Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’ এই কবিতাটাই মনে পড়ে গেল সাম্প্রতিক সময়ে করোনার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ‘যুদ্ধপ্রস্তুতি’ দেখে। সেটাই অন্যভাবে প্রকাশ করলাম। আমরা অজ্ঞতা দিয়ে মারব কীট। এখন যদি একটু থালাবাটি না বাজাই, দেওয়ালির মতো বাজি না ফাটাই, তবে কীসের বসন্ত! ভাবলে সত্যিই অবাক লাগে, এ কোন ধরনের তামাশা! সবাই যখন চোয়াল টিপে এক অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সারা বিশ্বে যখন মৃত্যুমিছিল দেখে মানুষ ঘরে থেকে একটা শৃঙ্খলার ঘেরাটোপ তৈরি করেছে, তখন সেটাকে রাষ্ট্র তামাশার পর্যায়ে নামিয়ে আনল। এমন এক পদক্ষেপের কথা রাষ্ট্রনায়ক ঘোষণা করলেন যে, আনন্দের আতিশয্যে সব স্বাস্থ্যবিধি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। লকডাউনকে ভূত চতুর্দশীর পর্যায়ে নামিয়ে এনে দীপাবলির উৎসব শুরু করে দিয়েছিল ভারত। বাজির পর বাজি। ৯ মিনিটের মোমবাতি পুড়ে গেলেও বাজির দমক চলল আধ ঘণ্টা। আকাশে আতশবাজির ঝর্নাধারায় যেন উৎসবের উল্লাস। সেই আলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল আরও বেশি অন্ধকার, আরও বেশি লজ্জা, আরও বেশি অজ্ঞতা। দেশটাকে মনে হচ্ছিল তুবড়ির মতো। তুবড়ির খোলের ভিতর অবরুদ্ধ থাকে বারুদ। দেশের মানুষগুলো যেন অবরুদ্ধ অবস্থায় হাঁসফাঁস করা এক প্রাণী। বেরিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। একটু সুযোগ বা অজুহাত অথবা আগুনের ছোঁয়ার জন্য ছটফট করছিল। মোদিজির মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন সেই ছটফটানিতে লাগিয়ে দিল আতিশয্যের আগুন। নিমেষে তুবড়ির ভিতর থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসতে লাগল আগুনের ফুলকি। সারা দেশে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। দেখা গেল বাজি ফাটানোর নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা। কলকাতা থেকে কানপুর, মুম্বই থেকে মুজফফরপুর, বারাণসী থেকে বেঙ্গালুরু। সারা দেশ একসুরে নেচে উঠল। কোটি কোটি টাকার বাজি ফাটিয়ে আমরা প্রমাণ করলাম, আমরা ‘ঐক্যবদ্ধ’। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এক নেত্রী শূন্যে গুলি ছুঁড়ে উন্মাদনা প্রকাশ করলেন। আহা, কী আনন্দ, মেরা ভারত মহান! আসলে আমরা জানতেও পারলাম না, বিজেপি কৌশলে সারা দেশকে দিয়ে পার্টির ৪০তম জন্মদিনের উৎসবটি পালন করিয়ে নিল।
১৯৮০ সালে আরএসএস বুঝেছিল, তাদের নিজেদের একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম দরকার। জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধে থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে না। পৃথক দল দরকার। সেই লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের ৫ এবং ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বসেছিল সভা। সেখানে ৬ তারিখে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। দলের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি আরও একটি পরীক্ষা করে নিলেন। দেশজুড়ে বিজেপির যে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক, তা কতটা অটুট রয়েছে, সেটাও দেখে নিলেন। নতুন করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন। কয়েক মাস আগে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে একে একে মোদি-অমিত শাহের রথ মুখ থুবড়ে পড়ছিল। সেই ছেঁড়া-ফাটা আত্মবিশ্বাসটাকে আবার তিনি ফিরিয়ে আনলেন।
