কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
করোনা সংক্রমণের কারণে রাজ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে আপাতত স্থগিত রেখেছে নেতৃত্ব। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুর্দিনে তাঁদের পাশে থেকে জনসংযোগ রক্ষার কৌশল তারা হাতছাড়া করতে চাইছে না। তাই লকডাউনের সময় পার্টির নেতা-কর্মীদের কর্তব্য বেঁধে দিতে তড়িঘড়ি রাজ্য কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ অনুভব করেন বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। সেই মতো রাজ্য কমিটির সদস্যদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে তাঁরা এব্যাপারে কাজে লাগাতে সক্রিয় হন। সিদ্ধান্ত মতো আগের দিন সেই গ্রুপে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে সূর্যবাবু তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। রাজ্য কমিটির নেতারা যাতে তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিজেদের মতামত তৈরি রাখতে পারেন এবং বৈঠকে তা নথিভুক্ত করতে পারেন, সেজন্য আগাম রিপোর্ট পেশ করেন তিনি।
পার্টি সূত্রের খবর, ২৯ তারিখ বেলা ২ টো নাগাদ বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা রাজ্য কমিটির সদস্যরা তাঁদের অ্যানড্রয়েড মোবাইলে ওই গ্রুপে সক্রিয় হন। প্রত্যেকেই করোনা নিয়ে তাঁদের জেলা পার্টি বা গণ সংগঠনের তরফে করোনা পরিস্থিতিতে দলের কার্যক্রম জানান। এরইমধ্যে কয়েকজন নেতা এই পরিস্থিতিতে সূর্যবাবুর আরও বেশি করে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা উচিত বলে মত ব্যক্ত করেন। সম্পাদক হিসেবে কিছু ইস্যুতে সংক্ষিপ্ত উত্তরও দেন সূর্যবাবু। শেষমেশ বিকেল সাড়ে ৪টের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে ইতি টানা হয়। যদিও কয়েকজন নেতা তারপরও ঘণ্টা দেড়েক এই প্রসঙ্গে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে যান। দিন দুয়েক বাদে সূর্যবাবু সকলের মতামত খতিয়ে দেখার পর তাঁর জবাবি বক্তব্য এই গ্রুপেই জানিয়ে দেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন পরিযায়ী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের ত্রাণে
বেশি করে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে লকডাউন চলাকালীন জেলা ও এরিয়া কমিটির সব দপ্তরে দু’-তিনজন করে পার্টিকর্মীকে সর্বক্ষণ থাকার নিদানও দেন তিনি। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠক করায় দলের
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তারিফ পেয়েছে আলিমুদ্দিন। আগামীদিনে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতিতে এভাবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য
পরামর্শ দিয়েছে তারা। দলের রাজ্য কমিটি বৈঠকের পর সিটু নেতৃত্বও একই কায়দায় ওয়ার্কিং কমিটি এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর আলোচনা সেরেছে সম্প্রতি।