কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
বুধবার এই প্রসঙ্গে শ্যামল ব্যানার্জি বলছিলেন,‘ময়দানে কিংবা পরিচিত মহলে অনেকেরই ধারণা, আমি অভিজাত এলাকার পুরপিতা। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আমার এলাকায় অসংগঠিত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের বাসই বেশি। পরিচারিকার ভূমিকা পালন করে দিন কাটে, এমন মহিলার সংখ্যাও কম নয়। লকডাউনে সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের মধ্যে শিক্ষার আলোও তুলনামূলকভাবে কম। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সময় লেগেছে তিনদিন। খাদ্যসামগ্রীর রসদ ফুরিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আমার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মেয়র ববি হাকিম এবং এলাকার বিধায়ক জাভেদ খানের সহযোগিতায় লকডাউনের চতুর্থ দিন থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার বিলি শুরু হয়। বেশ কয়েকদিন আমার সঙ্গে ছিলেন জাভেদ খানও। এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে অদ্ভূত তৃপ্তি পাচ্ছি। ওদের জন্যই তো পুরপিতা হয়েছিলাম।’
একটু থেমে শ্যামল ব্যানার্জি জানালেন, ‘ গত সাত দিন কাজের ধরন কিছুটা হলেও বদলেছে। মেয়রের নির্দেশে এলাকার বিভিন্ন রেশন দোকানের মধ্যে সমন্বয়সাধনই আমার প্রধান কাজ। রেশন ডিলারদের ফোন নম্বর পাঠিয়ে দিয়েছে খাদ্য দপ্তর। রেশন বিলির কাজ নির্বিঘ্নে করতে পারলেই লকডাউনের মধ্যে দরিদ্র মানুষদের দুঃখ অনেকটাই লাঘব করা যাবে। প্রাক্তন ফুটবলার বলে এলাকার ক্লাবগুলির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। স্থানীয় ক্লাবগুলি এই ব্যাপারে সাহায্য করছে। সেই সঙ্গে দেখতে হচ্ছে ওযুধের দেকানগুলিতে জোগান ঠিক আছে কিনা? কারণ রুবি সংলগ্ন এলাকা ছাড়া এই এলাকায় তেমন নামী ওযুধের দোকান নেই। সবই স্থানীয় স্তরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চালিত হয়। এটা মাথায় রেখেই আগামী দিনে কাজ করতে হবে।’