সে যাই হোক, কিন্তু উচ্ছ্বাসটা প্রদীপ জ্বালানোতে সীমাবদ্ধ থাকলে ঠিক থাকত। সেটা থাকল না। সেটা যে থাকবে না, তা আগেই জানা ছিল। সেই প্রমাণ আমরা পেয়েছিলাম জনতা কার্ফুর দিন বিকেল পাঁচটায় থালা বাটি বাজানোর নমুনা দেখে। পাড়ায় পাড়ায় প্রায় সবাই সেদিন জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কণ্ঠে স্লোগান, ভারতমাতা কী জয়। আমরা ১৯৮৩ সালে সেই ছবি দেখেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ জয় করেছিল। মানুষ এভাবেই আনন্দে মেতে উঠেছিল। আমরা কি তবে লড়াইয়ের আগেই করোনা কাপ জিতে গেলাম?
বাস্তব পরিস্থিতি হল, আমরা এখনও কিন্তু জয়ের কোনও দিশাই খুঁজে পাচ্ছি না। এখনও সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা। আগামী ১৫-২০ দিন আমাদের দেশের সামনে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। এই বাধাটুকু পেরিয়ে যেতে পারলে কিছুটা স্বস্তির বাতাবরণ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, আমেরিকা দাঁতে দাঁত টিপে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও বিশ্বজুড়ে করোনা তাণ্ডব চলছেই। এ যেন এক নাগরদোলার মতো। মৃত্যুর উত্তাল তরঙ্গ। কোথাও উঠছে, কোথাও নামছে। আমরা জানি না কোথায় এর শেষ। কতজনের প্রাণ নেওয়ার পর থামবে দানবের এই মৃত্যু নিয়ে পাশা খেলা। বিদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, যারাই প্রাথমিক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামার ব্যাপারে অনীহা দেখিয়েছিল, তাদেরই আজ মৃত্যু দিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে, কত বড় ভুল তারা করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ এবং ৯/১১-র আক্রমণ, এই দুটোই এতদিন মার্কিন ইতিহাসের সব থেকে বিধ্বংসী ঘটনা ছিল। ১৯৪১ এর ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে জাপানি বোমাবর্ষণের ঘটনায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় তিন হাজার জনের। সেসব মৃত্যুকে ম্লান করে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়েছে এই করোনা আক্রমণ। আমেরিকায় মৃত্যুসংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওটা হয়তো দুই লক্ষে গিয়ে থামবে। কী ভয়ঙ্কর এই ভবিষ্যদ্বাণী। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, আমেরিকা বলেই দিয়েছে, এখন ঈশ্বরই তোমার একমাত্র ভরসা। বাঁচালে তিনিই বাঁচাবেন। সেখানে অসংখ্য মানুষের হাতে এখন বাইবেল। কেউ জানে না, তাদের আয়ু আর কতটুকু। ডাক্তাররা চিকিৎসা করতে করতে ক্লান্ত। তারাও একে একে আক্রান্ত হচ্ছেন। কে করবে চিকিৎসা?
