৯ গতে ১০/৫/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/৫/৪৫ গতে ১১/৩৯/১ মধ্যে।
১৬ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম১৯০১: ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল 
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ...বিশদ

09:48:00 PM

করোনা: অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৬ জন, মোট আক্রান্ত ৩৮১ 

09:34:22 PM

লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ১১০ জন 

09:27:00 PM

করোনা: ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ পাঞ্জাব সরকারের 

09:25:42 PM

করোনা: তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত আরও ৭৭ 
তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও ৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ ...বিশদ

07:27:33 PM