কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
এদিকে, মাঠের ফসল তোলা না হলে ভবিষ্যতে খাদ্যশস্য মজুতে টান পড়তে পারে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। তাই করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি লকডাউন পরিস্থিতিতে চাষবাস বজায় রাখতে আগামী ১৬ এপ্রিল সব রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। বৈঠক হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এখনও পর্যন্ত লকডাউন আগামী ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ১৬ তারিখ কৃষিমন্ত্রীদের ওই বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সে হবে জানিয়ে দেওয়ায় রাজ্যগুলির মনে করছে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে। আর লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে ফের চাষবাসের সমস্যাও জিইয়ে থাকবে বলেই রাজ্যগুলির আশঙ্কা।
যদিও কেন্দ্র ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে, লকডাউনেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে ফসল তোলা যাবে। নতুন ফসল বোনার প্রস্তুতিতেও কোনও বাধা নেই। করোনার সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষি শ্রমিকদের ফসল তোলার কাজে নামানো যেতে পারে। কৃষি শ্রমিকরা মুখে মাস্ক পরে ফসল তুলতে পারেন। কোনও অসুবিধে নেই।
তবে যত শ্রমিক প্রয়োজন, তার চেয়ে ৫০ শতাংশ কম নিয়েই এখন কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। চা বাগানেও অর্ধেক শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের সময়ে কৃষি সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির দোকান খোলা রাখা যাবে। হাইওয়েতে কৃষি উৎপাদন সহ সামগ্রী বয়ে নিয়ে যাওয়ার ট্রাক সারাইয়ের দোকানও খোলা থাকবে। আপাতত পেট্রল পাম্প লাগোয়া যেসব দোকান রয়েছে, সেগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু রবি শস্যের উৎপাদন তোলার জন্য মিলছে না কৃষি শ্রমিক। করোনা তথা লকডাউনের আতঙ্কে হাজারে হাজারে দিন মজুর ভিন রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন নিজের রাজ্যে। তাই ফসলের হাল নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে মতো রাজ্যগুলি।