অন্য দেশের এই সব চিত্র আমাদের বুকে কিন্তু একটু একটু করে কাঁপন ধরাচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার নিশ্চয়ই কারণ নেই। তবে সতর্কতা তো দরকার। একদিন নিশ্চয়ই এই করোনার আক্রমণ দূর হয়ে যাবে। পৃথিবী করোনামুক্ত হবে। সেদিন কি তবে পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে উঠবে? আমরা এখন সেই রঙিন দিনগুলোর স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু একটা কথা আমাদের মনে রাখা দরকার, করোনার এই কামড়ের রেশ কিন্তু অনেকদিন থাকবে। করোনা কীট মরবে। কিন্তু ঘা শুকোবে না। আরও এক অজানা ভয়ঙ্কর অন্ধকার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সব থেকে বড় আঘাত আসবে আমাদের দেশের অর্থনীতির উপর। শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা বিশ্বে অর্থনীতির মন্দার একটা হিম স্রোত বয়ে যাবে। দলে দলে মানুষ কাজ হারাবে। শিল্পে, বাণিজ্যে নেমে আসবে খরা। বাজারে পণ্যের জোগান থাকলেও কেনার লোক থাকবে না। কেননা, মানুষের হাতে পয়সা থাকবে না। কমে যাবে তার ক্রয় ক্ষমতা। আমরা জানি না সমাজ তখন কোনদিকে এগবে। সমাজবিজ্ঞানীরা সেই সময়ের ভয়ঙ্কর ছবিটা নিশ্চয়ই আঁচ করতে পারছেন। কেমন হবে মানুষের মনের গঠন, কেমন হবে তার আচরণ! আর শিশুরা! তাদের আচরণ, প্রকৃতি কি বদলে যাবে না? কয়েকজন মনোবিদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, আগামীদিনের শিশুরা ততটা কোমল স্বভাবের নাও থাকতে পারে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি আমাদের ঠেলে নিয়ে যাবে মননের অন্য এক অস্থির অবস্থানে।
তাই এখন বাজি, পটকা, মোমবাতির সময় নয়, দরকার আরও কড়া হাতে রাশ নিয়ন্ত্রণ করা। করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ দরকার। দেশের মানুষকে এখন জোর করে ঘরে আটকে রাখা দরকার। প্রয়োজনে আইন এনে আটকাতে হবে। না হলে দেশকে আটকানো যাবে না। আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। একবার ছড়ালে আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশ্বজুড়ে যে ছবিটা আমরা দেখছি, তাতে শিয়রে কিন্তু শমন। একটু শৃঙ্খলার অভাব হলেই করোনা কিন্তু আমাদের দেশে ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা এখন থার্ড স্টেজের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। এই সময়ে দেশবাসীর এমন শিশুসুলভ উন্মাদনা মোটেই শোভা পায় না। পরিস্থিতি বিচার করে দেখলে বোঝা যায়, একমাত্র অজ্ঞতা, তাচ্ছিল্য মনোভাবই এই রোগের ছড়িয়ে পড়ার কারণ। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। দেশের সবকিছু তাঁরই হাতে। তাই সবকিছু সুরক্ষিত রাখার দায়ও তাঁরই। তিনি রামমন্দির বানান বা রামচন্দ্রের পাঁচ হাজার ফুট উঁচু মূর্তি, কারও কিছু বলার নেই। কেননা ক্ষমতা তাঁরই হাতে। তবে এখন কোনও শৈথিল্য ভাব এলেই কিন্তু দিকে দিকে ‘রাম নাম সত্য হ্যায়’ শুরু হয়ে যাবে। রামের পুজো করতে গিয়ে আমরা যেন কুম্ভকর্ণ হয়ে না উঠি।
আমরা জানি, করোনা কোনও শত্রু দেশ নয়। শুধু হুঙ্কারে সে ভয় পাবে না। কৌশলে তাকে মারতে হবে। এখন তাই যুদ্ধপ্রস্তুতি, সঙ্কল্প অনেক বড়। মানুষকে বাঁচাতে হবে। প্রতিটি রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। সেইসঙ্গে দেশের প্রত্যেকে সচেতন হোক। আগামী দু’তিন বছর ধরে কিন্তু চলবে এই লড়াই। এ আমাদের দীর্ঘ এক ব্যথার পূজা। আপন ঘরে থেকে নিভৃতে প্রদীপ জ্বালিয়ে এখন আমাদের পূজার সময়। তাড়াতাড়ি তার সমাপন হবে না। লড়াই আর পূজা আজ একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে গিয়ে চলুক জগতের আনন্দযজ্ঞের দিকে।
08th  April, 2020
মহামারীর কাছে আমরা কেন এত অসহায়?
মৃণালকান্তি দাস

