কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
কাশীপুর রোডে একটি রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের উল্টোদিকে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে ফল বিক্রি করে আসছেন বাবলা দাস। তাঁর কথায়, মন-মেজাজ সব খিঁচ হয় আছে। মানুষের হাতে পয়সা নেই। বিক্রি তেমন হচ্ছে না। এক বেলা দোকান খুলছি। মানুষ খাবার কিনবে না ফল কিনবে। অনেকে তো আবার ফলের দাম শুনেই পালিয়ে যাচ্ছেন। আরেক ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিংহ বলেন, ফি বছর নীল ষষ্ঠী, পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে গণেশ পুজো উপলক্ষে প্রচুর ফল বিক্রি হয়। এবার তো সব মাটি হয়ে গেল। অনেকেই হয়তো আসবেন একটি-দুটি ফল কিনে বাড়িতে তা কোনওভাবে সাজিয়ে দেবেন ঠাকুরের কাছে। কিন্তু তা খুবই কম। এদিকে, ফল তো রাখা যায় না। বিক্রি না হলে দু’দু-একদিন পর থেকেই নষ্ট হতে থাকে। আমরা গভীর চিন্তার মধ্যে আছি।
আলমবাজার দেশবন্ধু রোডের খুচরো ফল ব্যবসায়ী বিমল রাউত বলেন, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে তো দোকানে খুলিনি। কয়েকদিন হল দোকান খুলছি। কিন্তু বিক্রি নেই। ঘর থেকে পুঁজি ভেঙে ২-৩ হাজার টাকা লাগিয়েছি ব্যবসার জন্য। তারমধ্যে মহাজনের বকেয়াও রয়েছে। ওই ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকদিন আগে চলে গিয়েছে বাসন্তী দুর্গা, অন্নপূর্ণা, রামনবমী। সেই সময় দোকানপাট বন্ধ ছিল। তখন স্বাভাবিক দোকানপাট খোলা থাকলে আমরা দু’টো টাকার মুখ দেখতে পেতাম। আরেক প্রবীণ ফল ব্যবসায়ী যোগেশ দাস বলেন, ফল সাজিয়ে নিয়ে বসলেও যদি তা বিক্রি সেভাবে না হয়, তাহলে কার মন ভালো থাকতে পারে বলুন তো? প্রতি বছর এই সময় থেকে ১ বৈশাখ পর্যন্ত আমাদের ফলের ব্যবসা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু এবার করোনা করোনা করে সব ক্ষতি হয়ে গেল। ওই ফল ব্যবসায়ীর কর্মচারী হরিন্দর দাস আক্ষেপ করে বলেন, গত দশ দিনে বিক্রি সে অর্থে না হওয়ায় প্রচুর ফল নষ্ট হয়েছে। তার উপর গরম বেশি পড়ায় ফল আরও দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে ফল ব্যবসায়ীরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।