কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
পলিসির মাধ্যমে লগ্নিকৃত শেয়ারগুলির যে বাজারদর, তার থেকে সংস্থার দায়ের হিসেব বাদ দিলে যে টাকা হয়, তাকে মোট শেয়ারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে নেট অ্যাসেট ভ্যালু পাওয়া যায়। ইউনিট লিঙ্কড পলিসিগুলিতে যে ক’টি ইউনিটের অধিকার থাকে পলিসি গ্রাহকের, সংস্থার নেট অ্যাসেট ভ্যালুর হিসেবের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ইউনিটের দর কষা হয়। পলিসির মেয়াদ শেষে শর্তসাপেক্ষে সেই টাকা পান গ্রাহক। ধরা যাক কোনও পলিসি গ্রাহকের ১০০টি ইউনিট আছে। সংস্থার ইউনিটগুলির নেট অ্যাসেট ভালু এই মুহূর্তে ১০ টাকা। সরল অঙ্কে গ্রাহকের মোট পাওনা হয় এক হাজার টাকা। কোনও গ্রাহক মনে করলেন, ভবিষ্যতে শেয়ার বাজার ভালো হবে এবং তিনি দু’টি ইনস্টলমেন্ট বা কিস্তিতে টাকা নেবেন। তাঁর চলতি পলিসিটির মেয়াদ যদি এখনই শেষ হয়, তাহলে তিনি এখনই ৫০টি ইউনিট বাবদ ৫০০ টাকা পাবেন। ধরা যাক এক বছর পর গ্রাহক দ্বিতীয় বা শেষ ইনস্টলমেন্টের টাকা নেবেন। তখন যদি সংস্থার নেট অ্যাসেট ভ্যালু ১৫ টাকা হয়, তাহলে তিনি পাবেন ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ এক হাজার টাকার জায়গায় এক বছর অপেক্ষার পর তিনি মোট ১২৫০ টাকা পাবেন।
আইআরডিএ জানাচ্ছে, ইনস্টলমেন্ট বাড়াবেন কি না, তা ঠিক করার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে গ্রাহকের। যদি বিমা কেনার সময় ইনস্টলমেন্ট বর্ধিত করার শর্ত চুক্তিতে না থাকে, তাহলেও এই সুবিধা পেতে পারেন গ্রাহক। তবে বিমার টাকা নেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হলেও, ‘সাম অ্যাসিওর্ড’ বা ডেথ বেনিফিট বা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও দায় বিমা সংস্থার থাকবে না। যদি ইনস্টলমেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন গ্রাহক এবং যদি সেই বর্ধিত সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান, তাহলে নমিনি সেই সময়ের নেট অ্যাসেট ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে বাদবাকি ইউনিটগুলির দাম বাবদ টাকা পেয়ে যাবেন। পেনশন স্কিমে এই সুবিধা মিলবে না। একবার ইনস্টলমেন্টের সুবিধা নেওয়া চালু করলেও, যে কোনও সময় সেই পুরো টাকাই তুলে নেওয়ার অধিকার থাকবে গ্রাহকের। গ্রাহক এক মাস, তিন মাস, ছ’মাস বা এক বছর অন্তর ইনস্টলমেন্টের টাকা পেতে পারেন। তবে ভবিষ্যতে শেয়ার বাজার চাঙ্গা না হলে, তার দায়ও নিতে হবে গ্রাহককে।