 কেমন যেন স্লো মোশনের একটা সিনেমার দৃশ্যের ভিতরে ঢুকে পড়েছি আমরা! গোটা দুনিয়াটাই হঠাৎ করে যেন আটকে গিয়েছে এক জায়গায়। মানুষের থেকে অনেক ক্ষমতাবান কিছু একটা যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে সবকিছু। চীন, ইতালি, স্পেন ছাড়িয়ে মার্কিন মুলুকেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই ক্ষমতাবান অদৃশ্য শত্রু।
বিশদ

নাগরিক সমাজকেও প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 করোনার ভয়াবহ বিপর্যয় কতদিন ধরে চলবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আজ সারা পৃথিবীটাই করোনায় আক্রান্ত। শুধু ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
বিশদ

করোনাকালেও অব্যাহত পাকিস্তানের নষ্টামি
হারাধন চৌধুরী

 গত ১৬ মার্চ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিস তার সদস্য ও অনুগামীদের ইউরোপ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে বলেছিল—‘‘দি ল্যান্ড অফ দি এপিডেমিক!’’ লন্ডন থেকে তাদের ‘অ্যাডভাইজারি’ ছিল যে: বিশ্ব মহামারীর এই নতুন কেন্দ্রে তাদের কেউ যেন আপাতত পা না-রাখে এবং ইউরোপে অবস্থানকালে কেউ যদি ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রামিত হয়ে গিয়ে থাকে তবে সে/তারা যেন কোনওভাবেই সংগঠনে এসে ভিড়ে না-যায়।
বিশদ

09th  April, 2020
ড্রেনের জল পরীক্ষা করেই গোষ্ঠী সংক্রমণের আগাম হদিশ মিলতে পারে
মৃন্ময় চন্দ

 নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সারা বিশ্ব প্রকম্পিত। রোগটির চালচলন বিজ্ঞানী বা চিকিৎসক মহলে মোটেই পরিচিত নয়। শুধু চীন কেন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ইরান—সর্বত্রই বয়স্কদের উপর বেশি আঘাত হানতে শুরু করেছিল এই মারণ ভাইরাস।
বিশদ

09th  April, 2020
জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে।
বিশদ

08th  April, 2020
গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বিশদ

07th  April, 2020
যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

 সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
একনজরে
  ওয়াশিংটন, ৯ এপ্রিল (পিটিআই): শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সরে দাঁড়ানোয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে রইলেন দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। ...

রাজীব সরকার, শিলিগুড়ি, বিএনএ: করোনার প্রকোপে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। কোভিড-১৯’র কারণে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। পাশাপাশি উৎপাদনও প্রভাব পড়েছে। এই দু’য়ের কারণে বিপুল ক্ষতির মুখে দার্জিলিংয়ের ...

  অর্ক দে, কলকাতা: লকডাউনের মধ্যেই কাজ এগল দ্রুত। টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ প্রায় শেষের পথে। এই সেতুকে ঘিরে উত্তর কলকাতা বা উত্তর শহরতলির মানুষের ৭৫ বছরের সেই ‘আবেগ’ চলে গেল স্মৃতির অতলে। টালা ব্রিজ বা হেমন্ত সেতু এখন শুধুই ...

সংবাদদাতা, কাটোয়া: লকডাউনে সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকায় এবার ইউটিউবের মাধ্যমে ‘ই-ক্লাস’ চালু করল কাটোয়ার সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষকরা প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে ইউটিউবের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরছেন। পড়ানোর শেষে ছাত্র-ছত্রীদের কাছে ফোন করে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯০১: কবি ও সাহিত্যিক অমিয় চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩১ - বিশিষ্ট লেখক নিমাই ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৬৪: বিশিষ্ট শেফ সঞ্জিব কাপুরের জন্ম
১৯৭৩: ব্রাজিলের ফুটবলার রবার্তো কার্লোসের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়ার জন্ম
১৯৯৫: চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের মৃত্যু
২০১৫: অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রিচি বেনোর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.৫৪ টাকা ৭৭.২৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৯৫ টাকা ৯৬.২৭ টাকা
ইউরো ৮১.৪৭ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, (চৈত্র কৃষ্ণপক্ষ) তৃতীয়া ৪০/১৯ রাত্রি ৯/৩২। বিশাখা ৪১/১৫ রাত্রি ৯/৫৫। সূ উ ৫/২৪/৪০, অ ৫/৫১/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৬ গতে ৩/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১০ মধ্যে।
২৭ চৈত্র ১৪২৬, ১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, তৃতীয়া ৫১/১২/২৪ রাত্রি ১/৫৪/৫৪। বিশাখা ৫১/৫৩/২৭ রাত্রি ২/১১/১৯। সূ উ ৫/২৫/৫৬, অ ৫/৫২/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২/২৯ গতে ১০/৫/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/৫/৪৫ গতে ১১/৩৯/১ মধ্যে।
১৬ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্ম১৯০১: ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল 
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ...বিশদ

09:48:00 PM

করোনা: অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৬ জন, মোট আক্রান্ত ৩৮১ 

09:34:22 PM

লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ১১০ জন 

09:27:00 PM

করোনা: ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ পাঞ্জাব সরকারের 

09:25:42 PM

করোনা: তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত আরও ৭৭ 
তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও ৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ ...বিশদ

07:27:33 PM